অনলাইন ডেস্ক
চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক নতুন আন্তর্জাতিক গবেষণা কোভিড-১৯ মহামারির উৎস নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘পরীক্ষাগার থেকে ছড়িয়েছে’ তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এতে বলা হয়েছে, এই ভাইরাস চীনের উহানে তৈরি হয়নি। ‘সেল’—নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে ৭ মে প্রকাশিত এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ার ২০টি প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা এতে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে চীনের গবেষকরাও ছিলেন।
গবেষক দল ১৬৭টি বাদুড়ের করোনাভাইরাসের জিনোম বিশ্লেষণ করেছেন। তারা কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের উৎস খুঁজে পেয়েছেন উত্তর লাওস এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশের বাদুড় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। গবেষকেরা জানান, মহামারির ৫-৭ বছর আগে করোনাভাইরাসের পূর্ববর্তী প্রকরণটি ওই অঞ্চলে ছড়িয়েছিল।
এই গবেষণা হোয়াইট হাউসের দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। এপ্রিল মাসে হোয়াইট হাউসের এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছিল, চীনের ল্যাব থেকেই কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে এখনো বড় হরফে ‘ল্যাব লিক’, ‘ট্রুথ’ এবং ‘অরিজিন’ লেখা রয়েছে।
গবেষকেরা সারবেকোভাইরাসের জিনোম পরীক্ষা করেছেন। এই ভাইরাসগুলো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে সার্স-কোভ-১ (২০০২-২০০৪ সালের সার্স মহামারির জন্য দায়ী) এবং সার্স-কোভ-২ (কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী) ভাইরাসও অন্তর্ভুক্ত।
এই গবেষণা সন্দর্ভের মূল লেখক জোনাথন পেকার জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গেছে—২০০২ সালের শেষের দিকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে সার্স ছড়িয়ে পড়ার ১-২ বছর আগে মূল সার্স-কোভ-১ ভাইরাসটি পশ্চিম চীনে ঘুরছিল। পেকার ৭ মে ইউরেকালার্ট সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে উহানে কোভিড-১৯ দেখা দেওয়ার ৫-৭ বছর আগে সার্স-কোভ-২ পশ্চিম চীন বা উত্তর লাওসে উদ্ভূত হয়েছিল।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেনেটিক ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর পূর্ববর্তী প্রকরণের বিবর্তন উহান থেকে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার দূরে হয়েছিল। বাদুড়ের স্বাভাবিক ওড়ার সীমার থেকে এটি অনেক বেশি। বাদুড় হলো সার্স-কোভ-২ এর প্রধান আশ্রয়দাতা। যদিও এই ভাইরাস বাদুড়দের ক্ষতি করে না, ধারণা করা হয়, এটি প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে।
গবেষক দল জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য ব্যবহার করে সার্স-কোভ-১ এবং সার্স-কোভ-২ এর ফাইলোজেনেটিক ট্রি তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আগে এশিয়াজুড়ে তাদের বিবর্তন পথ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এই গবেষণা থেকে বোঝা যায়, সার্স-সম্পর্কিত করোনাভাইরাসগুলো হাজার হাজার বছর ধরে পশ্চিম চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাদুড় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছিল।
তবে, বাদুড়ের দেহে জেনেটিক উপাদানের ব্যাপক মিশ্রণ (আরএনএ রিকম্বিনেশন নামে পরিচিত) এর কারণে ভাইরাসের সঠিক বংশপরিচয় খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই সমস্যা মোকাবিলায় গবেষকেরা ভাইরাসের জেনেটিক ব্লুপ্রিন্টকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করেছেন। এরপর তারা সেই অংশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক অধ্যয়ন করেন এবং সম্ভাব্য সাম্প্রতিক সাধারণ পূর্ববর্তী প্রকরণ শনাক্ত করেন।
সার্স সৃষ্টিকারী ভাইরাসের সাম্প্রতিক পূর্ববর্তী প্রকরণ বা এমআরসিএ প্রায় ২০০১ সালের দিকে উদ্ভূত হয়েছিল। অন্যদিকে, কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের এমআরসিএ ২০১৭ সালের দিকে আসে। ফাইলোজেনেটিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, সার্স-কোভ-১ সম্ভবত চীনের সিচুয়ান, গুইঝো এবং ইউনান প্রদেশ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। অন্যদিকে, সার্স-কোভ-২ এর পূর্বসূরি সম্ভবত উত্তর লাওসে বিবর্তিত হয়েছে।
পশ্চিম চীন এবং উত্তর লাওস কেন্দ্রীয় চীনের উহান থেকে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উহান ছিল কোভিড-১৯ মহামারির মূল কেন্দ্র। তবে বাদুড়ের সাধারণ ওড়ার সীমা মাত্র কয়েক কিলোমিটার, যা মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয়। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার পরিবেশবিদ্যা ও বিবর্তনমূলক জীববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং জ্যেষ্ঠ লেখক মাইকেল ওরোবি বলেন, ‘মূল সার্স করোনাভাইরাসের সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ভাইরাসগুলো দক্ষিণ চীনের পাম সিভেট এবং র্যাকুন ডগের মধ্যে পাওয়া গেছে। এগুলো বাদুড় জনগোষ্ঠীর উৎস থেকে শত শত মাইল দূরে ছিল।’
এটি এই ধারণাকে সমর্থন করে যে, প্রাকৃতিক পশু স্থানান্তরের চেয়ে বন্যপ্রাণীর বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক শহরাঞ্চলে ভাইরাসের সংক্রমণকে সহজ করেছে। কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের এই স্থানান্তর ঐতিহাসিক জুনোটিক প্রাদুর্ভাবের মতো। যেমন, ১৯১০ সালের মাঞ্চুরিয়ান প্লেগ। সে সময় রেলপথের মাধ্যমে সংক্রমিত পশু রাশিয়ার শহুরে কেন্দ্রগুলোতে পরিবহন করা হয়েছিল। ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়া বহনকারী বন্য মারমোট ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব চীনের হারবিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এতে ৬০ হাজারের এর বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছিল।
তবে, মাঞ্চুরিয়ান প্লেগ এবং সার্সের সুনির্দিষ্ট উৎসের মতো কোভিড-১৯ এর বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের সঠিক পথ এখনো অজানা। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটের দাবির জবাবে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ২৩ এপ্রিল তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘ক্রমবর্ধমান প্রমাণ থেকে বোঝা যায়, কোভিড-১৯ ভাইরাস চীনের চেয়েও আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গিয়েছিল।’ তারা আরও যোগ করে, পরবর্তী ধাপের অনুসন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তদন্তে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
উহানের সাবেক হুয়ানান সিফুড মার্কেট—যা একসময় প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত হতো—তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর বদলে সেখানে একটি চশমার বাজার খোলা হয়েছে।
চীনের উহান শহরের ল্যাব থেকে নয়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছিল অন্য কোথাও। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রতিবেশী লাওসের উত্তরাংশে ও দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশে। হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক নতুন আন্তর্জাতিক গবেষণা কোভিড-১৯ মহামারির উৎস নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘পরীক্ষাগার থেকে ছড়িয়েছে’ তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছে। এতে বলা হয়েছে, এই ভাইরাস চীনের উহানে তৈরি হয়নি। ‘সেল’—নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে ৭ মে প্রকাশিত এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরা। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ার ২০টি প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা এতে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে চীনের গবেষকরাও ছিলেন।
গবেষক দল ১৬৭টি বাদুড়ের করোনাভাইরাসের জিনোম বিশ্লেষণ করেছেন। তারা কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের উৎস খুঁজে পেয়েছেন উত্তর লাওস এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশের বাদুড় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। গবেষকেরা জানান, মহামারির ৫-৭ বছর আগে করোনাভাইরাসের পূর্ববর্তী প্রকরণটি ওই অঞ্চলে ছড়িয়েছিল।
এই গবেষণা হোয়াইট হাউসের দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। এপ্রিল মাসে হোয়াইট হাউসের এক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছিল, চীনের ল্যাব থেকেই কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে এখনো বড় হরফে ‘ল্যাব লিক’, ‘ট্রুথ’ এবং ‘অরিজিন’ লেখা রয়েছে।
গবেষকেরা সারবেকোভাইরাসের জিনোম পরীক্ষা করেছেন। এই ভাইরাসগুলো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে সার্স-কোভ-১ (২০০২-২০০৪ সালের সার্স মহামারির জন্য দায়ী) এবং সার্স-কোভ-২ (কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী) ভাইরাসও অন্তর্ভুক্ত।
এই গবেষণা সন্দর্ভের মূল লেখক জোনাথন পেকার জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গেছে—২০০২ সালের শেষের দিকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে সার্স ছড়িয়ে পড়ার ১-২ বছর আগে মূল সার্স-কোভ-১ ভাইরাসটি পশ্চিম চীনে ঘুরছিল। পেকার ৭ মে ইউরেকালার্ট সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে উহানে কোভিড-১৯ দেখা দেওয়ার ৫-৭ বছর আগে সার্স-কোভ-২ পশ্চিম চীন বা উত্তর লাওসে উদ্ভূত হয়েছিল।
কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেনেটিক ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর পূর্ববর্তী প্রকরণের বিবর্তন উহান থেকে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার দূরে হয়েছিল। বাদুড়ের স্বাভাবিক ওড়ার সীমার থেকে এটি অনেক বেশি। বাদুড় হলো সার্স-কোভ-২ এর প্রধান আশ্রয়দাতা। যদিও এই ভাইরাস বাদুড়দের ক্ষতি করে না, ধারণা করা হয়, এটি প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে।
গবেষক দল জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য ব্যবহার করে সার্স-কোভ-১ এবং সার্স-কোভ-২ এর ফাইলোজেনেটিক ট্রি তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আগে এশিয়াজুড়ে তাদের বিবর্তন পথ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এই গবেষণা থেকে বোঝা যায়, সার্স-সম্পর্কিত করোনাভাইরাসগুলো হাজার হাজার বছর ধরে পশ্চিম চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাদুড় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছিল।
তবে, বাদুড়ের দেহে জেনেটিক উপাদানের ব্যাপক মিশ্রণ (আরএনএ রিকম্বিনেশন নামে পরিচিত) এর কারণে ভাইরাসের সঠিক বংশপরিচয় খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই সমস্যা মোকাবিলায় গবেষকেরা ভাইরাসের জেনেটিক ব্লুপ্রিন্টকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করেছেন। এরপর তারা সেই অংশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক অধ্যয়ন করেন এবং সম্ভাব্য সাম্প্রতিক সাধারণ পূর্ববর্তী প্রকরণ শনাক্ত করেন।
সার্স সৃষ্টিকারী ভাইরাসের সাম্প্রতিক পূর্ববর্তী প্রকরণ বা এমআরসিএ প্রায় ২০০১ সালের দিকে উদ্ভূত হয়েছিল। অন্যদিকে, কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের এমআরসিএ ২০১৭ সালের দিকে আসে। ফাইলোজেনেটিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, সার্স-কোভ-১ সম্ভবত চীনের সিচুয়ান, গুইঝো এবং ইউনান প্রদেশ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। অন্যদিকে, সার্স-কোভ-২ এর পূর্বসূরি সম্ভবত উত্তর লাওসে বিবর্তিত হয়েছে।
পশ্চিম চীন এবং উত্তর লাওস কেন্দ্রীয় চীনের উহান থেকে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উহান ছিল কোভিড-১৯ মহামারির মূল কেন্দ্র। তবে বাদুড়ের সাধারণ ওড়ার সীমা মাত্র কয়েক কিলোমিটার, যা মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয়। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার পরিবেশবিদ্যা ও বিবর্তনমূলক জীববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং জ্যেষ্ঠ লেখক মাইকেল ওরোবি বলেন, ‘মূল সার্স করোনাভাইরাসের সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ভাইরাসগুলো দক্ষিণ চীনের পাম সিভেট এবং র্যাকুন ডগের মধ্যে পাওয়া গেছে। এগুলো বাদুড় জনগোষ্ঠীর উৎস থেকে শত শত মাইল দূরে ছিল।’
এটি এই ধারণাকে সমর্থন করে যে, প্রাকৃতিক পশু স্থানান্তরের চেয়ে বন্যপ্রাণীর বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক শহরাঞ্চলে ভাইরাসের সংক্রমণকে সহজ করেছে। কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের এই স্থানান্তর ঐতিহাসিক জুনোটিক প্রাদুর্ভাবের মতো। যেমন, ১৯১০ সালের মাঞ্চুরিয়ান প্লেগ। সে সময় রেলপথের মাধ্যমে সংক্রমিত পশু রাশিয়ার শহুরে কেন্দ্রগুলোতে পরিবহন করা হয়েছিল। ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়া বহনকারী বন্য মারমোট ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব চীনের হারবিনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এতে ৬০ হাজারের এর বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছিল।
তবে, মাঞ্চুরিয়ান প্লেগ এবং সার্সের সুনির্দিষ্ট উৎসের মতো কোভিড-১৯ এর বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের সঠিক পথ এখনো অজানা। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটের দাবির জবাবে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ২৩ এপ্রিল তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে বলেছে, ‘ক্রমবর্ধমান প্রমাণ থেকে বোঝা যায়, কোভিড-১৯ ভাইরাস চীনের চেয়েও আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গিয়েছিল।’ তারা আরও যোগ করে, পরবর্তী ধাপের অনুসন্ধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তদন্তে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
উহানের সাবেক হুয়ানান সিফুড মার্কেট—যা একসময় প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত হতো—তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর বদলে সেখানে একটি চশমার বাজার খোলা হয়েছে।
প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগেপ্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরে তৈরি একটি বুনন করা লিনেন পোশাক এখন বিশ্বের সর্বপ্রাচীন বুনন করা পোশাক জামা হিসেবে স্বীকৃত। কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, ‘তারখান ড্রেস’ নামে পরিচিত এই পোশাকটি ৩৫০০ থেকে ৩১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
৫ দিন আগে