জহির উদ্দিন মিশু, ঢাকা
অবশেষে বড়সড় সংস্কারের পথেই পা বাড়াল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। কয়েক দিন ধরে এমন একটা গুঞ্জন। শেষ পর্যন্ত গতকাল শুক্রবার খেলোয়াড়, কোচ, রেফারি ও সংগঠকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়ে দিলেন, ক্রীড়া সংস্থার কোনো পদে কেউ দুই মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। তাতেই শেষ হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে ফেডারেশনে চেয়ার আঁকড়ে পড়ে থাকার দিন ৷ তাতেই শেষ হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে ফেডারেশনে ‘মধু’ খাওয়ার দিন!
কেবল এক চেয়ারে দুই মেয়াদ কেন, বছরের পর বছরও কেউ কেউ বসে আছেন এক পদে। কেউ ৪০ বছর, কেউ ৩০ বছর আবার কেউ তারও বেশি সময়। এবার তাঁদের বাড়ি যাওয়ার পালা। দু-একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। শুরুতে কুস্তি ফেডারেশনের কথাই বলি। যেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে আছেন তাবিউর রহমান। এরপর হ্যান্ডবলে ১৯৯১ থেকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসাদুজ্জামান কোহিনূর। তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনে ২৭ বছর কাটিয়ে দিলেন মাহমুদুল ইসলাম রানা। আর আর্চারির জন্ম থেকে সাধারণ সম্পাদকের আসনে কাজী রাজিব উদ্দিন চপল। আরেক ফেডারেশন রাগবি, সেখানে ২০০৬ থেকে আছেন মৌসুম আলী। তাঁদের সবাইকে এবার বিদায় নিতে হচ্ছে।
এই বিস্তর পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি। আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় সেই কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানার। তিনিও জানিয়ে দেন কীভাবে কোন উপায়ে হবে কাটছাঁট, ‘এবার থেকেই এই পদ্ধতি (এক পদে দুবারের বেশি নয়) অনুসরণ করা হবে। ধীরে ধীরে একটার পর একটা ফেডারেশন ধরে সংস্কার করা হবে। সেখানে যাঁরা নিচের দিকে, তাঁদের ওপরের পদে আনা হবে, আবার যাঁরা অযোগ্য, তাঁদের বাদ দেওয়া হবে।’
একই ফেডারেশনে বছরের পর বছর এক পদে থেকে যাওয়াটা মোটেও ভালোভাবে দেখছেন না তাঁরা। সে জন্য দেশের ৫৫টি ক্রীড়া সংস্থায় অবসরের একটা নিয়ম চালু করতেই এমন পরিবর্তনে হাত দিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। যেমনটা জানিয়েছেন জোবায়েদুর রহমান রানা, ‘দেখুন, এভাবে তো চলতে পারে না। একটা অবসরের নিয়ম তো থাকতে হবে। আপনি এক চেয়ারে বছরের পর বছর কাটাবেন, সেটা হয় না। যিনি সদস্য বা সহসভাপতি কিংবা অন্য কোনো নিচের পদে আছেন, তিনি যদি যোগ্য হন, তাহলে তাঁকে ওপরের কোনো পদে বসানো হবে। এভাবেই আমরা সংস্কারটা করব। তবে ওপরের পদ থেকে নিচে নামার কোনো সুযোগ নেই। একটা উদাহরণ দিই। ধরেন, কেউ সভাপতি হিসেবে দুই টার্ম ছিলেন বা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দুই টার্ম ছিলেন। তাঁর আর তৃতীয়বার সেই আসনে থাকার সুযোগ নেই বা নিচের দিকের কোনো পদেও বসার সুযোগ নেই। তাঁকে ছাড়তেই হবে চেয়ারটা। তবে তিনি চাইলে বিরতি দিয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আসতে পারবেন।’
যদিও এমন পরিবর্তনকে ভিন্ন চোখে দেখছেন না আর্চারির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রাজিব উদ্দিন চপল, ‘আসলে সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে তো আমাদের কিছু করার নেই। তারা যেভাবে চায়, সেভাবেই হবে। তারা যদি চূড়ান্ত করে, কেউ দুই টার্মের বেশি এক পদে থাকবে না, তাহলে আমরা সেটাই মেনে নেব।’ অনেকে আবার হাওয়া বুঝে সরে যাওয়ার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের একজন হ্যান্ডবলের আসাদুজ্জামান কোহিনূর। আজকের পত্রিকাকে গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আমি আসলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, থাকব না। আমার ছেলেমেয়েরাও চাইছে না আর এই পদে থাকি।’
সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক ছাড়া নিচের দিকের পদগুলোতে যাঁরা দুই মেয়াদে আছেন, তাঁদের মধ্য থেকে যোগ্যদের বাছাই করে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসানো হবে। কিন্তু যাঁরা দুই মেয়াদে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে, তাঁদের বাড়ি ফিরতেই হবে। যদি কেউ প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয়বার অ্যাডহক কমিটিতে ওই পদে থাকেন, তবু তাঁকে সরতে হবে।
অবশেষে বড়সড় সংস্কারের পথেই পা বাড়াল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। কয়েক দিন ধরে এমন একটা গুঞ্জন। শেষ পর্যন্ত গতকাল শুক্রবার খেলোয়াড়, কোচ, রেফারি ও সংগঠকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়ে দিলেন, ক্রীড়া সংস্থার কোনো পদে কেউ দুই মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। তাতেই শেষ হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে ফেডারেশনে চেয়ার আঁকড়ে পড়ে থাকার দিন ৷ তাতেই শেষ হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে ফেডারেশনে ‘মধু’ খাওয়ার দিন!
কেবল এক চেয়ারে দুই মেয়াদ কেন, বছরের পর বছরও কেউ কেউ বসে আছেন এক পদে। কেউ ৪০ বছর, কেউ ৩০ বছর আবার কেউ তারও বেশি সময়। এবার তাঁদের বাড়ি যাওয়ার পালা। দু-একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। শুরুতে কুস্তি ফেডারেশনের কথাই বলি। যেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে আছেন তাবিউর রহমান। এরপর হ্যান্ডবলে ১৯৯১ থেকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসাদুজ্জামান কোহিনূর। তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনে ২৭ বছর কাটিয়ে দিলেন মাহমুদুল ইসলাম রানা। আর আর্চারির জন্ম থেকে সাধারণ সম্পাদকের আসনে কাজী রাজিব উদ্দিন চপল। আরেক ফেডারেশন রাগবি, সেখানে ২০০৬ থেকে আছেন মৌসুম আলী। তাঁদের সবাইকে এবার বিদায় নিতে হচ্ছে।
এই বিস্তর পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কারের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি। আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় সেই কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানার। তিনিও জানিয়ে দেন কীভাবে কোন উপায়ে হবে কাটছাঁট, ‘এবার থেকেই এই পদ্ধতি (এক পদে দুবারের বেশি নয়) অনুসরণ করা হবে। ধীরে ধীরে একটার পর একটা ফেডারেশন ধরে সংস্কার করা হবে। সেখানে যাঁরা নিচের দিকে, তাঁদের ওপরের পদে আনা হবে, আবার যাঁরা অযোগ্য, তাঁদের বাদ দেওয়া হবে।’
একই ফেডারেশনে বছরের পর বছর এক পদে থেকে যাওয়াটা মোটেও ভালোভাবে দেখছেন না তাঁরা। সে জন্য দেশের ৫৫টি ক্রীড়া সংস্থায় অবসরের একটা নিয়ম চালু করতেই এমন পরিবর্তনে হাত দিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। যেমনটা জানিয়েছেন জোবায়েদুর রহমান রানা, ‘দেখুন, এভাবে তো চলতে পারে না। একটা অবসরের নিয়ম তো থাকতে হবে। আপনি এক চেয়ারে বছরের পর বছর কাটাবেন, সেটা হয় না। যিনি সদস্য বা সহসভাপতি কিংবা অন্য কোনো নিচের পদে আছেন, তিনি যদি যোগ্য হন, তাহলে তাঁকে ওপরের কোনো পদে বসানো হবে। এভাবেই আমরা সংস্কারটা করব। তবে ওপরের পদ থেকে নিচে নামার কোনো সুযোগ নেই। একটা উদাহরণ দিই। ধরেন, কেউ সভাপতি হিসেবে দুই টার্ম ছিলেন বা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দুই টার্ম ছিলেন। তাঁর আর তৃতীয়বার সেই আসনে থাকার সুযোগ নেই বা নিচের দিকের কোনো পদেও বসার সুযোগ নেই। তাঁকে ছাড়তেই হবে চেয়ারটা। তবে তিনি চাইলে বিরতি দিয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আসতে পারবেন।’
যদিও এমন পরিবর্তনকে ভিন্ন চোখে দেখছেন না আর্চারির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রাজিব উদ্দিন চপল, ‘আসলে সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে তো আমাদের কিছু করার নেই। তারা যেভাবে চায়, সেভাবেই হবে। তারা যদি চূড়ান্ত করে, কেউ দুই টার্মের বেশি এক পদে থাকবে না, তাহলে আমরা সেটাই মেনে নেব।’ অনেকে আবার হাওয়া বুঝে সরে যাওয়ার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের একজন হ্যান্ডবলের আসাদুজ্জামান কোহিনূর। আজকের পত্রিকাকে গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আমি আসলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, থাকব না। আমার ছেলেমেয়েরাও চাইছে না আর এই পদে থাকি।’
সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক ছাড়া নিচের দিকের পদগুলোতে যাঁরা দুই মেয়াদে আছেন, তাঁদের মধ্য থেকে যোগ্যদের বাছাই করে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসানো হবে। কিন্তু যাঁরা দুই মেয়াদে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে, তাঁদের বাড়ি ফিরতেই হবে। যদি কেউ প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয়বার অ্যাডহক কমিটিতে ওই পদে থাকেন, তবু তাঁকে সরতে হবে।
জয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্যটা কি খুব বড় ছিল? মোটেও না। কিন্তু মাঝারি মানের এই লক্ষ্যতাড়ায় শুরু থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা যে অস্থিরতা দেখালেন, স্ট্যাম্পের বাইরের বল চেজ করে খেলতে গিয়ে আত্মাহুতি দিলেন নিজেদের, তাতে ম্যাচটি যাঁরা দেখেছেন তাঁদের উপলব্ধি এটাই—এই দলের শেখার এখনো অনেক বাকি!
৫ ঘণ্টা আগেরাজস্থান রয়্যালসের প্রধান কোচের ভূমিকায় এর আগেও ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে পুরোনো দায়িত্বে ফিরছেন শ্রীলঙ্কার এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। এমনটাই জানিয়েছে ভারতের ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো।
৬ ঘণ্টা আগেআগের দিন বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় ভারত। তাই আজ বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সুপার ফোরের লড়াইটি হয়ে দাঁড়ায় এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনাল। যে দল জিতবে সে দলই নাম লেখাবে ফাইনাল।
৮ ঘণ্টা আগেমোস্তাফিজুর রহমানের বল সালমান আলী আগার ব্যাট ছুঁয়ে চলে গিয়েছিল উইকেটের পেছনে থাকা জাকের আলীর গ্লাভসে। বোলার-ফিল্ডাররা আবেদন করলেও আউট দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। দলের বিপর্যয়ে যখন ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখানোর কথা, তখনই দলের বিপদ বাড়িয়ে ফিরে গেলেন অধিনায়ক সালমান।
৮ ঘণ্টা আগে