অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞার সুযোগে দলের ভেতর নতুন মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। জিএম কাদের-বিরোধী অংশ গতকাল মঙ্গলবার এক সভায় দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেছে। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে জিএম কাদের যাদের বহিষ্কার করেছিলেন, তাঁদের সবার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে স্বপদে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
এসব সিদ্ধান্তকে জিএম কাদের অংশের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারি বেআইনি বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, আদালতের আদেশে শুধু জিএম কাদের ও দপ্তর সম্পাদকের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না।
গত ৩০ জুলাই ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম এক আদেশে জিএম কাদের এবং দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতেই আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও তাঁর অনুসারীরা গুলশানে এক সভায় মিলিত হন।
সভা শেষে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় জিএম কাদের কাউকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনীত করতে পারছেন না। ফলে গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হিসেবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, জি এম কাদেরের বহিষ্কারাদেশও আদালতের আদেশে অকার্যকর হয়ে গেছে বলে দাবি করেন তারা।
জিএম কাদের অংশের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারি অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ অবৈধ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আইনগতভাবে শুধু চেয়ারম্যান বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকতে পারেন। অন্য কারও পক্ষে এটি সম্ভব নয়।’ তিনি আরও বলেন, আদালতের আদেশে বহিষ্কারাদেশ পুনর্বহালের কোনো কথা বলা হয়নি।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ১০ জন নেতা গত ১০ জুলাই জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, জিএম কাদের অবৈধভাবে দলের চেয়ারম্যান হন এবং গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী কাজ করেন। আদালত আবেদনকারীদের চারটি দাবির মধ্যে জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করেন। তবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার যে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল, তা আদালত মঞ্জুর করেননি।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার মধ্য দিয়ে জাপার অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও জটিল হলো। এখন জিএম কাদের এবং তাঁর অনুসারীরা কী পদক্ষেপ নেন, সেদিকেই সবার দৃষ্টি। দলের এই সংকট দলের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা আলোচনা।
আরও খবর পড়ুন:
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞার সুযোগে দলের ভেতর নতুন মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। জিএম কাদের-বিরোধী অংশ গতকাল মঙ্গলবার এক সভায় দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেছে। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে জিএম কাদের যাদের বহিষ্কার করেছিলেন, তাঁদের সবার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে স্বপদে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
এসব সিদ্ধান্তকে জিএম কাদের অংশের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারি বেআইনি বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, আদালতের আদেশে শুধু জিএম কাদের ও দপ্তর সম্পাদকের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না।
গত ৩০ জুলাই ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম এক আদেশে জিএম কাদের এবং দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতেই আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও তাঁর অনুসারীরা গুলশানে এক সভায় মিলিত হন।
সভা শেষে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় জিএম কাদের কাউকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনীত করতে পারছেন না। ফলে গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হিসেবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, জি এম কাদেরের বহিষ্কারাদেশও আদালতের আদেশে অকার্যকর হয়ে গেছে বলে দাবি করেন তারা।
জিএম কাদের অংশের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারি অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ অবৈধ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আইনগতভাবে শুধু চেয়ারম্যান বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকতে পারেন। অন্য কারও পক্ষে এটি সম্ভব নয়।’ তিনি আরও বলেন, আদালতের আদেশে বহিষ্কারাদেশ পুনর্বহালের কোনো কথা বলা হয়নি।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ১০ জন নেতা গত ১০ জুলাই জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, জিএম কাদের অবৈধভাবে দলের চেয়ারম্যান হন এবং গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী কাজ করেন। আদালত আবেদনকারীদের চারটি দাবির মধ্যে জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করেন। তবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার যে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল, তা আদালত মঞ্জুর করেননি।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার মধ্য দিয়ে জাপার অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও জটিল হলো। এখন জিএম কাদের এবং তাঁর অনুসারীরা কী পদক্ষেপ নেন, সেদিকেই সবার দৃষ্টি। দলের এই সংকট দলের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা আলোচনা।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
৩ ঘণ্টা আগেমিডিয়াকে ব্যবহার করে এনসিপির নেতা-কর্মীদের গ্রহণযোগ্যতা ‘নষ্ট’ করার জন্য অনেক ‘অপশক্তি’ কাজ করছে অভিযোগ করে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তরিকুল।
১ দিন আগেসংসদে উচ্চকক্ষের মতো নিম্নকক্ষেও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাস্তবায়নের দাবিতে জামায়াত ইসলামী আন্দোলন করবে বলে জানিয়েছেন দলটি নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আজ রোববার (১০ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ
১ দিন আগে