বেশির ভাগ বস্তুই পানির সংস্পর্শে এলে ভিজে যায়। এটি স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, পানি নিজেই ভেজা পদার্থ কি না? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু সরল নয়।
পানি নিজেই ভেজা কি না তা নিয়ে মতপার্থক্য বহুদিনের। সম্ভবত, পৃথিবীতে যতোদিন বিপুল পানির উৎস থাকবে ততদিন এ তর্ক চলতে থাকবে।
বেশির ভাগ বিজ্ঞানী ‘ভেজা’ বলতে বস্তুর পৃষ্ঠের সঙ্গে সংস্পর্শ বজায় রাখতে তরলের একটি স্বাভাবিক গুণকেই বোঝেন। অর্থাৎ পানি নিজেই ভেজা নয়, তবে সংস্পর্শে এলে আলাদা অনুভূতি তৈরি করতে পারে।
ভেজা বলতে যদি ‘তরল বা আর্দ্রতা’কে বোঝানো হয়, তাহলে পানিসহ অন্যান্য তরলকেও ভেজা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। অনেকেই ভেজা অবস্থাকে একটি শারীরিক অনুভূতি হিসেবে বর্ণনা করেন। যেমন, পানি যখন শরীর থেকে শক্তি শোষণ করে বাষ্পীভূত হয়ে চারপাশের বাতাসে মিলিয়ে যায় তখন শীতল অনুভূতি হয়।
ভেজার ধারণাটি ব্যাখ্যা করতে হলে পদার্থবিদ্যার আশ্রয় নিতে হয়। পানির অণুর সংসক্তি বল ও আসঞ্জন বলের পার্থক্যের ওপর ভেজার মাত্রা নির্ভর করে। একই পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে আকর্ষণ বলকে ‘সংসক্তি বল’ বলে। আর আলাদা পদার্থের অণুর মধ্যে পারস্পরিক আকর্ষণ বলকে ‘আসঞ্জন বল’ বলা হয়।
পানির অণুগুলোর মধ্যে সংসক্তি বলের জন্য দায়ী হাইড্রোজেনের বন্ধন। পানির শক্তিশালী সংসক্তি বলের কারণেই পৃষ্ঠটান সৃষ্টি হয়। পৃষ্ঠটানের কারণেই পানি ফোঁটার আকার নিতে পারে, সেফটিপিনের মতো ধাতব বস্তুও পানির ওপর ভেসে থাকতে পারে। অন্য পৃষ্ঠের সঙ্গে সংস্পর্শ এড়াতে বা কমাতে এই শক্তিশালী সংসক্তি বল বস্তুর ওপর পানিকে গোলাকার ফোঁটার আকারে থাকতে সহায়তা করে।
আবার আসঞ্জন বলের কারণে পানির অণু অন্য পদার্থের অণুকে আকর্ষণ করে। এই বল পানিকে ছড়িয়ে যেতে চাপ তৈরি করে। পানি যখন কোনো বস্তুর সংস্পর্শে আসে তখন, আসঞ্জন বল সংসক্তি বলের চেয়ে শক্তিশালী হলে বস্তুটি ভিজে যায়। অর্থাৎ পানি বস্তুটির পৃষ্ঠে ছড়িয়ে যায়।
কোনো কিছু ভেজানোর জন্য পানির চেয়ে অ্যালকোহল বেশি কার্যকরী। ডিটারজেন্ট যোগ করে সংসক্তি বল কমিয়ে পানির ভিজানোর ক্ষমতা উন্নত করা যায়। একই ভাবে তেল ছড়িয়েও পানির পৃষ্ঠটান কমানো যায়। এ কারণে সমুদ্রের ভয়ঙ্কর ঢেউ নিয়ন্ত্রণে তেল ছড়িয়ে দেওয়ার কৌশল ব্যবহার করা হয়।
বস্তুর প্রকৃতির ওপরও নির্ভর করে সেটি তরলের সংস্পর্শে কতটুকু ভিজবে। পানি–নিরোধক বস্তু (হাইড্রোফোবিক) যেমন, পানিরোধী কাপড় পৃষ্ঠের সঙ্গে সংস্পর্শ কমানোর জন্য পানির ফোঁটাগুলোকে ওপরের দিকে ঠেলে দেয়।
পানির ফোঁটা বস্তু পৃষ্ঠের সঙ্গে যে অভ্যন্তরীণ স্পর্শকোণ তৈরি করে সেটির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় বস্তুটি কতখানি পানিরোধী। শতভাগ পানিরোধী বস্তু পানির ফোঁটার তলের সঙ্গে ১৮০ ডিগ্রি কোণ তৈরি করে, আর শতভাগ ভেজা বস্তুর ক্ষেত্রে কোণটির মান হয় শূন্য (০)।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স ফোকাস
বেশির ভাগ বস্তুই পানির সংস্পর্শে এলে ভিজে যায়। এটি স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, পানি নিজেই ভেজা পদার্থ কি না? এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু সরল নয়।
পানি নিজেই ভেজা কি না তা নিয়ে মতপার্থক্য বহুদিনের। সম্ভবত, পৃথিবীতে যতোদিন বিপুল পানির উৎস থাকবে ততদিন এ তর্ক চলতে থাকবে।
বেশির ভাগ বিজ্ঞানী ‘ভেজা’ বলতে বস্তুর পৃষ্ঠের সঙ্গে সংস্পর্শ বজায় রাখতে তরলের একটি স্বাভাবিক গুণকেই বোঝেন। অর্থাৎ পানি নিজেই ভেজা নয়, তবে সংস্পর্শে এলে আলাদা অনুভূতি তৈরি করতে পারে।
ভেজা বলতে যদি ‘তরল বা আর্দ্রতা’কে বোঝানো হয়, তাহলে পানিসহ অন্যান্য তরলকেও ভেজা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। অনেকেই ভেজা অবস্থাকে একটি শারীরিক অনুভূতি হিসেবে বর্ণনা করেন। যেমন, পানি যখন শরীর থেকে শক্তি শোষণ করে বাষ্পীভূত হয়ে চারপাশের বাতাসে মিলিয়ে যায় তখন শীতল অনুভূতি হয়।
ভেজার ধারণাটি ব্যাখ্যা করতে হলে পদার্থবিদ্যার আশ্রয় নিতে হয়। পানির অণুর সংসক্তি বল ও আসঞ্জন বলের পার্থক্যের ওপর ভেজার মাত্রা নির্ভর করে। একই পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে আকর্ষণ বলকে ‘সংসক্তি বল’ বলে। আর আলাদা পদার্থের অণুর মধ্যে পারস্পরিক আকর্ষণ বলকে ‘আসঞ্জন বল’ বলা হয়।
পানির অণুগুলোর মধ্যে সংসক্তি বলের জন্য দায়ী হাইড্রোজেনের বন্ধন। পানির শক্তিশালী সংসক্তি বলের কারণেই পৃষ্ঠটান সৃষ্টি হয়। পৃষ্ঠটানের কারণেই পানি ফোঁটার আকার নিতে পারে, সেফটিপিনের মতো ধাতব বস্তুও পানির ওপর ভেসে থাকতে পারে। অন্য পৃষ্ঠের সঙ্গে সংস্পর্শ এড়াতে বা কমাতে এই শক্তিশালী সংসক্তি বল বস্তুর ওপর পানিকে গোলাকার ফোঁটার আকারে থাকতে সহায়তা করে।
আবার আসঞ্জন বলের কারণে পানির অণু অন্য পদার্থের অণুকে আকর্ষণ করে। এই বল পানিকে ছড়িয়ে যেতে চাপ তৈরি করে। পানি যখন কোনো বস্তুর সংস্পর্শে আসে তখন, আসঞ্জন বল সংসক্তি বলের চেয়ে শক্তিশালী হলে বস্তুটি ভিজে যায়। অর্থাৎ পানি বস্তুটির পৃষ্ঠে ছড়িয়ে যায়।
কোনো কিছু ভেজানোর জন্য পানির চেয়ে অ্যালকোহল বেশি কার্যকরী। ডিটারজেন্ট যোগ করে সংসক্তি বল কমিয়ে পানির ভিজানোর ক্ষমতা উন্নত করা যায়। একই ভাবে তেল ছড়িয়েও পানির পৃষ্ঠটান কমানো যায়। এ কারণে সমুদ্রের ভয়ঙ্কর ঢেউ নিয়ন্ত্রণে তেল ছড়িয়ে দেওয়ার কৌশল ব্যবহার করা হয়।
বস্তুর প্রকৃতির ওপরও নির্ভর করে সেটি তরলের সংস্পর্শে কতটুকু ভিজবে। পানি–নিরোধক বস্তু (হাইড্রোফোবিক) যেমন, পানিরোধী কাপড় পৃষ্ঠের সঙ্গে সংস্পর্শ কমানোর জন্য পানির ফোঁটাগুলোকে ওপরের দিকে ঠেলে দেয়।
পানির ফোঁটা বস্তু পৃষ্ঠের সঙ্গে যে অভ্যন্তরীণ স্পর্শকোণ তৈরি করে সেটির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় বস্তুটি কতখানি পানিরোধী। শতভাগ পানিরোধী বস্তু পানির ফোঁটার তলের সঙ্গে ১৮০ ডিগ্রি কোণ তৈরি করে, আর শতভাগ ভেজা বস্তুর ক্ষেত্রে কোণটির মান হয় শূন্য (০)।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স ফোকাস
মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
১ দিন আগেপৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
২ দিন আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
২ দিন আগেআপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন—কেন কুকুর, বিড়াল বা গরিলার মতো আপনার সারা শরীর ঘন লোমে ঢাকা নয়? মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয় যাদের লোম পাতলা। হাতি, গন্ডার এবং নেংটি ইঁদুরের গায়েও খুব কম লোম থাকে। তিমি এবং ডলফিনের মতো কিছু সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
৪ দিন আগে