Ajker Patrika

ক্ষমা পেয়ে আওয়ামী লীগে ফিরলেও গাজীপুরের কমিটিতে ঠাঁই পেলেন না জাহাঙ্গীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৪, ২১: ৩৭
ক্ষমা পেয়ে আওয়ামী লীগে ফিরলেও গাজীপুরের কমিটিতে ঠাঁই পেলেন না জাহাঙ্গীর

বহুল আলোচিত গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম পরপর দুবার আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। দুবারই তিনি ক্ষমা পেয়েছিলেন। সবশেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মা জায়েদা খাতুনের পক্ষে কাজ করে বহিষ্কার হন। কিন্তু গত বছর অক্টোবরে তাঁকে আবার ক্ষমা করা হয়। দলে ফেরার পর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ফিরবেন বলে আলোচনা ছিল। কিন্তু সদ্য ঘোষিত মহানগর শাখার ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কোথাও তাঁর ঠাঁই হয়নি।

আজমত উল্লাহ খানকে পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ মণ্ডলকে সাধারণ সম্পাদক পদে রেখে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। একই সঙ্গে এ কমিটিতে ২৮ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২০২১ সালে বহিষ্কার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও গাজীপুর জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রথম বহিষ্কার হন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। গত বছরের ২১ জানুয়ারিতে তাঁকে ক্ষমা ঘোষণা করা হয়।

এর চার মাসের মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে মা জায়েদা খাতুনকে বিদ্রোহী প্রার্থী করে পুনরায় বহিষ্কার হন। ওই নির্বাচনে আজমতকে হারিয়ে জায়েদা খাতুন মেয়র নির্বাচিত হন। এবারও জাহাঙ্গীরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ক্ষমা করা হয়। গত অক্টোবরে তাঁকে ক্ষমা করা হয় বলে জানান আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

প্রথমবার ক্ষমা করার সময় বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করলে তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে। কিন্তু দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমা পেলেন জাহাঙ্গীর আলম। এবারও একই কথা বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে। এরপর জাহাঙ্গীর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের স্বপ্নও দেখেছিলেন।

বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলন ও আগামী নির্বাচন মাথায় রেখে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করা হয় বলে তখন দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন। ঢাকার অন্যতম প্রবেশমুখ গাজীপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাহাঙ্গীরকে প্রয়োজন বলে দলের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ শেখ হাসিনাকে বুঝিয়েছিলেন।

দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বারবার ক্ষমা পাওয়ার পেছনে দুটি বড় কারণ আছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। প্রথমত, অঢেল টাকা থাকায় জাহাঙ্গীর আলম দলের নীতিনির্ধারকদের গুরুত্বপূর্ণ অংশের সঙ্গে টাকাপয়সা খরচ করে যোগাযোগ রাখেন। দ্বিতীয়ত, তাঁর নিজস্ব কর্মী ও সমর্থক বাহিনী আছে।

গত বছর মে মাসে বহিষ্কার হলেও গত জুলাইয়ে ঢাকায় আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশে’ বিপুলসংখ্যক লোক নিয়ে এসেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির দিনও টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর এলাকায় জাহাঙ্গীরের সমর্থকদের ব্যাপক তৎপরতা ছিল। ১৪ অক্টোবর ঢাকার কাওলায় সিভিল অ্যাভিয়েশন মাঠে আওয়ামী লীগের সমাবেশে তিনি বিরাট মিছিল নিয়ে আসেন।

জাহাঙ্গীরের মায়ের কাছে পরাজিত আজমত উল্লাকে গত ৪ জুন গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বানিয়ে কিছুটা সান্ত্বনা দেয় আওয়ামী লীগ। এদিকে দলে ফেরার পর জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগরের পদ ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন।

গাজীপুর মহানগর কমিটির ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

গাজীপুর মহানগর কমিটির সভাপতি আজমত উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। একই সঙ্গে এ কমিটিতে ২৮ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রায় দেড় বছর আগে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর উৎসবমুখর পরিবেশে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। গাজীপুরের ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে অনুষ্ঠিত সেই সম্মেলনে বিপুল করতালির মধ্যে তৎকালীন সভাপতি আজমত উল্লাহ খানকে পুনরায় সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ মণ্ডলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছিল। তাতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কমিটির অন্য পদ পাওয়া নেতারা হলেন সহসভাপতি বেগম সামসুন নাহার ভূঁইয়া, মো. মতিউর রহমান মতি, আব্দুল হাদী শামীম, রেজাউল করিম ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন, ওসমান আলী, আসাদুর রহমান কিরণ, সফর উদ্দিন খান, শেখ মো. আসাদুল্লাহ, হেদায়েতুল ইসলাম ও মো. আব্দুল আলীম মোল্লা।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকেরা হলেন মো. আফজাল হোসেন সরকার রিপন, মো. কাজী ইলিয়াস আহমেদ ও এ বি এম নাসির উদ্দিন নাসির।

কমিটিতে আইনবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন মো. খালেদ হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন মোল্লা, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, দপ্তর সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান রাসেল, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আক্তার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আবদুল হালিম সরকার, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মো. সাইজ উদ্দিন মোল্লা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. শহীদ উল্লাহ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মোসা. হোসনে আরা জুলি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মো. খালেকুজ্জামান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. হীরা সরকার, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. বাছির উদ্দিন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. সোলায়মান মিয়া।

এ ছাড়া কমিটিতে সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. কামরুল আহসান সরকার রাসেলকে। স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকির হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন মো. মজিবুর রহমান, এস এম আলতাব হোসেন ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল। উপদপ্তর সম্পাদক হয়েছেন মো. তৌহিদুল ইসলাম দ্বীপ, উপপ্রচার সম্পাদক মোসা. সালমা বেগম। কোষাধ্যক্ষ করা হয়েছে মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে।

কমিটির সদস্যরা হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মো. জাহিদ আহসান রাসেল, মেহের আফরোজ চুমকি, কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, এম এ বারী, ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, মো. আব্দুর রউফ নয়ন, এস এম মোকছেদ আলম, মো. আবু সাহিদ খান, মো. হেলাল উদ্দিন, মো. আজিজুর রহমান শিরিশ, মহিউদ্দিন আহম্মেদ, মো. আব্দুর রহমান, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. ফজলু, মো. জাহিদ আল মামুন, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. আবুল কাশেম, মীর আসাদুজ্জামান, মো. খলিলুর রহমান, মো. আদম আলী, আক্তার হোসেন, এস এম আকরাম হোসেন, নীলিমা আক্তার লিলি, মো. জালাল উদ্দিন, এস এম শামীম আহমেদ, মো. খোরশেদ আলম রানা, মতিউর রহমান, কামাল আহমেদ খান, মো. সেলিম মিয়া, মো. কবির হোসেন, মো. আব্দুর রউফ, এইচ এম শাহজাহান, অরুণ কুমার সাহা, কাজী মো. সেলিম ও মো. আলমগীর হোসেন খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অন্তর্বর্তী সরকার দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে: মির্জা আব্বাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার ‘দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।’

তিনি বলেন, ‘দেশটা কার? কে দেশটা চালায়? দেখার লোক নাই। সবাই শুধু ব্যস্ত সংস্কারে। কী সংস্কার করছেন—এটাই তো বুঝতে পারলাম না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাস্তায় নামলে হাঁটা যায় না। একটা শ্রেণি দেশে নতুন জুটেছে। এরা দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা এই বাংলাদেশকেই চায়নি কোনো দিন, তারা বাংলাদেশের শাসনভার চায়। তারা নানা সময়ে এ দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এখন তারা লম্বা লম্বা কথা বলে।’

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা নির্দিষ্ট কোনো দলকে নয়; তাঁরা দেশপ্রেমিক প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জীবনের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও যাঁরা এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি, তাঁদের দল যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশা আল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে!’

সবার কাছে দোয়া চেয়ে বিএনপি মহাসচিব পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করব! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশা আল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।’

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য!’

নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মিসরের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে আজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে আজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ১৩
বিদেশ সফর শেষে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদেশ সফর শেষে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামী জোটবদ্ধভাবেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে উল্লেখ করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে আমরা, দেশবাসী সবাই নির্বাচন দেখতে চাই।’

আজ মঙ্গলবার সকালে ওমরাহ পালন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক সফর শেষে ঢাকায় ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।

নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেনি। আমি দেখেছি, ২৩৭টি আসনে তাঁরা তালিকা প্রকাশ করেছেন, আর প্রশ্নোত্তরে বলেছেন, এটি চূড়ান্ত নয়। এর মধ্যেও পরিবর্তন আসতে পারে। আমরা কিন্তু এক বছর আগেই এই তালিকা আঞ্চলিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি। চূড়ান্ত তালিকাটা সময়মতো আমরা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করব। যেহেতু আমরা একা ইলেকশন করব না, আরও অনেককে আমরা ধারণ করব, দেশ এবং জাতির স্বার্থে সব দিক বিবেচনা করেই চূড়ান্তভাবে যথাসময়ে আমরা প্রার্থী ঘোষণা করব।’

প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগের জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো ব্যাপকভিত্তিক আমাদের প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ভোটার হওয়ার জন্য অক্টোবরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য যে সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে, তা প্রোপারলি ফাংশন করে নাই, যার কারণে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। আমাদের দাবি থাকবে নির্বাচন কমিশনের কাছে কমপক্ষে আরও ১৫ দিন এই সময় বর্ধিত করা হোক এবং যে জটিলতাগুলো রয়েছে, সেগুলো সহজ করে তাদের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।’

দলগুলোর মতানৈক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতানৈক্য থাকবে, তবে দোয়া করেন মতবিরোধ যেন না হয়। মতের ভিন্নতা থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সব দল তো এক দল নয়। সবগুলো দল ভিন্ন ভিন্ন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও পার্থক্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা সবার মতকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখি। তবে আমরা নিজেরা যে মতটা প্রকাশ করি, আমরা চেষ্টা করি চিন্তাভাবনা করে জাতির স্বার্থেই সে মতগুলো প্রকাশ করার। অতএব মতানৈক্য এটা ডেমোক্রেসির সৌন্দর্য। এটার জন্য এখানে বিরোধ লেগে গেছে অথবা দেশ একেবারে অস্থির হয়ে গেছে, আমরা এইটা চিন্তা করতে রাজি নই।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলা বসে যদি একটা কনসেনসাসে (ঐকমত্যে) পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো এবং আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ এবং জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’

জামায়াত আমিরকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

আজকের রাশিফল: ছবি পোস্ট করার আগে সাতবার ভাবুন, জ্ঞানের কথা চেপে রাখুন

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত