নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আমেরিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমেরিকানরা এসে চলে গেলেন। মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো তাঁদের জিস্ট। যা তাঁরা বলতে চেয়েছিলেন। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম নির্বাচন তাঁদের কাম্য। তাঁরা সফট টোনে বলে গেছেন। এখানে কাউকে ধমক দিয়ে বা ভিসা নীতি আসবে, এ নিষেধাজ্ঞা আসবে, এটা না করলে ওইটা হবে, এ ধরনের উক্তি তাঁরা করেননি। তাঁরা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেননি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের হওয়া মতবিনিময় সভার শুরুতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, এখানে বিদেশিরা এসেছেন। নির্বাচন সম্পর্কে জানতে, পরিবেশ দেখতে। সবাই যে শুধু নির্বাচনের জন্য আসছেন, সেটা কিন্তু না। আমেরিকানরা প্রথমে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেননি। আমেরিকা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাঁরা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে যে আশঙ্কা, ধারণাটা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, সেটা হচ্ছে এবার আর সরকারের উপায় নেই। নিষেধাজ্ঞা নির্ঘাত আসছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি মনে করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা সরকারকে বিপদে ফেলবে। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসবে। হয়তো সরকারকে বলে দেবে, এভাবে নির্বাচন করো। পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তত্ত্বাবধায়ক এসে যাবে। আবার প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। এসব কিছু ধারণা, আশঙ্কা তারা (বিএনপি) তৈরি করেছিল। জনমনেও ভীতি—আবার কী হচ্ছে।
কাদের বলেন, শেষ পর্যন্ত কী হলো? আমেরিকানরা এসে চলে গেলেন। তাঁরা মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো তাঁদের জিস্ট। যা তাঁরা বলতে চেয়েছিলেন। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম নির্বাচন তাঁদের কাম্য। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম তাঁরা বলে গেছেন সফট টোনে। এখানে কাউকে ধমক দিয়ে বা ভিসা নীতি আসবে, এ নিষেধাজ্ঞা আসবে, এটা না করলে ওইটা হবে, এ ধরনের উক্তি তাঁরা করেননি। তাঁরা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেননি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোনো কিছুই তাঁরা বলেননি। তাঁরা বলেছেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, নট অংশগ্রহণমূলক। অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছিল তাঁদের বক্তব্যের মূল কথা, মূল ফোকাস।
বিএনপির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা যেটা মনে করি, বিএনপি মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে বিদেশিদের প্রতিনিধিদের বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে যে পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল, সেটা ব্যর্থ হয়েছে।’
বিদেশিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ও নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রতি সমর্থন করেছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছে বিদেশিরা। আমরা এইটুকু বুঝি, এর বাইরে কিছু শুনতে চাই না। যা আলোচনা হয়েছে সব গণমাধ্যমে চলে এসেছে।’
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘সবাই একমত, আমরা সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করব। জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত বিএনপি পরিহার করত। তারা সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। নির্বাচন ভন্ডুলের অপচেষ্টা তাদের আছে। এটা হলে তার দায় বিএনপিকে নিতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আসলে দফা কয়টা তা জানে না। দল কয়টা সেটাও জানে না। এবার দেখলাম ৫৪টা, তারপর ৫২, এখন আবার ৩৭ দল এসেছে। এখন রাষ্ট্রকে মেরামত করবে এর জন্য ৩২ দফা। আগে ছিল ২৭ দফা। তাদের আন্দোলন, জগাখিচুড়ি ঐক্যজোটের পরিণতি গতবারও দেখেছি। এবারও ঠিক সেই দিকে যাচ্ছে।’
কাদের বলেন, বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। তারা সেই ডিসেম্বর থেকে যে তোড়জোড়, গণ-অভ্যুত্থান। এখন তো এটাই হলো বাস্তবতা—গণ-অভ্যুত্থান থেকে পদযাত্রা। তার মানে তাদের কতটা অবনতি হয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীরা হতাশ। নেতাদের দোষারোপ করছে। যে আওয়াজ নিয়ে এসেছিল মনে হয়েছিল সেই দিনই সরকার পতন ঘটাবে।
কাদের আরও বলেন, ‘ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যে অপপ্রচার হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে ঢাকা শহর তারা ঘিরে ফেলবে, আমরা পালাবার পথ পাব না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দফায় তারা এক দফার যে হাঁকডাক দিল, নেতা-কর্মীদের বোঝাতে চাইল, এবার সরকার পতন হবেই। কিন্তু সরকার পতনের এক দফা থেকে তারা আবার পদযাত্রায় গেল, এর অর্থ সরকারের পতন ঘটাতে যে শক্তি, সমাবেশ তাদের দরকার সেটা পারছে না। এর মূল কৃতিত্ব আওয়ামী লীগ নয়, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কারণেই। তাঁর জনপ্রিয়তা বিরোধী দলের ভয়ের কারণ। তারা এই জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের আচরণে আমরা একটি দায়িত্বশীল সরকারি দল তার প্রমাণ জনগণের সামনে রাখতে হবে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা এমন কিছু বলব না, করব না, যাতে আমাদের সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি বা সংশয় সৃষ্টি হয়। আর জনগণ যেন মনে না করে, আমরা সংঘাতের কোনো উসকানি দিচ্ছি। আমরা জেতা দল, আমরা জিতব ইনশা আল্লাহ। কয়েকটা মাস আমাদের ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিতে হবে।’
বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দূরত্ব দেখা গেছে, যা সমাধানের তাগিদ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘কারও কারও মধ্যে এ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তা হলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নেব। কারণ, আমাদের দলকে বিচ্ছিন্ন হতে দেব না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। কোনো গ্যাপ থাকলে আলোচনা করে দূরত্ব ঘোচাতে হবে।’
এ সময় আগামীতে আওয়ামী লীগের সব সমাবেশের নাম হবে ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আগামী ৩০ জুলাই আমাদের নেত্রী রংপুর যাবেন। আগস্ট মাসে তিনি ব্যাপকভাবে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করবেন। সেই সূচি তৈরি হচ্ছে। মহামারির কারণে গ্যাপ হয়ে গেছে। তাই নেত্রীরও জেলা পর্যায়ে যাওয়ার প্রয়োজন আছে।’
সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। এ সময় আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণভাবে সতর্কতার সঙ্গে রাজপথে থাকবে বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন। সে পরিবেশ আমরা রক্ষা করব।’
এ সময় আগস্ট মাসে কৃষক সমাবেশ, ছাত্র সমাবেশ, শ্রমিক সমাবেশ, যুব সমাবেশ করার জন্য সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে করার জন্য নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের।
১৮ জুলাই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়নের শোভাযাত্রা করবে বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর শোভাযাত্রা করবে। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের পক্ষ থেকে সাতরাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওই দিন কি ওদের (বিএনপি) যাত্রাপথে বিঘ্ন হবে?’ জবাবে উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘ওরা উত্তরা থেকে বাহাদুর শাহ পার্কে যাবে।’ পরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাড্ডাতে করার প্রস্তাব দেন।’ এ সময় কচি বলেন, ‘ওই রাস্তাটা (সাতরাস্তা) ভালো।’ জবাবে কাদের বলেন, ‘ভালো এক কথা কিন্তু সংঘর্ষ যেন না হয়। মুখোমুখি বর্জন করতে হবে। রুটটা আমরা পরে নির্ধারণ করব।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বীরেন শিকদারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা দল নেবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এগুলো গুজব। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই।’

আমেরিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমেরিকানরা এসে চলে গেলেন। মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো তাঁদের জিস্ট। যা তাঁরা বলতে চেয়েছিলেন। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম নির্বাচন তাঁদের কাম্য। তাঁরা সফট টোনে বলে গেছেন। এখানে কাউকে ধমক দিয়ে বা ভিসা নীতি আসবে, এ নিষেধাজ্ঞা আসবে, এটা না করলে ওইটা হবে, এ ধরনের উক্তি তাঁরা করেননি। তাঁরা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেননি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের হওয়া মতবিনিময় সভার শুরুতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, এখানে বিদেশিরা এসেছেন। নির্বাচন সম্পর্কে জানতে, পরিবেশ দেখতে। সবাই যে শুধু নির্বাচনের জন্য আসছেন, সেটা কিন্তু না। আমেরিকানরা প্রথমে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেননি। আমেরিকা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাঁরা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে যে আশঙ্কা, ধারণাটা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, সেটা হচ্ছে এবার আর সরকারের উপায় নেই। নিষেধাজ্ঞা নির্ঘাত আসছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি মনে করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা সরকারকে বিপদে ফেলবে। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসবে। হয়তো সরকারকে বলে দেবে, এভাবে নির্বাচন করো। পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তত্ত্বাবধায়ক এসে যাবে। আবার প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। এসব কিছু ধারণা, আশঙ্কা তারা (বিএনপি) তৈরি করেছিল। জনমনেও ভীতি—আবার কী হচ্ছে।
কাদের বলেন, শেষ পর্যন্ত কী হলো? আমেরিকানরা এসে চলে গেলেন। তাঁরা মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো তাঁদের জিস্ট। যা তাঁরা বলতে চেয়েছিলেন। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম নির্বাচন তাঁদের কাম্য। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম তাঁরা বলে গেছেন সফট টোনে। এখানে কাউকে ধমক দিয়ে বা ভিসা নীতি আসবে, এ নিষেধাজ্ঞা আসবে, এটা না করলে ওইটা হবে, এ ধরনের উক্তি তাঁরা করেননি। তাঁরা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেননি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোনো কিছুই তাঁরা বলেননি। তাঁরা বলেছেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, নট অংশগ্রহণমূলক। অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছিল তাঁদের বক্তব্যের মূল কথা, মূল ফোকাস।
বিএনপির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা যেটা মনে করি, বিএনপি মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে বিদেশিদের প্রতিনিধিদের বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে যে পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল, সেটা ব্যর্থ হয়েছে।’
বিদেশিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ও নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রতি সমর্থন করেছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছে বিদেশিরা। আমরা এইটুকু বুঝি, এর বাইরে কিছু শুনতে চাই না। যা আলোচনা হয়েছে সব গণমাধ্যমে চলে এসেছে।’
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘সবাই একমত, আমরা সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করব। জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত বিএনপি পরিহার করত। তারা সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। নির্বাচন ভন্ডুলের অপচেষ্টা তাদের আছে। এটা হলে তার দায় বিএনপিকে নিতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আসলে দফা কয়টা তা জানে না। দল কয়টা সেটাও জানে না। এবার দেখলাম ৫৪টা, তারপর ৫২, এখন আবার ৩৭ দল এসেছে। এখন রাষ্ট্রকে মেরামত করবে এর জন্য ৩২ দফা। আগে ছিল ২৭ দফা। তাদের আন্দোলন, জগাখিচুড়ি ঐক্যজোটের পরিণতি গতবারও দেখেছি। এবারও ঠিক সেই দিকে যাচ্ছে।’
কাদের বলেন, বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। তারা সেই ডিসেম্বর থেকে যে তোড়জোড়, গণ-অভ্যুত্থান। এখন তো এটাই হলো বাস্তবতা—গণ-অভ্যুত্থান থেকে পদযাত্রা। তার মানে তাদের কতটা অবনতি হয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীরা হতাশ। নেতাদের দোষারোপ করছে। যে আওয়াজ নিয়ে এসেছিল মনে হয়েছিল সেই দিনই সরকার পতন ঘটাবে।
কাদের আরও বলেন, ‘ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যে অপপ্রচার হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে ঢাকা শহর তারা ঘিরে ফেলবে, আমরা পালাবার পথ পাব না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দফায় তারা এক দফার যে হাঁকডাক দিল, নেতা-কর্মীদের বোঝাতে চাইল, এবার সরকার পতন হবেই। কিন্তু সরকার পতনের এক দফা থেকে তারা আবার পদযাত্রায় গেল, এর অর্থ সরকারের পতন ঘটাতে যে শক্তি, সমাবেশ তাদের দরকার সেটা পারছে না। এর মূল কৃতিত্ব আওয়ামী লীগ নয়, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কারণেই। তাঁর জনপ্রিয়তা বিরোধী দলের ভয়ের কারণ। তারা এই জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের আচরণে আমরা একটি দায়িত্বশীল সরকারি দল তার প্রমাণ জনগণের সামনে রাখতে হবে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা এমন কিছু বলব না, করব না, যাতে আমাদের সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি বা সংশয় সৃষ্টি হয়। আর জনগণ যেন মনে না করে, আমরা সংঘাতের কোনো উসকানি দিচ্ছি। আমরা জেতা দল, আমরা জিতব ইনশা আল্লাহ। কয়েকটা মাস আমাদের ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দিতে হবে।’
বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দূরত্ব দেখা গেছে, যা সমাধানের তাগিদ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘কারও কারও মধ্যে এ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তা হলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা নেব। কারণ, আমাদের দলকে বিচ্ছিন্ন হতে দেব না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। কোনো গ্যাপ থাকলে আলোচনা করে দূরত্ব ঘোচাতে হবে।’
এ সময় আগামীতে আওয়ামী লীগের সব সমাবেশের নাম হবে ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আগামী ৩০ জুলাই আমাদের নেত্রী রংপুর যাবেন। আগস্ট মাসে তিনি ব্যাপকভাবে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করবেন। সেই সূচি তৈরি হচ্ছে। মহামারির কারণে গ্যাপ হয়ে গেছে। তাই নেত্রীরও জেলা পর্যায়ে যাওয়ার প্রয়োজন আছে।’
সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। এ সময় আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণভাবে সতর্কতার সঙ্গে রাজপথে থাকবে বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন। সে পরিবেশ আমরা রক্ষা করব।’
এ সময় আগস্ট মাসে কৃষক সমাবেশ, ছাত্র সমাবেশ, শ্রমিক সমাবেশ, যুব সমাবেশ করার জন্য সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে করার জন্য নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের।
১৮ জুলাই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়নের শোভাযাত্রা করবে বলে জানান কাদের। তিনি বলেন, রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর শোভাযাত্রা করবে। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের পক্ষ থেকে সাতরাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওই দিন কি ওদের (বিএনপি) যাত্রাপথে বিঘ্ন হবে?’ জবাবে উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘ওরা উত্তরা থেকে বাহাদুর শাহ পার্কে যাবে।’ পরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাড্ডাতে করার প্রস্তাব দেন।’ এ সময় কচি বলেন, ‘ওই রাস্তাটা (সাতরাস্তা) ভালো।’ জবাবে কাদের বলেন, ‘ভালো এক কথা কিন্তু সংঘর্ষ যেন না হয়। মুখোমুখি বর্জন করতে হবে। রুটটা আমরা পরে নির্ধারণ করব।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বীরেন শিকদারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা দল নেবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এগুলো গুজব। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই।’

বিএনপি নেতা ইশরাক বলেন, ‘ইসির নিবন্ধনে থাকা ৫৭টি রাজনৈতিক দলের খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অনেক রাজনৈতিক দল আসলে দলই না। তাদের কোনো কর্মকাণ্ড আছে কি না, তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে কি না, ভবিষ্যতে দেশের জনগণের জন্য তারা কী করতে চায়, তাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো রয়েছে কি না, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস...
২ ঘণ্টা আগে
আমীর খসরু বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে। অন্য কোনো দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চায়। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদীয় আসন সমঝোতা নিয়ে চলমান রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যেই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হতে যাচ্ছেন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নতুন দলের নিবন্ধন তালিকা থেকে বাদ পড়ায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান ফটকের সামনে গত মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশন করছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। তাঁর প্রতি সহমর্মিতা জানাতে এসে ঢাকা-৬ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন ইসির নিবন্ধনে থাকা সব রাজনৈতিক দলের পুনর্নিবন্ধনের দাবি জানিয়েছেন।
আজ রোববার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ইশরাক বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দিলে, কোন কোন দল শর্ত সম্পূর্ণভাবে পূরণ করেছে, তার প্রত্যেকটির অডিটেড রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।
বিএনপি নেতা ইশরাক বলেন, ‘ইসির নিবন্ধনে থাকা ৫৭টি রাজনৈতিক দলের খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অনেক রাজনৈতিক দল আসলে দলই না। তাদের কোনো কর্মকাণ্ড আছে কি না, তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে কি না, ভবিষ্যতে দেশের জনগণের জন্য তারা কী করতে চায়, তাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো রয়েছে কি না, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে কি না—এ রকম অনেকগুলো বিষয় চলে আসে। আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পুনর্নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চালু হোক—সেটি চাই। তার মাধ্যমে আসলেই বাছাই করা হোক—কারা রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য এবং কারা ভুঁইফোড় রাজনৈতিক দল। এসব দলকে ক্ষমতাসীনরা যে যার সুবিধামতো প্রতিষ্ঠা করেছে।’
ইশরাক বলেন, ‘এ জন্য আমি তারেক রহমানের সঙ্গে সহমর্মিতা জানাতে এসেছি। তাঁর পাশে সহযোদ্ধা হিসেবে রয়েছি এবং আমরা জোরালো দাবি জানাচ্ছি—অবিলম্বে তাঁর দলকে নিবন্ধন দিতে হবে। আমরা দেখেছি, সরকার কোনো কোনো ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি এলে একদম গেট খুলে তাকে রিসিভ করার জন্য চলে আসে। আবার হাজার হাজার মানুষ দিনের পর দিন রাস্তায় বসে রোদে পুড়ে মরলেও এই সরকার কর্ণপাত করে না। আমি নিজেও এর ভিকটিম ছিলাম। কেন আজকে তারেক রহমানের সঙ্গে এই বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে? আমরা জোরালোভাবে এর সমাধান চাই।’
আমজনতার দলের নেতা তারেক রহমান দাবি করছেন, দুই ছাত্র উপদেষ্টার কারণে তাঁর দলকে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না।
তাঁর এই দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ইশরাক বলেন, ‘এটা আমি অস্বীকার করব না। উড়িয়ে দেওয়ারও কোনো সুযোগ নাই। কারণ, তিনি (তারেক) যথেষ্ট সমালোচক ছিলেন। এই সরকারের বিশেষ করে এমন একটা সময় গিয়েছে, যখন বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের সমালোচনা করা মানে ওই যে শেখ মুজিবের নাম নেওয়া যাবে না—এ ধরনের একটা পরিস্থিতি ছিল। সেই সময়ও তারেক রহমান সমালোচনা করে গিয়েছেন। সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলেছেন। তাই এটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাদের রাজনৈতিক শক্ত প্রতিপক্ষ দাঁড়ায় যায় কি না। যেহেতু তারা সমবয়সী—একটা রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে এসেছে—সেটি একটি কারণ (নিবন্ধন না দেওয়ার) হতে পারে।’

নতুন দলের নিবন্ধন তালিকা থেকে বাদ পড়ায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান ফটকের সামনে গত মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশন করছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। তাঁর প্রতি সহমর্মিতা জানাতে এসে ঢাকা-৬ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন ইসির নিবন্ধনে থাকা সব রাজনৈতিক দলের পুনর্নিবন্ধনের দাবি জানিয়েছেন।
আজ রোববার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ইশরাক বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দিলে, কোন কোন দল শর্ত সম্পূর্ণভাবে পূরণ করেছে, তার প্রত্যেকটির অডিটেড রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।
বিএনপি নেতা ইশরাক বলেন, ‘ইসির নিবন্ধনে থাকা ৫৭টি রাজনৈতিক দলের খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অনেক রাজনৈতিক দল আসলে দলই না। তাদের কোনো কর্মকাণ্ড আছে কি না, তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে কি না, ভবিষ্যতে দেশের জনগণের জন্য তারা কী করতে চায়, তাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো রয়েছে কি না, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে কি না—এ রকম অনেকগুলো বিষয় চলে আসে। আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পুনর্নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চালু হোক—সেটি চাই। তার মাধ্যমে আসলেই বাছাই করা হোক—কারা রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য এবং কারা ভুঁইফোড় রাজনৈতিক দল। এসব দলকে ক্ষমতাসীনরা যে যার সুবিধামতো প্রতিষ্ঠা করেছে।’
ইশরাক বলেন, ‘এ জন্য আমি তারেক রহমানের সঙ্গে সহমর্মিতা জানাতে এসেছি। তাঁর পাশে সহযোদ্ধা হিসেবে রয়েছি এবং আমরা জোরালো দাবি জানাচ্ছি—অবিলম্বে তাঁর দলকে নিবন্ধন দিতে হবে। আমরা দেখেছি, সরকার কোনো কোনো ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি এলে একদম গেট খুলে তাকে রিসিভ করার জন্য চলে আসে। আবার হাজার হাজার মানুষ দিনের পর দিন রাস্তায় বসে রোদে পুড়ে মরলেও এই সরকার কর্ণপাত করে না। আমি নিজেও এর ভিকটিম ছিলাম। কেন আজকে তারেক রহমানের সঙ্গে এই বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে? আমরা জোরালোভাবে এর সমাধান চাই।’
আমজনতার দলের নেতা তারেক রহমান দাবি করছেন, দুই ছাত্র উপদেষ্টার কারণে তাঁর দলকে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না।
তাঁর এই দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ইশরাক বলেন, ‘এটা আমি অস্বীকার করব না। উড়িয়ে দেওয়ারও কোনো সুযোগ নাই। কারণ, তিনি (তারেক) যথেষ্ট সমালোচক ছিলেন। এই সরকারের বিশেষ করে এমন একটা সময় গিয়েছে, যখন বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের সমালোচনা করা মানে ওই যে শেখ মুজিবের নাম নেওয়া যাবে না—এ ধরনের একটা পরিস্থিতি ছিল। সেই সময়ও তারেক রহমান সমালোচনা করে গিয়েছেন। সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা বলেছেন। তাই এটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাদের রাজনৈতিক শক্ত প্রতিপক্ষ দাঁড়ায় যায় কি না। যেহেতু তারা সমবয়সী—একটা রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে এসেছে—সেটি একটি কারণ (নিবন্ধন না দেওয়ার) হতে পারে।’

আমেরিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমেরিকানরা এসে চলে গেলেন। মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো তাঁদের জিস্ট। যা তাঁরা বলতে চেয়েছিলেন। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম নির্বাচন তাঁদের কাম
১৪ জুলাই ২০২৩
আমীর খসরু বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে। অন্য কোনো দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চায়। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদীয় আসন সমঝোতা নিয়ে চলমান রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যেই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হতে যাচ্ছেন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দাবি আদায়ের নামে রাস্তায় নেমে চাপ সৃষ্টি করা মানে ঐকমত্য নয়। যারা নির্বাচনের পরিবেশকে ঘোলাটে করতে চাইছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের গোষ্ঠী নয়। আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে। অন্য কোনো দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চায়। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভোটের দিনেই গণভোট করার বিধান সংবিধানে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি তবু উদার হয়ে ভোটের দিন গণভোটে রাজি হয়েছে। এখন কেউ জোর করে নিজের মত চাপিয়ে দিতে চাইলে, তা হবে অগণতান্ত্রিক।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আগামী সংসদে কী পাস হবে না হবে, তা আগামী সংসদেই ঠিক হবে। তবে কেউ কেউ এখনই সেসব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাইছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দাবি আদায়ের নামে রাস্তায় নেমে চাপ সৃষ্টি করা মানে ঐকমত্য নয়। যারা নির্বাচনের পরিবেশকে ঘোলাটে করতে চাইছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের গোষ্ঠী নয়। আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে। অন্য কোনো দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চায়। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভোটের দিনেই গণভোট করার বিধান সংবিধানে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি তবু উদার হয়ে ভোটের দিন গণভোটে রাজি হয়েছে। এখন কেউ জোর করে নিজের মত চাপিয়ে দিতে চাইলে, তা হবে অগণতান্ত্রিক।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আগামী সংসদে কী পাস হবে না হবে, তা আগামী সংসদেই ঠিক হবে। তবে কেউ কেউ এখনই সেসব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাইছে।’

আমেরিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমেরিকানরা এসে চলে গেলেন। মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো তাঁদের জিস্ট। যা তাঁরা বলতে চেয়েছিলেন। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম নির্বাচন তাঁদের কাম
১৪ জুলাই ২০২৩
বিএনপি নেতা ইশরাক বলেন, ‘ইসির নিবন্ধনে থাকা ৫৭টি রাজনৈতিক দলের খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অনেক রাজনৈতিক দল আসলে দলই না। তাদের কোনো কর্মকাণ্ড আছে কি না, তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে কি না, ভবিষ্যতে দেশের জনগণের জন্য তারা কী করতে চায়, তাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো রয়েছে কি না, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস...
২ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদীয় আসন সমঝোতা নিয়ে চলমান রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যেই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হতে যাচ্ছেন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন অ্যাডভাইজার টু দ্য বাংলাদেশ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিউ।
অন্যদিকে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানান, বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে আর্থিক খাত, কর ব্যবস্থা এবং সামাজিক খাতের সংস্কার জরুরি।
তাঁরা আরও বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে যে, একটি জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ আর্থিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়।
শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির প্রস্তাবিত নীতি-অগ্রাধিকার এবং সংস্কারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন অ্যাডভাইজার টু দ্য বাংলাদেশ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিউ।
অন্যদিকে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানান, বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে আর্থিক খাত, কর ব্যবস্থা এবং সামাজিক খাতের সংস্কার জরুরি।
তাঁরা আরও বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে যে, একটি জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ আর্থিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়।
শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির প্রস্তাবিত নীতি-অগ্রাধিকার এবং সংস্কারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

আমেরিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমেরিকানরা এসে চলে গেলেন। মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো তাঁদের জিস্ট। যা তাঁরা বলতে চেয়েছিলেন। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম নির্বাচন তাঁদের কাম
১৪ জুলাই ২০২৩
বিএনপি নেতা ইশরাক বলেন, ‘ইসির নিবন্ধনে থাকা ৫৭টি রাজনৈতিক দলের খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অনেক রাজনৈতিক দল আসলে দলই না। তাদের কোনো কর্মকাণ্ড আছে কি না, তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে কি না, ভবিষ্যতে দেশের জনগণের জন্য তারা কী করতে চায়, তাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো রয়েছে কি না, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস...
২ ঘণ্টা আগে
আমীর খসরু বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে। অন্য কোনো দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চায়। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদীয় আসন সমঝোতা নিয়ে চলমান রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যেই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হতে যাচ্ছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় সংসদীয় আসন সমঝোতা নিয়ে চলমান রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যেই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হতে যাচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক আজ রোববার বিকেলে ধানমন্ডি থানার নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে ভোটার হওয়ার আনুষ্ঠানিক আবেদন করবেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ধানমন্ডি থানা নির্বাচন কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে তাঁর ভোটার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
আসিফ মাহমুদের এই পদক্ষেপ ঢাকা-১০ নির্বাচনী আসন ঘিরে নির্বাচনকালীন জল্পনাকে আরও জোরালো করেছে। এ আসনটি ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান এবং হাজারীবাগ থানা নিয়ে গঠিত।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর উপজেলা) আসনের ভোটার। সেখান থেকে তিনি নির্বাচন করতে পারেন বলে আলোচনা শোনা যাচ্ছিল। তবে গুঞ্জন রয়েছে, যদি বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়, তবে তিনি সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। বিএনপি এই আসনে এখনো কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করায় গুঞ্জন আরও প্রবল হয়েছে।
অন্যদিকে এই আসনে জামায়াতে ইসলামী ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জসীম উদ্দিন সরকারকে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন। অভ্যুত্থানের সময় তাঁর ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা এবং ৬ আগস্টের পরিবর্তে ৫ আগস্টে আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি ব্যাপকভাবে আলোচিত হন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তিনি স্থান পান। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
কুমিল্লার ছেলে আসিফ মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ)। ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই ছাত্র অধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২৩ সালে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হিসেবেও নেতৃত্ব দেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সামনের সারির অধিকাংশ নেতা এই ছাত্রশক্তির অংশ ছিলেন। সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছেন।

জাতীয় সংসদীয় আসন সমঝোতা নিয়ে চলমান রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যেই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হতে যাচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক আজ রোববার বিকেলে ধানমন্ডি থানার নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে ভোটার হওয়ার আনুষ্ঠানিক আবেদন করবেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ধানমন্ডি থানা নির্বাচন কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে তাঁর ভোটার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
আসিফ মাহমুদের এই পদক্ষেপ ঢাকা-১০ নির্বাচনী আসন ঘিরে নির্বাচনকালীন জল্পনাকে আরও জোরালো করেছে। এ আসনটি ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান এবং হাজারীবাগ থানা নিয়ে গঠিত।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর উপজেলা) আসনের ভোটার। সেখান থেকে তিনি নির্বাচন করতে পারেন বলে আলোচনা শোনা যাচ্ছিল। তবে গুঞ্জন রয়েছে, যদি বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়, তবে তিনি সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। বিএনপি এই আসনে এখনো কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করায় গুঞ্জন আরও প্রবল হয়েছে।
অন্যদিকে এই আসনে জামায়াতে ইসলামী ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জসীম উদ্দিন সরকারকে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন। অভ্যুত্থানের সময় তাঁর ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা এবং ৬ আগস্টের পরিবর্তে ৫ আগস্টে আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি ব্যাপকভাবে আলোচিত হন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তিনি স্থান পান। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
কুমিল্লার ছেলে আসিফ মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ)। ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই ছাত্র অধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২৩ সালে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হিসেবেও নেতৃত্ব দেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সামনের সারির অধিকাংশ নেতা এই ছাত্রশক্তির অংশ ছিলেন। সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছেন।

আমেরিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমেরিকানরা এসে চলে গেলেন। মূলত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলো তাঁদের জিস্ট। যা তাঁরা বলতে চেয়েছিলেন। বন্ধু দেশ হিসেবে এ রকম নির্বাচন তাঁদের কাম
১৪ জুলাই ২০২৩
বিএনপি নেতা ইশরাক বলেন, ‘ইসির নিবন্ধনে থাকা ৫৭টি রাজনৈতিক দলের খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অনেক রাজনৈতিক দল আসলে দলই না। তাদের কোনো কর্মকাণ্ড আছে কি না, তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে কি না, ভবিষ্যতে দেশের জনগণের জন্য তারা কী করতে চায়, তাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো রয়েছে কি না, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস...
২ ঘণ্টা আগে
আমীর খসরু বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হবে। অন্য কোনো দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই। দেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চায়। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে