মানব জিনোম বোঝার জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পেরিয়ে গেলেন বিজ্ঞানীরা। এবার তাঁরা পুরুষদের মধ্যে উপস্থিত রহস্যময় ওয়াই (Y) ক্রোমোজোমের সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার করেছেন। এটি এমন এক কৃতিত্ব যার মধ্য দিয়ে পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব নিয়ে গবেষণাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার গবেষকেরা প্রথমবারের মতো মানব ওয়াই ক্রোমোজোমের সম্পূর্ণ ক্রম উন্মোচন করেছেন। মানুষের মাঝে দুটি সেক্স ক্রোমোজমের একটি ওয়াই (Y) অন্যটি এক্স (X)। পিতামাতার মধ্যে সাধারণত পিতার ক্রোমোজমই সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে দেয়। অর্থাৎ সন্তান ছেলে হবে কি মেয়ে হবে তা পিতার কাছ থেকে পাওয়া ক্রোমোজমের ওপর নির্ভর করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন মানুষের প্রতিটি কোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজম থাকে। এর মধ্যে এক জোড়া থাকে সেক্স ক্রোমোজোম। এই একজোড়ার মধ্যে পুরুষের থাকে একটি ওয়াই ও একটি এক্স ক্রোমোজোম। আর নারীর থাকে দুটি এক্স ক্রোমোজোম।
ওয়াই ক্রোমোজোমের জিনগুলো শুক্রাণু উৎপাদনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রজনন কাজ পরিচালনা করতে সহযোগিতা করে। এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি এবং তীব্রতার সঙ্গেও এই ক্রোমোজম জড়িত। কিন্তু ব্যতিক্রম জটিল গঠনের কারণে এই ক্রোমোজোমটির রহস্য ভেদ করা কঠিন বলে মনে করা হতো।
ওয়াই ক্রোমোজমের রহস্যভেদ সম্পর্কিত বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনের প্রধান লেখক এবং ইউএস ন্যাশনাল হিউম্যান জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্টাফ সায়েন্টিস্ট আরং রাই বলেন, ‘সাফল্যের জন্য আমি নতুন সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তি এবং কম্পিউটেশনাল পদ্ধতিগুলোকে কৃতিত্ব দেব।’
সহ-গবেষক এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যাপক কারেন মিগা বলেন, ‘ক্রোমোজোমের দৈর্ঘ্যের ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রকাশ করে গবেষণাটি প্রথমবারের মতো একটি ওয়াই ক্রোমোজোম কোডের সম্পূর্ণ দৃশ্য প্রদান করেছে। অতীতে আমাদের জিনোম মানচিত্র থেকে এটি অনুপস্থিত ছিল।’
এর আগে ২০২০ সালে এক্স ক্রোমোজোমের সম্পূর্ণ ক্রমটি প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু মানব জিনোমের ওয়াই ক্রোমোজোমের ক্রম অজানাই ছিল।
গবেষণাপত্রটির সহ–লেখক মনিকা চোচোভা দাবি করেন, ক্রম না জানার কারণে ওয়াই ক্রোমোজোমকে ঐতিহ্যগতভাবে মানব রোগের অনেক গবেষণা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
চোচোভা বলেন, ‘ওয়াই ক্রোমোজোম মানব জিনোমের সবচেয়ে ছোট এবং দ্রুত ক্রমবর্ধমান ক্রোমোজোম।’
গবেষকদের মতে, ওয়াই ক্রোমোজোমের পূর্ণাঙ্গ পাঠোদ্ধারের ফলে প্রজনন সম্পর্কিত গবেষণা সহ এর ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্ভব হতে পারে।
মানব জিনোম বোঝার জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পেরিয়ে গেলেন বিজ্ঞানীরা। এবার তাঁরা পুরুষদের মধ্যে উপস্থিত রহস্যময় ওয়াই (Y) ক্রোমোজোমের সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার করেছেন। এটি এমন এক কৃতিত্ব যার মধ্য দিয়ে পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব নিয়ে গবেষণাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার গবেষকেরা প্রথমবারের মতো মানব ওয়াই ক্রোমোজোমের সম্পূর্ণ ক্রম উন্মোচন করেছেন। মানুষের মাঝে দুটি সেক্স ক্রোমোজমের একটি ওয়াই (Y) অন্যটি এক্স (X)। পিতামাতার মধ্যে সাধারণত পিতার ক্রোমোজমই সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে দেয়। অর্থাৎ সন্তান ছেলে হবে কি মেয়ে হবে তা পিতার কাছ থেকে পাওয়া ক্রোমোজমের ওপর নির্ভর করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন মানুষের প্রতিটি কোষে ২৩ জোড়া ক্রোমোজম থাকে। এর মধ্যে এক জোড়া থাকে সেক্স ক্রোমোজোম। এই একজোড়ার মধ্যে পুরুষের থাকে একটি ওয়াই ও একটি এক্স ক্রোমোজোম। আর নারীর থাকে দুটি এক্স ক্রোমোজোম।
ওয়াই ক্রোমোজোমের জিনগুলো শুক্রাণু উৎপাদনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রজনন কাজ পরিচালনা করতে সহযোগিতা করে। এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকি এবং তীব্রতার সঙ্গেও এই ক্রোমোজম জড়িত। কিন্তু ব্যতিক্রম জটিল গঠনের কারণে এই ক্রোমোজোমটির রহস্য ভেদ করা কঠিন বলে মনে করা হতো।
ওয়াই ক্রোমোজমের রহস্যভেদ সম্পর্কিত বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনের প্রধান লেখক এবং ইউএস ন্যাশনাল হিউম্যান জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্টাফ সায়েন্টিস্ট আরং রাই বলেন, ‘সাফল্যের জন্য আমি নতুন সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তি এবং কম্পিউটেশনাল পদ্ধতিগুলোকে কৃতিত্ব দেব।’
সহ-গবেষক এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যাপক কারেন মিগা বলেন, ‘ক্রোমোজোমের দৈর্ঘ্যের ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রকাশ করে গবেষণাটি প্রথমবারের মতো একটি ওয়াই ক্রোমোজোম কোডের সম্পূর্ণ দৃশ্য প্রদান করেছে। অতীতে আমাদের জিনোম মানচিত্র থেকে এটি অনুপস্থিত ছিল।’
এর আগে ২০২০ সালে এক্স ক্রোমোজোমের সম্পূর্ণ ক্রমটি প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু মানব জিনোমের ওয়াই ক্রোমোজোমের ক্রম অজানাই ছিল।
গবেষণাপত্রটির সহ–লেখক মনিকা চোচোভা দাবি করেন, ক্রম না জানার কারণে ওয়াই ক্রোমোজোমকে ঐতিহ্যগতভাবে মানব রোগের অনেক গবেষণা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
চোচোভা বলেন, ‘ওয়াই ক্রোমোজোম মানব জিনোমের সবচেয়ে ছোট এবং দ্রুত ক্রমবর্ধমান ক্রোমোজোম।’
গবেষকদের মতে, ওয়াই ক্রোমোজোমের পূর্ণাঙ্গ পাঠোদ্ধারের ফলে প্রজনন সম্পর্কিত গবেষণা সহ এর ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্ভব হতে পারে।
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে