Ajker Patrika

ভারতের জয়যাত্রা থামাতে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ২৩০ রান

ভারতের জয়যাত্রা থামাতে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ২৩০ রান

২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতকে হারানো যেন বেশ কঠিন কাজ। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে স্বাগতিকেরা। অন্যদিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের অবস্থা এবার বেশ ভয়াবহ। সেই নিষ্প্রভ ইংল্যান্ডকে আজ লক্ষ্ণৌর শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে ২৩০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। 

টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। ইনিংসের প্রথম ওভার করতে আসা ডেভিড উইলি মেডেন দিয়েছেন। সেই ওভার ব্যাটিং করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিস ওকসের করা ওভার থেকে চার মেরে রানের খাতা খোলেন শুভমান গিল। সবচেয়ে বেশি ঝড় বয়ে গিয়েছিল ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উইলির ওপর দিয়ে। সেই ওভার থেকে ভারত নিয়েছে ১৮ রান। যার মধ্যে রোহিত দুটি ছক্কা ও চার মেরেছেন। ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২২ রান। 

দুর্দান্ত শুরু করা ভারত হয়তো তখনো বুঝতে পারেনি তাদের ওপর কী বিপদ আসতে চলেছে। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে গিলকে অসাধারণ ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ওকস। তাতে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৪ ওভারে ১ উইকেটে ২৬ রান। এরপর ব্যাটিংয়ে এসেও বিরাট কোহলি খুব সংগ্রাম করেছেন। বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করলেও ইংলিশ ফিল্ডাররা তা ব্যর্থ করে দিয়েছেন। খুব দ্রুতই তিনি ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন। সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে উইলিকে তুলে মারতে যান কোহলি। মিড অফে সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন বেন স্টোকস। দারুণ ছন্দে থাকা কোহলি ৯ বল খেললেও রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারিয়েছেন। 

গিল, কোহলির দ্রুত বিদায়ে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৬.৫ ওভারে ২ উইকেটে ২৭ রান। এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন শ্রেয়াস আয়ার। ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে রোহিত-আয়ার দুজনেই সংগ্রাম করতে থাকেন। প্রথম ১০ ওভার শেষে ভারত করতে পেরেছে ২ উইকেটে ৩৫ রান। প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই আয়ারের উইকেটও হারিয়েছে ভারত। ১২ তম ওভারের পঞ্চম বলে ওকসকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে মার্ক উডের তালুবন্দী হন আয়ার। ১৬ বলে ৪ রান করেছেন ভারতীয় এই ব্যাটার। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে আসেন লোকেশ রাহুল। 

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে খেলছিলেন রোহিত। খুব দ্রুতই ভারতের ৪ উইকেট পড়তে পারত। ১৬ তম ওভারের পঞ্চম বলে ভারতীয় অধিনায়কের বিরুদ্ধে মার্ক উড এলবিডব্লুর আবেদন করলে আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। রোহিত রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল স্টাম্পে হিট করেনি। ঠিক তার পরের বলে উডকে চার মেরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। ভারতীয় অধিনায়ক সাবলীলভাবে খেলেছেন ইংলিশ বোলারদের। অন্যপ্রান্তে তার সঙ্গী রাহুল কিছুটা ধীর গতিতে খেলতে থাকেন। রাহুলকে নিয়ে জুটি গড়ার মধ্যেই রোহিত এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন। চতুর্থ উইকেটে ১১১ বলে ৯১ রানের জুটি গড়েছেন রাহুল-রোহিত। ৫৮ বলে ৩৯ রান করা রাহুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন উইলি। 

গিল, কোহলি, শ্রেয়াস, রাহুল-এই চার ব্যাটারের বিদায়ে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৩০.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩১ রান। রাহুল আউট হওয়ার পরও স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন রোহিত। ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পেয়ে যাবেন। রোহিতকে তা করতে দেননি আদিল রশিদ। ৩৭ তম ওভারের পঞ্চম বলে রশিদকে লেগ সাইডে তুলে মারতে যান রোহিত। ডিপ মিড উইকেটে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তাতে লিভিংস্টোন কিছুটা ব্যথাও পেয়েছেন। আর ১০১ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রান করেছেন রোহিত। 

রোহিতের আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। ৫ উইকেটে ১৬৪ থেকে মুহূর্তেই হয়ে যায় ৭ উইকেটে ১৮৩ রান। রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ শামি-ভারতের এই দুই উইকেট তুলে নিয়েছেন রশিদ ও উড। জাদেজা ও শামি করেছেন ৮ ও ১ রান। সতীর্থদের ড্রেসিংরুমে আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন ছয় নম্বরে নামা সূর্যকুমার যাদব। বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। ৪৭ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইলিকে অফসাইডে উড়িয়ে মেরেছিলেন সূর্যকুমার। তবে ডিপ পয়েন্টে সহজ ক্যাচ ধরেছেন ওকস। ৪৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রান করেছেন সূর্যকুমার। 
 
ফিফটি মিস করা সূর্যকুমারের বিদায়ে শেষে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৪৬.২ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৮ রান। দশ নম্বর ব্যাটার হিসেবে উইকেটে আসেন কুলদীপ যাদব। নবম উইকেট জুটিতে জসপ্রীত বুমরা-কুলদীপ কেউই অবশ্য হাত খুলে খেলতে পারেননি। ইনিংসের শেষ বলে রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েছেন বুমরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারত করেছে ৯ উইকেটে ২২৯ রান। সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেছেন রোহিত। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন উইলি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছিটকে গেলেন ইয়ামাল, বার্সা-স্পেনের নতুন টানাপোড়েন

ক্রীড়া ডেস্ক    
দলে ডাক পাওয়ার পর ছিটকে গেলেন তরুণ উইঙ্গার। ছবি: এক্স
দলে ডাক পাওয়ার পর ছিটকে গেলেন তরুণ উইঙ্গার। ছবি: এক্স

কুঁচকির চোট থেকে সেরে উঠার জন্য সম্প্রতি চিকিৎসা নিয়েছিলেন লামিনে ইয়ামাল। এজন্য ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ দুটি ম্যাচের জন্য স্পেন স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন এই উইঙ্গার। এমন একজন ফুটবলারকে হারিয়ে বার্সেলোনার ওপর ক্ষেপেছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)।

এক বিবৃতিতে আরএফইএফ লিখেছে, ‘আজ জাতীয় দলের ক্যাম্পে আমরা জানতে পেরেছি, চোট থেকে সের উঠার জন্য ইয়ামাল চিকিৎসা নিয়েছেন। অথচ চিকিৎসা নেওয়ার আগে জাতীয় দলকে জানানো হয়নি। তাই এটা শুনে আমরা বিস্মিত হয়েছি। মেডিকেল টিম আপাতত ইয়ামালকে ৭-১০ দিনের বিশ্রাম দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন ইয়ামালকে দল থেকে ছেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে।’

চোট পাওয়ায় বার্সার হয়ে পাঁচটি ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি ইয়ামাল। চোট থেকে সেরে উঠতে গত সোমবার আরএফইএফকে না জানিয়েই বার্সেলোনায় তাঁর রেডিওফ্রিকোয়েন্সি অস্ত্রোপচার করা হয়। স্প্যানিশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ক্ষোভটা মূলত এখানেই। এর আগে গত মাসেও ইয়ামালের চোট নিয়ে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক এবং স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। দুজন দুজনকে পাল্টা অভিযোগ করেন। ইয়ামাল স্পেন দল থেকে বাদ পড়ায় এবার কী অবস্থান নেন তাঁরা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এর আগে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গত মাসে জর্জিয়া ও বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও ইয়ামালকে পায়নি স্পেন। এবার চিকিৎসার কারণে জর্জিয়া ও তুরস্কের বিপক্ষে ম্যাচেও এই প্রতীভাবান ফুটবলারকে পাবে না একবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ইয়ামালকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

৪ ম্যাচ শেষে ইউেরাপিয়ান অঞ্চলের ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে আছে স্পেন। শতভাগ জয়ে তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। ১৫ নভেম্বর স্পেনর প্রতিপক্ষ জর্জিয়া। ১৯ নভেম্বর তুরস্কের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কে পাবেন মেক্সিকো প্রেসিডেন্টের বিশ্বকাপ টিকিট

ক্রীড়া ডেস্ক    
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও ম্যাচ হবে আজতেকা স্টেডিয়ামে। ছবি: এক্স
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও ম্যাচ হবে আজতেকা স্টেডিয়ামে। ছবি: এক্স

ইতিহাস গড়ার পথে আজতেকা স্টেডিয়াম। বিশ্বের প্রথম ভেন্যু হিসেবে তৃতীয়বারের মতো উদ্বোধনী ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে মেক্সিকোর অন্যতম সেরা স্টেডিয়ামটি। ইতিহাসের সাক্ষী হতে পারতেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লাওদিয়া শেইনবাউম পারদো। সে সুযোগ না নিয়ে বরং উদারতার পরিচয় দিতে চান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ম্যাচ হবে মেক্সিকোর আজতেকা স্টেডিয়ামে। মাঠে বসে জমকালো অনুষ্ঠান ও ম্যাচ উপভোগের জন্য এক নম্বর টিকিট পাবেন পারদো। তবে মাঠে যেতে চান না তিনি। তাঁর টিকিটটি দিতে চান একজন নারী ফুটবল ভক্তকে, যাঁর টিকিট কেনার স্বামর্থ্য নেই।

সংবাদ সম্মেলেন পারদো বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের টিকিটটি এমন একজন মেয়ে বা তরুণীকে দেব যার পক্ষে অর্থ খরচ করে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখা সম্ভব নয়; কিন্তু সে ফুটবলের একজন ভক্ত।’

আগামী ১১ জুন বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। সেদিন কোন নারী ভক্ত টিকিটটি পাবেন সেটা বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন পারদো, ‘টিকিট কে পাবেন তা বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছি। আমরা টিকিটটি একজন মেয়েকেই দেব। যেন সে ফুটবল নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারে।’

বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে পারদো বলেন, ‘কেবল সেরা ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন–ই নয়, এর মাধ্যমে আমরা বিশ্বের দরবারে আমরা নিজেদের স্বামর্থ্য প্রমাণ করতে চাই। সাংস্কৃতিক দিক থেকে মেক্সিকো কতটা সমৃদ্ধ এবং আমরা কতটা ঐতিহাসিক মুহূর্তের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে পারি সেটাও তুলে ধরা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুদে ফুটবলার সোহান পাচ্ছে বিকেএসপির স্কলারশিপ

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৭
চাঁদপুরের খুদে ফুটবলার সোহান। ছবি: সংগৃহীত
চাঁদপুরের খুদে ফুটবলার সোহান। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের খুদে ফুটবলার সোহান (৬) বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ডাক পেতে যাচ্ছে। সেখানে শিশুটিকে পূর্ণ বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান তিনি।

ওই পোস্টে আসিফ মাহমুদ উল্লেখ করেন, সোহানকে বিকেএসপিতে রেখে ভবিষ্যৎ ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এদিকে এ খবরে সোহানের পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।

মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচআনী গ্রামের বাসিন্দা সোহেল প্রধানিয়ার একমাত্র ছেলে সোহান প্রধানিয়া। সোহেল নিজ এলাকায় সাইকেল মেরামতের কাজ করেন। আর শিশু সোহান বর্তমানে পাঁচআনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে।

পরিবার ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাত্র তিন বছর বয়স থেকে গ্রামের রাস্তায় বাবার সঙ্গে ফুটবলের অনুশীলন শুরু করে সোহান। সে অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ কিছু কলাকৌশল রপ্ত করে। ফুটবলে তার প্রতিভার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ফুটবলপ্রেমীরা শিশুটিকে দেখতে ছুটে যান। কেউ কেউ অবাক হয়ে কিংবা খুশিতে সোহানকে ফুটবল, জার্সি, জুতা উপহার দেন। সম্প্রতি জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও সোহানের সঙ্গে দেখা করেন; তার হাতে তুলে দেন ফুটবলের নানা সামগ্রী। সে সঙ্গে শিশুটির লেখাপড়াসহ খেলাধুলা চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন।

সোহানের বিকেএসপিতে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বাবা সোহেল প্রধানিয়া। আজ বিকেলে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে বাংলাদেশের জন্য উৎসর্গ করলাম। আমি সোহানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি, আল্লাহ যেন সেই স্বপ্ন পূরণ করেন।’

টিভিতে খেলা দেখে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখে সোহান নিজেও। সে বলে, ‘আমি বড় হয়ে মেসির মতো খেলতে চাই।’

বিকেএসপিতে সোহানের ভর্তির ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানিয়েছেন মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুমা মনি। তিনি বলেন, ‘খুদে ফুটবলার সোহানের প্রতিভা দেখে আমি নিজেও তার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমরাও চাই, সোহান লেখাপড়ার পাশাপাশি একজন ভালোমানের ফুটবলার হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদকের আশা দেখাচ্ছেন কুলসুম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৪
কুলসুম আক্তার মনি। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুলসুম আক্তার মনি। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিকেএসপির দশম শ্রেণির ছাত্রী কুলসুম আক্তার মনি। কথা বলার সময় চোখেমুখে শোভা পাচ্ছিল আত্মবিশ্বাস। বাংলাদেশের স্বপ্নটা যে এখন তাঁকে ঘিরে। কম্পাউন্ড নারী এককে সেমিফাইনালে উঠেছেন তিনি। একক ইভেন্টে রিকার্ভ হোক বা কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের কোনো আর্চারই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি।

জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ শেষ বত্রিশ রাউন্ডে ইরানের ফাতিমা বাঘেরিকে ১৪৫-১৪৩ স্কোরে হারান কুলসুম। শেষ ষোলোয় ভারতের দ্বীপশিখার বিপক্ষে জেতেন ১৪২-১৪০ ব্যবধানে। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল দ্বীপশিখার। কোয়ার্টার ফাইনালে কাজাখস্তানের ইউনুসোভা রোক্সানাও দমাতে পারেননি কুলসুমের আত্মবিশ্বাসকে। ১৪৬-১৪৪ পয়েন্টে হারেন তিনি।

টানা তিন জয়ের পর ঠাঁকুরগাও থেকে উঠে আসা কুলসুম জানালেন অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি অলিম্পিকে খেলতে চাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতে চাই না। হাইলাইট হতে চাই না। আমাকে হাইলাইট হতে হবে নিজের যোগ্যতা দিয়ে, সাফল্য দিয়ে।’

আগামী বৃহস্পতিবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভারতের প্রদীপ প্রিথিকার মুখোমুখি হবেন কুলসুম। প্রত্যাশার তেমন কোনো চাপ নিচ্ছেন না তিনি, ‘কেবল আমি টিকে আছি বলে কোনো চাপ অনুভব করছি না। চাপ কেন নেব? এত দিন আমরা পরিশ্রম করেছি একটা কিছু পাওয়ার জন্যই। তাই সেমিফাইনালেও আমি নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করব। এই পতাকার (জার্সিতে বাংলাদেশের পতাকার লোগো দেখিয়ে) জন্যই খেলি, নিজের দেশের হয়ে খেলা আলাদা শান্তি।’

রিকার্ভ পুরুষ এককে হতাশ করেছেন সবাই। চায়নিজ তাইপের প্রতিযোগীকে ৬-৪ সেট পয়েন্টে হারানোর পর শেষ বত্রিশের লড়াইয়ে ভারতের সঞ্জয় ইয়াশদিপ ভোগের বিপক্ষে ৬-৪ সেট পয়েন্টে জেতেন রাকিব মিয়া। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার জাং চায়ে ওয়ানের কাছে ৬-৪ সেট পয়েন্টে হেরে সেরা ষোলোর মঞ্চ থেকে বিদায় নেন তিনি।

কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আব্দুর রহমান আলিফ কাজাখস্তানের আব্দুলিন ইলফাতের কাছে ৭-৩ সেট পয়েন্টে এবং রাম কৃষ্ণ সাহা ৬-৪ সেট পয়েন্টে ভারতের রাহুলের কাছে হেরে যান।

রিকার্ভ মহিলা এককেও একই দশা। সেরা বত্রিশ থেকে সোনালি রায়, সীমা আক্তার শিমু, ইতি খাতুন ও মনিরা খাতুনের বিদায়ঘণ্টা বেজেছে। রিকার্ভ নারী দল ও কম্পাউন্ড পুরুষ দল পদকের ধারেকাছে যেতে পারেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত