Ajker Patrika

‘জীবন দিয়ে হলেও কাল মহাসমাবেশ করবে জাতীয় পার্টি’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ৪৫
জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন জিএম কাদের। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন জিএম কাদের। ছবি: আজকের পত্রিকা

দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কিন্তু ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি থেকে সরে আসবে না জাতীয় পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জীবন দিয়ে হলেও জাতীয় পার্টি আগামীকাল শনিবার মহাসমাবেশ করবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় পার্টির কাকরাইলের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের দুষেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

গতকালে হামলার ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা আগামীকাল (২ নভেম্বর) একটি সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম, সেই আয়োজনকে ঘিরে গতকাল রাতে ছাত্রজনতার ব্যানারে ছাত্র অধিকার পরিষদের একজন নেতা বেনিয়ামিন মোল্লার নেতৃত্বে একটি দল জাতীয় পার্টি অফিসে ভাঙচুর করেছে, আমরা এর তীব্র ও নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। আমরা জানতে পারি, পরে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মনির, ইসমাইল, আনোয়ারের নেতৃত্বে আরেকটি দল আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করে।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। আমরা মহাসমাবেশ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছ থেকে বৈধভাবে অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একটি কুচক্রী মহল আগামীকালের যে মহাসমাবেশ নির্ধারিত ছিল, সেটা নস্যাৎ করতে তারা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করেছে। জাতীয় পার্টি জীবন দিয়ে হলেও সেই সমাবেশ করবে।’

বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করা এবং সেই সরকারের অংশীদার হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে চলমান রাষ্ট্র সংস্কার সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকছে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ নিয়ে রংপুরে সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতারা।

এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় সমাবেশের ডাক দেয় জাতীয় পার্টি। এর প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যার দিকে জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টিএসসি থেকে মশাল মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে আসেন তাঁরা। জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ের পরিকল্পনা ছিল। যেন ২ নভেম্বর জাতীয় পার্টি মহাসমাবেশ করতে না পারে। মিছিলটি পার্টি অফিসের সামনে চলে এলে দলটির নেতা-কর্মীরা বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। এ সময় সংঘর্ষে ১০–১৫ জন আহত হন। এরপর সমন্বয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জাপার কার্যালয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। একপর্যায়ে ধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা জাতীয় পার্টির অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়, ভাঙচুর করে এবং এরশাদের ছবিসহ লোগো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলে ফেলে।

আজ সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। আমরা মহাসমাবেশ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছ থেকে বৈধভাবে অনুমতি নিয়ে আমরা সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একটি কুচক্রী মহল আগামীকালের যে মহাসমাবেশ নির্ধারিত ছিল সেটাকে নস্যাৎ করতে তারা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করেছে। জাতীয় পার্টি জীবন দিয়ে হলেও সেই সমাবেশ করবে।’

জিএম কাদের বলেন, ‘সংবিধানের ৩৭ এবং ৩৮ এ দুটি ধারায় রাজনৈতিক দল হিসেবে ও এ দেশের নাগরিক হিসেবে সব ধরনের সভা সমাবেশ করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে জাতীয় পার্টির। সংবিধান আমাদের সেই অধিকার দিয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম ভূঁইয়া, দলটির, অতিরিক্ত মহাসচিব (রংপুর বিভাগ) ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জোনায়েদ সাকিকে প্রধান করে গণসংহতির ৫৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৪
জোনায়েদ সাকি। ছবি: সংগৃহীত
জোনায়েদ সাকি। ছবি: সংগৃহীত

জোনায়েদ সাকিকে প্রধান সমন্বয়কারী ও আবুল হাসান রুবেলকে নির্বাহী সমন্বয়কারী করে গণসংহতি আন্দোলনের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন থেকে ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হয়েছে।

গতকাল রোববার (২ নভেম্বর) সাভারের গণস্বাস্থ্য পিএইচএ কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে সারা দেশ থেকে আগত প্রতিনিধিরা এ নতুন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করেন।

আজ সোমবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক বাচ্চু ভূঁইয়ার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

‘শ্রমিক-কৃষক, খেটে খাওয়া, নিপীড়িত ও প্রান্তিক মানুষের ন্যায্য হিস্যা চাই’—এ দাবি নিয়ে গত ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় গণসংহতি আন্দোলনের তিন দিনব্যাপী পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন। শহীদ পরিবারের সদস্যরা উদ্বোধন করেন এ সম্মেলন। উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে।

উদ্বোধনের পর দুই দিনব্যাপী কাউন্সিল অধিবেশনে রাজনৈতিক প্রতিবেদন, গঠনতন্ত্র সংশোধনী, সাংগঠনিক কর্মপদ্ধতি, আচরণবিধি, দলীয় ঘোষণাপত্র ও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের খসড়া নিয়ে আলোচনা করেন প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকেরা।

২১ ও ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে মুলতবি আলোচনায় পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে উত্থাপিত দলিলপত্রে প্রতিনিধিদের মতামত ও পরামর্শ সংযুক্ত করে চূড়ান্তকরণ করা হবে এবং দলের জাতীয় পরিষদ গঠিত হবে।

সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ ও পরামর্শক পরিষদও গঠিত হয়।

দলটির রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমী ও মনির উদ্দীন পাপ্পু।

অন্যদিকে বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ, দীপক কুমার রায়, তরিকুল সুজন, এস এম আমজাদ হোসেন, আলিফ দেওয়ান, অ্যাডভোকেট উবা থোয়াই মারমা, অঞ্জন দাস, ড. নাসির উদ্দিন, নুরুন্নেসা মুন্নী, ইখতিয়ার উদ্দিন বিপা, মনিরুল হুদা বাবন, মুনীর চৌধুরী সোহেল, আব্দুল আলীম, অপরাজিতা চন্দ, শহীদ শিমুল, তৌহিদুর রহমান, জুয়েল রানা, আমজাদ হোসেন, সাদিক রেজা, গোলাম মোস্তফা, জাহিদ সুজন, রেক্সোনা পারভীন সুমি, সাইফুল্লাহ সিদ্দিক রুমন, পপি রানী সরকার, লুভানা তাবাসসুম, আবদুল্লাহ নাদভী, রুবিনা ইয়াসমিন, মুন্নী মৃ, রোকনুজ্জামান মনি, নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, বেনু আক্তার, মোস্তাফিজুর রহমান রাজীব, মুফাখখারুল ইসলাম মুন, মাহবুব রতন, আরিফুর রহমান মিরাজ, লুতফুন্নাহার সুমনা, জাহিদুল আলম আল জাহিদ, তাহসিন মাহমুদ ও আবু রায়হান খান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সাতটি পদ শূন্য রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে নাজার আহমেদ, ফিরোজ আহসান, কেরামত আলী ও নূরুল আলম শাহীনকে এবং পরামর্শক পরিষদের সদস্য ড. সায়েমা খাতুন, প্রকৌশলী জাকারিয়া নেওয়াজ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) মো. খালিদ হোসাইন, সৈকত মল্লিক, শ্যামলী শীল ও ইমরাদ জুলকারনাইন নির্বাচিত হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা

বগুড়া ৬ ও ৭ আসনে লড়বেন মা-ছেলে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৪
বগুড়া ৬ ও ৭ আসনে লড়বেন মা-ছেলে

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থী হবেন। তাঁর ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া-৬ আসন থেকে।

আজ সোমবার বিকেলে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভার পরে গুলশান অফিসে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ ছাড়া দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকেও খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নেতাদের তারেক রহমান

দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।’

রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

দলের পক্ষ থেকে শিগগির পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দল যাঁকেই যে আসনে মনোনয়ন দেবে, অনুগ্রহপূর্বক তাঁকে বিজয়ী করে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেকে, বিএনপির প্রতিটি মানুষ দয়া করে কাজ করবেন।’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আপনারা যাঁরা জনসমর্থন পেতে নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ করছেন, আপনারা সবাই কিন্তু শহীদ জিয়ার অনুসারী, খালেদা জিয়ার সৈনিক, বিএনপির কর্মী, ধানের শীষের সমর্থক। মনে রাখবেন, ধানের শীষ জিতলে আপনি জিতেছেন বা জিতছেন, জিতবেন, বিজয়ী হবেন।’

নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপি সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপিসমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপ্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। জনসমর্থিত এবং জনপ্রিয় দল হওয়ার কারণে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য লোক মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন; কিন্তু প্রত্যেককে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়।

এ ছাড়া ভিন্ন রাজনৈতিক দলের, যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সঙ্গে ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেন জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ বাস্তবতার কারণে অনেক আসনে হয়তো বিএনপির যোগ্য অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হবেন।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মনে রাখবেন—আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার কিন্তু ওত পেতে রয়েছে। সুতরাং আপনাদের নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ, বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে করে প্রতিপক্ষ আপনাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিতে পারে।’

শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পলাতক স্বৈরাচার সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। উদ্বেগ এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো কোনো বিষয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা বাড়ছে—যথাসময়ে কী নির্বাচন হবে? কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জনমনে সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে হয়তোবা সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে।’

ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘কৌশল এবং অপকৌশলের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে ব্যর্থ হলে কোনো অগণতান্ত্রিক বা অপশক্তির কাছে শেষ পর্যন্ত বিনা শর্তে আত্মসমর্থনের পথে হাঁটতে হয় কি না—বাংলাদেশের এ মুহূর্তে মাঠে থাকা সব গণতান্ত্রিক দলকে এমন বিপদের কথাও স্মরণে রাখতে আমি বিনীত অনুরোধ করছি।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কার্যক্রম পুনরায় সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, চব্বিশের জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান যে আকাঙ্ক্ষা ও উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত হয়েছিল, তার পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। বরং দেখা যাচ্ছে, জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন যেমন নিশ্চিত করা হয়নি, তেমনি তাদের নিরাপত্তাও যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সরকার। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কেও কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আমরা এখনো প্রত্যক্ষ করেনি, যা হাজারও শহীদ ও আহতদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বৈপ্লবিক রূপান্তর নিশ্চিতে এবং ঐতিহাসিক এক দফা, অর্থাৎ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণের নিমিত্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সব ইউনিট কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনরায় সচল করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এবং সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর ও জেলা ইউনিটকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত