
১৯৮১ সালের ৩০ মে। সেদিন ভোরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপে চট্টগ্রামে বেশ ঝড়–বাদলা হচ্ছিল। সেই বৃষ্টির মাঝেই চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে অবস্থানরত তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গুলির শব্দ শুনতে পান। ১৯৬৫ সালের ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা হিসেবে সাহসিকতার পরিচয় দেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন।
জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত জিয়া ছিলেন এক কর্মোদ্যমী ব্যক্তিত্ব। লুকো-ছাপার স্বভাব তাঁর ছিল না। আর তাই গুলির শব্দ শুনে নাইট গাউন পরেই গুলির উৎস খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন। আর ঠিক তখনই গুলির বৃষ্টিতে তাঁর দেহ আক্ষরিক অর্থেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়!
এই নাটকীয় পরিস্থিতিই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পদার্পণে উদ্বুদ্ধ করে। শোনা যায়, জিয়াউর রহমানকে হত্যার খবর শুনে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেই ঘটনার দুই বছর ছয় মাস পর খালেদা জিয়া আবদুস সাত্তারে স্থলে বিএনপির নেতা হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৮৪ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দায়িত্ব নেন।
জিয়াউর রহমান যখন মারা যান, তখন বাংলাদেশের এক উত্তাল সময়। এই সময়ের মধ্যেই ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফেরেন। খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার রাজনীতিতে আসার পটভূমি ছিল একেবারে ভিন্ন। খালেদা জিয়া ছিলেন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এক বাঙালি কর্মকর্তার স্ত্রী। আর শেখ হাসিনা ছিলেন পাকিস্তান–বিরোধী আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা শেখ মুজিবের মেয়ে। কিন্তু ১৯৮৪ সালে এ দুই নেত্রী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের বিরোধিতায় গঠিত দুটি রাজনৈতিক জোটের নেতৃত্ব দেন।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে খালেদা জিয়া সাতদলীয় জোটের নেতৃত্ব দেন, আর হাসিনা নেতৃত্ব দেন পনেরো দলীয় জোটের। উভয় জোটই এরশাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে। ১৯৮৬ সালে এরশাদ একটি প্রহসনের নির্বাচন (যে নির্বাচন বিএনপি পূর্ব ঘোষণা অনুসারে বর্জন করলেও হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদলে তাতে অংশগ্রহণ করে) আয়োজন করেন। পরে অবশ্য এই ভুয়া নির্বাচনে ক্ষুব্ধ হয়ে দুই জোট একসঙ্গে কাজ শুরু করে এবং শেষমেশ ১৯৯০ সালে এরশাদকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়।
এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয় বিএনপি। খালেদা জিয়া, যিনি বেগম খালেদা জিয়া নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসার পরপরই ভয়াবহ এক ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৫ লাখ মানুষ মারা যায়। এই সুযোগে হাসিনা বিএনপি সরকারকে অদক্ষ আখ্যা দেন। বিরোধিতার পরও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও বিএনপি জয়ী হয়। তবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে এবং শেষমেশ বিএনপি সমঝোতার অংশ হিসেবে ক্ষমতা ছাড়ে। এরপর হাসিনা প্রথমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
খালেদা ও হাসিনা ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিলেন। ২০০১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে খালেদা জিয়া আবার ক্ষমতায় ফেরেন এবং ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর পরের ১৫ বছরে শেখ হাসিনা টানা ক্ষমতায় (এই সময়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমন–পীড়ন, খুন, গুম এবং প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগ ওঠে) থাকলেও বিএনপি মাঠে তাদের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছিল। খালেদা জিয়া এ সময়ে কিছুটা পেছনের সারিতে ছিলেন (মূলত অসুস্থতার কারণে)। দলের কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাঁরা দলের প্রতিরোধমূলক মনোভাব বজায় রেখেছিলেন। বিএনপির এই মনোভাব ২০১৪,২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট (ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে) হাসিনার সরকারের পতনের পর মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া জানান, তিনি বর্তমানে নির্বাসিত শেখ হাসিনার প্রতি কোনো বিদ্বেষ পোষণ করেন না। এতে ইঙ্গিত মেলে যে, তিনি দেশের রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং অপেক্ষায় আছেন, এটি দেখার জন্য যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার কত দিন টেকে। যদিও বিএনপি অতীতে নির্বাচন বর্জন করেছে, তবে এটা সত্য যে,২০২১ সালে হাসিনার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের জন’স হপকিন্স হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঢাকা আসতে বাধা দেয়নি। এই চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়ার জটিল অস্ত্রোপচার করেছিলেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল হওয়ার প্রেক্ষাপটে ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আবারও আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন। তবে এবার তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্ক। চলতি মাসের শুরুতে কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে বহুদিন পর দেখা হলো। তারেক ২০০৬–০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে নির্বাসনে আছেন। গত সপ্তাহে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের একটি দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন। হাসিনা সরকারের আমলে তাঁকে এই মামলায় ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতিতে অনেকে ঝরে গেলেও খালেদা জিয়া টিকে গেছেন। আর তিনি এখনো কতটা কুশলী তা আরও একবার পরীক্ষার মুখে পড়বে অন্তর্বর্তী সরকার যখন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।

১৯৮১ সালের ৩০ মে। সেদিন ভোরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপে চট্টগ্রামে বেশ ঝড়–বাদলা হচ্ছিল। সেই বৃষ্টির মাঝেই চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে অবস্থানরত তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গুলির শব্দ শুনতে পান। ১৯৬৫ সালের ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা হিসেবে সাহসিকতার পরিচয় দেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন।
জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত জিয়া ছিলেন এক কর্মোদ্যমী ব্যক্তিত্ব। লুকো-ছাপার স্বভাব তাঁর ছিল না। আর তাই গুলির শব্দ শুনে নাইট গাউন পরেই গুলির উৎস খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন। আর ঠিক তখনই গুলির বৃষ্টিতে তাঁর দেহ আক্ষরিক অর্থেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়!
এই নাটকীয় পরিস্থিতিই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পদার্পণে উদ্বুদ্ধ করে। শোনা যায়, জিয়াউর রহমানকে হত্যার খবর শুনে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেই ঘটনার দুই বছর ছয় মাস পর খালেদা জিয়া আবদুস সাত্তারে স্থলে বিএনপির নেতা হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৮৪ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দায়িত্ব নেন।
জিয়াউর রহমান যখন মারা যান, তখন বাংলাদেশের এক উত্তাল সময়। এই সময়ের মধ্যেই ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফেরেন। খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার রাজনীতিতে আসার পটভূমি ছিল একেবারে ভিন্ন। খালেদা জিয়া ছিলেন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এক বাঙালি কর্মকর্তার স্ত্রী। আর শেখ হাসিনা ছিলেন পাকিস্তান–বিরোধী আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা শেখ মুজিবের মেয়ে। কিন্তু ১৯৮৪ সালে এ দুই নেত্রী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের বিরোধিতায় গঠিত দুটি রাজনৈতিক জোটের নেতৃত্ব দেন।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে খালেদা জিয়া সাতদলীয় জোটের নেতৃত্ব দেন, আর হাসিনা নেতৃত্ব দেন পনেরো দলীয় জোটের। উভয় জোটই এরশাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে। ১৯৮৬ সালে এরশাদ একটি প্রহসনের নির্বাচন (যে নির্বাচন বিএনপি পূর্ব ঘোষণা অনুসারে বর্জন করলেও হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদলে তাতে অংশগ্রহণ করে) আয়োজন করেন। পরে অবশ্য এই ভুয়া নির্বাচনে ক্ষুব্ধ হয়ে দুই জোট একসঙ্গে কাজ শুরু করে এবং শেষমেশ ১৯৯০ সালে এরশাদকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়।
এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয় বিএনপি। খালেদা জিয়া, যিনি বেগম খালেদা জিয়া নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসার পরপরই ভয়াবহ এক ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৫ লাখ মানুষ মারা যায়। এই সুযোগে হাসিনা বিএনপি সরকারকে অদক্ষ আখ্যা দেন। বিরোধিতার পরও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও বিএনপি জয়ী হয়। তবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে এবং শেষমেশ বিএনপি সমঝোতার অংশ হিসেবে ক্ষমতা ছাড়ে। এরপর হাসিনা প্রথমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
খালেদা ও হাসিনা ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিলেন। ২০০১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে খালেদা জিয়া আবার ক্ষমতায় ফেরেন এবং ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর পরের ১৫ বছরে শেখ হাসিনা টানা ক্ষমতায় (এই সময়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমন–পীড়ন, খুন, গুম এবং প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগ ওঠে) থাকলেও বিএনপি মাঠে তাদের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছিল। খালেদা জিয়া এ সময়ে কিছুটা পেছনের সারিতে ছিলেন (মূলত অসুস্থতার কারণে)। দলের কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাঁরা দলের প্রতিরোধমূলক মনোভাব বজায় রেখেছিলেন। বিএনপির এই মনোভাব ২০১৪,২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট (ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে) হাসিনার সরকারের পতনের পর মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া জানান, তিনি বর্তমানে নির্বাসিত শেখ হাসিনার প্রতি কোনো বিদ্বেষ পোষণ করেন না। এতে ইঙ্গিত মেলে যে, তিনি দেশের রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং অপেক্ষায় আছেন, এটি দেখার জন্য যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার কত দিন টেকে। যদিও বিএনপি অতীতে নির্বাচন বর্জন করেছে, তবে এটা সত্য যে,২০২১ সালে হাসিনার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের জন’স হপকিন্স হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঢাকা আসতে বাধা দেয়নি। এই চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়ার জটিল অস্ত্রোপচার করেছিলেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল হওয়ার প্রেক্ষাপটে ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আবারও আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন। তবে এবার তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্ক। চলতি মাসের শুরুতে কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে বহুদিন পর দেখা হলো। তারেক ২০০৬–০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে নির্বাসনে আছেন। গত সপ্তাহে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের একটি দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন। হাসিনা সরকারের আমলে তাঁকে এই মামলায় ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতিতে অনেকে ঝরে গেলেও খালেদা জিয়া টিকে গেছেন। আর তিনি এখনো কতটা কুশলী তা আরও একবার পরীক্ষার মুখে পড়বে অন্তর্বর্তী সরকার যখন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় বিএনপির চার নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। কমিটির সেক্রেটারি করা হয়েছে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার রাজনীতিতে আসার পটভূমি ছিল একেবারে ভিন্ন। খালেদা জিয়া ছিলেন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এক বাঙালি কর্মকর্তার স্ত্রী। আর শেখ হাসিনা ছিলেন পাকিস্তান–বিরোধী আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা শেখ মুজিবের মেয়ে। কিন্তু ১৯৮৪ সালে এ দুই নেত্রী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের বিরোধিতায় গঠিত দুটি র
২০ জানুয়ারি ২০২৫
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় বিএনপির চার নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। কমিটির সেক্রেটারি করা হয়েছে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামী জোটবদ্ধভাবেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে উল্লেখ করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে আমরা, দেশবাসী সবাই নির্বাচন দেখতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার সকালে ওমরাহ পালন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক সফর শেষে ঢাকায় ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেনি। আমি দেখেছি, ২৩৭টি আসনে তাঁরা তালিকা প্রকাশ করেছেন, আর প্রশ্নোত্তরে বলেছেন, এটি চূড়ান্ত নয়। এর মধ্যেও পরিবর্তন আসতে পারে। আমরা কিন্তু এক বছর আগেই এই তালিকা আঞ্চলিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি। চূড়ান্ত তালিকাটা সময়মতো আমরা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করব। যেহেতু আমরা একা ইলেকশন করব না, আরও অনেককে আমরা ধারণ করব, দেশ এবং জাতির স্বার্থে সব দিক বিবেচনা করেই চূড়ান্তভাবে যথাসময়ে আমরা প্রার্থী ঘোষণা করব।’
প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগের জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো ব্যাপকভিত্তিক আমাদের প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ভোটার হওয়ার জন্য অক্টোবরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য যে সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে, তা প্রোপারলি ফাংশন করে নাই, যার কারণে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। আমাদের দাবি থাকবে নির্বাচন কমিশনের কাছে কমপক্ষে আরও ১৫ দিন এই সময় বর্ধিত করা হোক এবং যে জটিলতাগুলো রয়েছে, সেগুলো সহজ করে তাদের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।’
দলগুলোর মতানৈক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতানৈক্য থাকবে, তবে দোয়া করেন মতবিরোধ যেন না হয়। মতের ভিন্নতা থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সব দল তো এক দল নয়। সবগুলো দল ভিন্ন ভিন্ন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও পার্থক্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা সবার মতকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখি। তবে আমরা নিজেরা যে মতটা প্রকাশ করি, আমরা চেষ্টা করি চিন্তাভাবনা করে জাতির স্বার্থেই সে মতগুলো প্রকাশ করার। অতএব মতানৈক্য এটা ডেমোক্রেসির সৌন্দর্য। এটার জন্য এখানে বিরোধ লেগে গেছে অথবা দেশ একেবারে অস্থির হয়ে গেছে, আমরা এইটা চিন্তা করতে রাজি নই।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলা বসে যদি একটা কনসেনসাসে (ঐকমত্যে) পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো এবং আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ এবং জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
জামায়াত আমিরকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামী জোটবদ্ধভাবেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে উল্লেখ করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে আমরা, দেশবাসী সবাই নির্বাচন দেখতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার সকালে ওমরাহ পালন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক সফর শেষে ঢাকায় ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেনি। আমি দেখেছি, ২৩৭টি আসনে তাঁরা তালিকা প্রকাশ করেছেন, আর প্রশ্নোত্তরে বলেছেন, এটি চূড়ান্ত নয়। এর মধ্যেও পরিবর্তন আসতে পারে। আমরা কিন্তু এক বছর আগেই এই তালিকা আঞ্চলিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি। চূড়ান্ত তালিকাটা সময়মতো আমরা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করব। যেহেতু আমরা একা ইলেকশন করব না, আরও অনেককে আমরা ধারণ করব, দেশ এবং জাতির স্বার্থে সব দিক বিবেচনা করেই চূড়ান্তভাবে যথাসময়ে আমরা প্রার্থী ঘোষণা করব।’
প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগের জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো ব্যাপকভিত্তিক আমাদের প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ভোটার হওয়ার জন্য অক্টোবরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য যে সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে, তা প্রোপারলি ফাংশন করে নাই, যার কারণে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। আমাদের দাবি থাকবে নির্বাচন কমিশনের কাছে কমপক্ষে আরও ১৫ দিন এই সময় বর্ধিত করা হোক এবং যে জটিলতাগুলো রয়েছে, সেগুলো সহজ করে তাদের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।’
দলগুলোর মতানৈক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতানৈক্য থাকবে, তবে দোয়া করেন মতবিরোধ যেন না হয়। মতের ভিন্নতা থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সব দল তো এক দল নয়। সবগুলো দল ভিন্ন ভিন্ন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও পার্থক্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা সবার মতকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখি। তবে আমরা নিজেরা যে মতটা প্রকাশ করি, আমরা চেষ্টা করি চিন্তাভাবনা করে জাতির স্বার্থেই সে মতগুলো প্রকাশ করার। অতএব মতানৈক্য এটা ডেমোক্রেসির সৌন্দর্য। এটার জন্য এখানে বিরোধ লেগে গেছে অথবা দেশ একেবারে অস্থির হয়ে গেছে, আমরা এইটা চিন্তা করতে রাজি নই।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলা বসে যদি একটা কনসেনসাসে (ঐকমত্যে) পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো এবং আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ এবং জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
জামায়াত আমিরকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম প্রমুখ।

খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার রাজনীতিতে আসার পটভূমি ছিল একেবারে ভিন্ন। খালেদা জিয়া ছিলেন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এক বাঙালি কর্মকর্তার স্ত্রী। আর শেখ হাসিনা ছিলেন পাকিস্তান–বিরোধী আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা শেখ মুজিবের মেয়ে। কিন্তু ১৯৮৪ সালে এ দুই নেত্রী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের বিরোধিতায় গঠিত দুটি র
২০ জানুয়ারি ২০২৫
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় বিএনপির চার নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। কমিটির সেক্রেটারি করা হয়েছে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় বিএনপির চার নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যার পরে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলাধীন সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার, জলিল গেট এলাকায় সহিংসতা, হানাহানি, রাস্তা অবরোধসহ নানাবিধ জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় (আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত) সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাবর, সীতাকুণ্ড পৌরসভার আহ্বায়ক মামুন, যুবদলের সোনাইছড়ির সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন মিন্টুকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে ১০টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন (চেয়ারম্যান), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড)-এ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-হালিশহর) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ এনামুল হক, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় বিএনপির চার নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যার পরে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলাধীন সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার, জলিল গেট এলাকায় সহিংসতা, হানাহানি, রাস্তা অবরোধসহ নানাবিধ জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় (আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত) সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাবর, সীতাকুণ্ড পৌরসভার আহ্বায়ক মামুন, যুবদলের সোনাইছড়ির সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন মিন্টুকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে ১০টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন (চেয়ারম্যান), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড)-এ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-হালিশহর) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ এনামুল হক, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়।

খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার রাজনীতিতে আসার পটভূমি ছিল একেবারে ভিন্ন। খালেদা জিয়া ছিলেন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এক বাঙালি কর্মকর্তার স্ত্রী। আর শেখ হাসিনা ছিলেন পাকিস্তান–বিরোধী আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা শেখ মুজিবের মেয়ে। কিন্তু ১৯৮৪ সালে এ দুই নেত্রী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের বিরোধিতায় গঠিত দুটি র
২০ জানুয়ারি ২০২৫
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৪ ঘণ্টা আগে
মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। কমিটির সেক্রেটারি করা হয়েছে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। কমিটির সেক্রেটারি করা হয়েছে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে।
সোমবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছে দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম মাহির, খালেদ সাইফুল্লাহ ও এহতেশাম হক; যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিন, আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা ও অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর; যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাইফুল্লাহ হায়দার এবং যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে এই কমিটি এনসিপির সার্বিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা, প্রার্থী বাছাই, মাঠপর্যায়ের সমন্বয়, আইনি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম, মিডিয়া ও প্রচারণা এবং প্রশিক্ষণ ও মনিটরিংয়ের কাজ করবে।

মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে প্রধান করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। কমিটির সেক্রেটারি করা হয়েছে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে।
সোমবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছে দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম মাহির, খালেদ সাইফুল্লাহ ও এহতেশাম হক; যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিন, আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা ও অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর; যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাইফুল্লাহ হায়দার এবং যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে এই কমিটি এনসিপির সার্বিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা, প্রার্থী বাছাই, মাঠপর্যায়ের সমন্বয়, আইনি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম, মিডিয়া ও প্রচারণা এবং প্রশিক্ষণ ও মনিটরিংয়ের কাজ করবে।

খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার রাজনীতিতে আসার পটভূমি ছিল একেবারে ভিন্ন। খালেদা জিয়া ছিলেন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এক বাঙালি কর্মকর্তার স্ত্রী। আর শেখ হাসিনা ছিলেন পাকিস্তান–বিরোধী আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা শেখ মুজিবের মেয়ে। কিন্তু ১৯৮৪ সালে এ দুই নেত্রী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের বিরোধিতায় গঠিত দুটি র
২০ জানুয়ারি ২০২৫
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় বিএনপির চার নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে