নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন বা সরকার পরিবর্তন কিংবা জনপ্রতিনিধি নির্বাচন নয় জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে।’
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাষা আন্দোলনের প্রথম কারাবরণকারী সম্পাদক দি বাংলাদেশ অবজারভারের সাবেক সম্পাদক মরহুম আবদুস সালামের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাংবাদিক আবদুস সালাম স্মৃতি সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতির মান উন্নত হয়নি। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। সে কারণেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতি বিমুখতা তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশের ছাত্ররা আজকে বলছে, “আই হেইট পলিটিকস।” এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা। কেন ছাত্ররা আজ রাজনীতি ঘৃণা করছে—তা বিশ্লেষণ জরুরি।’
সাংবাদিক আবদুস সালাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আবদুস সালামের লেখার জন্য পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। সর্বজনের কল্যাণে কাজ করার জন্যই তিনি সাংবাদিকতায় এসেছিলেন। তিনি জাতি এবং রাষ্ট্রের কল্যাণেই সব সময় লিখেছেন।
সভায় আবদুস সালামের নাতনি মরিয়ম সুলতানা বলেন, ‘ষাটের দশকে আবদুস সালামের সম্পাদকীয় পড়ে অনেকে ইংরেজি শিখত। কোথাও গেলে ইংরেজিতে কথা বলতে খুব ভয়ে থাকতাম। কোথাও ভুল হলে সবাই চেপে ধরত।’
আবদুস সালামের মেয়ে ও স্মৃতি সংসদের সভাপতি রেহানা সালাম বলেন, ‘স্মরণ অনুষ্ঠান না করলেও কিছু যায় আসে না। কিন্তু আমরা কি তরুণ প্রজন্মকে সাংবাদিকতা কী, কেন তা বোঝাতে পেরেছি? একজন সাংবাদিক চাঁদাবাজ হতে পারে, সরকারি একটা প্লটের জন্য বিবেক বিক্রি করে দিতে পারে। এমন সাংবাদিকতা যেন না হয়—এই উপলব্ধি থেকে আবদুস সালাম, মানিক মিয়াদের আদর্শ তুলে ধরতে অনুষ্ঠানগুলো করছি।’
সভায় সভাপতির বক্তব্যে দি বাংলাদেশ অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘আবদুস সালাম দেশ, রাজনীতি, সাংবাদিকতা সবকিছু নিয়েই আলোকপাত করে গেছেন। কিন্তু আমরা কি তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি হতে পেরেছি? না পারলে আমরা তাঁদের কীভাবে শ্রদ্ধা জানাব? আজকে যেখানে রাজনীতি দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতি আর পেশিশক্তির—সেখানে সাংবাদিকতা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হিসেবে থাকবে, তা প্রত্যাশিত নয়।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাসসের সাংবাদিক তানভীর আলাদিন, আইনজীবী শহীদুল্লাহ মজুমদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সভাপতি এম আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বর্তমান সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন বা সরকার পরিবর্তন কিংবা জনপ্রতিনিধি নির্বাচন নয় জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে।’
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাষা আন্দোলনের প্রথম কারাবরণকারী সম্পাদক দি বাংলাদেশ অবজারভারের সাবেক সম্পাদক মরহুম আবদুস সালামের ১১৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাংবাদিক আবদুস সালাম স্মৃতি সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতির মান উন্নত হয়নি। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। সে কারণেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতি বিমুখতা তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশের ছাত্ররা আজকে বলছে, “আই হেইট পলিটিকস।” এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা। কেন ছাত্ররা আজ রাজনীতি ঘৃণা করছে—তা বিশ্লেষণ জরুরি।’
সাংবাদিক আবদুস সালাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আবদুস সালামের লেখার জন্য পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। সর্বজনের কল্যাণে কাজ করার জন্যই তিনি সাংবাদিকতায় এসেছিলেন। তিনি জাতি এবং রাষ্ট্রের কল্যাণেই সব সময় লিখেছেন।
সভায় আবদুস সালামের নাতনি মরিয়ম সুলতানা বলেন, ‘ষাটের দশকে আবদুস সালামের সম্পাদকীয় পড়ে অনেকে ইংরেজি শিখত। কোথাও গেলে ইংরেজিতে কথা বলতে খুব ভয়ে থাকতাম। কোথাও ভুল হলে সবাই চেপে ধরত।’
আবদুস সালামের মেয়ে ও স্মৃতি সংসদের সভাপতি রেহানা সালাম বলেন, ‘স্মরণ অনুষ্ঠান না করলেও কিছু যায় আসে না। কিন্তু আমরা কি তরুণ প্রজন্মকে সাংবাদিকতা কী, কেন তা বোঝাতে পেরেছি? একজন সাংবাদিক চাঁদাবাজ হতে পারে, সরকারি একটা প্লটের জন্য বিবেক বিক্রি করে দিতে পারে। এমন সাংবাদিকতা যেন না হয়—এই উপলব্ধি থেকে আবদুস সালাম, মানিক মিয়াদের আদর্শ তুলে ধরতে অনুষ্ঠানগুলো করছি।’
সভায় সভাপতির বক্তব্যে দি বাংলাদেশ অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘আবদুস সালাম দেশ, রাজনীতি, সাংবাদিকতা সবকিছু নিয়েই আলোকপাত করে গেছেন। কিন্তু আমরা কি তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি হতে পেরেছি? না পারলে আমরা তাঁদের কীভাবে শ্রদ্ধা জানাব? আজকে যেখানে রাজনীতি দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতি আর পেশিশক্তির—সেখানে সাংবাদিকতা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হিসেবে থাকবে, তা প্রত্যাশিত নয়।’
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাসসের সাংবাদিক তানভীর আলাদিন, আইনজীবী শহীদুল্লাহ মজুমদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সভাপতি এম আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বর্তমান সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন। স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর ভূমিকা ও ত্যাগ আমরা স্বীকার করি। তবে তাঁর শাসনামলে ঘটে যাওয়া জাতীয় ট্র্যাজেডির কথাও আমরা স্মরণ করি। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের একটি শাখা রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালের জনবিরোধী সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেহারুনুর রশীদ বলেন, ‘আজকে দেশে বিনিয়োগ নাই। কর্মসংস্থান নাই। জনপ্রতিনিধি নাই। স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ নানা সংকটে আছে। যে শক্তিগুলো বিভিন্ন রকমের অছিলা করে নির্বাচনকে বানচাল ও শর্ত দিয়ে বিলম্ব করতে চায়, আমি মনে করি তারা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আমরা লড়াই করেছি।
৫ ঘণ্টা আগেনির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘এখনো গণতন্ত্র নাগালের বাইরে। আমরা চাই বিশ্বাস করতে যে নির্বাচন হবে, তবে ভোট গণনার আগে পর্যন্ত তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়।’
৮ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী বিলকিস আখতার হোসেন ও ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন।
৯ ঘণ্টা আগে