নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গতকাল সোমবার গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও কথা বলেছেন। তিনি ড. ইউনূস সাহেব আইনের ঊর্ধ্বে কি না—এমন প্রশ্ন তুলেছেন।
আজ মঙ্গলবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইউনূসের রায় প্রসঙ্গে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনার স্ট্যাটাস, পজিশন, ব্যক্তিত্বের উচ্চতা কি আইনের ঊর্ধ্বে? ড. ইউনূস সাহেব কি আইন-আদালতের ঊর্ধ্বে? শাস্তি কি তাঁকে আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে? যে শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন, তাঁদেরই মামলা। সেই মামলায় আদালত তাঁকে শাস্তি দিয়েছে। এখানে সরকারের কী করণীয় আছে? সরকার কেন এখানে সমালোচনার মুখে পড়বে? এটা তো যথাযথ নয়।’
বিএনপির কর্মসূচিকে রহস্যময় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা অবাক হচ্ছি যে তারা (বিএনপি) লিফলেট বিতরণ করতে যাচ্ছে ৪ তারিখ পর্যন্ত। পাশাপাশি কিছু কিছু খারাপ তথ্যও পাচ্ছি—হঠাৎ করে তারা গুপ্ত হত্যা, চোরাগোপ্তা হামলা, ভয়ংকরভাবে এসবের প্রতি ঝুঁকে পড়তে পারে। সেই জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন লিফলেট বিতরণের নামে নীরবতা বাইরে দেখানো হলেও, তারা হঠাৎ করে সরব হয়ে উঠবে সশস্ত্র তৎপরতার মাধ্যমে, যা নির্বাচনবিরোধী। এ রকম খবর আমরা পাচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এখনো নীরবতার মধ্যে রয়েছে বিএনপি। তাদের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি তো নিরীহ। এটাকে আন্দোলন বলবেন? তাদের আন্দোলনও হবে না। কোনো লক্ষণও নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামীবার আমরা আরও শক্তভাবে, সুশৃঙ্খলভাবে দেশ পরিচালনা করব।’
স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশা প্রকাশ করে কাদের বলেন, যদিও অশান্তির উপাদান এখানে আছে। অগ্নি-সন্ত্রাস আছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আছে, বাসে-ট্রেনে আগুন দেওয়া আছে। নির্বাচনে জনগণ যেন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ভোট দিতে না যায়, সে কারণে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিএনপি ও তার দোসররা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন থেকে পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী যে তারিখ নির্ধারিত হয়েছে, তা থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। যত বাধাই আসুক, যত সন্ত্রাস হোক, যা কিছু তারা করুক এবং লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে নির্বাচন থেকে বিরত করার চেষ্টা করুক, এর কোনোটাই এই নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ জানিয়ে কাদের বলেন, ‘এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমরা অবিচল, অটল। এ নির্বাচন অনুষ্ঠান ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব, গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ সংরক্ষণের দায়িত্ব। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন, নির্বাচনী কর্মকাণ্ড সমাপ্ত করতে নির্বাচন কমিশনকে তাদের ভূমিকা পালনে যেকোনো সহযোগিতা করতে আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর।’
জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কি না—এ বিষয়ে দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো টানাপোড়েন নেই। আমাদের সঙ্গে তাদের খুব ভালোভাবে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা পরস্পরের সহযোগী হব, একটা ভালো নির্বাচনে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আমার মনে হয় না তারা দলগতভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গতকাল সোমবার গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও কথা বলেছেন। তিনি ড. ইউনূস সাহেব আইনের ঊর্ধ্বে কি না—এমন প্রশ্ন তুলেছেন।
আজ মঙ্গলবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইউনূসের রায় প্রসঙ্গে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনার স্ট্যাটাস, পজিশন, ব্যক্তিত্বের উচ্চতা কি আইনের ঊর্ধ্বে? ড. ইউনূস সাহেব কি আইন-আদালতের ঊর্ধ্বে? শাস্তি কি তাঁকে আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে? যে শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন, তাঁদেরই মামলা। সেই মামলায় আদালত তাঁকে শাস্তি দিয়েছে। এখানে সরকারের কী করণীয় আছে? সরকার কেন এখানে সমালোচনার মুখে পড়বে? এটা তো যথাযথ নয়।’
বিএনপির কর্মসূচিকে রহস্যময় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা অবাক হচ্ছি যে তারা (বিএনপি) লিফলেট বিতরণ করতে যাচ্ছে ৪ তারিখ পর্যন্ত। পাশাপাশি কিছু কিছু খারাপ তথ্যও পাচ্ছি—হঠাৎ করে তারা গুপ্ত হত্যা, চোরাগোপ্তা হামলা, ভয়ংকরভাবে এসবের প্রতি ঝুঁকে পড়তে পারে। সেই জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন লিফলেট বিতরণের নামে নীরবতা বাইরে দেখানো হলেও, তারা হঠাৎ করে সরব হয়ে উঠবে সশস্ত্র তৎপরতার মাধ্যমে, যা নির্বাচনবিরোধী। এ রকম খবর আমরা পাচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এখনো নীরবতার মধ্যে রয়েছে বিএনপি। তাদের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি তো নিরীহ। এটাকে আন্দোলন বলবেন? তাদের আন্দোলনও হবে না। কোনো লক্ষণও নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামীবার আমরা আরও শক্তভাবে, সুশৃঙ্খলভাবে দেশ পরিচালনা করব।’
স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশা প্রকাশ করে কাদের বলেন, যদিও অশান্তির উপাদান এখানে আছে। অগ্নি-সন্ত্রাস আছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আছে, বাসে-ট্রেনে আগুন দেওয়া আছে। নির্বাচনে জনগণ যেন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ভোট দিতে না যায়, সে কারণে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিএনপি ও তার দোসররা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন থেকে পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী যে তারিখ নির্ধারিত হয়েছে, তা থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। যত বাধাই আসুক, যত সন্ত্রাস হোক, যা কিছু তারা করুক এবং লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে নির্বাচন থেকে বিরত করার চেষ্টা করুক, এর কোনোটাই এই নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ জানিয়ে কাদের বলেন, ‘এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমরা অবিচল, অটল। এ নির্বাচন অনুষ্ঠান ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব, গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ সংরক্ষণের দায়িত্ব। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন, নির্বাচনী কর্মকাণ্ড সমাপ্ত করতে নির্বাচন কমিশনকে তাদের ভূমিকা পালনে যেকোনো সহযোগিতা করতে আওয়ামী লীগ বদ্ধপরিকর।’
জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কি না—এ বিষয়ে দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো টানাপোড়েন নেই। আমাদের সঙ্গে তাদের খুব ভালোভাবে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা পরস্পরের সহযোগী হব, একটা ভালো নির্বাচনে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আমার মনে হয় না তারা দলগতভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন। স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর ভূমিকা ও ত্যাগ আমরা স্বীকার করি। তবে তাঁর শাসনামলে ঘটে যাওয়া জাতীয় ট্র্যাজেডির কথাও আমরা স্মরণ করি। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের একটি শাখা রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালের জনবিরোধী সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেহারুনুর রশীদ বলেন, ‘আজকে দেশে বিনিয়োগ নাই। কর্মসংস্থান নাই। জনপ্রতিনিধি নাই। স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ নানা সংকটে আছে। যে শক্তিগুলো বিভিন্ন রকমের অছিলা করে নির্বাচনকে বানচাল ও শর্ত দিয়ে বিলম্ব করতে চায়, আমি মনে করি তারা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আমরা লড়াই করেছি।
৪ ঘণ্টা আগেনির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘এখনো গণতন্ত্র নাগালের বাইরে। আমরা চাই বিশ্বাস করতে যে নির্বাচন হবে, তবে ভোট গণনার আগে পর্যন্ত তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়।’
৭ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী বিলকিস আখতার হোসেন ও ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন।
৮ ঘণ্টা আগে