Ajker Patrika

১২ বছর পর বাংলাদেশ যে ঘটনার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে

আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১৭: ২২
১২ বছর পর বাংলাদেশ যে ঘটনার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে

২০২৩ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সেমির দৌড় থেকে বাংলাদেশ ছিটকে গেছে বেশ আগেভাগেই। এবার ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলাই বাংলাদেশের জন্য হয়ে গেছে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

২০১৭ সালে হয়েছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সর্বশেষ টুর্নামেন্ট। সেই টুর্নামেন্টে খেলেছিল ৮ দল, সেগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশও। ইংল্যান্ডে হওয়া সেই টুর্নামেন্টের ৮ বছর পর পাকিস্তানে ২০২৫ সালে হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বরাবরের মতো এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও খেলবে ৮টি দল। যেখানে ৮ দলের খেলার যোগ্যতা অর্জনের নিয়মটা একটু ভিন্ন। ভারতে চলমান বিশ্বকাপের লিগ পর্যায়ের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ সাত দল ও আয়োজক পাকিস্তান—এই ৮ দল খেলবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। যদি পাকিস্তান ৯, ১০ নম্বরে থেকে শেষ করে, তাহলে ওপরের নিয়ম মানা হবে। তা না হলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ আট দল খেলবে আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। 

অন্যদিকে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে রয়েছে অনেক ‘যদি, কিন্তু’। আগামী চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ‘দর্শক’ হয়ে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। যেখানে সর্বশেষ এমন ঘটনা বাংলাদেশের সঙ্গে হয়েছিল ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। এবারের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ১ জয় ও ৬ পরাজয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৯ নম্বরে রয়েছে সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নেট রানরেট হচ্ছে -১.৪৪৬। এরপর ৬ ও ১১ নভেম্বর দিল্লি ও পুনেতে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা-ও বাংলাদেশের জন্য অনেক কঠিনই মনে হচ্ছে। শুধু লঙ্কা-অজিদের হারালেই বাংলাদেশের হচ্ছে না, সাকিবদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যান্য ম্যাচের দিকেও। আফগানিস্তান, নেদারল্যান্ডস দলগুলো রয়েছে পয়েন্ট তালিকার ছয় ও আট নম্বরে। এর মধ্যে আফগানিস্তানের পয়েন্ট ৬ ও নেদারল্যান্ডসের ৪ পয়েন্ট। শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস—দুটো দলেরই পয়েন্ট ৪। নেট রানরেট মাইনাস হলেও বাংলাদেশের চেয়ে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে লঙ্কান ও ডাচরা। লঙ্কানরা হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে, যেই ইংল্যান্ড ১৩৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া প্রথম দুই ম্যাচ হারার পর টানা চার ম্যাচ জিতেছে। 

২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলেছিল এর আগে ২০১৩ ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ঘটনা ছিল একটু ভিন্ন। তখন নির্ধারিত সময়ের (কাট অফ টাইম) মধ্যে ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে যারা সেরা আটে ছিল, তারাই খেলতে পেরেছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। যেখানে ২০১৫ সালে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল। বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই করেছিল। এরপর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কীর্তি বাংলাদেশ করেছিল ২০১৫ সালেই। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ওপরের সারির দলগুলোকে হারানোয় ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলেছিল। তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকারের মতো খেলোয়াড়েরা তখন ছিলেন দারুণ ছন্দে। হাথুরুসিংহে আবার কোচের ভূমিকায় ফিরলেও সেই তামিম, সৌম্য—কেউই নেই এবারের বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেকটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো হতে যাচ্ছে। যেখানে ২০১৯ বিশ্বকাপে উইন্ডিজরা কোনোরকমে খেলতে পেরেছিল ঠিকই, তবে এবারের বিশ্বকাপে উইন্ডিজ ‘দর্শক’। 
 
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব ব্যাটিং-বোলিংয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে রান হয়ে গেছে ‘মরুভূমির মরীচিকা’। লিটন দাস এই রান পাচ্ছেন তো পরের ম্যাচে তাঁর ব্যাটে রানের দেখা মিলছে না। এ ছাড়া বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। বিশেষ করে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ—বাংলাদেশের এই দুই ব্যাটার নির্দিষ্ট কোনো পজিশনে খেলতে পারছেন না। 

এক মাহমুদউল্লাহ ছাড়া কোনো ব্যাটারই ধারাবাহিকভাবে রান করতে পারছেন না। ৩৭ বছর বয়সী এই মিডল অর্ডার ব্যাটারের কারণে বিশ্বকাপে অন্তত বাংলাদেশ মুখ রক্ষা করতে পেরেছে। দলকে জেতাতে না পারলেও স্কোরটা কোনোরকমে ২০০, ২৫০ ছাড়াচ্ছে তাঁর কল্যাণেই। যেখানে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ১১১ বলে ১১১ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। ২০০ এর বেশি রানের ব্যবধানে পরাজয় যেখানে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছিল, সেখানে বাংলাদেশ হেরেছে ১৪৯ রানে। আর ফিল্ডিংয়ে হাফ চান্স তো দূরে থাক, নিশ্চিত ক্যাচও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের। ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস ০ রানেই দুবার জীবন পেয়ে করেছেন ৬৮ রান। ফলে ২২৯ রান ডাচরা করলে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৪২ রানে। যে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকেরা জয়ের আশা করেছিলেন, সেখানে ডাচদের কাছে বাংলাদেশের বিধ্বস্ত হওয়া বেশ অবাক করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছিটকে গেলেন ইয়ামাল, বার্সা-স্পেনের নতুন টানাপোড়েন

ক্রীড়া ডেস্ক    
দলে ডাক পাওয়ার পর ছিটকে গেলেন তরুণ উইঙ্গার। ছবি: এক্স
দলে ডাক পাওয়ার পর ছিটকে গেলেন তরুণ উইঙ্গার। ছবি: এক্স

কুঁচকির চোট থেকে সেরে উঠার জন্য সম্প্রতি চিকিৎসা নিয়েছিলেন লামিনে ইয়ামাল। এজন্য ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ দুটি ম্যাচের জন্য স্পেন স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন এই উইঙ্গার। এমন একজন ফুটবলারকে হারিয়ে বার্সেলোনার ওপর ক্ষেপেছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)।

এক বিবৃতিতে আরএফইএফ লিখেছে, ‘আজ জাতীয় দলের ক্যাম্পে আমরা জানতে পেরেছি, চোট থেকে সের উঠার জন্য ইয়ামাল চিকিৎসা নিয়েছেন। অথচ চিকিৎসা নেওয়ার আগে জাতীয় দলকে জানানো হয়নি। তাই এটা শুনে আমরা বিস্মিত হয়েছি। মেডিকেল টিম আপাতত ইয়ামালকে ৭-১০ দিনের বিশ্রাম দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন ইয়ামালকে দল থেকে ছেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে।’

চোট পাওয়ায় বার্সার হয়ে পাঁচটি ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি ইয়ামাল। চোট থেকে সেরে উঠতে গত সোমবার আরএফইএফকে না জানিয়েই বার্সেলোনায় তাঁর রেডিওফ্রিকোয়েন্সি অস্ত্রোপচার করা হয়। স্প্যানিশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ক্ষোভটা মূলত এখানেই। এর আগে গত মাসেও ইয়ামালের চোট নিয়ে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক এবং স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। দুজন দুজনকে পাল্টা অভিযোগ করেন। ইয়ামাল স্পেন দল থেকে বাদ পড়ায় এবার কী অবস্থান নেন তাঁরা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এর আগে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গত মাসে জর্জিয়া ও বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও ইয়ামালকে পায়নি স্পেন। এবার চিকিৎসার কারণে জর্জিয়া ও তুরস্কের বিপক্ষে ম্যাচেও এই প্রতীভাবান ফুটবলারকে পাবে না একবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ইয়ামালকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

৪ ম্যাচ শেষে ইউেরাপিয়ান অঞ্চলের ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে আছে স্পেন। শতভাগ জয়ে তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। ১৫ নভেম্বর স্পেনর প্রতিপক্ষ জর্জিয়া। ১৯ নভেম্বর তুরস্কের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কে পাবেন মেক্সিকো প্রেসিডেন্টের বিশ্বকাপ টিকিট

ক্রীড়া ডেস্ক    
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও ম্যাচ হবে আজতেকা স্টেডিয়ামে। ছবি: এক্স
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও ম্যাচ হবে আজতেকা স্টেডিয়ামে। ছবি: এক্স

ইতিহাস গড়ার পথে আজতেকা স্টেডিয়াম। বিশ্বের প্রথম ভেন্যু হিসেবে তৃতীয়বারের মতো উদ্বোধনী ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে মেক্সিকোর অন্যতম সেরা স্টেডিয়ামটি। ইতিহাসের সাক্ষী হতে পারতেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লাওদিয়া শেইনবাউম পারদো। সে সুযোগ না নিয়ে বরং উদারতার পরিচয় দিতে চান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ম্যাচ হবে মেক্সিকোর আজতেকা স্টেডিয়ামে। মাঠে বসে জমকালো অনুষ্ঠান ও ম্যাচ উপভোগের জন্য এক নম্বর টিকিট পাবেন পারদো। তবে মাঠে যেতে চান না তিনি। তাঁর টিকিটটি দিতে চান একজন নারী ফুটবল ভক্তকে, যাঁর টিকিট কেনার স্বামর্থ্য নেই।

সংবাদ সম্মেলেন পারদো বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের টিকিটটি এমন একজন মেয়ে বা তরুণীকে দেব যার পক্ষে অর্থ খরচ করে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখা সম্ভব নয়; কিন্তু সে ফুটবলের একজন ভক্ত।’

আগামী ১১ জুন বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। সেদিন কোন নারী ভক্ত টিকিটটি পাবেন সেটা বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন পারদো, ‘টিকিট কে পাবেন তা বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছি। আমরা টিকিটটি একজন মেয়েকেই দেব। যেন সে ফুটবল নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারে।’

বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে পারদো বলেন, ‘কেবল সেরা ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন–ই নয়, এর মাধ্যমে আমরা বিশ্বের দরবারে আমরা নিজেদের স্বামর্থ্য প্রমাণ করতে চাই। সাংস্কৃতিক দিক থেকে মেক্সিকো কতটা সমৃদ্ধ এবং আমরা কতটা ঐতিহাসিক মুহূর্তের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে পারি সেটাও তুলে ধরা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুদে ফুটবলার সোহান পাচ্ছে বিকেএসপির স্কলারশিপ

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৭
চাঁদপুরের খুদে ফুটবলার সোহান। ছবি: সংগৃহীত
চাঁদপুরের খুদে ফুটবলার সোহান। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের খুদে ফুটবলার সোহান (৬) বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ডাক পেতে যাচ্ছে। সেখানে শিশুটিকে পূর্ণ বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান তিনি।

ওই পোস্টে আসিফ মাহমুদ উল্লেখ করেন, সোহানকে বিকেএসপিতে রেখে ভবিষ্যৎ ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এদিকে এ খবরে সোহানের পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।

মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচআনী গ্রামের বাসিন্দা সোহেল প্রধানিয়ার একমাত্র ছেলে সোহান প্রধানিয়া। সোহেল নিজ এলাকায় সাইকেল মেরামতের কাজ করেন। আর শিশু সোহান বর্তমানে পাঁচআনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে।

পরিবার ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাত্র তিন বছর বয়স থেকে গ্রামের রাস্তায় বাবার সঙ্গে ফুটবলের অনুশীলন শুরু করে সোহান। সে অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ কিছু কলাকৌশল রপ্ত করে। ফুটবলে তার প্রতিভার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ফুটবলপ্রেমীরা শিশুটিকে দেখতে ছুটে যান। কেউ কেউ অবাক হয়ে কিংবা খুশিতে সোহানকে ফুটবল, জার্সি, জুতা উপহার দেন। সম্প্রতি জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও সোহানের সঙ্গে দেখা করেন; তার হাতে তুলে দেন ফুটবলের নানা সামগ্রী। সে সঙ্গে শিশুটির লেখাপড়াসহ খেলাধুলা চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন।

সোহানের বিকেএসপিতে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বাবা সোহেল প্রধানিয়া। আজ বিকেলে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে বাংলাদেশের জন্য উৎসর্গ করলাম। আমি সোহানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি, আল্লাহ যেন সেই স্বপ্ন পূরণ করেন।’

টিভিতে খেলা দেখে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখে সোহান নিজেও। সে বলে, ‘আমি বড় হয়ে মেসির মতো খেলতে চাই।’

বিকেএসপিতে সোহানের ভর্তির ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানিয়েছেন মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুমা মনি। তিনি বলেন, ‘খুদে ফুটবলার সোহানের প্রতিভা দেখে আমি নিজেও তার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমরাও চাই, সোহান লেখাপড়ার পাশাপাশি একজন ভালোমানের ফুটবলার হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদকের আশা দেখাচ্ছেন কুলসুম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৪
কুলসুম আক্তার মনি। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুলসুম আক্তার মনি। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিকেএসপির দশম শ্রেণির ছাত্রী কুলসুম আক্তার মনি। কথা বলার সময় চোখেমুখে শোভা পাচ্ছিল আত্মবিশ্বাস। বাংলাদেশের স্বপ্নটা যে এখন তাঁকে ঘিরে। কম্পাউন্ড নারী এককে সেমিফাইনালে উঠেছেন তিনি। একক ইভেন্টে রিকার্ভ হোক বা কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের কোনো আর্চারই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি।

জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ শেষ বত্রিশ রাউন্ডে ইরানের ফাতিমা বাঘেরিকে ১৪৫-১৪৩ স্কোরে হারান কুলসুম। শেষ ষোলোয় ভারতের দ্বীপশিখার বিপক্ষে জেতেন ১৪২-১৪০ ব্যবধানে। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল দ্বীপশিখার। কোয়ার্টার ফাইনালে কাজাখস্তানের ইউনুসোভা রোক্সানাও দমাতে পারেননি কুলসুমের আত্মবিশ্বাসকে। ১৪৬-১৪৪ পয়েন্টে হারেন তিনি।

টানা তিন জয়ের পর ঠাঁকুরগাও থেকে উঠে আসা কুলসুম জানালেন অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি অলিম্পিকে খেলতে চাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতে চাই না। হাইলাইট হতে চাই না। আমাকে হাইলাইট হতে হবে নিজের যোগ্যতা দিয়ে, সাফল্য দিয়ে।’

আগামী বৃহস্পতিবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভারতের প্রদীপ প্রিথিকার মুখোমুখি হবেন কুলসুম। প্রত্যাশার তেমন কোনো চাপ নিচ্ছেন না তিনি, ‘কেবল আমি টিকে আছি বলে কোনো চাপ অনুভব করছি না। চাপ কেন নেব? এত দিন আমরা পরিশ্রম করেছি একটা কিছু পাওয়ার জন্যই। তাই সেমিফাইনালেও আমি নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করব। এই পতাকার (জার্সিতে বাংলাদেশের পতাকার লোগো দেখিয়ে) জন্যই খেলি, নিজের দেশের হয়ে খেলা আলাদা শান্তি।’

রিকার্ভ পুরুষ এককে হতাশ করেছেন সবাই। চায়নিজ তাইপের প্রতিযোগীকে ৬-৪ সেট পয়েন্টে হারানোর পর শেষ বত্রিশের লড়াইয়ে ভারতের সঞ্জয় ইয়াশদিপ ভোগের বিপক্ষে ৬-৪ সেট পয়েন্টে জেতেন রাকিব মিয়া। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার জাং চায়ে ওয়ানের কাছে ৬-৪ সেট পয়েন্টে হেরে সেরা ষোলোর মঞ্চ থেকে বিদায় নেন তিনি।

কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আব্দুর রহমান আলিফ কাজাখস্তানের আব্দুলিন ইলফাতের কাছে ৭-৩ সেট পয়েন্টে এবং রাম কৃষ্ণ সাহা ৬-৪ সেট পয়েন্টে ভারতের রাহুলের কাছে হেরে যান।

রিকার্ভ মহিলা এককেও একই দশা। সেরা বত্রিশ থেকে সোনালি রায়, সীমা আক্তার শিমু, ইতি খাতুন ও মনিরা খাতুনের বিদায়ঘণ্টা বেজেছে। রিকার্ভ নারী দল ও কম্পাউন্ড পুরুষ দল পদকের ধারেকাছে যেতে পারেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত