নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, অনেকেই ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। তিনি বলেছেন, ‘অনেকে ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। আমাদের কাছে তাদের নাম ও প্রমাণ রয়েছে।’
আজ সোমবার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে ‘৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার বিচার দাবিতে মানবপ্রাচীর’—কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন জাহিদুল ইসলাম।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছে মন্তব্য করে ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও শাপলা ও জুলাই আন্দোলনসহ কোনো গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হয়নি। শহীদ পরিবারের সদস্যরা এখনো ক্ষতি পূরণ পায়নি, আহতরা এখনো হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। অথচ এ অবস্থার মধ্যেও গণহত্যাকারীরা শহীদ পরিবারগুলোকে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দিচ্ছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা কোনো স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় আসেননি। তাই গণহত্যার মতো অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে আমাদের আইনের বয়ান শোনাবেন না। হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তাদের কেউ কেউ আজ ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের পরিণতি শেখ হাসিনার পরিণতির চেয়েও ভয়াবহ হবে।’
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হাজার শহীদের রক্ত মাড়িয়ে আমরা আজ এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছি, যেখান থেকে আমাদের স্পষ্ট দাবি—সব গণহত্যার বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যায় শহীদদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে।’
বাংলাদেশের একটি শ্রেণি আলেম-ওলামাদের মূল ধারার বাইরে রাখতে চায় দাবি করে শিবির সভাপতি বলেন, ‘আমাদের জাতিসত্তার বিকাশে আলেম-ওলামাদের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁদের মূলধারার বাইরে রেখে এই জাতিসত্তার ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়।’
২০১৩ সালের ৫ মের শাপলা চত্বরের ঘটনা উল্লেখ করে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সেদিন নিরীহ মানুষদের ওপর চালানো হয় নির্মম গণহত্যা। গভীর রাতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাষ্ট্রীয় বাহিনী চারদিক থেকে ঘিরে বর্বরোচিত সামরিক কায়দায় গণহত্যা চালায়। নিরীহ ধর্মপ্রাণ জনতার ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে। অনেক শহীদের লাশ গুম করা হয়। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, শাপলার শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি, গণহত্যার বিচার এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে “শাপলা গণহত্যা দিবস” ঘোষণা করতে হবে।’
শিবির সভাপতি বলেন, ‘২০০৮ সালে ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, আল্লামা সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে প্রতিবাদীদের ওপর গণহত্যা, শাপলা চত্বরে ইসলামপ্রিয় আলেম-ওলামা ও নবী প্রেমিক জনতার ওপর নারকীয় হামলা এবং সর্বশেষ ২৪ জুলাইয়ের ভয়াবহ গণহত্যা চালায়। এখন সময় এসেছে এই সকল পরিকল্পিত গণহত্যার বিচার করার। গণহত্যার বিচার নিশ্চিত না হলে ফ্যাসিবাদ রোধ কখনোই সম্ভব নয়।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শিবিরের সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন—কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, এইচআরএম সম্পাদক সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, অনেকেই ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। তিনি বলেছেন, ‘অনেকে ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। আমাদের কাছে তাদের নাম ও প্রমাণ রয়েছে।’
আজ সোমবার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে ‘৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যার বিচার দাবিতে মানবপ্রাচীর’—কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন জাহিদুল ইসলাম।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছে মন্তব্য করে ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও শাপলা ও জুলাই আন্দোলনসহ কোনো গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হয়নি। শহীদ পরিবারের সদস্যরা এখনো ক্ষতি পূরণ পায়নি, আহতরা এখনো হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। অথচ এ অবস্থার মধ্যেও গণহত্যাকারীরা শহীদ পরিবারগুলোকে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দিচ্ছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা কোনো স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় আসেননি। তাই গণহত্যার মতো অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে আমাদের আইনের বয়ান শোনাবেন না। হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তাদের কেউ কেউ আজ ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের পরিণতি শেখ হাসিনার পরিণতির চেয়েও ভয়াবহ হবে।’
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হাজার শহীদের রক্ত মাড়িয়ে আমরা আজ এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছি, যেখান থেকে আমাদের স্পষ্ট দাবি—সব গণহত্যার বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যায় শহীদদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে।’
বাংলাদেশের একটি শ্রেণি আলেম-ওলামাদের মূল ধারার বাইরে রাখতে চায় দাবি করে শিবির সভাপতি বলেন, ‘আমাদের জাতিসত্তার বিকাশে আলেম-ওলামাদের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁদের মূলধারার বাইরে রেখে এই জাতিসত্তার ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়।’
২০১৩ সালের ৫ মের শাপলা চত্বরের ঘটনা উল্লেখ করে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সেদিন নিরীহ মানুষদের ওপর চালানো হয় নির্মম গণহত্যা। গভীর রাতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাষ্ট্রীয় বাহিনী চারদিক থেকে ঘিরে বর্বরোচিত সামরিক কায়দায় গণহত্যা চালায়। নিরীহ ধর্মপ্রাণ জনতার ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে। অনেক শহীদের লাশ গুম করা হয়। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, শাপলার শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি, গণহত্যার বিচার এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে “শাপলা গণহত্যা দিবস” ঘোষণা করতে হবে।’
শিবির সভাপতি বলেন, ‘২০০৮ সালে ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, আল্লামা সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে প্রতিবাদীদের ওপর গণহত্যা, শাপলা চত্বরে ইসলামপ্রিয় আলেম-ওলামা ও নবী প্রেমিক জনতার ওপর নারকীয় হামলা এবং সর্বশেষ ২৪ জুলাইয়ের ভয়াবহ গণহত্যা চালায়। এখন সময় এসেছে এই সকল পরিকল্পিত গণহত্যার বিচার করার। গণহত্যার বিচার নিশ্চিত না হলে ফ্যাসিবাদ রোধ কখনোই সম্ভব নয়।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শিবিরের সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন—কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, এইচআরএম সম্পাদক সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১ ঘণ্টা আগেভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
৩ ঘণ্টা আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
৫ ঘণ্টা আগে