নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় সংসদে কার্যকর বিরোধী দল নেই—বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। ভবিষ্যতে সংসদে এ ধরনের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ না করা হলে ওয়াক আউট করবেন। এমনকি এ নিয়ে জাতীয় সংসদের লবিতে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে হুমকি দিয়ে বসেছেন জাতীয় পার্টির এ সংসদ সদস্য।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় এ ধরনের কথা বলেন রাঙ্গা।
মসিউর রহমান রাঙা বলেন, ‘বলা হয় এই সংসদে বিরোধী দল নেই। আমরা জাতীয় পার্টি এই সংসদের বিরোধী দল।’ এর আগে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, ‘জাতীয় সংসদে কোনো কার্যকর বিরোধী দল নাই। বিরোধী দল বলছে আমরা কাগজে-কলমে। এটা আমার নয়, বিরোধী দলীয় সাংসদের।’
রাঙ্গা তাঁর বক্তব্যে এ প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘এরপর যদি এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া হয় এবং সেটি যদি এক্সপাঞ্জ করা না হয় তাহলে আমরা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করব।’ স্পিকারের উদ্দেশে রাঙ্গা বলেন, ‘আপনি এ ধরনের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করে দেবেন। এরা সকালে এক কথা বলবে, বিকেলে এক কথা বলবে। যে কোনা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পার এই লবিতে।’
এভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে কি না—কোনো এক সংসদ সদস্যের এমন কথায় রাঙ্গা বলেন, ‘না হুমকি দিচ্ছি না। ঘটনা তো আর আমি ঘটাব না। বারবার বলা হয়, বিরোধী দল নেই। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটা ছিল…আঁতাত না। এ রকম হয়। আমরা আসন ছেড়েছি, তারাও ছেড়েছে।’
বিএনপি সব সময় দুই রকম কথা বলে—এমন মন্তব্য করে জাপা সাংসদ বলেন, ‘ওনারা চান আমরা বিএনপির সঙ্গে যাই। আমি বেঁচে থাকতে কখনো জাতীয় পার্টি বিএনপির সঙ্গে যাবে না। আমার সন্তানকে ওরা কিডন্যাপ করেছে। বাসায় আগুন দিয়েছে। বিচার পাইনি।’
রাঙ্গা বলেন, ‘আজকে সকাল বেলা ইসি গঠনের আইন পাস করা হয়েছে। বিকাল বেলা উনি ভুলে গেলেন। এখন বললেন বিরোধী দল না থাকায় …যেটা সংসদীয় ভাষা নয়। সকাল বেলা পাস হলো বিকাল বেলা ভুলে গেল। এটা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে বলে আপনি ঘোষণায় বলেছিলেন। তাহলে তো তাদের মতামতের ভিত্তিতে করা হয়েছে। তাদের সংশোধনীও গ্রহণ করা হয়েছে। যদি বিরোধী দল না-ই থাকত তাহলে সংশোধনী কীভাবে দিলেন। সকাল বেলা এক কথা বিকাল বেলা আরেক কথা, সংসদীয় ভাষা হতে পারে না। যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এটা হুমকি নয়, আমি কেন করব? আমিতো করব না। তাই যে কোনো ঘটনা ঘটলে তাকেই দায় নিতে হবে। কারণ উনি বলেন, কোনো বিরোধী দল নাই। তাহলে আমরা কি সরকারি দল?’
রাঙ্গা আরও বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের সহযোগী হতে চাই, দুর্নামের সহযোগী হতে চাই না। শিল্পমন্ত্রী (প্রতিমন্ত্রী হবে) যখন বলেন আমলারা দুর্নীতি করে দেশটাকে ছারখার করে দিয়েছে। মন্ত্রী বলছেন, সচিবেরা লুটপাট করে খাচ্ছেন। কেন হবে এগুলো? কেন বলবেন তিনি? ভয় কী। আমিতো আমলাদের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী ছিলাম। তাঁরা আমার ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেন নাই।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্দেশে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আমাদের আবারও ষড়যন্ত্রের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই সজাগ বলে আমি জানি। কিন্তু একটা ষড়যন্ত্র চলছে না, তা কিন্তু নয়। আমি জানি আল্লাহর রহমত আপনার ওপর আছে। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ আপনাকে সহায়তা করবে। আমরা যেহেতু আগে পরে আপনার সঙ্গে ছিলাম। এখনো আপনার সঙ্গে থাকব। প্রধানমন্ত্রীকে আমরা যদি ছেড়ে দিতে পারতাম, তাহলে তিনি বিশ্ব নেতাদের মধ্যে একটা বড় নেতা হয়ে যেতেন। আমরা ওনাকে ছাড়ছি না আমাদের স্বার্থে।’
প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ দিলে বিএনপির সাংসদের সঙ্গে প্রেসক্লাবের সামনে অনশন করবেন বলেও উল্লেখ করেন রাঙ্গা। নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ আমলাদের হাতে চলে যাওয়ায় আক্ষেপ করে রাঙ্গা বলেন, ‘আজকে আমাদের পরিবারের টাকায় যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছি সেখানে আমরা সভাপতি হতে পারি না। হাইকোর্টের একটা নির্দেশনার কারণে এটা আমলাদের হাতে চলে গেছে। কিন্তু ডিসিরা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যান না। এগুলো আমাদের ফিরিয়ে দেন। প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের হাতে না থাকলে আমরা কার সঙ্গে থাকব। কোমলমতিরা যারা আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমাদের যে অধিকারটুকু ছিল এটা যেন আমরা আবার ফিরে পাই।’
জাতীয় সংসদে কার্যকর বিরোধী দল নেই—বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। ভবিষ্যতে সংসদে এ ধরনের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ না করা হলে ওয়াক আউট করবেন। এমনকি এ নিয়ে জাতীয় সংসদের লবিতে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে হুমকি দিয়ে বসেছেন জাতীয় পার্টির এ সংসদ সদস্য।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় এ ধরনের কথা বলেন রাঙ্গা।
মসিউর রহমান রাঙা বলেন, ‘বলা হয় এই সংসদে বিরোধী দল নেই। আমরা জাতীয় পার্টি এই সংসদের বিরোধী দল।’ এর আগে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, ‘জাতীয় সংসদে কোনো কার্যকর বিরোধী দল নাই। বিরোধী দল বলছে আমরা কাগজে-কলমে। এটা আমার নয়, বিরোধী দলীয় সাংসদের।’
রাঙ্গা তাঁর বক্তব্যে এ প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘এরপর যদি এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া হয় এবং সেটি যদি এক্সপাঞ্জ করা না হয় তাহলে আমরা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করব।’ স্পিকারের উদ্দেশে রাঙ্গা বলেন, ‘আপনি এ ধরনের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করে দেবেন। এরা সকালে এক কথা বলবে, বিকেলে এক কথা বলবে। যে কোনা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পার এই লবিতে।’
এভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে কি না—কোনো এক সংসদ সদস্যের এমন কথায় রাঙ্গা বলেন, ‘না হুমকি দিচ্ছি না। ঘটনা তো আর আমি ঘটাব না। বারবার বলা হয়, বিরোধী দল নেই। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটা ছিল…আঁতাত না। এ রকম হয়। আমরা আসন ছেড়েছি, তারাও ছেড়েছে।’
বিএনপি সব সময় দুই রকম কথা বলে—এমন মন্তব্য করে জাপা সাংসদ বলেন, ‘ওনারা চান আমরা বিএনপির সঙ্গে যাই। আমি বেঁচে থাকতে কখনো জাতীয় পার্টি বিএনপির সঙ্গে যাবে না। আমার সন্তানকে ওরা কিডন্যাপ করেছে। বাসায় আগুন দিয়েছে। বিচার পাইনি।’
রাঙ্গা বলেন, ‘আজকে সকাল বেলা ইসি গঠনের আইন পাস করা হয়েছে। বিকাল বেলা উনি ভুলে গেলেন। এখন বললেন বিরোধী দল না থাকায় …যেটা সংসদীয় ভাষা নয়। সকাল বেলা পাস হলো বিকাল বেলা ভুলে গেল। এটা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে বলে আপনি ঘোষণায় বলেছিলেন। তাহলে তো তাদের মতামতের ভিত্তিতে করা হয়েছে। তাদের সংশোধনীও গ্রহণ করা হয়েছে। যদি বিরোধী দল না-ই থাকত তাহলে সংশোধনী কীভাবে দিলেন। সকাল বেলা এক কথা বিকাল বেলা আরেক কথা, সংসদীয় ভাষা হতে পারে না। যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এটা হুমকি নয়, আমি কেন করব? আমিতো করব না। তাই যে কোনো ঘটনা ঘটলে তাকেই দায় নিতে হবে। কারণ উনি বলেন, কোনো বিরোধী দল নাই। তাহলে আমরা কি সরকারি দল?’
রাঙ্গা আরও বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের সহযোগী হতে চাই, দুর্নামের সহযোগী হতে চাই না। শিল্পমন্ত্রী (প্রতিমন্ত্রী হবে) যখন বলেন আমলারা দুর্নীতি করে দেশটাকে ছারখার করে দিয়েছে। মন্ত্রী বলছেন, সচিবেরা লুটপাট করে খাচ্ছেন। কেন হবে এগুলো? কেন বলবেন তিনি? ভয় কী। আমিতো আমলাদের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী ছিলাম। তাঁরা আমার ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেন নাই।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্দেশে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আমাদের আবারও ষড়যন্ত্রের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই সজাগ বলে আমি জানি। কিন্তু একটা ষড়যন্ত্র চলছে না, তা কিন্তু নয়। আমি জানি আল্লাহর রহমত আপনার ওপর আছে। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ আপনাকে সহায়তা করবে। আমরা যেহেতু আগে পরে আপনার সঙ্গে ছিলাম। এখনো আপনার সঙ্গে থাকব। প্রধানমন্ত্রীকে আমরা যদি ছেড়ে দিতে পারতাম, তাহলে তিনি বিশ্ব নেতাদের মধ্যে একটা বড় নেতা হয়ে যেতেন। আমরা ওনাকে ছাড়ছি না আমাদের স্বার্থে।’
প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ দিলে বিএনপির সাংসদের সঙ্গে প্রেসক্লাবের সামনে অনশন করবেন বলেও উল্লেখ করেন রাঙ্গা। নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ আমলাদের হাতে চলে যাওয়ায় আক্ষেপ করে রাঙ্গা বলেন, ‘আজকে আমাদের পরিবারের টাকায় যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছি সেখানে আমরা সভাপতি হতে পারি না। হাইকোর্টের একটা নির্দেশনার কারণে এটা আমলাদের হাতে চলে গেছে। কিন্তু ডিসিরা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যান না। এগুলো আমাদের ফিরিয়ে দেন। প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের হাতে না থাকলে আমরা কার সঙ্গে থাকব। কোমলমতিরা যারা আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমাদের যে অধিকারটুকু ছিল এটা যেন আমরা আবার ফিরে পাই।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিএনপি কোনো সংশয় দেখছে না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। যারা বাহানা দিয়ে নির্বাচন বয়কট করবে, তারা মাইনাস হয়ে যাবে।
২ ঘণ্টা আগেশিল্পী সমাজের একাংশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, সে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, জনতা, নারী, পুরুষ, শিশু সকলে নেমে এসেছিল। সকলের বুকে আহাজারি ছিল। সেদিন শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। আমার ছাত্র ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। খুন করা হয়েছে। সেই দোষ, আপনাদের স্বৈর-সরকারের।
৩ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনসিপি গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করছে, নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা করেছে গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীরা।
৪ ঘণ্টা আগেআগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি দল এরই মধ্যে দেশব্যাপী সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে