আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিলেন নারী। সম্প্রতি পাওয়া ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত হতেন।
চীনের পূর্বাঞ্চলের ফুজিয়া নামক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে আবিষ্কৃত হয়েছে দুটি সমাধিস্থল। প্রাচীন একটি আবাসিক এলাকার দুই প্রান্তে (উত্তর ও দক্ষিণ দিকে) প্রায় ১০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত ছিল এ দুই সমাধিস্থল।
ফুজিয়ায় পাঁচ শতাধিক সমাধিস্থল খনন করে রেডিওকার্বন বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা গেছে, সমাধিস্থলগুলো ২ হাজার ৭৫০ থেকে ২ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে কোনো এক সময়ে তৈরি।
গত ৪ জুন বিশ্বখ্যাত জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় আন্তর্জাতিক একদল গবেষক ফুজিয়া থেকে পাওয়া ৬০টি কঙ্কালের ডিএনএ বিশ্লেষণের ফল প্রকাশ করেন। এর মধ্যে ১৪টি কঙ্কাল উত্তরের সমাধিস্থল থেকে এবং ৪৬টি দক্ষিণের সমাধিস্থল থেকে পাওয়া যায়।
গবেষকেরা দেখেছেন, উত্তর সমাধিস্থলের ১৪ জনে ব্যক্তির সবার মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ ছিল একই রকম। উল্লেখ্য, মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ শুধু মাতার মাধ্যমে সন্তানের শরীরে স্থানান্তরিত হয়। অন্যদিকে, দক্ষিণ সমাধিস্থলের ৪৬ জনের মধ্যে ৪৪ জনের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ ছিল এক ধরনের, যা স্পষ্ট করে যে, উভয় সমাধিস্থলে সমাহিত ব্যক্তিদের মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত করা হয়েছে।
নারী ও পুরুষ উভয়কেই তাদের মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত করার এই প্রবণতা একটি পরিপূর্ণ মাতৃতান্ত্রিক সমাজের ইঙ্গিত বহন করে বলে গবেষকেরা জানান। বিশেষ করে, কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদেরও মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত করা হয়েছে, যা এই তত্ত্বকে আরও শক্তিশালী করে।
পুরুষ কঙ্কালগুলোর ওয়াই ক্রোমোজোম বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, তাঁদের পিতৃসম্পর্কীয় রক্তের মধ্যে ছিল ব্যাপক বৈচিত্র্য। অর্থাৎ পুরুষেরা বাইরের সম্প্রদায় থেকে আসতেন। তবে সন্তানদের লালন-পালন ও সমাহিত করার নিয়ম চলত মায়ের রক্ত অনুসারে।

মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ ও ওয়াই ক্রোমোজোম বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফুজিয়ার বেশির ভাগ মানুষকে তাদের মায়ের বংশের ভিত্তিতে সমাধিস্থ দেওয়া হয়েছে, যা একটি প্রকৃত মাতৃতান্ত্রিক সমাজের রূপ নির্দেশ করে।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, অন্তত ১০ প্রজন্মজুড়ে ‘রক্ত সম্পর্কে’ বিয়ের প্রবণতা ছিল স্পষ্ট। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের সঙ্গে বিয়ের ইঙ্গিত মিলেছে।
গবেষকেরা বলেন, যদিও এটি আদর্শ বিবাহের ধরন নয়। তবে ছোট ও বিচ্ছিন্ন সমাজে এমনটি ঘটতেই পারে।
ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত বিশ্বের মাত্র তিনটি প্রাচীন সমাজে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ পাওয়া গেছে—নিউ মেক্সিকোর চাকো ক্যানিয়ন, জার্মানির সেল্টিক অভিজাত শ্রেণি এবং ব্রিটেনের ডুরোট্রাইজ গোত্র। এ ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু বর্তমান সমাজে মাতৃতান্ত্রিক রীতি দেখা যায়।
গবেষক দল জানিয়েছে, ফুজিয়ার সমাজব্যবস্থা একেবারে অনন্য এবং পূর্ব এশিয়ার প্রস্তর যুগে জনগোষ্ঠীর মধ্যে এমন মাতৃতান্ত্রিক সমাজ এই প্রথম পাওয়া গেল। এ আবিষ্কার ছোট সমাজ থেকে বড় এবং জটিল সমাজব্যবস্থায় রূপান্তরের সময়কার সামাজিক ও পরিবেশগত বাস্তবতা বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে চীনের শানডং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ইউ ডং বলেন, ‘নিওলিথিক যুগের (নব্যপ্রস্তর যুগ–১২ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার খ্রিষ্টপূর্ব) চীনে একটি মাতৃতান্ত্রিক সমাজ খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত রোমাঞ্চকর।’
গবেষকেরা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতের ডিএনএ ও প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা আমাদের আরও স্পষ্ট করে বুঝতে সাহায্য করবে, ঠিক কীভাবে প্রাচীন সমাজে নারীর নেতৃত্বে সমাজ গঠিত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিলেন নারী। সম্প্রতি পাওয়া ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত হতেন।
চীনের পূর্বাঞ্চলের ফুজিয়া নামক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে আবিষ্কৃত হয়েছে দুটি সমাধিস্থল। প্রাচীন একটি আবাসিক এলাকার দুই প্রান্তে (উত্তর ও দক্ষিণ দিকে) প্রায় ১০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত ছিল এ দুই সমাধিস্থল।
ফুজিয়ায় পাঁচ শতাধিক সমাধিস্থল খনন করে রেডিওকার্বন বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা গেছে, সমাধিস্থলগুলো ২ হাজার ৭৫০ থেকে ২ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে কোনো এক সময়ে তৈরি।
গত ৪ জুন বিশ্বখ্যাত জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় আন্তর্জাতিক একদল গবেষক ফুজিয়া থেকে পাওয়া ৬০টি কঙ্কালের ডিএনএ বিশ্লেষণের ফল প্রকাশ করেন। এর মধ্যে ১৪টি কঙ্কাল উত্তরের সমাধিস্থল থেকে এবং ৪৬টি দক্ষিণের সমাধিস্থল থেকে পাওয়া যায়।
গবেষকেরা দেখেছেন, উত্তর সমাধিস্থলের ১৪ জনে ব্যক্তির সবার মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ ছিল একই রকম। উল্লেখ্য, মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ শুধু মাতার মাধ্যমে সন্তানের শরীরে স্থানান্তরিত হয়। অন্যদিকে, দক্ষিণ সমাধিস্থলের ৪৬ জনের মধ্যে ৪৪ জনের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ ছিল এক ধরনের, যা স্পষ্ট করে যে, উভয় সমাধিস্থলে সমাহিত ব্যক্তিদের মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত করা হয়েছে।
নারী ও পুরুষ উভয়কেই তাদের মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত করার এই প্রবণতা একটি পরিপূর্ণ মাতৃতান্ত্রিক সমাজের ইঙ্গিত বহন করে বলে গবেষকেরা জানান। বিশেষ করে, কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদেরও মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত করা হয়েছে, যা এই তত্ত্বকে আরও শক্তিশালী করে।
পুরুষ কঙ্কালগুলোর ওয়াই ক্রোমোজোম বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, তাঁদের পিতৃসম্পর্কীয় রক্তের মধ্যে ছিল ব্যাপক বৈচিত্র্য। অর্থাৎ পুরুষেরা বাইরের সম্প্রদায় থেকে আসতেন। তবে সন্তানদের লালন-পালন ও সমাহিত করার নিয়ম চলত মায়ের রক্ত অনুসারে।

মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ ও ওয়াই ক্রোমোজোম বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফুজিয়ার বেশির ভাগ মানুষকে তাদের মায়ের বংশের ভিত্তিতে সমাধিস্থ দেওয়া হয়েছে, যা একটি প্রকৃত মাতৃতান্ত্রিক সমাজের রূপ নির্দেশ করে।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, অন্তত ১০ প্রজন্মজুড়ে ‘রক্ত সম্পর্কে’ বিয়ের প্রবণতা ছিল স্পষ্ট। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের সঙ্গে বিয়ের ইঙ্গিত মিলেছে।
গবেষকেরা বলেন, যদিও এটি আদর্শ বিবাহের ধরন নয়। তবে ছোট ও বিচ্ছিন্ন সমাজে এমনটি ঘটতেই পারে।
ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত বিশ্বের মাত্র তিনটি প্রাচীন সমাজে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ পাওয়া গেছে—নিউ মেক্সিকোর চাকো ক্যানিয়ন, জার্মানির সেল্টিক অভিজাত শ্রেণি এবং ব্রিটেনের ডুরোট্রাইজ গোত্র। এ ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু বর্তমান সমাজে মাতৃতান্ত্রিক রীতি দেখা যায়।
গবেষক দল জানিয়েছে, ফুজিয়ার সমাজব্যবস্থা একেবারে অনন্য এবং পূর্ব এশিয়ার প্রস্তর যুগে জনগোষ্ঠীর মধ্যে এমন মাতৃতান্ত্রিক সমাজ এই প্রথম পাওয়া গেল। এ আবিষ্কার ছোট সমাজ থেকে বড় এবং জটিল সমাজব্যবস্থায় রূপান্তরের সময়কার সামাজিক ও পরিবেশগত বাস্তবতা বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে চীনের শানডং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ইউ ডং বলেন, ‘নিওলিথিক যুগের (নব্যপ্রস্তর যুগ–১২ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার খ্রিষ্টপূর্ব) চীনে একটি মাতৃতান্ত্রিক সমাজ খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত রোমাঞ্চকর।’
গবেষকেরা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতের ডিএনএ ও প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা আমাদের আরও স্পষ্ট করে বুঝতে সাহায্য করবে, ঠিক কীভাবে প্রাচীন সমাজে নারীর নেতৃত্বে সমাজ গঠিত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিলেন নারী। সম্প্রতি পাওয়া ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত হতেন।
চীনের পূর্বাঞ্চলের ফুজিয়া নামক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে আবিষ্কৃত হয়েছে দুটি সমাধিস্থল। প্রাচীন একটি আবাসিক এলাকার দুই প্রান্তে (উত্তর ও দক্ষিণ দিকে) প্রায় ১০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত ছিল এ দুই সমাধিস্থল।
ফুজিয়ায় পাঁচ শতাধিক সমাধিস্থল খনন করে রেডিওকার্বন বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা গেছে, সমাধিস্থলগুলো ২ হাজার ৭৫০ থেকে ২ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে কোনো এক সময়ে তৈরি।
গত ৪ জুন বিশ্বখ্যাত জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় আন্তর্জাতিক একদল গবেষক ফুজিয়া থেকে পাওয়া ৬০টি কঙ্কালের ডিএনএ বিশ্লেষণের ফল প্রকাশ করেন। এর মধ্যে ১৪টি কঙ্কাল উত্তরের সমাধিস্থল থেকে এবং ৪৬টি দক্ষিণের সমাধিস্থল থেকে পাওয়া যায়।
গবেষকেরা দেখেছেন, উত্তর সমাধিস্থলের ১৪ জনে ব্যক্তির সবার মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ ছিল একই রকম। উল্লেখ্য, মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ শুধু মাতার মাধ্যমে সন্তানের শরীরে স্থানান্তরিত হয়। অন্যদিকে, দক্ষিণ সমাধিস্থলের ৪৬ জনের মধ্যে ৪৪ জনের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ ছিল এক ধরনের, যা স্পষ্ট করে যে, উভয় সমাধিস্থলে সমাহিত ব্যক্তিদের মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত করা হয়েছে।
নারী ও পুরুষ উভয়কেই তাদের মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত করার এই প্রবণতা একটি পরিপূর্ণ মাতৃতান্ত্রিক সমাজের ইঙ্গিত বহন করে বলে গবেষকেরা জানান। বিশেষ করে, কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদেরও মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত করা হয়েছে, যা এই তত্ত্বকে আরও শক্তিশালী করে।
পুরুষ কঙ্কালগুলোর ওয়াই ক্রোমোজোম বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, তাঁদের পিতৃসম্পর্কীয় রক্তের মধ্যে ছিল ব্যাপক বৈচিত্র্য। অর্থাৎ পুরুষেরা বাইরের সম্প্রদায় থেকে আসতেন। তবে সন্তানদের লালন-পালন ও সমাহিত করার নিয়ম চলত মায়ের রক্ত অনুসারে।

মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ ও ওয়াই ক্রোমোজোম বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফুজিয়ার বেশির ভাগ মানুষকে তাদের মায়ের বংশের ভিত্তিতে সমাধিস্থ দেওয়া হয়েছে, যা একটি প্রকৃত মাতৃতান্ত্রিক সমাজের রূপ নির্দেশ করে।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, অন্তত ১০ প্রজন্মজুড়ে ‘রক্ত সম্পর্কে’ বিয়ের প্রবণতা ছিল স্পষ্ট। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের সঙ্গে বিয়ের ইঙ্গিত মিলেছে।
গবেষকেরা বলেন, যদিও এটি আদর্শ বিবাহের ধরন নয়। তবে ছোট ও বিচ্ছিন্ন সমাজে এমনটি ঘটতেই পারে।
ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত বিশ্বের মাত্র তিনটি প্রাচীন সমাজে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ পাওয়া গেছে—নিউ মেক্সিকোর চাকো ক্যানিয়ন, জার্মানির সেল্টিক অভিজাত শ্রেণি এবং ব্রিটেনের ডুরোট্রাইজ গোত্র। এ ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু বর্তমান সমাজে মাতৃতান্ত্রিক রীতি দেখা যায়।
গবেষক দল জানিয়েছে, ফুজিয়ার সমাজব্যবস্থা একেবারে অনন্য এবং পূর্ব এশিয়ার প্রস্তর যুগে জনগোষ্ঠীর মধ্যে এমন মাতৃতান্ত্রিক সমাজ এই প্রথম পাওয়া গেল। এ আবিষ্কার ছোট সমাজ থেকে বড় এবং জটিল সমাজব্যবস্থায় রূপান্তরের সময়কার সামাজিক ও পরিবেশগত বাস্তবতা বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে চীনের শানডং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ইউ ডং বলেন, ‘নিওলিথিক যুগের (নব্যপ্রস্তর যুগ–১২ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার খ্রিষ্টপূর্ব) চীনে একটি মাতৃতান্ত্রিক সমাজ খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত রোমাঞ্চকর।’
গবেষকেরা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতের ডিএনএ ও প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা আমাদের আরও স্পষ্ট করে বুঝতে সাহায্য করবে, ঠিক কীভাবে প্রাচীন সমাজে নারীর নেতৃত্বে সমাজ গঠিত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিলেন নারী। সম্প্রতি পাওয়া ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত হতেন।
চীনের পূর্বাঞ্চলের ফুজিয়া নামক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে আবিষ্কৃত হয়েছে দুটি সমাধিস্থল। প্রাচীন একটি আবাসিক এলাকার দুই প্রান্তে (উত্তর ও দক্ষিণ দিকে) প্রায় ১০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত ছিল এ দুই সমাধিস্থল।
ফুজিয়ায় পাঁচ শতাধিক সমাধিস্থল খনন করে রেডিওকার্বন বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা গেছে, সমাধিস্থলগুলো ২ হাজার ৭৫০ থেকে ২ হাজার ৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে কোনো এক সময়ে তৈরি।
গত ৪ জুন বিশ্বখ্যাত জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় আন্তর্জাতিক একদল গবেষক ফুজিয়া থেকে পাওয়া ৬০টি কঙ্কালের ডিএনএ বিশ্লেষণের ফল প্রকাশ করেন। এর মধ্যে ১৪টি কঙ্কাল উত্তরের সমাধিস্থল থেকে এবং ৪৬টি দক্ষিণের সমাধিস্থল থেকে পাওয়া যায়।
গবেষকেরা দেখেছেন, উত্তর সমাধিস্থলের ১৪ জনে ব্যক্তির সবার মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ ছিল একই রকম। উল্লেখ্য, মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ শুধু মাতার মাধ্যমে সন্তানের শরীরে স্থানান্তরিত হয়। অন্যদিকে, দক্ষিণ সমাধিস্থলের ৪৬ জনের মধ্যে ৪৪ জনের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ ছিল এক ধরনের, যা স্পষ্ট করে যে, উভয় সমাধিস্থলে সমাহিত ব্যক্তিদের মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত করা হয়েছে।
নারী ও পুরুষ উভয়কেই তাদের মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত করার এই প্রবণতা একটি পরিপূর্ণ মাতৃতান্ত্রিক সমাজের ইঙ্গিত বহন করে বলে গবেষকেরা জানান। বিশেষ করে, কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদেরও মায়ের বংশ অনুসারে সমাহিত করা হয়েছে, যা এই তত্ত্বকে আরও শক্তিশালী করে।
পুরুষ কঙ্কালগুলোর ওয়াই ক্রোমোজোম বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দেখেছেন, তাঁদের পিতৃসম্পর্কীয় রক্তের মধ্যে ছিল ব্যাপক বৈচিত্র্য। অর্থাৎ পুরুষেরা বাইরের সম্প্রদায় থেকে আসতেন। তবে সন্তানদের লালন-পালন ও সমাহিত করার নিয়ম চলত মায়ের রক্ত অনুসারে।

মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ ও ওয়াই ক্রোমোজোম বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফুজিয়ার বেশির ভাগ মানুষকে তাদের মায়ের বংশের ভিত্তিতে সমাধিস্থ দেওয়া হয়েছে, যা একটি প্রকৃত মাতৃতান্ত্রিক সমাজের রূপ নির্দেশ করে।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, অন্তত ১০ প্রজন্মজুড়ে ‘রক্ত সম্পর্কে’ বিয়ের প্রবণতা ছিল স্পষ্ট। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের সঙ্গে বিয়ের ইঙ্গিত মিলেছে।
গবেষকেরা বলেন, যদিও এটি আদর্শ বিবাহের ধরন নয়। তবে ছোট ও বিচ্ছিন্ন সমাজে এমনটি ঘটতেই পারে।
ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত বিশ্বের মাত্র তিনটি প্রাচীন সমাজে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ পাওয়া গেছে—নিউ মেক্সিকোর চাকো ক্যানিয়ন, জার্মানির সেল্টিক অভিজাত শ্রেণি এবং ব্রিটেনের ডুরোট্রাইজ গোত্র। এ ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু বর্তমান সমাজে মাতৃতান্ত্রিক রীতি দেখা যায়।
গবেষক দল জানিয়েছে, ফুজিয়ার সমাজব্যবস্থা একেবারে অনন্য এবং পূর্ব এশিয়ার প্রস্তর যুগে জনগোষ্ঠীর মধ্যে এমন মাতৃতান্ত্রিক সমাজ এই প্রথম পাওয়া গেল। এ আবিষ্কার ছোট সমাজ থেকে বড় এবং জটিল সমাজব্যবস্থায় রূপান্তরের সময়কার সামাজিক ও পরিবেশগত বাস্তবতা বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে চীনের শানডং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ইউ ডং বলেন, ‘নিওলিথিক যুগের (নব্যপ্রস্তর যুগ–১২ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার খ্রিষ্টপূর্ব) চীনে একটি মাতৃতান্ত্রিক সমাজ খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত রোমাঞ্চকর।’
গবেষকেরা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতের ডিএনএ ও প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা আমাদের আরও স্পষ্ট করে বুঝতে সাহায্য করবে, ঠিক কীভাবে প্রাচীন সমাজে নারীর নেতৃত্বে সমাজ গঠিত হয়েছিল।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১০ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
২১ জুন ২০২৫
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
২১ জুন ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১০ ঘণ্টা আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
২১ জুন ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১০ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
২১ জুন ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
১০ ঘণ্টা আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৩ দিন আগে