Ajker Patrika

ভোটারের বয়স কত হবে, তা ইসির ওপর ছেড়ে দিন: ড. ইউনূসকে মির্জা ফখরুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ৩৪
জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভোটার হওয়ার বয়স একবছর কমিয়ে ১৭ বছর করার যে প্রস্তাব দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তাতে আপত্তি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ভোটারের বয়স কমানোর প্রস্তাব দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার জন্য কাজ নয়, এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। তাঁর কাছ থেকে প্রস্তাব আসার অর্থ হলো চাপ তৈরি করা।

আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এই সভার আয়োজন করে।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনি প্রধান নির্বাহী, আপনি প্রথমেই বলে দিচ্ছেন যে ১৭ বছর হলে ভালো। আপনি যখন বলছেন দ্যাট বিকামস বাইন্ডিং অন দ্য ইলেকশন কমিশন, যেটা ইলেকশন কমিশন ঠিক করবে। এই বিষয়টা ইলেকশন কমিশনকে ছেড়ে দিন। যদি এক বছর কমাতে চান, তাহলে সেটা ইলেকশন কমিশন প্রস্তাব করুক, যারা নতুন হয়েছে। কিন্তু উনি (প্রধান উপদেষ্টা) যখন প্রথমেই বলে দেন, তখন ইট ওয়াজ মাইন্ড ইট, এটা একটা চাপ তৈরি হয় ইলেকশন কমিশনের জন্য।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই প্রস্তাব হচ্ছে, ১৭ বছর ভোটার হওয়ার জন্য ন্যূনতম বয়সসীমা। এখন তাহলে কী করতে হবে? নতুন করে আবার ভোটার তালিকা তৈরি করতে হবে। আমি মনে করি যে এই বিষয়টাকে এভাবে না বলে, এই বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে তারপরে এই বিষয়টা আনতে পারলে ভালো হতো, কোনো বিতর্কের সৃষ্টি হতো না। এখন তো আরও বেশি করে মানুষ আশাহত হয়ে যাবে যে এটা করতে গিয়ে আরও সময় যাবে।’

এ ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংস্কার বাধা হতে পারে না বলেও মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিমুহূর্তেই সংস্কার হচ্ছে। সেই সংস্কারের ধারা চলতে থাকবে। সে জন্য তো নির্বাচন বন্ধ থাকতে পারে না। দিনের পর দিন আমরা একটা অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ চালাতে দিতে পারি না।’

নির্বাচিত সরকারে গুরুত্বারোপ করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার এলে অস্থিরতা, অস্থিতিশীলতা কমে যাবে। কারণ, নির্বাচিত সরকারের শক্তিটা অন্য। কারণ, ওই সরকারের পেছনে জনগণ থাকে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারকাজে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে বিষয়টা নিয়ে বাংলাদেশের সমস্যা তৈরি হয়েছে যে আজকে বাংলাদেশে অস্থিরতা, অস্থিতিশীলতা এগুলো সমস্যা। এই সমস্যাগুলো অনেক কমে যাবে যদি একটা নির্বাচিত সরকার থাকে। দীর্ঘকাল অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমকায় থাকা উচিত নয়।’

‘মানুষ এখনো স্বস্তিতে নেই’, এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘সংস্কার তো সবাই চায়। কিন্তু স্বস্তিও চায়, বাজারে স্বস্তি চায়, রাস্তায় বেরিয়ে খুন হয়ে যাবে না—সেটা চায়, গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করে ৬-৭ জন মারা যাবে না, সেটা চায়। আমি আশা করব, সরকার আরও বেশি গভর্নেন্সের দিকে নজর দেবে। ব্যাংকের সব টাকা লুট করে নিয়ে চলে গেল তাদের বিরুদ্ধে তো একটা মামলাও শুরু হলো না, অন্য মামলা হচ্ছে। যেটা আগের মতো সেই পুরোনো অজ্ঞাতনামা ১০০০ থেকে ১৫০০ আসামি।’

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে সরকার কাজ করছে না বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তো দেখলাম না, তাঁদের কজন উপদেষ্টা আছেন বা যাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন, তাঁরা বাজারে গিয়ে একটু জিজ্ঞাসা করছেন, মানুষকে বোঝার চেষ্টা করছেন যে সমস্যাটা কোথায়?’

রাজনৈতিক দলগুলোকে কটাক্ষ করা হচ্ছে অভিযোগ করে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের প্রতিপক্ষ নয়। রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের সহযোগিতা করছে। আপনারাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন না, সহযোগিতা ওইভাবে করছেন না।’

নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আরও যদি দুই-তিনটা দল গঠিত হয়, আমাদের কোনো আপত্তি নাই। এক শটা হলে বা দুই শটা হলে তাতেও আপত্তি নাই। প্রশ্ন হচ্ছে, জাতির জন্য কতটুকু কাজে লাগবে, সেটাই সবাই চিন্তা করবে।’

জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হাসনাত আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি
হাসনাত আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এনসিপির স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত ‘ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) আত্মপ্রকাশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জুলাইয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ নতুন এ সংগঠনে চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্স, টেকনোলজিস্ট, জনস্বাস্থ্যবিদ ও ফিজিওথেরাপিস্ট রয়েছেন। কমিটি ঘোষণা করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় আরও ছিলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।

সভায় নাসীরুদ্দীন বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) নাকি আওয়ামী লীগের লকডাউন। আগামীকাল সব দল মাঠে থাকবে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসকে ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট।

একটি দল ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে বেরিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন এনসিপির এ নেতা। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হতে চাইলেও একটি দল এই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড়সংখ্যক মানুষ সংস্কার চায় বলেই ১০০ বছর চেষ্টা করেও বিএনপি গণভোট ঠেকাতে পারবে না।

সভায় তাসনিম জারা বলেন, ‘স্বৈরাচারের সময়ে জুলাই বিপ্লবে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে নিষেধ করা হয়। অথচ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজই ছিল মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া। সেখানে রাজনৈতিক পরিচয়নির্ভর করার কথা নয়। এই যে স্বাস্থ্য খাতেও রাজনৈতিক ছায়া, এটি আমরা কখনোই চাই না। স্বাস্থ্য খাতের আমূল পরিবর্তন দরকার। এই সময়ে এসেও আমাদের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের মেঝেতে থাকতে হয়। এ দেশে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া শুধু ক্ষমতাধরদের জন্য সহজ, কিন্তু এটি তো হওয়ার কথা ছিল না। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এমন চিত্র দুঃখজনক। এই ভঙ্গুর অবস্থা থেকে আমাদের পুরো চিত্র বদলে ফেলতে হবে।’

তাসনিম জারা আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবনা দিয়েছে, তার কোনোটাই আমরা বাস্তবায়ন করতে দেখিনি। আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। রোগী ধনী, গরিব যে-ই হোক, সেবা পাওয়াটাই মুখ্য হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হুমকি-ধমকি না দিয়ে চলুন জনগণের মুখোমুখি হই: তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে অগ্রসর হতে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার দলের পক্ষ থেকে আবারও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সহযোগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই—চলুন, বর্তমান দুর্বল অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জনগণের মুখোমুখি হই।’

আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বিএনপি।

তারেক রহমান বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র যখন প্রস্তুত হচ্ছে, তখন কয়েকটি রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কার্যত গণতন্ত্রকামী জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধেই মনে হয় অবস্থান নিচ্ছে বা নিয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মনে হয় একটি কথা গুরুত্বসহকারে মনে রাখা উচিত। নিজ দলের বাইরের সমর্থকদের বাইরে এক বিশালসংখ্যক অরাজনৈতিক জনগোষ্ঠী রয়েছে। এই জনগোষ্ঠীর দিকে নজর দেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পবিত্র দায়িত্ব বলে মনে করি। মাসের পর মাস আলোচনা হয়েছে, কিন্তু এই বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট আলোচনা কতটুকু হয়েছে, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।’

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিরাজমান সংকটকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি মনে করি, এই সংকট তৈরি করা হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের গণতন্ত্রে উত্তরণের যে পথ, সেই পথকে বাধাগ্রস্ত করা; বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে সংস্কারের জন্য যে নির্বাচন হওয়া দরকার, সেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা; জনগণের ভবিষ্যৎকে একটা অনিশ্চিত অবস্থায় ফেলা।’

সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই আজকে এই জায়গা থেকে একমত হয়ে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেইসব চক্রান্তকে রুখে দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সুগম করি।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামায়াতের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের বৈঠক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বুধবার জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বুধবার জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতের প্রচার বিভাগ জানায়, বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন অ্যাডভাইজার টু দ্য বাংলাদেশ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিউ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইএমএফের ঢাকার আবাসিক প্রতিনিধি ম্যাক্সিম ক্রিশকো, ডেপুটি চিফ অব মিশন আইভো ক্রেজনার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক তাওহিদ এলাহি।

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলে ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, শিক্ষাবিদ ড. আবদুর রব ও শফিউল্লাহ।

জামায়াত জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনীতি, বিভিন্ন আর্থিক খাত, করব্যবস্থা ও সামাজিক খাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সরকারের ভেতরেই ভূত আছে: রিজভী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে আজ বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: ফোকাস বাংলা
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে আজ বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: ফোকাস বাংলা

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভেতর থেকে কারা কাজ করছে? সরকারই-বা এত দিন নীরব বসে থাকল কেন? সরকারের ভেতরেই ভূত আছে। সরকার আসল শত্রুপক্ষকে চিহ্নিত না করে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে গেছে। সবাই নয়, কেউ কেউ।’

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে আজ বুধবার জিয়াউর রহমান আর্কাইভের উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রকাশনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বিপুল প্রাণশক্তি ও আত্মত্যাগের নিদর্শন এ দেশের ছাত্র-তরুণ-শ্রমিকেরা দেখিয়েছে, এরপরে আর কোনো বৈরিতা থাকার কথা নয়। সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঝগড়াঝাঁটি, তর্কবিতর্ক সবকিছুর মধ্য দিয়ে একটা জায়গায় উপনীত হতে হবে যে—আমরা এ রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ করব গণতান্ত্রিক চেতনার মধ্য দিয়ে। এই চেতনার মূল ভিত্তি হবে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী রাখা। এই মূল স্পিরিট যদি ঠিক থাকে, জুলাই সনদ নিয়ে, এর বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে কী হবে, তা নিয়ে এত বিবাদ-বিসম্বাদ কেন? এটা হওয়ার কথা নয়।’

রিজভী বলেন, ‘“জুলাই সনদ আইনিপ্রক্রিয়ায় না হলে হবে না”—যাঁরা এ কথা বলছেন, তাঁরা এতই আইন বিশেষজ্ঞ, তাহলে শেখ হাসিনার আমলে যে এত বেআইনি কাজ হলো, তখন বুক চিতিয়ে আরও ভালো করে দাঁড়াননি কেন? আজকে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে, নাহলে নাকি নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে! এক রাজনৈতিক দলের নেতা এ কথা বলেছেন।’

সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হওয়া নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, বোমা বানাচ্ছেন। গাড়িতে আগুন দিচ্ছেন। এতে প্রমাণিত—তাদের অমানবিক নিষ্ঠুরতার যে চেহারা, এটা অনেক আগে থেকেই ছিল। রাষ্ট্রক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বাসে আগুন, মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিরোধী দলের ওপর তারা চাপাত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত