অনলাইন ডেস্ক
এখন মোবাইল ফোনেই জটিল হিসাব-নিকাশ ঝটপট কষে ফেলা যায়। কিন্তু সময়টা যখন সতেরো শতক, যখন কাগজ-কলমই ভরসা, আর জটিল গাণিতিক হিসাব করতে গিয়ে মানুষ হারিয়ে যেত সংখ্যার গোলকধাঁধায়। তখনই জার্মানির এক বিরল প্রতিভা উইলহেম শিকার্ড উদ্ভাবন করেন এমন এক যন্ত্র, যা গাণিতিক অনেক হিসাব-নিকাশ সহজ করে দেয়। পরে ওই যন্ত্র থেকেই আধুনিক ক্যালকুলেটর উদ্ভাবনের পথ খুলে যায়।
আজ সেই উইলহেম শিকার্ডের জন্মদিন। ১৫৯২ সালের আজকের এই দিনে (২২ এপ্রিল) জার্মানির হেরেনবার্গে জন্মগ্রহণ করেন শিকার্ড। শিকার্ড ছিলেন একাধারে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ এবং লুথেরান (খ্রিষ্টানদের একটি গোষ্ঠী) পাদ্রি। তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোহানেস কেপলারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। কেপলারের জটিল জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব সহজ করার প্রয়াস থেকেই শিকার্ড একটি যন্ত্র তৈরি করেন, যেটি দিয়ে যোগ, বিয়োগ, গুণ এবং সীমিত পরিসরে ভাগ করা যেত।
তাঁর এই যন্ত্রের নাম ছিল ক্যালকুলেটিং ক্লক। কাঠ, ব্রোঞ্জ আর গিয়ার দিয়ে তৈরি এই যন্ত্র দেখতে অনেকটা ঘড়ির মতো হলেও এর আসল কাজ ছিল গণনা।
শিকার্ডের যন্ত্রটি দিয়ে ছয় অঙ্কের সংখ্যার যোগ-বিয়োগ করা যেত। এমনকি এতে মেমোরি রেজিস্টারও ছিল। অর্থাৎ ফলাফল সংরক্ষণ করার ব্যবস্থাও ছিল।
তবে শিকার্ডের বানানো প্রথম ক্যালকুলেটরটি দুর্ঘটনাবশত আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। কেপলারকে লেখা তাঁর এক চিঠি থেকে সেই কথা জানা যায়। চিঠিটিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রথম যন্ত্রটি আগুনে ভস্ম হয়ে গেছে, তবে আমি দ্বিতীয় আরেকটি তৈরির কাজে নেমেছি।’
দুর্ভাগ্যক্রমে, ১৬৩৫ সালে প্লেগ মহামারিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মারা যান উইলহেম শিকার্ড ও তাঁর পুরো পরিবার। তাঁর উদ্ভাবনের খবরও অজানা রয়ে যায় বিশ্ববাসীর কাছে।
দীর্ঘ প্রায় তিন শ বছর পর ১৯৫০ সালে জার্মান বিজ্ঞানী ফ্রানৎস হ্যামার শিকার্ডের চিঠিপত্র ও নকশা খুঁজে পান। তখনই নিশ্চিত হওয়া যায়, ১৬৪২ সালের ব্লেইজ প্যাসকেলের ক্যালকুলেটরের আগে শিকার্ড এমন একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছিলেন।
বর্তমানে উইলহেম শিকার্ডকে বিশ্বের প্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটরের উদ্ভাবকের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৬৩৫ সালের ২৪ অক্টোবর মারা যান তিনি।
এখন মোবাইল ফোনেই জটিল হিসাব-নিকাশ ঝটপট কষে ফেলা যায়। কিন্তু সময়টা যখন সতেরো শতক, যখন কাগজ-কলমই ভরসা, আর জটিল গাণিতিক হিসাব করতে গিয়ে মানুষ হারিয়ে যেত সংখ্যার গোলকধাঁধায়। তখনই জার্মানির এক বিরল প্রতিভা উইলহেম শিকার্ড উদ্ভাবন করেন এমন এক যন্ত্র, যা গাণিতিক অনেক হিসাব-নিকাশ সহজ করে দেয়। পরে ওই যন্ত্র থেকেই আধুনিক ক্যালকুলেটর উদ্ভাবনের পথ খুলে যায়।
আজ সেই উইলহেম শিকার্ডের জন্মদিন। ১৫৯২ সালের আজকের এই দিনে (২২ এপ্রিল) জার্মানির হেরেনবার্গে জন্মগ্রহণ করেন শিকার্ড। শিকার্ড ছিলেন একাধারে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ এবং লুথেরান (খ্রিষ্টানদের একটি গোষ্ঠী) পাদ্রি। তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোহানেস কেপলারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। কেপলারের জটিল জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব সহজ করার প্রয়াস থেকেই শিকার্ড একটি যন্ত্র তৈরি করেন, যেটি দিয়ে যোগ, বিয়োগ, গুণ এবং সীমিত পরিসরে ভাগ করা যেত।
তাঁর এই যন্ত্রের নাম ছিল ক্যালকুলেটিং ক্লক। কাঠ, ব্রোঞ্জ আর গিয়ার দিয়ে তৈরি এই যন্ত্র দেখতে অনেকটা ঘড়ির মতো হলেও এর আসল কাজ ছিল গণনা।
শিকার্ডের যন্ত্রটি দিয়ে ছয় অঙ্কের সংখ্যার যোগ-বিয়োগ করা যেত। এমনকি এতে মেমোরি রেজিস্টারও ছিল। অর্থাৎ ফলাফল সংরক্ষণ করার ব্যবস্থাও ছিল।
তবে শিকার্ডের বানানো প্রথম ক্যালকুলেটরটি দুর্ঘটনাবশত আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। কেপলারকে লেখা তাঁর এক চিঠি থেকে সেই কথা জানা যায়। চিঠিটিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রথম যন্ত্রটি আগুনে ভস্ম হয়ে গেছে, তবে আমি দ্বিতীয় আরেকটি তৈরির কাজে নেমেছি।’
দুর্ভাগ্যক্রমে, ১৬৩৫ সালে প্লেগ মহামারিতে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মারা যান উইলহেম শিকার্ড ও তাঁর পুরো পরিবার। তাঁর উদ্ভাবনের খবরও অজানা রয়ে যায় বিশ্ববাসীর কাছে।
দীর্ঘ প্রায় তিন শ বছর পর ১৯৫০ সালে জার্মান বিজ্ঞানী ফ্রানৎস হ্যামার শিকার্ডের চিঠিপত্র ও নকশা খুঁজে পান। তখনই নিশ্চিত হওয়া যায়, ১৬৪২ সালের ব্লেইজ প্যাসকেলের ক্যালকুলেটরের আগে শিকার্ড এমন একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছিলেন।
বর্তমানে উইলহেম শিকার্ডকে বিশ্বের প্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটরের উদ্ভাবকের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৬৩৫ সালের ২৪ অক্টোবর মারা যান তিনি।
প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৪ দিন আগেপ্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরে তৈরি একটি বুনন করা লিনেন পোশাক এখন বিশ্বের সর্বপ্রাচীন বুনন করা পোশাক জামা হিসেবে স্বীকৃত। কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, ‘তারখান ড্রেস’ নামে পরিচিত এই পোশাকটি ৩৫০০ থেকে ৩১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
৫ দিন আগে