প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
প্রায় প্রতিটি মানুষের শরীরের কোনো না কোনো অংশে সুড়সুড়ির অনুভূতি রয়েছে। এসব জায়গায় অন্য কেউ স্পর্শ করলে সুড়সুড়ি লাগে এবং মানুষ অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। তবে নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে আর তেমন লাগে না।
বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, যখন সুড়সুড়ি দেওয়া হয় তখন মানুষ প্রকৃতপক্ষে আতঙ্কিত হয়। এটি মাকড়সার মতো ছোট পোকামাকড় থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পোকামাকড় গায়ে উঠলে পুরো শরীরে একটি ঠান্ডা শিরশিরে ভাব অনুভূত হয়। এর মাধ্যমে বোঝা যায় শরীরের ওপরে কোনো কিছু রয়েছে।
সেই একই সুড়সুড়ির অনুভূতি মানুষের ভেতরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ও অন্য কোনো ব্যক্তি সুড়সুড়ি দিলে এর প্রতিক্রিয়ায় মানুষ অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। নিজেকে সুড়সুড়ি দিতে না পারার কারণ হলো—আপনি যখন নিজের শরীরের কোনো অংশ স্পর্শ করেন তখন মস্তিষ্কের একটি অংশ এই নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করে এবং এই সংবেদ যে ঘটবে তা আগে থেকেই অনুমান করতে পারে।
এই কারণে হাঁটার সময় হাতের সঙ্গে শরীরের স্পর্শ হলেও তা আলাদা করে মানুষ অনুভব করে না। তবে অন্য কেউ আপনাকে স্পর্শ করলেই আপনি চমকে উঠবেন। যদি মানুষের মস্তিষ্ক শরীরের গতিবিধি ও সেগুলো থেকে তৈরি সংবেদগুলোকে পর্যবেক্ষণ না করে তাহলে মানুষ ক্রমাগত স্পর্শ, খোঁচা দেওয়ার অনুভূতি পেত! ফলে অন্য কোনো কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ত। নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দেওয়া এর অন্যতম উদাহরণ। আপনি নিজেকে নিজে স্পর্শ করছেন তা মস্তিষ্ক বুঝতে পারে, তখন মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো থেকে বিরত থাকে।
নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে ও অন্যজনে সুড়সুড়ির দিলে মস্তিষ্ক কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা তুলনা করা জন্য মস্তিষ্কের ইমেজিং শুরু করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা। শরীরে সংবেদ সৃষ্টির জন্য দায়ী মস্তিষ্কের অংশকে সোমাটোসেন্সরি করটেক্স বলা হয়। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষায় দেখতে পান, অন্যের সুড়সুড়ির তুলনায় নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে এই অংশ কম প্রতিক্রিয়া দেখায়। তাঁরা দেখেন, মস্তিষ্কের সেরিবেলাম (মস্তিষ্কের যে অংশ গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে ও ভারসাম্য বজায় রাখে) গতিবিধিগুলো পর্যবেক্ষণ করে ও নিজেকে নিজে স্পর্শ করলে যে সংবেদ উৎপন্ন হয় তা দমন করার জন্য সংকেত পাঠায়।
মস্তিষ্ককে বোকা বানিয়ে নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দেওয়ার অনুভূতি দেওয়া যায় কি না সে চেষ্টাও করেন বিজ্ঞানীরা। মজার বিষয় হলো—তাঁরা একটি সুড়সুড়ি দেওয়া মেশিন তৈরি করেন। এই মেশিনের মাধ্যমে গবেষণায় অংশগ্রহণকারী একটি লিভার টেনে নিজেদের সুড়সুড়ি দেওয়ার অনুভূতি দিতে পারেন। গবেষকেরা দেখেন, লিভার টানার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীর সুড়সুড়ির অনুভূতি বাড়ানো যায়। অংশগ্রহণকারীর লিভার টান দেওয়া ও মেশিনের সুড়সুড়ি দেওয়ার মধ্যে এক সেকেন্ডের কম সময় ব্যবধান রাখার মাধ্যমে মস্তিষ্ককে বোকা বানানো সম্ভব হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ব্রিটানিকা ও হাও স্টাফ ওয়ার্কস
প্রায় প্রতিটি মানুষের শরীরের কোনো না কোনো অংশে সুড়সুড়ির অনুভূতি রয়েছে। এসব জায়গায় অন্য কেউ স্পর্শ করলে সুড়সুড়ি লাগে এবং মানুষ অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। তবে নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে আর তেমন লাগে না।
বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, যখন সুড়সুড়ি দেওয়া হয় তখন মানুষ প্রকৃতপক্ষে আতঙ্কিত হয়। এটি মাকড়সার মতো ছোট পোকামাকড় থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পোকামাকড় গায়ে উঠলে পুরো শরীরে একটি ঠান্ডা শিরশিরে ভাব অনুভূত হয়। এর মাধ্যমে বোঝা যায় শরীরের ওপরে কোনো কিছু রয়েছে।
সেই একই সুড়সুড়ির অনুভূতি মানুষের ভেতরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ও অন্য কোনো ব্যক্তি সুড়সুড়ি দিলে এর প্রতিক্রিয়ায় মানুষ অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। নিজেকে সুড়সুড়ি দিতে না পারার কারণ হলো—আপনি যখন নিজের শরীরের কোনো অংশ স্পর্শ করেন তখন মস্তিষ্কের একটি অংশ এই নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করে এবং এই সংবেদ যে ঘটবে তা আগে থেকেই অনুমান করতে পারে।
এই কারণে হাঁটার সময় হাতের সঙ্গে শরীরের স্পর্শ হলেও তা আলাদা করে মানুষ অনুভব করে না। তবে অন্য কেউ আপনাকে স্পর্শ করলেই আপনি চমকে উঠবেন। যদি মানুষের মস্তিষ্ক শরীরের গতিবিধি ও সেগুলো থেকে তৈরি সংবেদগুলোকে পর্যবেক্ষণ না করে তাহলে মানুষ ক্রমাগত স্পর্শ, খোঁচা দেওয়ার অনুভূতি পেত! ফলে অন্য কোনো কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ত। নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দেওয়া এর অন্যতম উদাহরণ। আপনি নিজেকে নিজে স্পর্শ করছেন তা মস্তিষ্ক বুঝতে পারে, তখন মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো থেকে বিরত থাকে।
নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে ও অন্যজনে সুড়সুড়ির দিলে মস্তিষ্ক কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা তুলনা করা জন্য মস্তিষ্কের ইমেজিং শুরু করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা। শরীরে সংবেদ সৃষ্টির জন্য দায়ী মস্তিষ্কের অংশকে সোমাটোসেন্সরি করটেক্স বলা হয়। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষায় দেখতে পান, অন্যের সুড়সুড়ির তুলনায় নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে এই অংশ কম প্রতিক্রিয়া দেখায়। তাঁরা দেখেন, মস্তিষ্কের সেরিবেলাম (মস্তিষ্কের যে অংশ গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে ও ভারসাম্য বজায় রাখে) গতিবিধিগুলো পর্যবেক্ষণ করে ও নিজেকে নিজে স্পর্শ করলে যে সংবেদ উৎপন্ন হয় তা দমন করার জন্য সংকেত পাঠায়।
মস্তিষ্ককে বোকা বানিয়ে নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দেওয়ার অনুভূতি দেওয়া যায় কি না সে চেষ্টাও করেন বিজ্ঞানীরা। মজার বিষয় হলো—তাঁরা একটি সুড়সুড়ি দেওয়া মেশিন তৈরি করেন। এই মেশিনের মাধ্যমে গবেষণায় অংশগ্রহণকারী একটি লিভার টেনে নিজেদের সুড়সুড়ি দেওয়ার অনুভূতি দিতে পারেন। গবেষকেরা দেখেন, লিভার টানার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীর সুড়সুড়ির অনুভূতি বাড়ানো যায়। অংশগ্রহণকারীর লিভার টান দেওয়া ও মেশিনের সুড়সুড়ি দেওয়ার মধ্যে এক সেকেন্ডের কম সময় ব্যবধান রাখার মাধ্যমে মস্তিষ্ককে বোকা বানানো সম্ভব হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ব্রিটানিকা ও হাও স্টাফ ওয়ার্কস
মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
১৬ ঘণ্টা আগেপৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
২ দিন আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
২ দিন আগেআপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন—কেন কুকুর, বিড়াল বা গরিলার মতো আপনার সারা শরীর ঘন লোমে ঢাকা নয়? মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয় যাদের লোম পাতলা। হাতি, গন্ডার এবং নেংটি ইঁদুরের গায়েও খুব কম লোম থাকে। তিমি এবং ডলফিনের মতো কিছু সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
৪ দিন আগে