বিশ্বে প্রথমবারের মতো উৎক্ষেপণ প্যাডে সফলভাবে অবতরণ করেছে স্পেসএক্স রকেটের সুপার হেভি বুস্টার। পঞ্চমবারের চেষ্টার পর ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানটি এই সাফল্যের দেখা পেল। চাঁদ এবং মঙ্গলে পাঠানোর জন্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য যান নির্মাণের লক্ষ্যে এটি কোম্পানির বিশাল অর্জন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসবাসী। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে টেক্সাসের বোকাচিকা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পঞ্চমবারের মতো রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। একপর্যায়ে এর দ্বিতীয় ধাপের মহাকাশযানটি আলাদা হয়ে ভারত মহাসাগরে পড়ে। আর সফলভাবে উৎক্ষেপণ প্যাডে নিরাপদে অবতরণ করে স্টারশিপ রকেটের সুপার হেভি বুস্টার।
বুস্টারটির সঠিকভাবে অবতরণ করাকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপের দুটি অংশ। একটি সুপার হেভি বুস্টার। এতে ৩৩টি র্যাপ্টর ইঞ্জিন আছে, যা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টিমিস রকেটের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী। অন্যটি স্টারশিপ মহাকাশযান, যা এ সুপার হেভি বুস্টারের ওপর বসানো থাকে। এ রকেটটি ১০০ টনের বেশি যন্ত্রপাতি বহন করতে পারে।
স্টারশিপ ১৮ হাজারটি তাপ প্রতিরোধী টাইল দিয়ে ঢাকা। চলতি বছরের জুন মাসের পরীক্ষার পর টাইলসগুরো আরও উন্নত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষায় স্টারশিপ প্রথমবারের মতো পুরোপুরি উড়তে ভারত মহাসাগরের দিকে গিয়েছিল। কিন্তু টাইলের ক্ষতির কারণে ফিরে আসতে পারেনি।
আর বুস্টারটি যে টাওয়ারে অবতরণ করে সেটির উচ্চতা ৪০০ ফিট। এটি স্ট্যাচু অব লির্বারটির চেয়ে উঁচু। টাওয়ারটির শীর্ষে দুটি বড় হাত লাগানো হয়েছিল।
অবতরণের সময় ২৩৩ ফুট (৭১ মিটার)-উচ্চ সুপার হেভি বুস্টারটি লঞ্চ টাওয়ারের অন্তর্ভুক্ত হাতগুলোর মধ্যে পড়ে যায় এবং বুস্টারটির সামনে থাকা চারটি গ্রিড ফিনের নিচে বেরিয়ে থাকা ছোট ছোট বারগুলোর সাহায্যে নিজেকে সঠিক স্থানে আটকায়।
বুস্টারটি অবতরণ শেষে এক্সের (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে মাস্ক বলেন, ‘টাওয়ারটি রকেটটি ধরে ফেলেছে!’ স্পেসএক্সের ইঞ্জিনিয়াররা, লাইভ স্ট্রিম দেখছিলেন। সফলভাবে রকেটটি অবতরণের পর আনন্দের সঙ্গে করতালি দিতে থাকেন তারা।
মাস্ক ২০১৭ সালে প্রথম স্টারশিপ উন্মোচন করে। এর আগেও স্টারশিপ রকেটটি পরীক্ষা করা হয়। তবে সেসময় সফল হয়নি এই রকেট গত বছরের এপ্রিল ও নভেম্বরে এবং এ বছরের মার্চ ও জুনে পরীক্ষামূলকভাবে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সর্বশেষ জুনের পরীক্ষায় স্টারশিপ রকেটটি সফলভাবে সাগরে ফেলতে পেরেছিল স্পেসএক্স।
অন্যগ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করতে যাওয়ার উপযোগী করে এ রকেটটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেন মাস্ক। । এটি বারবার ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ এটি অবতরণের সময় ধ্বংস হয়ে যাবে না। এর মাধ্যমে মানুষকে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মাস্ক।
গত শনিবার স্পেসএক্সের পঞ্চম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের লাইসেন্স অনুমোদন দেয় মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)
বিশ্বে প্রথমবারের মতো উৎক্ষেপণ প্যাডে সফলভাবে অবতরণ করেছে স্পেসএক্স রকেটের সুপার হেভি বুস্টার। পঞ্চমবারের চেষ্টার পর ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানটি এই সাফল্যের দেখা পেল। চাঁদ এবং মঙ্গলে পাঠানোর জন্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য যান নির্মাণের লক্ষ্যে এটি কোম্পানির বিশাল অর্জন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসবাসী। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে টেক্সাসের বোকাচিকা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পঞ্চমবারের মতো রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। একপর্যায়ে এর দ্বিতীয় ধাপের মহাকাশযানটি আলাদা হয়ে ভারত মহাসাগরে পড়ে। আর সফলভাবে উৎক্ষেপণ প্যাডে নিরাপদে অবতরণ করে স্টারশিপ রকেটের সুপার হেভি বুস্টার।
বুস্টারটির সঠিকভাবে অবতরণ করাকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপের দুটি অংশ। একটি সুপার হেভি বুস্টার। এতে ৩৩টি র্যাপ্টর ইঞ্জিন আছে, যা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টিমিস রকেটের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী। অন্যটি স্টারশিপ মহাকাশযান, যা এ সুপার হেভি বুস্টারের ওপর বসানো থাকে। এ রকেটটি ১০০ টনের বেশি যন্ত্রপাতি বহন করতে পারে।
স্টারশিপ ১৮ হাজারটি তাপ প্রতিরোধী টাইল দিয়ে ঢাকা। চলতি বছরের জুন মাসের পরীক্ষার পর টাইলসগুরো আরও উন্নত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষায় স্টারশিপ প্রথমবারের মতো পুরোপুরি উড়তে ভারত মহাসাগরের দিকে গিয়েছিল। কিন্তু টাইলের ক্ষতির কারণে ফিরে আসতে পারেনি।
আর বুস্টারটি যে টাওয়ারে অবতরণ করে সেটির উচ্চতা ৪০০ ফিট। এটি স্ট্যাচু অব লির্বারটির চেয়ে উঁচু। টাওয়ারটির শীর্ষে দুটি বড় হাত লাগানো হয়েছিল।
অবতরণের সময় ২৩৩ ফুট (৭১ মিটার)-উচ্চ সুপার হেভি বুস্টারটি লঞ্চ টাওয়ারের অন্তর্ভুক্ত হাতগুলোর মধ্যে পড়ে যায় এবং বুস্টারটির সামনে থাকা চারটি গ্রিড ফিনের নিচে বেরিয়ে থাকা ছোট ছোট বারগুলোর সাহায্যে নিজেকে সঠিক স্থানে আটকায়।
বুস্টারটি অবতরণ শেষে এক্সের (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে মাস্ক বলেন, ‘টাওয়ারটি রকেটটি ধরে ফেলেছে!’ স্পেসএক্সের ইঞ্জিনিয়াররা, লাইভ স্ট্রিম দেখছিলেন। সফলভাবে রকেটটি অবতরণের পর আনন্দের সঙ্গে করতালি দিতে থাকেন তারা।
মাস্ক ২০১৭ সালে প্রথম স্টারশিপ উন্মোচন করে। এর আগেও স্টারশিপ রকেটটি পরীক্ষা করা হয়। তবে সেসময় সফল হয়নি এই রকেট গত বছরের এপ্রিল ও নভেম্বরে এবং এ বছরের মার্চ ও জুনে পরীক্ষামূলকভাবে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সর্বশেষ জুনের পরীক্ষায় স্টারশিপ রকেটটি সফলভাবে সাগরে ফেলতে পেরেছিল স্পেসএক্স।
অন্যগ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করতে যাওয়ার উপযোগী করে এ রকেটটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেন মাস্ক। । এটি বারবার ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ এটি অবতরণের সময় ধ্বংস হয়ে যাবে না। এর মাধ্যমে মানুষকে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মাস্ক।
গত শনিবার স্পেসএক্সের পঞ্চম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের লাইসেন্স অনুমোদন দেয় মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
২ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে