নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন কোনোভাবেই ‘একটা আরেকটার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে, এটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। বিচারেও টাইম লিমিট করা যায় না, তাতে অবিচার হবে তাহলে। সেটা চলবে, যে সরকারই আসুক। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেট হতে পারে।’
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি সবচেয়ে বেশি ‘অবিচারের শিকার’ হয়েছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা গুম-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিচার চলবে, এটা আমাদের কমিটমেন্ট, জাতির কমিটমেন্ট। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা ফ্যাসিবাদ করছে।
‘আমরা যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করি, ফ্যাসিবাদী শক্তি সুযোগ পাবে, আশকারা পাবে, সেটা আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য...অনেকে বলছেন, এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে। আমি বলছি, এটা রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেট হতে পারে। এখানে দুইটা রিজিওনাল শক্তি। আমরা বাংলাদেশকে সেখানে নিতে চাই না। নির্ধারিত টাইমলাইনে নির্বাচন হতেই হবে।’
অনেকগুলো বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরও বিষয়ে সংস্কারের প্রয়োজন আছে, যেগুলো হয়তো আপনারা সময়ের অভাবে অ্যাড্রেস করতে পারেননি, সেগুলো জাতির সামনে অ্যাড্রেস করতে হবে।
সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এখানে ১৯টি মৌলিক বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। বাস্তবে মৌলিক বিষয় আরও অনেক আছে। আমরা ৮২৬টি ছোট-বড় সংস্কার প্রস্তাব পেয়েছি। এগুলো দলে আলোচনা করে লিখিত মতামত দিয়েছি। মাত্র ৫১টি প্রস্তাবে আমরা দ্বিমত করেছি। ১১৫টি প্রস্তাবে আমাদের মতামতসহ ভিন্নমত দিয়ে গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়েছে প্রায়। মৌলিকগুলো নিয়ে ৮৪৫টি সংস্কার প্রস্তাব হয়।’
সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন জটিলতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে—এমন মনে হওয়ার কথা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘দুই দিন পর টিকবে না, চ্যালেঞ্জ হয়ে যেতে পারে—এমন কোনো বিষয় আমরা রেখে যেতে চাই না। আমরা যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি, তা বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং হয়ে যাবে।’
১৯টি সাংবিধানিক ইস্যু বাকি থাকার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এর মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে ‘‘নোট অব ডিসেন্ট’’সহ আমরা একমত হয়েছি। আমাদের বিবেচনায় ৭০ অনুচ্ছেদের চারটি বিষয়ে এমপিদের স্বাধীনতা না থাকলে ভালো হয়। সর্বনিম্ন দুটি বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। নোট অব ডিসেন্টের ভাষা উল্লেখ করে সনদ তৈরি হচ্ছে এবং সেভাবে আমরা স্বাক্ষর করব। যারা জনগণের ম্যান্ডেট পাবে, তারা তাদের নোট অব ডিসেন্ট রক্ষা করে বাস্তবায়ন করবে। এটি কোনো জটিল বিষয় নয়।’
দুই থেকে তিনটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া অন্যগুলো খুবই সাধারণ বিষয় উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এগুলো বাস্তবায়ন খুব সহজ। কিন্তু ফোরাম কোনটা? সাংবিধানিক বিষয়গুলো পরবর্তী সংসদ ছাড়া অন্য কোনো ফোরাম করতে পারে কি না। এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ দিতে পারেন সুপ্রিম কোর্ট। আমরা সেখানে যেতে পারি এবং সহায়তা নিতে পারি। এর বাইরে কিছু থাকলে জানান, আমরা একমত। আমরা সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত আছি, তা আগেও বলেছি।’
ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা এবং তা শক্তিতে রূপান্তর করতে আরও বেশি নেগোশিয়েট করার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা কম্প্রোমাইজ করব। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোনো পন্থা বের করতে পারলে তাতে একমত হব। প্রস্তত করা চূড়ান্ত জুলাই সনদে ক্লেরিক্যাল মিসটেক এবং কিছুটা বিভ্রান্তি আছে। এটা আমরা কারেকশন করে দিব, এটা মেজর কিছু নয়।
‘তবে এটি জাতীয় দলিল, রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল, ঐতিহাসিক দলিল হবে—সে জন্য এটা নির্ভুল হওয়া বাঞ্ছনীয়। যেসব বিষয় আলোচনা হয়নি, সেগুলো এতে অন্তর্ভুক্ত করা ঠিক হবে না। বিতর্ক যত কম করা যায়।’
শেষ সময়ে এসে সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া না হলে স্বাক্ষর না করা নিয়ে কয়েকটি দলের অবস্থানের বিষয় তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বলেছি, আইনি ভিত্তি নিয়ে আলোচনা হলে তাতে আমরা অংশ নেব। সেই আলোচনা শুরু হয়েছে। তার আগে কমিশন বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছে। সেখান থেকে অঙ্গীকারনামার যে ড্রাফট দেওয়া হয়েছে, তাতে আমরা লিখিত মতামত দিয়েছি। যেসব বিষয় পরে টিকবে না, সেগুলো এতে উত্থাপন করা ঠিক হবে না।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না—তেমন কোনো দলিল হতে পারে না, সংবিধানের ওপর সনদকে স্থান দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। এর বাইরেও অনেক পন্থা থাকতে পারে, যাতে আমরা এটার বৈধতা দিতে আইনি ভিত্তি দিতে পারি। আপিল বিভাগের পরামর্শ নিতে পারি আমরা, এটা এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অর্ডার বা স্পেশাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার করা যায় কি না। তাহলে ভবিষ্যতে জুডিশিয়ারিতে এটা চ্যালেঞ্জ করলেও বলতে পারবে—আমরা মতামত নিয়েছিলাম। এখন সেই পরামর্শ আপনারা দিতে পারেন, নাও পারেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘স্পেশাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) করলেন। আমরা কেউ কিছু বললাম না। ঐকমত্য কমিশন থেকে আমরা আপনাকে দায়িত্ব দিলাম, সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে আপনি সিদ্ধান্ত দেন। তারপর আপনি করলেন। কিন্তু যেকোনো একজন নাগরিক যদি এটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে কোথাও যায়, সেটা আপনার গ্লোবাল রেপুটেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। আমরা অনেক আলোচনা করেছি, সেখান থেকে আপনি কোনো মতামত নিতে পারেন। সেই স্বাধীনতা আপনার আছে।’

সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন কোনোভাবেই ‘একটা আরেকটার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে, এটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। বিচারেও টাইম লিমিট করা যায় না, তাতে অবিচার হবে তাহলে। সেটা চলবে, যে সরকারই আসুক। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেট হতে পারে।’
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি সবচেয়ে বেশি ‘অবিচারের শিকার’ হয়েছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা গুম-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিচার চলবে, এটা আমাদের কমিটমেন্ট, জাতির কমিটমেন্ট। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা ফ্যাসিবাদ করছে।
‘আমরা যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করি, ফ্যাসিবাদী শক্তি সুযোগ পাবে, আশকারা পাবে, সেটা আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য...অনেকে বলছেন, এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে। আমি বলছি, এটা রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেট হতে পারে। এখানে দুইটা রিজিওনাল শক্তি। আমরা বাংলাদেশকে সেখানে নিতে চাই না। নির্ধারিত টাইমলাইনে নির্বাচন হতেই হবে।’
অনেকগুলো বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরও বিষয়ে সংস্কারের প্রয়োজন আছে, যেগুলো হয়তো আপনারা সময়ের অভাবে অ্যাড্রেস করতে পারেননি, সেগুলো জাতির সামনে অ্যাড্রেস করতে হবে।
সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এখানে ১৯টি মৌলিক বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। বাস্তবে মৌলিক বিষয় আরও অনেক আছে। আমরা ৮২৬টি ছোট-বড় সংস্কার প্রস্তাব পেয়েছি। এগুলো দলে আলোচনা করে লিখিত মতামত দিয়েছি। মাত্র ৫১টি প্রস্তাবে আমরা দ্বিমত করেছি। ১১৫টি প্রস্তাবে আমাদের মতামতসহ ভিন্নমত দিয়ে গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়েছে প্রায়। মৌলিকগুলো নিয়ে ৮৪৫টি সংস্কার প্রস্তাব হয়।’
সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন জটিলতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে—এমন মনে হওয়ার কথা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘দুই দিন পর টিকবে না, চ্যালেঞ্জ হয়ে যেতে পারে—এমন কোনো বিষয় আমরা রেখে যেতে চাই না। আমরা যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি, তা বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং হয়ে যাবে।’
১৯টি সাংবিধানিক ইস্যু বাকি থাকার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এর মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে ‘‘নোট অব ডিসেন্ট’’সহ আমরা একমত হয়েছি। আমাদের বিবেচনায় ৭০ অনুচ্ছেদের চারটি বিষয়ে এমপিদের স্বাধীনতা না থাকলে ভালো হয়। সর্বনিম্ন দুটি বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। নোট অব ডিসেন্টের ভাষা উল্লেখ করে সনদ তৈরি হচ্ছে এবং সেভাবে আমরা স্বাক্ষর করব। যারা জনগণের ম্যান্ডেট পাবে, তারা তাদের নোট অব ডিসেন্ট রক্ষা করে বাস্তবায়ন করবে। এটি কোনো জটিল বিষয় নয়।’
দুই থেকে তিনটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া অন্যগুলো খুবই সাধারণ বিষয় উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এগুলো বাস্তবায়ন খুব সহজ। কিন্তু ফোরাম কোনটা? সাংবিধানিক বিষয়গুলো পরবর্তী সংসদ ছাড়া অন্য কোনো ফোরাম করতে পারে কি না। এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ দিতে পারেন সুপ্রিম কোর্ট। আমরা সেখানে যেতে পারি এবং সহায়তা নিতে পারি। এর বাইরে কিছু থাকলে জানান, আমরা একমত। আমরা সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত আছি, তা আগেও বলেছি।’
ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা এবং তা শক্তিতে রূপান্তর করতে আরও বেশি নেগোশিয়েট করার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা কম্প্রোমাইজ করব। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোনো পন্থা বের করতে পারলে তাতে একমত হব। প্রস্তত করা চূড়ান্ত জুলাই সনদে ক্লেরিক্যাল মিসটেক এবং কিছুটা বিভ্রান্তি আছে। এটা আমরা কারেকশন করে দিব, এটা মেজর কিছু নয়।
‘তবে এটি জাতীয় দলিল, রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল, ঐতিহাসিক দলিল হবে—সে জন্য এটা নির্ভুল হওয়া বাঞ্ছনীয়। যেসব বিষয় আলোচনা হয়নি, সেগুলো এতে অন্তর্ভুক্ত করা ঠিক হবে না। বিতর্ক যত কম করা যায়।’
শেষ সময়ে এসে সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া না হলে স্বাক্ষর না করা নিয়ে কয়েকটি দলের অবস্থানের বিষয় তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বলেছি, আইনি ভিত্তি নিয়ে আলোচনা হলে তাতে আমরা অংশ নেব। সেই আলোচনা শুরু হয়েছে। তার আগে কমিশন বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছে। সেখান থেকে অঙ্গীকারনামার যে ড্রাফট দেওয়া হয়েছে, তাতে আমরা লিখিত মতামত দিয়েছি। যেসব বিষয় পরে টিকবে না, সেগুলো এতে উত্থাপন করা ঠিক হবে না।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না—তেমন কোনো দলিল হতে পারে না, সংবিধানের ওপর সনদকে স্থান দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। এর বাইরেও অনেক পন্থা থাকতে পারে, যাতে আমরা এটার বৈধতা দিতে আইনি ভিত্তি দিতে পারি। আপিল বিভাগের পরামর্শ নিতে পারি আমরা, এটা এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অর্ডার বা স্পেশাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার করা যায় কি না। তাহলে ভবিষ্যতে জুডিশিয়ারিতে এটা চ্যালেঞ্জ করলেও বলতে পারবে—আমরা মতামত নিয়েছিলাম। এখন সেই পরামর্শ আপনারা দিতে পারেন, নাও পারেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘স্পেশাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) করলেন। আমরা কেউ কিছু বললাম না। ঐকমত্য কমিশন থেকে আমরা আপনাকে দায়িত্ব দিলাম, সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে আপনি সিদ্ধান্ত দেন। তারপর আপনি করলেন। কিন্তু যেকোনো একজন নাগরিক যদি এটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে কোথাও যায়, সেটা আপনার গ্লোবাল রেপুটেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। আমরা অনেক আলোচনা করেছি, সেখান থেকে আপনি কোনো মতামত নিতে পারেন। সেই স্বাধীনতা আপনার আছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন কোনোভাবেই ‘একটা আরেকটার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে, এটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। বিচারেও টাইম লিমিট করা যায় না, তাতে অবিচার হবে তাহলে। সেটা চলবে, যে সরকারই আসুক। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেট হতে পারে।’
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি সবচেয়ে বেশি ‘অবিচারের শিকার’ হয়েছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা গুম-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিচার চলবে, এটা আমাদের কমিটমেন্ট, জাতির কমিটমেন্ট। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা ফ্যাসিবাদ করছে।
‘আমরা যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করি, ফ্যাসিবাদী শক্তি সুযোগ পাবে, আশকারা পাবে, সেটা আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য...অনেকে বলছেন, এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে। আমি বলছি, এটা রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেট হতে পারে। এখানে দুইটা রিজিওনাল শক্তি। আমরা বাংলাদেশকে সেখানে নিতে চাই না। নির্ধারিত টাইমলাইনে নির্বাচন হতেই হবে।’
অনেকগুলো বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরও বিষয়ে সংস্কারের প্রয়োজন আছে, যেগুলো হয়তো আপনারা সময়ের অভাবে অ্যাড্রেস করতে পারেননি, সেগুলো জাতির সামনে অ্যাড্রেস করতে হবে।
সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এখানে ১৯টি মৌলিক বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। বাস্তবে মৌলিক বিষয় আরও অনেক আছে। আমরা ৮২৬টি ছোট-বড় সংস্কার প্রস্তাব পেয়েছি। এগুলো দলে আলোচনা করে লিখিত মতামত দিয়েছি। মাত্র ৫১টি প্রস্তাবে আমরা দ্বিমত করেছি। ১১৫টি প্রস্তাবে আমাদের মতামতসহ ভিন্নমত দিয়ে গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়েছে প্রায়। মৌলিকগুলো নিয়ে ৮৪৫টি সংস্কার প্রস্তাব হয়।’
সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন জটিলতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে—এমন মনে হওয়ার কথা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘দুই দিন পর টিকবে না, চ্যালেঞ্জ হয়ে যেতে পারে—এমন কোনো বিষয় আমরা রেখে যেতে চাই না। আমরা যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি, তা বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং হয়ে যাবে।’
১৯টি সাংবিধানিক ইস্যু বাকি থাকার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এর মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে ‘‘নোট অব ডিসেন্ট’’সহ আমরা একমত হয়েছি। আমাদের বিবেচনায় ৭০ অনুচ্ছেদের চারটি বিষয়ে এমপিদের স্বাধীনতা না থাকলে ভালো হয়। সর্বনিম্ন দুটি বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। নোট অব ডিসেন্টের ভাষা উল্লেখ করে সনদ তৈরি হচ্ছে এবং সেভাবে আমরা স্বাক্ষর করব। যারা জনগণের ম্যান্ডেট পাবে, তারা তাদের নোট অব ডিসেন্ট রক্ষা করে বাস্তবায়ন করবে। এটি কোনো জটিল বিষয় নয়।’
দুই থেকে তিনটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া অন্যগুলো খুবই সাধারণ বিষয় উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এগুলো বাস্তবায়ন খুব সহজ। কিন্তু ফোরাম কোনটা? সাংবিধানিক বিষয়গুলো পরবর্তী সংসদ ছাড়া অন্য কোনো ফোরাম করতে পারে কি না। এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ দিতে পারেন সুপ্রিম কোর্ট। আমরা সেখানে যেতে পারি এবং সহায়তা নিতে পারি। এর বাইরে কিছু থাকলে জানান, আমরা একমত। আমরা সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত আছি, তা আগেও বলেছি।’
ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা এবং তা শক্তিতে রূপান্তর করতে আরও বেশি নেগোশিয়েট করার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা কম্প্রোমাইজ করব। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোনো পন্থা বের করতে পারলে তাতে একমত হব। প্রস্তত করা চূড়ান্ত জুলাই সনদে ক্লেরিক্যাল মিসটেক এবং কিছুটা বিভ্রান্তি আছে। এটা আমরা কারেকশন করে দিব, এটা মেজর কিছু নয়।
‘তবে এটি জাতীয় দলিল, রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল, ঐতিহাসিক দলিল হবে—সে জন্য এটা নির্ভুল হওয়া বাঞ্ছনীয়। যেসব বিষয় আলোচনা হয়নি, সেগুলো এতে অন্তর্ভুক্ত করা ঠিক হবে না। বিতর্ক যত কম করা যায়।’
শেষ সময়ে এসে সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া না হলে স্বাক্ষর না করা নিয়ে কয়েকটি দলের অবস্থানের বিষয় তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বলেছি, আইনি ভিত্তি নিয়ে আলোচনা হলে তাতে আমরা অংশ নেব। সেই আলোচনা শুরু হয়েছে। তার আগে কমিশন বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছে। সেখান থেকে অঙ্গীকারনামার যে ড্রাফট দেওয়া হয়েছে, তাতে আমরা লিখিত মতামত দিয়েছি। যেসব বিষয় পরে টিকবে না, সেগুলো এতে উত্থাপন করা ঠিক হবে না।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না—তেমন কোনো দলিল হতে পারে না, সংবিধানের ওপর সনদকে স্থান দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। এর বাইরেও অনেক পন্থা থাকতে পারে, যাতে আমরা এটার বৈধতা দিতে আইনি ভিত্তি দিতে পারি। আপিল বিভাগের পরামর্শ নিতে পারি আমরা, এটা এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অর্ডার বা স্পেশাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার করা যায় কি না। তাহলে ভবিষ্যতে জুডিশিয়ারিতে এটা চ্যালেঞ্জ করলেও বলতে পারবে—আমরা মতামত নিয়েছিলাম। এখন সেই পরামর্শ আপনারা দিতে পারেন, নাও পারেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘স্পেশাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) করলেন। আমরা কেউ কিছু বললাম না। ঐকমত্য কমিশন থেকে আমরা আপনাকে দায়িত্ব দিলাম, সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে আপনি সিদ্ধান্ত দেন। তারপর আপনি করলেন। কিন্তু যেকোনো একজন নাগরিক যদি এটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে কোথাও যায়, সেটা আপনার গ্লোবাল রেপুটেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। আমরা অনেক আলোচনা করেছি, সেখান থেকে আপনি কোনো মতামত নিতে পারেন। সেই স্বাধীনতা আপনার আছে।’

সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন কোনোভাবেই ‘একটা আরেকটার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে, এটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। বিচারেও টাইম লিমিট করা যায় না, তাতে অবিচার হবে তাহলে। সেটা চলবে, যে সরকারই আসুক। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেট হতে পারে।’
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি সবচেয়ে বেশি ‘অবিচারের শিকার’ হয়েছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা গুম-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিচার চলবে, এটা আমাদের কমিটমেন্ট, জাতির কমিটমেন্ট। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা ফ্যাসিবাদ করছে।
‘আমরা যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করি, ফ্যাসিবাদী শক্তি সুযোগ পাবে, আশকারা পাবে, সেটা আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য...অনেকে বলছেন, এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে। আমি বলছি, এটা রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেট হতে পারে। এখানে দুইটা রিজিওনাল শক্তি। আমরা বাংলাদেশকে সেখানে নিতে চাই না। নির্ধারিত টাইমলাইনে নির্বাচন হতেই হবে।’
অনেকগুলো বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরও বিষয়ে সংস্কারের প্রয়োজন আছে, যেগুলো হয়তো আপনারা সময়ের অভাবে অ্যাড্রেস করতে পারেননি, সেগুলো জাতির সামনে অ্যাড্রেস করতে হবে।
সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এখানে ১৯টি মৌলিক বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। বাস্তবে মৌলিক বিষয় আরও অনেক আছে। আমরা ৮২৬টি ছোট-বড় সংস্কার প্রস্তাব পেয়েছি। এগুলো দলে আলোচনা করে লিখিত মতামত দিয়েছি। মাত্র ৫১টি প্রস্তাবে আমরা দ্বিমত করেছি। ১১৫টি প্রস্তাবে আমাদের মতামতসহ ভিন্নমত দিয়ে গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়েছে প্রায়। মৌলিকগুলো নিয়ে ৮৪৫টি সংস্কার প্রস্তাব হয়।’
সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন জটিলতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে—এমন মনে হওয়ার কথা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘দুই দিন পর টিকবে না, চ্যালেঞ্জ হয়ে যেতে পারে—এমন কোনো বিষয় আমরা রেখে যেতে চাই না। আমরা যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছি, তা বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং হয়ে যাবে।’
১৯টি সাংবিধানিক ইস্যু বাকি থাকার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এর মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে ‘‘নোট অব ডিসেন্ট’’সহ আমরা একমত হয়েছি। আমাদের বিবেচনায় ৭০ অনুচ্ছেদের চারটি বিষয়ে এমপিদের স্বাধীনতা না থাকলে ভালো হয়। সর্বনিম্ন দুটি বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। নোট অব ডিসেন্টের ভাষা উল্লেখ করে সনদ তৈরি হচ্ছে এবং সেভাবে আমরা স্বাক্ষর করব। যারা জনগণের ম্যান্ডেট পাবে, তারা তাদের নোট অব ডিসেন্ট রক্ষা করে বাস্তবায়ন করবে। এটি কোনো জটিল বিষয় নয়।’
দুই থেকে তিনটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া অন্যগুলো খুবই সাধারণ বিষয় উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এগুলো বাস্তবায়ন খুব সহজ। কিন্তু ফোরাম কোনটা? সাংবিধানিক বিষয়গুলো পরবর্তী সংসদ ছাড়া অন্য কোনো ফোরাম করতে পারে কি না। এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ দিতে পারেন সুপ্রিম কোর্ট। আমরা সেখানে যেতে পারি এবং সহায়তা নিতে পারি। এর বাইরে কিছু থাকলে জানান, আমরা একমত। আমরা সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত আছি, তা আগেও বলেছি।’
ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা এবং তা শক্তিতে রূপান্তর করতে আরও বেশি নেগোশিয়েট করার কথা তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা কম্প্রোমাইজ করব। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোনো পন্থা বের করতে পারলে তাতে একমত হব। প্রস্তত করা চূড়ান্ত জুলাই সনদে ক্লেরিক্যাল মিসটেক এবং কিছুটা বিভ্রান্তি আছে। এটা আমরা কারেকশন করে দিব, এটা মেজর কিছু নয়।
‘তবে এটি জাতীয় দলিল, রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল, ঐতিহাসিক দলিল হবে—সে জন্য এটা নির্ভুল হওয়া বাঞ্ছনীয়। যেসব বিষয় আলোচনা হয়নি, সেগুলো এতে অন্তর্ভুক্ত করা ঠিক হবে না। বিতর্ক যত কম করা যায়।’
শেষ সময়ে এসে সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া না হলে স্বাক্ষর না করা নিয়ে কয়েকটি দলের অবস্থানের বিষয় তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা বলেছি, আইনি ভিত্তি নিয়ে আলোচনা হলে তাতে আমরা অংশ নেব। সেই আলোচনা শুরু হয়েছে। তার আগে কমিশন বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছে। সেখান থেকে অঙ্গীকারনামার যে ড্রাফট দেওয়া হয়েছে, তাতে আমরা লিখিত মতামত দিয়েছি। যেসব বিষয় পরে টিকবে না, সেগুলো এতে উত্থাপন করা ঠিক হবে না।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না—তেমন কোনো দলিল হতে পারে না, সংবিধানের ওপর সনদকে স্থান দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। এর বাইরেও অনেক পন্থা থাকতে পারে, যাতে আমরা এটার বৈধতা দিতে আইনি ভিত্তি দিতে পারি। আপিল বিভাগের পরামর্শ নিতে পারি আমরা, এটা এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অর্ডার বা স্পেশাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার করা যায় কি না। তাহলে ভবিষ্যতে জুডিশিয়ারিতে এটা চ্যালেঞ্জ করলেও বলতে পারবে—আমরা মতামত নিয়েছিলাম। এখন সেই পরামর্শ আপনারা দিতে পারেন, নাও পারেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘স্পেশাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) করলেন। আমরা কেউ কিছু বললাম না। ঐকমত্য কমিশন থেকে আমরা আপনাকে দায়িত্ব দিলাম, সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে আপনি সিদ্ধান্ত দেন। তারপর আপনি করলেন। কিন্তু যেকোনো একজন নাগরিক যদি এটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে কোথাও যায়, সেটা আপনার গ্লোবাল রেপুটেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। আমরা অনেক আলোচনা করেছি, সেখান থেকে আপনি কোনো মতামত নিতে পারেন। সেই স্বাধীনতা আপনার আছে।’

মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
২ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকার ‘দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশটা কার? কে দেশটা চালায়? দেখার লোক নাই। সবাই শুধু ব্যস্ত সংস্কারে। কী সংস্কার করছেন—এটাই তো বুঝতে পারলাম না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাস্তায় নামলে হাঁটা যায় না। একটা শ্রেণি দেশে নতুন জুটেছে। এরা দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এই বাংলাদেশকেই চায়নি কোনো দিন, তারা বাংলাদেশের শাসনভার চায়। তারা নানা সময়ে এ দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এখন তারা লম্বা লম্বা কথা বলে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা নির্দিষ্ট কোনো দলকে নয়; তাঁরা দেশপ্রেমিক প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস।

অন্তর্বর্তী সরকার ‘দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশটা কার? কে দেশটা চালায়? দেখার লোক নাই। সবাই শুধু ব্যস্ত সংস্কারে। কী সংস্কার করছেন—এটাই তো বুঝতে পারলাম না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাস্তায় নামলে হাঁটা যায় না। একটা শ্রেণি দেশে নতুন জুটেছে। এরা দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এই বাংলাদেশকেই চায়নি কোনো দিন, তারা বাংলাদেশের শাসনভার চায়। তারা নানা সময়ে এ দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এখন তারা লম্বা লম্বা কথা বলে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা নির্দিষ্ট কোনো দলকে নয়; তাঁরা দেশপ্রেমিক প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস।

গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি সবচেয়ে বেশি অবিচারের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা গুম-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিচার চলবে, এটা আমাদের কমিটমেন্ট, জাতির কমিটমেন্ট। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনিশ্চি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জীবনের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও যাঁরা এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি, তাঁদের দল যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশা আল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে!’
সবার কাছে দোয়া চেয়ে বিএনপি মহাসচিব পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করব! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশা আল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য!’
নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জীবনের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও যাঁরা এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি, তাঁদের দল যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশা আল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে!’
সবার কাছে দোয়া চেয়ে বিএনপি মহাসচিব পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করব! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশা আল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য!’
নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!’

গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি সবচেয়ে বেশি অবিচারের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা গুম-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিচার চলবে, এটা আমাদের কমিটমেন্ট, জাতির কমিটমেন্ট। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনিশ্চি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি সবচেয়ে বেশি অবিচারের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা গুম-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিচার চলবে, এটা আমাদের কমিটমেন্ট, জাতির কমিটমেন্ট। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনিশ্চি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
২ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
২ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামী জোটবদ্ধভাবেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে উল্লেখ করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে আমরা, দেশবাসী সবাই নির্বাচন দেখতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার সকালে ওমরাহ পালন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক সফর শেষে ঢাকায় ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেনি। আমি দেখেছি, ২৩৭টি আসনে তাঁরা তালিকা প্রকাশ করেছেন, আর প্রশ্নোত্তরে বলেছেন, এটি চূড়ান্ত নয়। এর মধ্যেও পরিবর্তন আসতে পারে। আমরা কিন্তু এক বছর আগেই এই তালিকা আঞ্চলিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি। চূড়ান্ত তালিকাটা সময়মতো আমরা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করব। যেহেতু আমরা একা ইলেকশন করব না, আরও অনেককে আমরা ধারণ করব, দেশ এবং জাতির স্বার্থে সব দিক বিবেচনা করেই চূড়ান্তভাবে যথাসময়ে আমরা প্রার্থী ঘোষণা করব।’
প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগের জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো ব্যাপকভিত্তিক আমাদের প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ভোটার হওয়ার জন্য অক্টোবরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য যে সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে, তা প্রোপারলি ফাংশন করে নাই, যার কারণে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। আমাদের দাবি থাকবে নির্বাচন কমিশনের কাছে কমপক্ষে আরও ১৫ দিন এই সময় বর্ধিত করা হোক এবং যে জটিলতাগুলো রয়েছে, সেগুলো সহজ করে তাদের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।’
দলগুলোর মতানৈক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতানৈক্য থাকবে, তবে দোয়া করেন মতবিরোধ যেন না হয়। মতের ভিন্নতা থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সব দল তো এক দল নয়। সবগুলো দল ভিন্ন ভিন্ন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও পার্থক্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা সবার মতকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখি। তবে আমরা নিজেরা যে মতটা প্রকাশ করি, আমরা চেষ্টা করি চিন্তাভাবনা করে জাতির স্বার্থেই সে মতগুলো প্রকাশ করার। অতএব মতানৈক্য এটা ডেমোক্রেসির সৌন্দর্য। এটার জন্য এখানে বিরোধ লেগে গেছে অথবা দেশ একেবারে অস্থির হয়ে গেছে, আমরা এইটা চিন্তা করতে রাজি নই।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলা বসে যদি একটা কনসেনসাসে (ঐকমত্যে) পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো এবং আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ এবং জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
জামায়াত আমিরকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামী জোটবদ্ধভাবেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে উল্লেখ করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে আমরা, দেশবাসী সবাই নির্বাচন দেখতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার সকালে ওমরাহ পালন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক সফর শেষে ঢাকায় ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেনি। আমি দেখেছি, ২৩৭টি আসনে তাঁরা তালিকা প্রকাশ করেছেন, আর প্রশ্নোত্তরে বলেছেন, এটি চূড়ান্ত নয়। এর মধ্যেও পরিবর্তন আসতে পারে। আমরা কিন্তু এক বছর আগেই এই তালিকা আঞ্চলিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি। চূড়ান্ত তালিকাটা সময়মতো আমরা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করব। যেহেতু আমরা একা ইলেকশন করব না, আরও অনেককে আমরা ধারণ করব, দেশ এবং জাতির স্বার্থে সব দিক বিবেচনা করেই চূড়ান্তভাবে যথাসময়ে আমরা প্রার্থী ঘোষণা করব।’
প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগের জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো ব্যাপকভিত্তিক আমাদের প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ভোটার হওয়ার জন্য অক্টোবরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য যে সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে, তা প্রোপারলি ফাংশন করে নাই, যার কারণে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। আমাদের দাবি থাকবে নির্বাচন কমিশনের কাছে কমপক্ষে আরও ১৫ দিন এই সময় বর্ধিত করা হোক এবং যে জটিলতাগুলো রয়েছে, সেগুলো সহজ করে তাদের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।’
দলগুলোর মতানৈক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতানৈক্য থাকবে, তবে দোয়া করেন মতবিরোধ যেন না হয়। মতের ভিন্নতা থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সব দল তো এক দল নয়। সবগুলো দল ভিন্ন ভিন্ন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও পার্থক্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা সবার মতকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখি। তবে আমরা নিজেরা যে মতটা প্রকাশ করি, আমরা চেষ্টা করি চিন্তাভাবনা করে জাতির স্বার্থেই সে মতগুলো প্রকাশ করার। অতএব মতানৈক্য এটা ডেমোক্রেসির সৌন্দর্য। এটার জন্য এখানে বিরোধ লেগে গেছে অথবা দেশ একেবারে অস্থির হয়ে গেছে, আমরা এইটা চিন্তা করতে রাজি নই।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলা বসে যদি একটা কনসেনসাসে (ঐকমত্যে) পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো এবং আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ এবং জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
জামায়াত আমিরকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম প্রমুখ।

গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি সবচেয়ে বেশি অবিচারের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা গুম-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিচার চলবে, এটা আমাদের কমিটমেন্ট, জাতির কমিটমেন্ট। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনিশ্চি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
২ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে