আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক নতুন আন্তর্জাতিক গবেষণা কোভিড-১৯ মহামারির উৎস নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘পরীক্ষাগার থেকে ছড়িয়েছে’ তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এতে বলা হয়েছে, এই ভাইরাস চীনের উহানে তৈরি হয়নি। ‘সেল’—নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে ৭ মে প্রকাশিত এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ার ২০টি প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা এতে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে চীনের গবেষকরাও ছিলেন।
গবেষক দল ১৬৭টি বাদুড়ের করোনাভাইরাসের জিনোম বিশ্লেষণ করেছেন। তারা কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের উৎস খুঁজে পেয়েছেন উত্তর লাওস এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশের বাদুড় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। গবেষকেরা জানান, মহামারির ৫-৭ বছর আগে করোনাভাইরাসের পূর্ববর্তী প্রকরণটি ওই অঞ্চলে ছড়িয়েছিল।
এই গবেষণা হোয়াইট হাউসের দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। এপ্রিল মাসে হোয়াইট হাউসের এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছিল, চীনের ল্যাব থেকেই কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে এখনো বড় হরফে ‘ল্যাব লিক’, ‘ট্রুথ’ এবং ‘অরিজিন’ লেখা রয়েছে।
গবেষকেরা সারবেকোভাইরাসের জিনোম পরীক্ষা করেছেন। এই ভাইরাসগুলো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে সার্স-কোভ-১ (২০০২-২০০৪ সালের সার্স মহামারির জন্য দায়ী) এবং সার্স-কোভ-২ (কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী) ভাইরাসও অন্তর্ভুক্ত।
এই গবেষণা সন্দর্ভের মূল লেখক জোনাথন পেকার জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গেছে—২০০২ সালের শেষের দিকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে সার্স ছড়িয়ে পড়ার ১-২ বছর আগে মূল সার্স-কোভ-১ ভাইরাসটি পশ্চিম চীনে ঘুরছিল। পেকার ৭ মে ইউরেকালার্ট সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে উহানে কোভিড-১৯ দেখা দেওয়ার ৫-৭ বছর আগে সার্স-কোভ-২ পশ্চিম চীন বা উত্তর লাওসে উদ্ভূত হয়েছিল।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেনেটিক ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর পূর্ববর্তী প্রকরণের বিবর্তন উহান থেকে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার দূরে হয়েছিল। বাদুড়ের স্বাভাবিক ওড়ার সীমার থেকে এটি অনেক বেশি। বাদুড় হলো সার্স-কোভ-২ এর প্রধান আশ্রয়দাতা। যদিও এই ভাইরাস বাদুড়দের ক্ষতি করে না, ধারণা করা হয়, এটি প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে।
গবেষক দল জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য ব্যবহার করে সার্স-কোভ-১ এবং সার্স-কোভ-২ এর ফাইলোজেনেটিক ট্রি তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আগে এশিয়াজুড়ে তাদের বিবর্তন পথ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এই গবেষণা থেকে বোঝা যায়, সার্স-সম্পর্কিত করোনাভাইরাসগুলো হাজার হাজার বছর ধরে পশ্চিম চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাদুড় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছিল।
তবে, বাদুড়ের দেহে জেনেটিক উপাদানের ব্যাপক মিশ্রণ (আরএনএ রিকম্বিনেশন নামে পরিচিত) এর কারণে ভাইরাসের সঠিক বংশপরিচয় খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই সমস্যা মোকাবিলায় গবেষকেরা ভাইরাসের জেনেটিক ব্লুপ্রিন্টকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করেছেন। এরপর তারা সেই অংশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক অধ্যয়ন করেন এবং সম্ভাব্য সাম্প্রতিক সাধারণ পূর্ববর্তী প্রকরণ শনাক্ত করেন।
সার্স সৃষ্টিকারী ভাইরাসের সাম্প্রতিক পূর্ববর্তী প্রকরণ বা এমআরসিএ প্রায় ২০০১ সালের দিকে উদ্ভূত হয়েছিল। অন্যদিকে, কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের এমআরসিএ ২০১৭ সালের দিকে আসে। ফাইলোজেনেটিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, সার্স-কোভ-১ সম্ভবত চীনের সিচুয়ান, গুইঝো এবং ইউনান প্রদেশ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। অন্যদিকে, সার্স-কোভ-২ এর পূর্বসূরি সম্ভবত উত্তর লাওসে বিবর্তিত হয়েছে।
পশ্চিম চীন এবং উত্তর লাওস কেন্দ্রীয় চীনের উহান থেকে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উহান ছিল কোভিড-১৯ মহামারির মূল কেন্দ্র। তবে বাদুড়ের সাধারণ ওড়ার সীমা মাত্র কয়েক কিলোমিটার, যা মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয়। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার পরিবেশবিদ্যা ও বিবর্তনমূলক জীববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং জ্যেষ্ঠ লেখক মাইকেল ওরোবি বলেন, ‘মূল সার্স করোনাভাইরাসের সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ভাইরাসগুলো দক্ষিণ চীনের পাম সিভেট এবং র্যাকুন ডগের মধ্যে পাওয়া গেছে। এগুলো বাদুড় জনগোষ্ঠীর উৎস থেকে শত শত মাইল দূরে ছিল।’
এটি এই ধারণাকে সমর্থন করে যে, প্রাকৃতিক পশু স্থানান্তরের চেয়ে বন্যপ্রাণীর বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক শহরাঞ্চলে ভাইরাসের সংক্রমণকে সহজ করেছে। কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের এই স্থানান্তর ঐতিহাসিক জুনোটিক প্রাদুর্ভাবের মতো। যেমন, ১৯১০ সালের মাঞ্চুরিয়ান প্লেগ। সে সময় রেলপথের মাধ্যমে সংক্রমিত পশু রাশিয়ার শহুরে কেন্দ্রগুলোতে পরিবহন করা হয়েছিল। ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়া বহনকারী বন্য মারমোট ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব চীনের হারবিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এতে ৬০ হাজারের এর বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছিল।
তবে, মাঞ্চুরিয়ান প্লেগ এবং সার্সের সুনির্দিষ্ট উৎসের মতো কোভিড-১৯ এর বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের সঠিক পথ এখনো অজানা। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটের দাবির জবাবে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ২৩ এপ্রিল তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘ক্রমবর্ধমান প্রমাণ থেকে বোঝা যায়, কোভিড-১৯ ভাইরাস চীনের চেয়েও আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গিয়েছিল।’ তারা আরও যোগ করে, পরবর্তী ধাপের অনুসন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তদন্তে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
উহানের সাবেক হুয়ানান সিফুড মার্কেট—যা একসময় প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত হতো—তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর বদলে সেখানে একটি চশমার বাজার খোলা হয়েছে।

চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক নতুন আন্তর্জাতিক গবেষণা কোভিড-১৯ মহামারির উৎস নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘পরীক্ষাগার থেকে ছড়িয়েছে’ তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এতে বলা হয়েছে, এই ভাইরাস চীনের উহানে তৈরি হয়নি। ‘সেল’—নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে ৭ মে প্রকাশিত এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ার ২০টি প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা এতে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে চীনের গবেষকরাও ছিলেন।
গবেষক দল ১৬৭টি বাদুড়ের করোনাভাইরাসের জিনোম বিশ্লেষণ করেছেন। তারা কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের উৎস খুঁজে পেয়েছেন উত্তর লাওস এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশের বাদুড় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। গবেষকেরা জানান, মহামারির ৫-৭ বছর আগে করোনাভাইরাসের পূর্ববর্তী প্রকরণটি ওই অঞ্চলে ছড়িয়েছিল।
এই গবেষণা হোয়াইট হাউসের দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। এপ্রিল মাসে হোয়াইট হাউসের এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছিল, চীনের ল্যাব থেকেই কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে এখনো বড় হরফে ‘ল্যাব লিক’, ‘ট্রুথ’ এবং ‘অরিজিন’ লেখা রয়েছে।
গবেষকেরা সারবেকোভাইরাসের জিনোম পরীক্ষা করেছেন। এই ভাইরাসগুলো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে সার্স-কোভ-১ (২০০২-২০০৪ সালের সার্স মহামারির জন্য দায়ী) এবং সার্স-কোভ-২ (কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী) ভাইরাসও অন্তর্ভুক্ত।
এই গবেষণা সন্দর্ভের মূল লেখক জোনাথন পেকার জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গেছে—২০০২ সালের শেষের দিকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে সার্স ছড়িয়ে পড়ার ১-২ বছর আগে মূল সার্স-কোভ-১ ভাইরাসটি পশ্চিম চীনে ঘুরছিল। পেকার ৭ মে ইউরেকালার্ট সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে উহানে কোভিড-১৯ দেখা দেওয়ার ৫-৭ বছর আগে সার্স-কোভ-২ পশ্চিম চীন বা উত্তর লাওসে উদ্ভূত হয়েছিল।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেনেটিক ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর পূর্ববর্তী প্রকরণের বিবর্তন উহান থেকে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার দূরে হয়েছিল। বাদুড়ের স্বাভাবিক ওড়ার সীমার থেকে এটি অনেক বেশি। বাদুড় হলো সার্স-কোভ-২ এর প্রধান আশ্রয়দাতা। যদিও এই ভাইরাস বাদুড়দের ক্ষতি করে না, ধারণা করা হয়, এটি প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে।
গবেষক দল জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য ব্যবহার করে সার্স-কোভ-১ এবং সার্স-কোভ-২ এর ফাইলোজেনেটিক ট্রি তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আগে এশিয়াজুড়ে তাদের বিবর্তন পথ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এই গবেষণা থেকে বোঝা যায়, সার্স-সম্পর্কিত করোনাভাইরাসগুলো হাজার হাজার বছর ধরে পশ্চিম চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাদুড় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছিল।
তবে, বাদুড়ের দেহে জেনেটিক উপাদানের ব্যাপক মিশ্রণ (আরএনএ রিকম্বিনেশন নামে পরিচিত) এর কারণে ভাইরাসের সঠিক বংশপরিচয় খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই সমস্যা মোকাবিলায় গবেষকেরা ভাইরাসের জেনেটিক ব্লুপ্রিন্টকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করেছেন। এরপর তারা সেই অংশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক অধ্যয়ন করেন এবং সম্ভাব্য সাম্প্রতিক সাধারণ পূর্ববর্তী প্রকরণ শনাক্ত করেন।
সার্স সৃষ্টিকারী ভাইরাসের সাম্প্রতিক পূর্ববর্তী প্রকরণ বা এমআরসিএ প্রায় ২০০১ সালের দিকে উদ্ভূত হয়েছিল। অন্যদিকে, কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের এমআরসিএ ২০১৭ সালের দিকে আসে। ফাইলোজেনেটিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, সার্স-কোভ-১ সম্ভবত চীনের সিচুয়ান, গুইঝো এবং ইউনান প্রদেশ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। অন্যদিকে, সার্স-কোভ-২ এর পূর্বসূরি সম্ভবত উত্তর লাওসে বিবর্তিত হয়েছে।
পশ্চিম চীন এবং উত্তর লাওস কেন্দ্রীয় চীনের উহান থেকে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উহান ছিল কোভিড-১৯ মহামারির মূল কেন্দ্র। তবে বাদুড়ের সাধারণ ওড়ার সীমা মাত্র কয়েক কিলোমিটার, যা মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয়। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার পরিবেশবিদ্যা ও বিবর্তনমূলক জীববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং জ্যেষ্ঠ লেখক মাইকেল ওরোবি বলেন, ‘মূল সার্স করোনাভাইরাসের সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ভাইরাসগুলো দক্ষিণ চীনের পাম সিভেট এবং র্যাকুন ডগের মধ্যে পাওয়া গেছে। এগুলো বাদুড় জনগোষ্ঠীর উৎস থেকে শত শত মাইল দূরে ছিল।’
এটি এই ধারণাকে সমর্থন করে যে, প্রাকৃতিক পশু স্থানান্তরের চেয়ে বন্যপ্রাণীর বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক শহরাঞ্চলে ভাইরাসের সংক্রমণকে সহজ করেছে। কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের এই স্থানান্তর ঐতিহাসিক জুনোটিক প্রাদুর্ভাবের মতো। যেমন, ১৯১০ সালের মাঞ্চুরিয়ান প্লেগ। সে সময় রেলপথের মাধ্যমে সংক্রমিত পশু রাশিয়ার শহুরে কেন্দ্রগুলোতে পরিবহন করা হয়েছিল। ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়া বহনকারী বন্য মারমোট ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব চীনের হারবিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এতে ৬০ হাজারের এর বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছিল।
তবে, মাঞ্চুরিয়ান প্লেগ এবং সার্সের সুনির্দিষ্ট উৎসের মতো কোভিড-১৯ এর বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের সঠিক পথ এখনো অজানা। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটের দাবির জবাবে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ২৩ এপ্রিল তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘ক্রমবর্ধমান প্রমাণ থেকে বোঝা যায়, কোভিড-১৯ ভাইরাস চীনের চেয়েও আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গিয়েছিল।’ তারা আরও যোগ করে, পরবর্তী ধাপের অনুসন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তদন্তে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
উহানের সাবেক হুয়ানান সিফুড মার্কেট—যা একসময় প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত হতো—তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর বদলে সেখানে একটি চশমার বাজার খোলা হয়েছে।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না...
২৫ মে ২০২৫
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না...
২৫ মে ২০২৫
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না...
২৫ মে ২০২৫
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ এখন আরও ঘন ঘন ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় ‘প্যাসিভ রেডিয়েটিভ কুলিং’ প্রযুক্তির এই নতুন রং গরমের সময় ঘরকে শীতল রাখার পথ করে দিয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিয়ারা নেতো। তিনি জানান, নতুন আবিষ্কৃত রঙের প্রলেপটি সূর্যের প্রায় ৯৬ শতাংশ বিকিরণ প্রতিফলিত করে। এর ফলে ছাদ সূর্যালোক শোষণ না করে ঠান্ডা থাকে। আর রংটির তাপ নির্গমন ক্ষমতাও খুব বেশি, তাই পরিষ্কার আকাশে এটি সহজেই বাতাসে তাপ ছড়িয়ে দিতে পারে।
নেতো বলেন, ‘রোদের মধ্যেও এই রং করা ছাদ আশপাশের বাতাসের চেয়ে শীতল থাকে।’
এই শীতল পৃষ্ঠে বাতাসের জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে শিশির তৈরি হয়। সাধারণত রাতে চার থেকে ছয় ঘণ্টা শিশির জমে, কিন্তু এই আবরণ ব্যবহার করলে তা আট থেকে দশ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ছয় মাসের পরীক্ষায় গবেষকেরা এই প্রলেপটি সিডনি ন্যানোসায়েন্স হাবের ছাদে ব্যবহার করেন। তবে প্রলেপটির ওপর একটি অতিবেগুনি রশ্মি-প্রতিরোধী স্তর যোগ করা হয়, যা শিশিরবিন্দু সংগ্রহে সহায়তা করে। তাঁরা দেখেছেন, এই রঙের সাহায্যে বছরে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় প্রতিদিন প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ ৩৯০ মিলিলিটার পানি সংগ্রহ করা সম্ভব। অর্থাৎ ২০০ বর্গমিটার আকারের একটি ছাদে অনুকূল দিনে গড়ে প্রায় ৭০ লিটার পানি পাওয়া যেতে পারে।
অধ্যাপক নেতো বলেন, ‘এই প্রযুক্তি শহরাঞ্চলে গরমের প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেখানে ইনসুলেশন দুর্বল, সেখানে ছাদের তাপমাত্রা কমে গেলে ঘরের ভেতরের তাপও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।’
বর্তমানে গবেষকেরা রংটির বাণিজ্যিক সংস্করণ তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এটি ভালো মানের সাধারণ রঙের মতোই দামে পাওয়া যাবে।
ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেবাস্টিয়ান ফাউচ বলেছেন, ‘এই ধরনের কুল কোটিং প্রযুক্তি এক দশক ধরে উন্নয়নাধীন, কিন্তু এখনো ব্যাপকভাবে বাজারে আসেনি। সম্ভবত ২০৩০ সালের আগেই তা ঘটবে।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ এখন আরও ঘন ঘন ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় ‘প্যাসিভ রেডিয়েটিভ কুলিং’ প্রযুক্তির এই নতুন রং গরমের সময় ঘরকে শীতল রাখার পথ করে দিয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিয়ারা নেতো। তিনি জানান, নতুন আবিষ্কৃত রঙের প্রলেপটি সূর্যের প্রায় ৯৬ শতাংশ বিকিরণ প্রতিফলিত করে। এর ফলে ছাদ সূর্যালোক শোষণ না করে ঠান্ডা থাকে। আর রংটির তাপ নির্গমন ক্ষমতাও খুব বেশি, তাই পরিষ্কার আকাশে এটি সহজেই বাতাসে তাপ ছড়িয়ে দিতে পারে।
নেতো বলেন, ‘রোদের মধ্যেও এই রং করা ছাদ আশপাশের বাতাসের চেয়ে শীতল থাকে।’
এই শীতল পৃষ্ঠে বাতাসের জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে শিশির তৈরি হয়। সাধারণত রাতে চার থেকে ছয় ঘণ্টা শিশির জমে, কিন্তু এই আবরণ ব্যবহার করলে তা আট থেকে দশ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ছয় মাসের পরীক্ষায় গবেষকেরা এই প্রলেপটি সিডনি ন্যানোসায়েন্স হাবের ছাদে ব্যবহার করেন। তবে প্রলেপটির ওপর একটি অতিবেগুনি রশ্মি-প্রতিরোধী স্তর যোগ করা হয়, যা শিশিরবিন্দু সংগ্রহে সহায়তা করে। তাঁরা দেখেছেন, এই রঙের সাহায্যে বছরে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় প্রতিদিন প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ ৩৯০ মিলিলিটার পানি সংগ্রহ করা সম্ভব। অর্থাৎ ২০০ বর্গমিটার আকারের একটি ছাদে অনুকূল দিনে গড়ে প্রায় ৭০ লিটার পানি পাওয়া যেতে পারে।
অধ্যাপক নেতো বলেন, ‘এই প্রযুক্তি শহরাঞ্চলে গরমের প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেখানে ইনসুলেশন দুর্বল, সেখানে ছাদের তাপমাত্রা কমে গেলে ঘরের ভেতরের তাপও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।’
বর্তমানে গবেষকেরা রংটির বাণিজ্যিক সংস্করণ তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এটি ভালো মানের সাধারণ রঙের মতোই দামে পাওয়া যাবে।
ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেবাস্টিয়ান ফাউচ বলেছেন, ‘এই ধরনের কুল কোটিং প্রযুক্তি এক দশক ধরে উন্নয়নাধীন, কিন্তু এখনো ব্যাপকভাবে বাজারে আসেনি। সম্ভবত ২০৩০ সালের আগেই তা ঘটবে।’

চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না...
২৫ মে ২০২৫
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগে