Ajker Patrika

এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭: ৩৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৯ উইকেট নিয়েছেন সাজিদ খান (বাঁয়ে)। তিনিই পেয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। ছবি: এএফপি
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৯ উইকেট নিয়েছেন সাজিদ খান (বাঁয়ে)। তিনিই পেয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। ছবি: এএফপি

মুলতানের পিচ যে ব্যাটারদের বধ্যভূমি, সেটা যাঁরা খেলা দেখা দেখেছেন তাঁরা তো বুঝতে পেরেছেনই। পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্টের স্কোরকার্ড দেখেও যে কোনো ব্যক্তি তা চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারবেন। বোলারদের রাজত্বে প্রথম টেস্টের ফল আসতে পূর্ণ তিন দিনও লাগেনি।

পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে প্রথম টেস্টে পড়তে থাকে মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট। সব মিলিয়ে খেলা হয়েছে ১০৬৪ বল। পড়েছে ৪০ উইকেট, রান হয়েছে ৬৪৭। বলের হিসেবে পাকিস্তানের মাঠে এটা সংক্ষিপ্ততম টেস্ট। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯০ সালে। ফয়সালাবাদে সেবার ১০৮০ বলে শেষ হয়েছিল টেস্ট। সেই টেস্টেও পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল প্রতিপক্ষ।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১০৯ রানে পাকিস্তান আজ মুলতানে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে। তবে যে পিচ বোলারদের স্বর্গ, সেখানে ব্যাটাররা কতক্ষণই বা টিকতে পারবেন! ৪৮ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে শেষ স্বাগতিকেরা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন অধিনায়ক শান মাসুদ। জোমেল ওয়ারিকান একাই নিয়েছেন ৭ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার ১৮ ওভারে খরচ করেন ৩২ রান। আরেক বাঁহাতি স্পিনার গুড়াকেশ মোতি পেয়েছেন ১ উইকেট। খুররম শেহজাদ, মাসুদ পাকিস্তানের এই দুই ব্যাটার হয়েছেন রান আউট।

প্রথম ইনিংসের ৯৩ রানের লিডসহ দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের স্কোর হয়েছে ২৫০ রান। ২৫১ রানের লক্ষ্যে নেমে ৫৪ রানে ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখনই মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ঘোষণা করা হয়। বেকায়দায় পড়া উইন্ডিজদের হাল ধরেন টেভিন ইমলাচ ও অ্যালিক আথানাজ। মুলতান টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ইমলাচের। ষষ্ঠ উইকেটে অ্যাথানাজের সঙ্গে ৫৫ বলে ৪১ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ইমলাচ।২৫তম ওভারের তৃতীয় বলে ইমলাচকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আবরার আহমেদ।

৯৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আবারও আশা খুঁজে পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সপ্তম উইকেটে ২৮ রানের জুটি গড়েন অ্যাথানাজ ও কেভিন সিনক্লেয়ার। এই জুটি টিকেছে ৬২ বল। তবে এই জুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয়দের ইনিংস। শেষ ৩ উইকেট হারিয়েছে কোনো রান যোগ না করেই। ১২৩ রানে অলআউট হয়েছে ক্যারিবীয়রা। অ্যাথানাজের ৬৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংসটাই সফরকারীদের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।

পাকিস্তানের ১২৭ রানের জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সাজিদ খান। ১১৫ রানে নিয়েছেন ৯ উইকেট। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রান খরচ করে পেয়েছেন ৫ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০ উইকেটের সবটাই নিয়েছেন স্পিনাররা। সাজিদের ৯ উইকেটের পাশাপাশি নোমান আলী ও আবরার আহমেদ নিয়েছেন ৬ ও ৫ উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মাসুদ। প্রথম ইনিংসে ২৩০ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকেরা। পঞ্চম উইকেটে সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ২৬৪ বলে ১৪১ রানের জুটিতেই যা রান হয়েছে। বাকি ৯ জুটি মিলে যোগ করেছে ৮৯ রান। শাকিল ও রিজওয়ান করেছেন ৮৪ ও ৭১ রান। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ৯১ রান করতেই হারিয়েছে ৯ উইকেট। দশম উইকেটে ওয়ারিকান ও সিলসের ২১ বলে ৪৬ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন। তাতেই ক্যারিবীয়রা করতে পারে ১৩৭ রান। ক্যারিবীয়দের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন ওয়ারিকান। ২৪ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ১ ছক্কা মারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ফিফটি করে ক্যারিয়ার সেরা র‍্যাঙ্কিংয়ে তামিম

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৭ তম স্থানে উঠে এসেছেন তামিম। ছবি: বিসিবি
১৭ তম স্থানে উঠে এসেছেন তামিম। ছবি: বিসিবি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। দল বাজেভাবে সিরিজ হারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। সেটার ফল পেলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

বিস্তারিত আসছে......

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হেরেই চলেছে নিউজিল্যান্ড, উড়ছে উইন্ডিজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
নিউজিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি: ক্রিকইনফো
নিউজিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি: ক্রিকইনফো

টি-টোয়েন্টিতে জয় ‘সোনার হরিণ’ হয়ে উঠেছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। জুলাইয়ে হারারেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩ রানে জয়ের পর কিউইরা তিনটি করে টি-টোয়েন্টি খেলেছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তবে এই ৬ টি-টোয়েন্টিতে নেই কোনো জয়। আজ অকল্যান্ডে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও কিউইরা কাটাতে পারল না জয়খরা।

নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা না পেলেও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে উড়ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নেপালের কাছে দুই টি-টোয়েন্টি হারের পর এই সংস্করণে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছে উইন্ডিজ। যার মধ্যে রয়েছে সবশেষ বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই। সেই ধারাবাহিকতায় অকল্যান্ডে আজ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে উইন্ডিজ। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ক্যারিবীয়রা।

১৬৫ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান করে নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ডেভন কনওয়েকে (১৩) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ম্যাথু ফোর্ড। দারুণ শুরুর পরই খেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকেরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা নিউজিল্যান্ডের স্কোর এক পর্যায়ে হয়ে যায় ১৬.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৭ রান। যেখানে নিশাম ২ রানে জীবন পেয়ে আউট হয়েছেন ১১ রানে।

নিউজিল্যান্ডের হার যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখন প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মিচেল স্যান্টনার ও জ্যাকব ডাফি। জয়ের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেই গিয়েছিল কিউইরা। কিন্তু শেষ দুই বলে যখন ১২ রানের সমীকরণের সামনে স্বাগতিকেরা, তখন স্যান্টনার ডট দিলে সেই আশাটুকু শেষ হয়ে যায়। ইনিংসের শেষ বলে কিউই অধিনায়ক চার মারলেও সেটা শুধু হারের ব্যবধান কমাতে পেরেছে। দশম উইকেটে স্যান্টনার-ডাফি গড়েন ২০ বলে ৫০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৭ রানে আটকে যায় কিউইরা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন স্যান্টনার। ২৮ বলের ইনিংসে ৮ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেইডেন সিলস ৪ ওভারে ৩২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

টস জিতে আজ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। আগে ব্যাটিং পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর এক পর্যায়ে ছিল ৭ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৩ রান। এখান থেকেই রান তোলার গতি বাড়াতে থাকে উইন্ডিজ। চতুর্থ উইকেটে ৩৩ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন রস্টন চেজ ও শাই হোপ। শেষ ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান যোগ করায় উইন্ডিজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে করেছে ১৬৪ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন অধিনায়ক হোপ। ৩৯ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৪ চার ও ৩ ছক্কা।

ছয় নম্বরে নামা রভমান পাওয়েলের ৩৩ রানের ইনিংসটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৬০ পেরোতে সহায়তা করেছে। ২৩ বলের ইনিংসে দুটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন। এই ইনিংস খেলার পথে ১, ২৩ ও ৩০ রানে জীবন পেয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের জাকারি ফুকস ও জ্যাকব ডাফি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। যাঁর মধ্যে ডাফি ৪ ওভারে খরচ করেন ১৯ রান। সবশেষ ৭ টি-টোয়েন্টির মধ্যে চারটিতেই হেরেছে কিউইরা। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে তিন টি-টোয়েন্টি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়ে সমতায় আফগানরা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩৯
১০২ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী দল। ছবি: বিসিবি
১০২ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী দল। ছবি: বিসিবি

সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সামনে। কিন্তু তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ন্যূনতম লড়াই করতে পারেনি আজিজুল হাকিম তামিমের দল। তাঁদের ১০২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল আফগান যুবারা।

এর আগে ৫ রানের জয়ে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টির কবল পড়ে দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। চতুর্থ ওয়ানডেতে আগামী ৭ নভেম্বর মাঠে নামবে দুই দল।

রাজশাহীর কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে ৩৭.২ ওভারে ১৭৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলীয় ৪৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন রিফাত বেগ, জাওয়াদ আবরার ও তামিম। শুরুর ধাক্কা সামলে আর সফরকারীদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশের মান বাঁচিয়েছেন কালাম সিদ্দিকী ও রিজান হোসেন। এই দুজনের ফিফটিতে ১৫০ রানের কোটা পার করতে পেরেছে স্বাগতিকরা। চতুর্থ উইকেটে ৯৩ রান যোগ করেন তাঁরা। ৫০ বলে ৫২ রান করে ফেরেন রিজান। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে প্যাভিলিয়নের পথ ধরার আগে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন কালাম। ২৫ রান আসে জাওয়াদের ব্যাট থেকে। বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেওয়ার পথে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন জাইতুল্লাহ শাহিন ও ওয়াহিদুল্লাহ জাদরান। ৪০ রানে ৪ উইকেট নেন শাহিন। ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জাদরান। ২ ব্যাটারকে ফেরান উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাকিমির গুরুতর চোট, চিন্তিত পিএসজি কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৯
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মাঠ ছাড়েন তারকা ডিফেন্ডার। ছবি: এক্স
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মাঠ ছাড়েন তারকা ডিফেন্ডার। ছবি: এক্স

চ্যাম্পিয়নস লিগে মঙ্গলবার রাতটা খুবই দুর্বিষহ ছিল পিএসজির জন্য। তাঁদের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেস থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচ হারার পাশাপাশি আরও দুঃসংবাদ পেয়েছে ফ্রান্সের রাজধানী পাড়ার ক্লাবটি। চোট পেয়েছেন দলটির দুই তারকা ফুটবলার উসমান দেম্বেলে ও আশরাফ হাকিমি।

ম্যাচের ২৫ মিনিটে পায়ে অস্বস্তি অনুভব করায় মাঠ ছাড়েন দেম্বেলে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে আরও একটি ধাক্কা খায় পিএসজি। লুইস দিয়াসের ফাউলের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন হাকিমি। বাইসাইকেল কিক নেওয়ার সময় মাঝমাঠে এগিয়ে স্বাগতিকদের এই রাইট ব্যাকের পায়ে আঘাত করেন দিয়াস। ব্যথায় কাতরাতে শুরু করেন মরক্কোন ফুটবলার।

ব্যথার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, কেঁদেই দেন হাকিমি। দ্রুত মেডিকেল টিমের সদস্যরা মাঠে হাজির হন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে, শেষ পর্যন্ত মেডিকেল স্টাফদের সহায়তায় মাঠ ছাড়েন হাকিমি। তাঁকে ফাউল করায় প্রথমে দিয়াসকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। পরবর্তীতে বিষয়টি আরও ভালোভাবে দেখার জন্য ভিএআরের সাহায্য নেন ম্যাচ পরিচালক। ঘটনার বিস্তারিত দেখার পর দিয়াসকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।

হাকিমিকে কতদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে ব্যথার তীব্রতা বলছে, বড় ধরনের চোটই পেয়েছেন হাকিমি। এভাবে ফাউল করায় দিয়াসের সমালোচনা করেছেন পিএসজির কোচ লুইস এনরিকে। হাকিমির চোট যে খুবই গুরুতর সেটাই বোঝা গেল তাঁর কথায়।

হাকিমির চোট প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে এনরিকে বলেন, ‘রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। চিকিৎসকরা একদিন পর হাকিমির চোট নিয়ে আমাদের জানাবেন। এটা লজ্জাজনক। খেলোয়াড়দের জন্য এটা কঠিন। জামাল মুসিয়ালার ইনজুরির কথা আমার মনে আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত