অনিন্দ্য চৌধুরী অর্ণব
ভূগোল বইয়ের পাতায় এতকাল পড়ে এসেছেন, পৃথিবীতে সাতটি মহাদেশ আর পাঁচটি মহাসাগর। যদি হঠাৎ পৃথিবীতে ছয়টি মহাসাগরের কথা জানতে পারেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ভূতাত্ত্বিকেরা মনে করছেন, তৈরি হতে চলেছে পৃথিবীর ছয় নম্বর মহাসাগরটি। আফ্রিকা মহাদেশে এমনই সম্ভাবনার খোঁজ মিলেছে বৈজ্ঞানিক গবেষণায়। একটি নতুন মহাসাগরের জন্ম, লাখ লাখ বছরের ঘটনা। এই সম্ভাবনা পৃথিবীর গতিশীল বিবর্তনের আভাস দেয়। যে কারণে এই ষষ্ঠ মহাসাগর তৈরি হতে পারে, তার কারণও আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাটির নিচে নতুন মহাসাগর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২০০৫ সালে। কিন্তু নতুন আরও একটি মহাসাগরের জায়গা পৃথিবীর বুকে কোথায় হবে? এ বিষয়টি বুঝতে হলে পৃথিবীর মানচিত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। আসলে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ দেখতে যে রকম মনে হয়, অতীতে তেমন ছিল না। ভবিষ্যতেও একই রকম থাকার সম্ভাবনা নেই। চলমান এই প্রক্রিয়ার ফলে নতুন আরেকটি মহাসাগর পেতে চলেছি আমরা। আফ্রিকা মহাদেশ ভেঙে দুই টুকরো হয়ে যেতে পারে। ডান দিকের অংশ মিলে যেতে পারে ভারতের সঙ্গে। আর বাম দিকের ফাঁকা অংশে জন্ম নিতে পারে ছয় নম্বর মহাসাগরটি।
আফ্রিকায় এই ষষ্ঠ মহাসাগর তৈরির ধারণা বিজ্ঞানীদের পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক গবেষণার আরও গভীরে অনুসন্ধানের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক, ভারতীয়, দক্ষিণ এবং আর্কটিক মহাসাগর মিলে পানির পরিমাণ ৭১ শতাংশ। ভূতাত্ত্বিকদের মতে, এবার আফ্রিকা মহাদেশ তার সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় ল্যান্ডস্কেপসহ একটি বিরল ভূতাত্ত্বিক ঘটনার কারণে নতুন মহাসাগর গঠনের দিকে এগিয়ে চলেছে। পূর্ব আফ্রিকার গ্রেট রিফট ভ্যালির আফার ট্রায়াঙ্গলে বিকাশমান এই প্রক্রিয়া।
সত্যিই কি আফ্রিকা মহাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত হবে
ভূতাত্ত্বিকেরা অনুমান করেছেন, পাঁচ থেকে দশ মিলিয়ন বছরের মধ্যে টেকটোনিক শক্তি আফ্রিকা মহাদেশকে দুটি ভাগে বিভক্ত করবে। এই প্রক্রিয়া একটি নতুন সমুদ্র অববাহিকা তৈরি করবে। পানির এই নতুন আধারের ফলে আফার অঞ্চলে লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর এবং পূর্ব আফ্রিকান রিফট উপত্যকায় বন্যা দেখা দেবে। ফল হিসেবে পূর্ব আফ্রিকার এ অংশটি নিজস্ব আলাদা মহাদেশ হয়ে যাবে। আফ্রিকায় ষষ্ঠ মহাসাগর গঠনের সম্ভাবনা শুধু বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের বিষয় নয়; বরং এটি পৃথিবীর পরিবর্তনশীল প্রকৃতির একটি প্রমাণও। এটি আমাদের গ্রহের ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াগুলো বোঝার গুরুত্ব তুলে ধরে। কারণ, মহাদেশ ও মহাসাগরের ভবিষ্যৎ বিন্যাসের ওপর এগুলোর গভীর প্রভাব রয়েছে।
মনে রাখতে হবে, একটি নতুন মহাসাগরের গঠন অত্যন্ত জটিল এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এর মধ্যে মহাদেশীয় ভাঙন থেকে মধ্য-সাগরীয় বৃদ্ধি পর্যন্ত ভাঙনের বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে।
আফার ট্রায়াঙ্গল কী
আফার ট্রায়াঙ্গল হলো একটি ভূতাত্ত্বিক নিম্নচাপ। এখানে নুবিয়ান, সোমালি ও আরবীয়—এই তিনটি টেকটোনিক প্লেট একসঙ্গে মিলিত হয়েছে। এটি আফার অঞ্চল থেকে পূর্ব আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। টেকটোনিক প্লেটগুলো আলাদা হওয়ার ফলে এখানে ঘটে যাওয়া রিফটিং প্রক্রিয়া লাখ লাখ বছর ধরে ঘটে চলেছে। ২০০৫ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এই ধীর প্রক্রিয়াকে বিশ্বের নজরে এনেছিল। ইতিমধ্যে ইথিওপিয়ান মরুভূমিতে একটি ৩৫ মাইল দীর্ঘ ফাটল খুলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি আফ্রিকা মহাদেশকে বিভক্ত করে দিবে। সংকেত বলছে, টেকটোনিক শক্তির উপরিভাগের অভিব্যক্তি আরও গভীরে কাজ করছে। এতে সোমালি প্লেট নুবিয়ান প্লেট থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ফলে পৃথিবীর ভূত্বক প্রসারিত ও পাতলা হয়ে যাচ্ছে। এভাবেই ২০০৫ সালে ইথিওপিয়ান মরুভূমিতে যে ফাটল দেখা গিয়েছিল, তাকে আফ্রিকা মহাদেশ বিভক্ত হওয়ার একটি চিহ্ন বলে মনে করেন গবেষকেরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ভূগোল বইয়ের পাতায় এতকাল পড়ে এসেছেন, পৃথিবীতে সাতটি মহাদেশ আর পাঁচটি মহাসাগর। যদি হঠাৎ পৃথিবীতে ছয়টি মহাসাগরের কথা জানতে পারেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ভূতাত্ত্বিকেরা মনে করছেন, তৈরি হতে চলেছে পৃথিবীর ছয় নম্বর মহাসাগরটি। আফ্রিকা মহাদেশে এমনই সম্ভাবনার খোঁজ মিলেছে বৈজ্ঞানিক গবেষণায়। একটি নতুন মহাসাগরের জন্ম, লাখ লাখ বছরের ঘটনা। এই সম্ভাবনা পৃথিবীর গতিশীল বিবর্তনের আভাস দেয়। যে কারণে এই ষষ্ঠ মহাসাগর তৈরি হতে পারে, তার কারণও আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাটির নিচে নতুন মহাসাগর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২০০৫ সালে। কিন্তু নতুন আরও একটি মহাসাগরের জায়গা পৃথিবীর বুকে কোথায় হবে? এ বিষয়টি বুঝতে হলে পৃথিবীর মানচিত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। আসলে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ দেখতে যে রকম মনে হয়, অতীতে তেমন ছিল না। ভবিষ্যতেও একই রকম থাকার সম্ভাবনা নেই। চলমান এই প্রক্রিয়ার ফলে নতুন আরেকটি মহাসাগর পেতে চলেছি আমরা। আফ্রিকা মহাদেশ ভেঙে দুই টুকরো হয়ে যেতে পারে। ডান দিকের অংশ মিলে যেতে পারে ভারতের সঙ্গে। আর বাম দিকের ফাঁকা অংশে জন্ম নিতে পারে ছয় নম্বর মহাসাগরটি।
আফ্রিকায় এই ষষ্ঠ মহাসাগর তৈরির ধারণা বিজ্ঞানীদের পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক গবেষণার আরও গভীরে অনুসন্ধানের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক, ভারতীয়, দক্ষিণ এবং আর্কটিক মহাসাগর মিলে পানির পরিমাণ ৭১ শতাংশ। ভূতাত্ত্বিকদের মতে, এবার আফ্রিকা মহাদেশ তার সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় ল্যান্ডস্কেপসহ একটি বিরল ভূতাত্ত্বিক ঘটনার কারণে নতুন মহাসাগর গঠনের দিকে এগিয়ে চলেছে। পূর্ব আফ্রিকার গ্রেট রিফট ভ্যালির আফার ট্রায়াঙ্গলে বিকাশমান এই প্রক্রিয়া।
সত্যিই কি আফ্রিকা মহাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত হবে
ভূতাত্ত্বিকেরা অনুমান করেছেন, পাঁচ থেকে দশ মিলিয়ন বছরের মধ্যে টেকটোনিক শক্তি আফ্রিকা মহাদেশকে দুটি ভাগে বিভক্ত করবে। এই প্রক্রিয়া একটি নতুন সমুদ্র অববাহিকা তৈরি করবে। পানির এই নতুন আধারের ফলে আফার অঞ্চলে লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর এবং পূর্ব আফ্রিকান রিফট উপত্যকায় বন্যা দেখা দেবে। ফল হিসেবে পূর্ব আফ্রিকার এ অংশটি নিজস্ব আলাদা মহাদেশ হয়ে যাবে। আফ্রিকায় ষষ্ঠ মহাসাগর গঠনের সম্ভাবনা শুধু বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের বিষয় নয়; বরং এটি পৃথিবীর পরিবর্তনশীল প্রকৃতির একটি প্রমাণও। এটি আমাদের গ্রহের ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াগুলো বোঝার গুরুত্ব তুলে ধরে। কারণ, মহাদেশ ও মহাসাগরের ভবিষ্যৎ বিন্যাসের ওপর এগুলোর গভীর প্রভাব রয়েছে।
মনে রাখতে হবে, একটি নতুন মহাসাগরের গঠন অত্যন্ত জটিল এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এর মধ্যে মহাদেশীয় ভাঙন থেকে মধ্য-সাগরীয় বৃদ্ধি পর্যন্ত ভাঙনের বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে।
আফার ট্রায়াঙ্গল কী
আফার ট্রায়াঙ্গল হলো একটি ভূতাত্ত্বিক নিম্নচাপ। এখানে নুবিয়ান, সোমালি ও আরবীয়—এই তিনটি টেকটোনিক প্লেট একসঙ্গে মিলিত হয়েছে। এটি আফার অঞ্চল থেকে পূর্ব আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। টেকটোনিক প্লেটগুলো আলাদা হওয়ার ফলে এখানে ঘটে যাওয়া রিফটিং প্রক্রিয়া লাখ লাখ বছর ধরে ঘটে চলেছে। ২০০৫ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এই ধীর প্রক্রিয়াকে বিশ্বের নজরে এনেছিল। ইতিমধ্যে ইথিওপিয়ান মরুভূমিতে একটি ৩৫ মাইল দীর্ঘ ফাটল খুলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি আফ্রিকা মহাদেশকে বিভক্ত করে দিবে। সংকেত বলছে, টেকটোনিক শক্তির উপরিভাগের অভিব্যক্তি আরও গভীরে কাজ করছে। এতে সোমালি প্লেট নুবিয়ান প্লেট থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ফলে পৃথিবীর ভূত্বক প্রসারিত ও পাতলা হয়ে যাচ্ছে। এভাবেই ২০০৫ সালে ইথিওপিয়ান মরুভূমিতে যে ফাটল দেখা গিয়েছিল, তাকে আফ্রিকা মহাদেশ বিভক্ত হওয়ার একটি চিহ্ন বলে মনে করেন গবেষকেরা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে