Ajker Patrika

এবার সংসদেও ‘খেলা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২২, ২১: ৩৪
এবার সংসদেও ‘খেলা হবে’

সম্প্রতি রাজনৈতিক মাঠে ‘খেলা হবে’ বহুল চর্চিত স্লোগান। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা এ নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ, কলকাতা ও ঢাকা হয়ে স্লোগানটি এবার জাতীয় সংসদের আলোচনায় এসেছে। আজ বুধবার সংসদের বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন খেলা বন্ধের দাবি তুললে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খেলা চালু রাখার কথা বলেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের বিএনপির শাসনামলে জিরো উন্নতি এবং তাদের অগ্নি সন্ত্রাস ও খুনের বিরুদ্ধে খেলা হবে বলেও উল্লেখ করেন।

আজ বুধবার সংসদের বৈঠকের শেষ পর্যায়ে হারুনুর রশীদ অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেন। এই সময় তিনি ‘জন অসন্তোষ ও জনদুর্ভোগের’ কথা উল্লেখ করেন। সরকারের সমালোচনা করেন। সরকারের খেলাকে জনদুর্ভোগের সঙ্গে তুলনা করে তিনি খেলা বন্ধের দাবি করেন। জবাবে কাদের খেলা অব্যাহত থাকবে বলে কড়া জবাব দেন। 

হারুন তাঁর বক্তব্যে জনদুর্ভোগ থেকে জন অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশ এখন জনদুর্ভোগের দেশে পরিণত হয়েছে। এই জন অসন্তোষকে লাঘব করার সরকারের কোন পদক্ষেপ আছে বলে মনে হয় না।’ 

বিমানবন্দর সড়কে যানজটের প্রসঙ্গ তুলে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন হারুন। তিনি বলেন, ‘বিমানের নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা পরে পৌঁছাই। পথে শত শত বিমানযাত্রীকে বাচ্চাকাচ্চা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। আর সরকারকে গালিগালাজ করছে। এটা একদিনের সমস্যা নয়। ঢাকা-গাজীপুর সড়ক প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগ হচ্ছে।’ 

এ সমস্যা সমাধানে বিএনপির এমপি আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রীদের জন্য যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ আলাদা প্যাসেজ তৈরির দাবি করেন। হারুন বিমানবন্দরে তল্লাশির নামে যাত্রীদের হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ করেন। 

সড়ক পরিবহন মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে হারুন বলেন, ‘যোগাযোগ মন্ত্রী প্রায়ই বলছেন খেলা হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর খেলা হবে। আমরা এমন খেলা দেখতে চাচ্ছি না যে জনদুর্ভোগ মানুষ পড়েন। এ দেশে দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ এগুলো নিয়ে বিএনপি গত কয়েক কমাস যাবৎ সভাসমাবেশ করছে। আপনি কেন পরিবহন বন্ধ করছেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে বলেন, কী কারণে পরিবহন বন্ধ হয়েছে বলতে পারব না।’ 

‘দেশ চালাচ্ছেন কেন আপনারা? একটা নয়, দুটো নয়, একের পর এক। আগামী ৫ তারিখে বরিশাল সমাবেশ হবে। লঞ্চ বন্ধ, বাস বন্ধ, থ্রি-হুইলার বন্ধ। ট্রেন বন্ধ। সবকিছু বন্ধ। এর ফলশ্রুতিতে যে জন অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে তা কল্পনা করা যায় না। যোগাযোগ মন্ত্রী আছেন দয়া করে দুর্ভোগ কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেন। জনদুর্ভোগ আর বাড়িয়েন না। জনদুর্ভোগ যে জন অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে তাতে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে। মনে করি সরকার এই বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নেবে।’

পরে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল হলেই বিরোধিতার খতিয়ে বিরোধিতা করা সংস্কৃতি পরিণত হয়েছে। গাজীপুরের যে প্রকল্প—পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, মেট্রো রেল সামনে হচ্ছে। এলিভেটেড এগিয়ে গেছে। কর্ণফুলী টানেল রেডি। কী চান আর? একটা সরকার এতগুলি প্রজেক্ট। যেদিকে তাকান ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস ওভার পাস। আপনাদের সময় কী ছিল? জিরো। ওই জিরোর বিরুদ্ধে খেলা হবে। ওই জিরো যে করছেন! ভোগান্তিতে রাখছেন লাখো কোটি মানুষকে। সেটিই খেলা হবে।’

ঢাকা-গাজীপুর বিআরটি প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুরে পানির লাইন খুবই খারাপ। আমি নিজেও ভোগান্তিকে গলার কাটাও বলেছি। স্বীকার করেছি। এই সব স্বীকার করার কালচার আপনাদের মধ্যে নেই। প্রকাশ্যে বলেছি প্রকল্পটা ডিজাইনে ত্রুটি ছিল। সে কারণে সমস্যা হয়েছে। কিন্তু আজকে যান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ওই রাস্তা এখন স্বাভাবিক। ৬ তারিখে ইনকামিংটা খুলে দেব। না জেনে কথা বলবেন না। এত কাজ সরকার করছে, একটাতে ভুল ত্রুটি হতে পারে। আমরা তো স্বীকার করেছি। অস্বীকার করিনি।’

খেলা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খেলা হবে। এর বিরুদ্ধেই খেলা হবে। খেলা হবে। আমি বলছি খেলা হবে, খুনের রাজনীতির বিরুদ্ধে। খেলা হবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। খেলা হবে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। খেলা হবে লুটপাটের বিরুদ্ধে। খারাপ কী বলেছি?’

প্রসঙ্গত বছর ছয়েক আগে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তাঁর ভাষণে বলেন, ‘খেলা হবে’। ২ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায় শামীম ওসমান তিনবার বলেছেন, ‘খেলা হবে’। ‘আমরা খেলব’ কথাটিও এসেছে কয়েকবার। এই ‘খেলা হবে’ পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় স্লোগানে পরিণত হয়। এখন আবার কলকাতা হয়ে স্লোগানটি এল ঢাকায়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কয়েক দিন ধরেই ‘খেলা হবে’ বলছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করে এনসিপির প্রতিনিধিদল। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করে এনসিপির প্রতিনিধিদল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির অন্যান্য নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের চলমান সংলাপের অংশ হিসেবেই এনসিপির সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এনসিপিও পরে ফেসবুক পোস্টে একই কথা জানায়।

বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের বিভিন্ন দিক, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি, নির্বাচনকালীন পরিবেশসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ১০
হাসনাত আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি
হাসনাত আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এনসিপির স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত ‘ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) আত্মপ্রকাশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জুলাইয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ নতুন এ সংগঠনে চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্স, টেকনোলজিস্ট, জনস্বাস্থ্যবিদ ও ফিজিওথেরাপিস্ট রয়েছেন। কমিটি ঘোষণা করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় আরও ছিলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।

সভায় নাসীরুদ্দীন বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) নাকি আওয়ামী লীগের লকডাউন। আগামীকাল সব দল মাঠে থাকবে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসকে ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট।

একটি দল ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে বেরিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন এনসিপির এ নেতা। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হতে চাইলেও একটি দল এই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড়সংখ্যক মানুষ সংস্কার চায় বলেই ১০০ বছর চেষ্টা করেও বিএনপি গণভোট ঠেকাতে পারবে না।

সভায় তাসনিম জারা বলেন, ‘স্বৈরাচারের সময়ে জুলাই বিপ্লবে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে নিষেধ করা হয়। অথচ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজই ছিল মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া। সেখানে রাজনৈতিক পরিচয়নির্ভর করার কথা নয়। এই যে স্বাস্থ্য খাতেও রাজনৈতিক ছায়া, এটি আমরা কখনোই চাই না। স্বাস্থ্য খাতের আমূল পরিবর্তন দরকার। এই সময়ে এসেও আমাদের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের মেঝেতে থাকতে হয়। এ দেশে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া শুধু ক্ষমতাধরদের জন্য সহজ, কিন্তু এটি তো হওয়ার কথা ছিল না। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এমন চিত্র দুঃখজনক। এই ভঙ্গুর অবস্থা থেকে আমাদের পুরো চিত্র বদলে ফেলতে হবে।’

তাসনিম জারা আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবনা দিয়েছে, তার কোনোটাই আমরা বাস্তবায়ন করতে দেখিনি। আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। রোগী ধনী, গরিব যে-ই হোক, সেবা পাওয়াটাই মুখ্য হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হুমকি-ধমকি না দিয়ে চলুন জনগণের মুখোমুখি হই: তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে অগ্রসর হতে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার দলের পক্ষ থেকে আবারও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সহযোগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই—চলুন, বর্তমান দুর্বল অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জনগণের মুখোমুখি হই।’

আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বিএনপি।

তারেক রহমান বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র যখন প্রস্তুত হচ্ছে, তখন কয়েকটি রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কার্যত গণতন্ত্রকামী জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধেই মনে হয় অবস্থান নিচ্ছে বা নিয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মনে হয় একটি কথা গুরুত্বসহকারে মনে রাখা উচিত। নিজ দলের বাইরের সমর্থকদের বাইরে এক বিশালসংখ্যক অরাজনৈতিক জনগোষ্ঠী রয়েছে। এই জনগোষ্ঠীর দিকে নজর দেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পবিত্র দায়িত্ব বলে মনে করি। মাসের পর মাস আলোচনা হয়েছে, কিন্তু এই বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট আলোচনা কতটুকু হয়েছে, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।’

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিরাজমান সংকটকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি মনে করি, এই সংকট তৈরি করা হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের গণতন্ত্রে উত্তরণের যে পথ, সেই পথকে বাধাগ্রস্ত করা; বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে সংস্কারের জন্য যে নির্বাচন হওয়া দরকার, সেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা; জনগণের ভবিষ্যৎকে একটা অনিশ্চিত অবস্থায় ফেলা।’

সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই আজকে এই জায়গা থেকে একমত হয়ে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেইসব চক্রান্তকে রুখে দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সুগম করি।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামায়াতের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের বৈঠক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বুধবার জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বুধবার জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতের প্রচার বিভাগ জানায়, বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন অ্যাডভাইজার টু দ্য বাংলাদেশ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিউ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইএমএফের ঢাকার আবাসিক প্রতিনিধি ম্যাক্সিম ক্রিশকো, ডেপুটি চিফ অব মিশন আইভো ক্রেজনার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক তাওহিদ এলাহি।

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলে ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, শিক্ষাবিদ ড. আবদুর রব ও শফিউল্লাহ।

জামায়াত জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনীতি, বিভিন্ন আর্থিক খাত, করব্যবস্থা ও সামাজিক খাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত