নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অর্জন বলতে কিছুই থাকবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ: সফল নির্বাচন আয়োজনে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে নাগরিক কোয়ালিশন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করাই জাতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সে অনুযায়ী কমিশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের অর্জন রয়েছে, ব্যর্থতাও রয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে অর্জন বলতে কিছুই থাকবে না অন্তর্বর্তী সরকারের।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও নিজেদের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের বিষয়ে এখনো ঐকমত্য হয়তোবা পোষণ করতে পারিনি। সময় আছে, আশা করি, সবাই আলোচনার মধ্য দিয়ে সেই ঐকমত্যে পৌঁছতে পারব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন বিচার বিভাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ও মুক্ত গণমাধ্যম অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের রক্ষাকবচ। এগুলো নিশ্চিত হলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে আগামী দিনে আর কোনো চ্যালেঞ্জ থাকবে না।
সংবিধান সংশোধনের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘শুধু নির্বাচিত জাতীয় সংসদই সংবিধান সংশোধনের অনুমোদন দিতে পারে। ভিন্ন কোনো প্রক্রিয়ায় গেলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
‘সংসদে নারী প্রতিনিধিদের সরাসরি অংশগ্রহণের প্রস্তাব আমরা ১০ শতাংশ দিয়েছি। বাকিটা মাঠে গিয়ে বোঝা যাবে। আমাদের এখনো ৭০ শতাংশ নারী পর্দানশীল। তারা পারিবারিক কারণে আসতে পারছে না। তাই নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এখনো কম।’
জুলাই গণহত্যার বিচার প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, বিচার তার বিচারিক প্রক্রিয়ায় চলবে। যে সরকারই আসুক, বিচার থেমে থাকবে না।
মতবিনিময় সভায় ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হতে পারে, তার একটা টেস্ট ছিল ডাকসু নির্বাচন। এই টেস্টে রাজনৈতিক দল, সুধী সমাজ ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে উত্তরণ করেছে।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সরকারের বৈঠক হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আট লাখ সদস্য মাঠে থাকবেন। তবে ভালো নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সদিচ্ছা থাকতে হবে। আর জনগণ যদি বানের জলের তোড়ের মতো ভোট দিতে যান, তাহলে কারও সাধ্য নেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, অনেকে বলছে, সরকার কিছু করেনি। সেগুলো তারা না পাওয়ার বেদনা থেকে বলছে। সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতার বিষয়ে বলতে হলে সব পরিসংখ্যান হিসাব করে বলতে হবে। বিপ্লবপরবর্তী সময়ে অনেক দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে এমন কিছু হয়নি, এটাই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
প্রেস সচিব বলেন, ইউটিউবে যা হচ্ছে, তা রীতিমতো ভয়াবহ। এখনকার প্রজন্ম সংবাদমাধ্যম থেকে নিয়মিত তথ্য নেয় না। তারা ইউটিউব থেকে তথ্য নেয়। সেখানে কেউ কেউ নিয়মিত মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। কোনো দেশের সরকার এগুলো সহ্য করে না। এটা নিয়ে কথা বলতে গেলেই বলা হবে, অন্তর্বর্তী সরকার মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাসী নয়।
সভায় সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চলতি মাস থেকেই সরকারকে কাজ শুরু করার আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
সাকি বলেন, দেশের কোথাও কোনো দলের সঙ্গে অন্য দলের সংঘাত হলে, অগণতান্ত্রিক আচরণ হলে, সেই প্রশ্নগুলো এখন থেকেই কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং হওয়া দরকার। আসন্ন নির্বাচনে যে দল সরকার গঠন করবে, সেই দলের সঙ্গে প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ হতে চাওয়ার মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য এখন থেকেই কাজ করতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরিবেশ নিয়ে কাজ করলে হবে না।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ।

সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অর্জন বলতে কিছুই থাকবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ: সফল নির্বাচন আয়োজনে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে নাগরিক কোয়ালিশন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করাই জাতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সে অনুযায়ী কমিশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের অর্জন রয়েছে, ব্যর্থতাও রয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে অর্জন বলতে কিছুই থাকবে না অন্তর্বর্তী সরকারের।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও নিজেদের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের বিষয়ে এখনো ঐকমত্য হয়তোবা পোষণ করতে পারিনি। সময় আছে, আশা করি, সবাই আলোচনার মধ্য দিয়ে সেই ঐকমত্যে পৌঁছতে পারব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন বিচার বিভাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ও মুক্ত গণমাধ্যম অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের রক্ষাকবচ। এগুলো নিশ্চিত হলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে আগামী দিনে আর কোনো চ্যালেঞ্জ থাকবে না।
সংবিধান সংশোধনের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘শুধু নির্বাচিত জাতীয় সংসদই সংবিধান সংশোধনের অনুমোদন দিতে পারে। ভিন্ন কোনো প্রক্রিয়ায় গেলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
‘সংসদে নারী প্রতিনিধিদের সরাসরি অংশগ্রহণের প্রস্তাব আমরা ১০ শতাংশ দিয়েছি। বাকিটা মাঠে গিয়ে বোঝা যাবে। আমাদের এখনো ৭০ শতাংশ নারী পর্দানশীল। তারা পারিবারিক কারণে আসতে পারছে না। তাই নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এখনো কম।’
জুলাই গণহত্যার বিচার প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, বিচার তার বিচারিক প্রক্রিয়ায় চলবে। যে সরকারই আসুক, বিচার থেমে থাকবে না।
মতবিনিময় সভায় ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হতে পারে, তার একটা টেস্ট ছিল ডাকসু নির্বাচন। এই টেস্টে রাজনৈতিক দল, সুধী সমাজ ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে উত্তরণ করেছে।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সরকারের বৈঠক হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আট লাখ সদস্য মাঠে থাকবেন। তবে ভালো নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সদিচ্ছা থাকতে হবে। আর জনগণ যদি বানের জলের তোড়ের মতো ভোট দিতে যান, তাহলে কারও সাধ্য নেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, অনেকে বলছে, সরকার কিছু করেনি। সেগুলো তারা না পাওয়ার বেদনা থেকে বলছে। সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতার বিষয়ে বলতে হলে সব পরিসংখ্যান হিসাব করে বলতে হবে। বিপ্লবপরবর্তী সময়ে অনেক দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে এমন কিছু হয়নি, এটাই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
প্রেস সচিব বলেন, ইউটিউবে যা হচ্ছে, তা রীতিমতো ভয়াবহ। এখনকার প্রজন্ম সংবাদমাধ্যম থেকে নিয়মিত তথ্য নেয় না। তারা ইউটিউব থেকে তথ্য নেয়। সেখানে কেউ কেউ নিয়মিত মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। কোনো দেশের সরকার এগুলো সহ্য করে না। এটা নিয়ে কথা বলতে গেলেই বলা হবে, অন্তর্বর্তী সরকার মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাসী নয়।
সভায় সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চলতি মাস থেকেই সরকারকে কাজ শুরু করার আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
সাকি বলেন, দেশের কোথাও কোনো দলের সঙ্গে অন্য দলের সংঘাত হলে, অগণতান্ত্রিক আচরণ হলে, সেই প্রশ্নগুলো এখন থেকেই কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং হওয়া দরকার। আসন্ন নির্বাচনে যে দল সরকার গঠন করবে, সেই দলের সঙ্গে প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ হতে চাওয়ার মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য এখন থেকেই কাজ করতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরিবেশ নিয়ে কাজ করলে হবে না।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অর্জন বলতে কিছুই থাকবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ: সফল নির্বাচন আয়োজনে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে নাগরিক কোয়ালিশন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করাই জাতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সে অনুযায়ী কমিশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের অর্জন রয়েছে, ব্যর্থতাও রয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে অর্জন বলতে কিছুই থাকবে না অন্তর্বর্তী সরকারের।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও নিজেদের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের বিষয়ে এখনো ঐকমত্য হয়তোবা পোষণ করতে পারিনি। সময় আছে, আশা করি, সবাই আলোচনার মধ্য দিয়ে সেই ঐকমত্যে পৌঁছতে পারব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন বিচার বিভাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ও মুক্ত গণমাধ্যম অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের রক্ষাকবচ। এগুলো নিশ্চিত হলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে আগামী দিনে আর কোনো চ্যালেঞ্জ থাকবে না।
সংবিধান সংশোধনের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘শুধু নির্বাচিত জাতীয় সংসদই সংবিধান সংশোধনের অনুমোদন দিতে পারে। ভিন্ন কোনো প্রক্রিয়ায় গেলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
‘সংসদে নারী প্রতিনিধিদের সরাসরি অংশগ্রহণের প্রস্তাব আমরা ১০ শতাংশ দিয়েছি। বাকিটা মাঠে গিয়ে বোঝা যাবে। আমাদের এখনো ৭০ শতাংশ নারী পর্দানশীল। তারা পারিবারিক কারণে আসতে পারছে না। তাই নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এখনো কম।’
জুলাই গণহত্যার বিচার প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, বিচার তার বিচারিক প্রক্রিয়ায় চলবে। যে সরকারই আসুক, বিচার থেমে থাকবে না।
মতবিনিময় সভায় ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হতে পারে, তার একটা টেস্ট ছিল ডাকসু নির্বাচন। এই টেস্টে রাজনৈতিক দল, সুধী সমাজ ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে উত্তরণ করেছে।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সরকারের বৈঠক হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আট লাখ সদস্য মাঠে থাকবেন। তবে ভালো নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সদিচ্ছা থাকতে হবে। আর জনগণ যদি বানের জলের তোড়ের মতো ভোট দিতে যান, তাহলে কারও সাধ্য নেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, অনেকে বলছে, সরকার কিছু করেনি। সেগুলো তারা না পাওয়ার বেদনা থেকে বলছে। সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতার বিষয়ে বলতে হলে সব পরিসংখ্যান হিসাব করে বলতে হবে। বিপ্লবপরবর্তী সময়ে অনেক দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে এমন কিছু হয়নি, এটাই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
প্রেস সচিব বলেন, ইউটিউবে যা হচ্ছে, তা রীতিমতো ভয়াবহ। এখনকার প্রজন্ম সংবাদমাধ্যম থেকে নিয়মিত তথ্য নেয় না। তারা ইউটিউব থেকে তথ্য নেয়। সেখানে কেউ কেউ নিয়মিত মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। কোনো দেশের সরকার এগুলো সহ্য করে না। এটা নিয়ে কথা বলতে গেলেই বলা হবে, অন্তর্বর্তী সরকার মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাসী নয়।
সভায় সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চলতি মাস থেকেই সরকারকে কাজ শুরু করার আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
সাকি বলেন, দেশের কোথাও কোনো দলের সঙ্গে অন্য দলের সংঘাত হলে, অগণতান্ত্রিক আচরণ হলে, সেই প্রশ্নগুলো এখন থেকেই কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং হওয়া দরকার। আসন্ন নির্বাচনে যে দল সরকার গঠন করবে, সেই দলের সঙ্গে প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ হতে চাওয়ার মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য এখন থেকেই কাজ করতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরিবেশ নিয়ে কাজ করলে হবে না।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ।

সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অর্জন বলতে কিছুই থাকবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ: সফল নির্বাচন আয়োজনে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে নাগরিক কোয়ালিশন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করাই জাতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সে অনুযায়ী কমিশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের অর্জন রয়েছে, ব্যর্থতাও রয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে অর্জন বলতে কিছুই থাকবে না অন্তর্বর্তী সরকারের।’
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও নিজেদের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের বিষয়ে এখনো ঐকমত্য হয়তোবা পোষণ করতে পারিনি। সময় আছে, আশা করি, সবাই আলোচনার মধ্য দিয়ে সেই ঐকমত্যে পৌঁছতে পারব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন বিচার বিভাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ও মুক্ত গণমাধ্যম অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের রক্ষাকবচ। এগুলো নিশ্চিত হলে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে আগামী দিনে আর কোনো চ্যালেঞ্জ থাকবে না।
সংবিধান সংশোধনের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘শুধু নির্বাচিত জাতীয় সংসদই সংবিধান সংশোধনের অনুমোদন দিতে পারে। ভিন্ন কোনো প্রক্রিয়ায় গেলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
‘সংসদে নারী প্রতিনিধিদের সরাসরি অংশগ্রহণের প্রস্তাব আমরা ১০ শতাংশ দিয়েছি। বাকিটা মাঠে গিয়ে বোঝা যাবে। আমাদের এখনো ৭০ শতাংশ নারী পর্দানশীল। তারা পারিবারিক কারণে আসতে পারছে না। তাই নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এখনো কম।’
জুলাই গণহত্যার বিচার প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, বিচার তার বিচারিক প্রক্রিয়ায় চলবে। যে সরকারই আসুক, বিচার থেমে থাকবে না।
মতবিনিময় সভায় ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হতে পারে, তার একটা টেস্ট ছিল ডাকসু নির্বাচন। এই টেস্টে রাজনৈতিক দল, সুধী সমাজ ও শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে উত্তরণ করেছে।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সরকারের বৈঠক হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আট লাখ সদস্য মাঠে থাকবেন। তবে ভালো নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সদিচ্ছা থাকতে হবে। আর জনগণ যদি বানের জলের তোড়ের মতো ভোট দিতে যান, তাহলে কারও সাধ্য নেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, অনেকে বলছে, সরকার কিছু করেনি। সেগুলো তারা না পাওয়ার বেদনা থেকে বলছে। সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতার বিষয়ে বলতে হলে সব পরিসংখ্যান হিসাব করে বলতে হবে। বিপ্লবপরবর্তী সময়ে অনেক দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে এমন কিছু হয়নি, এটাই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।
প্রেস সচিব বলেন, ইউটিউবে যা হচ্ছে, তা রীতিমতো ভয়াবহ। এখনকার প্রজন্ম সংবাদমাধ্যম থেকে নিয়মিত তথ্য নেয় না। তারা ইউটিউব থেকে তথ্য নেয়। সেখানে কেউ কেউ নিয়মিত মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। কোনো দেশের সরকার এগুলো সহ্য করে না। এটা নিয়ে কথা বলতে গেলেই বলা হবে, অন্তর্বর্তী সরকার মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাসী নয়।
সভায় সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চলতি মাস থেকেই সরকারকে কাজ শুরু করার আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
সাকি বলেন, দেশের কোথাও কোনো দলের সঙ্গে অন্য দলের সংঘাত হলে, অগণতান্ত্রিক আচরণ হলে, সেই প্রশ্নগুলো এখন থেকেই কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং হওয়া দরকার। আসন্ন নির্বাচনে যে দল সরকার গঠন করবে, সেই দলের সঙ্গে প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ হতে চাওয়ার মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য এখন থেকেই কাজ করতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরিবেশ নিয়ে কাজ করলে হবে না।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ।

মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
২ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকার ‘দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশটা কার? কে দেশটা চালায়? দেখার লোক নাই। সবাই শুধু ব্যস্ত সংস্কারে। কী সংস্কার করছেন—এটাই তো বুঝতে পারলাম না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাস্তায় নামলে হাঁটা যায় না। একটা শ্রেণি দেশে নতুন জুটেছে। এরা দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এই বাংলাদেশকেই চায়নি কোনো দিন, তারা বাংলাদেশের শাসনভার চায়। তারা নানা সময়ে এ দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এখন তারা লম্বা লম্বা কথা বলে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা নির্দিষ্ট কোনো দলকে নয়; তাঁরা দেশপ্রেমিক প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস।

অন্তর্বর্তী সরকার ‘দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশটা কার? কে দেশটা চালায়? দেখার লোক নাই। সবাই শুধু ব্যস্ত সংস্কারে। কী সংস্কার করছেন—এটাই তো বুঝতে পারলাম না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাস্তায় নামলে হাঁটা যায় না। একটা শ্রেণি দেশে নতুন জুটেছে। এরা দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এই বাংলাদেশকেই চায়নি কোনো দিন, তারা বাংলাদেশের শাসনভার চায়। তারা নানা সময়ে এ দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এখন তারা লম্বা লম্বা কথা বলে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা নির্দিষ্ট কোনো দলকে নয়; তাঁরা দেশপ্রেমিক প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করাই জাতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সে অনুযায়ী কমিশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের অর্জন রয়েছে, ব্যর্থতাও রয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারল
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জীবনের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও যাঁরা এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি, তাঁদের দল যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশা আল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে!’
সবার কাছে দোয়া চেয়ে বিএনপি মহাসচিব পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করব! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশা আল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য!’
নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জীবনের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও যাঁরা এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি, তাঁদের দল যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশা আল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে!’
সবার কাছে দোয়া চেয়ে বিএনপি মহাসচিব পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করব! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশা আল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য!’
নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করাই জাতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সে অনুযায়ী কমিশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের অর্জন রয়েছে, ব্যর্থতাও রয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারল
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করাই জাতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সে অনুযায়ী কমিশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের অর্জন রয়েছে, ব্যর্থতাও রয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারল
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
২ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
২ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামী জোটবদ্ধভাবেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে উল্লেখ করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে আমরা, দেশবাসী সবাই নির্বাচন দেখতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার সকালে ওমরাহ পালন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক সফর শেষে ঢাকায় ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেনি। আমি দেখেছি, ২৩৭টি আসনে তাঁরা তালিকা প্রকাশ করেছেন, আর প্রশ্নোত্তরে বলেছেন, এটি চূড়ান্ত নয়। এর মধ্যেও পরিবর্তন আসতে পারে। আমরা কিন্তু এক বছর আগেই এই তালিকা আঞ্চলিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি। চূড়ান্ত তালিকাটা সময়মতো আমরা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করব। যেহেতু আমরা একা ইলেকশন করব না, আরও অনেককে আমরা ধারণ করব, দেশ এবং জাতির স্বার্থে সব দিক বিবেচনা করেই চূড়ান্তভাবে যথাসময়ে আমরা প্রার্থী ঘোষণা করব।’
প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগের জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো ব্যাপকভিত্তিক আমাদের প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ভোটার হওয়ার জন্য অক্টোবরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য যে সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে, তা প্রোপারলি ফাংশন করে নাই, যার কারণে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। আমাদের দাবি থাকবে নির্বাচন কমিশনের কাছে কমপক্ষে আরও ১৫ দিন এই সময় বর্ধিত করা হোক এবং যে জটিলতাগুলো রয়েছে, সেগুলো সহজ করে তাদের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।’
দলগুলোর মতানৈক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতানৈক্য থাকবে, তবে দোয়া করেন মতবিরোধ যেন না হয়। মতের ভিন্নতা থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সব দল তো এক দল নয়। সবগুলো দল ভিন্ন ভিন্ন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও পার্থক্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা সবার মতকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখি। তবে আমরা নিজেরা যে মতটা প্রকাশ করি, আমরা চেষ্টা করি চিন্তাভাবনা করে জাতির স্বার্থেই সে মতগুলো প্রকাশ করার। অতএব মতানৈক্য এটা ডেমোক্রেসির সৌন্দর্য। এটার জন্য এখানে বিরোধ লেগে গেছে অথবা দেশ একেবারে অস্থির হয়ে গেছে, আমরা এইটা চিন্তা করতে রাজি নই।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলা বসে যদি একটা কনসেনসাসে (ঐকমত্যে) পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো এবং আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ এবং জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
জামায়াত আমিরকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামী জোটবদ্ধভাবেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে উল্লেখ করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে আমরা, দেশবাসী সবাই নির্বাচন দেখতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার সকালে ওমরাহ পালন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক সফর শেষে ঢাকায় ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেনি। আমি দেখেছি, ২৩৭টি আসনে তাঁরা তালিকা প্রকাশ করেছেন, আর প্রশ্নোত্তরে বলেছেন, এটি চূড়ান্ত নয়। এর মধ্যেও পরিবর্তন আসতে পারে। আমরা কিন্তু এক বছর আগেই এই তালিকা আঞ্চলিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি। চূড়ান্ত তালিকাটা সময়মতো আমরা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করব। যেহেতু আমরা একা ইলেকশন করব না, আরও অনেককে আমরা ধারণ করব, দেশ এবং জাতির স্বার্থে সব দিক বিবেচনা করেই চূড়ান্তভাবে যথাসময়ে আমরা প্রার্থী ঘোষণা করব।’
প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগের জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো ব্যাপকভিত্তিক আমাদের প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ভোটার হওয়ার জন্য অক্টোবরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য যে সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে, তা প্রোপারলি ফাংশন করে নাই, যার কারণে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। আমাদের দাবি থাকবে নির্বাচন কমিশনের কাছে কমপক্ষে আরও ১৫ দিন এই সময় বর্ধিত করা হোক এবং যে জটিলতাগুলো রয়েছে, সেগুলো সহজ করে তাদের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।’
দলগুলোর মতানৈক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতানৈক্য থাকবে, তবে দোয়া করেন মতবিরোধ যেন না হয়। মতের ভিন্নতা থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সব দল তো এক দল নয়। সবগুলো দল ভিন্ন ভিন্ন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও পার্থক্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা সবার মতকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখি। তবে আমরা নিজেরা যে মতটা প্রকাশ করি, আমরা চেষ্টা করি চিন্তাভাবনা করে জাতির স্বার্থেই সে মতগুলো প্রকাশ করার। অতএব মতানৈক্য এটা ডেমোক্রেসির সৌন্দর্য। এটার জন্য এখানে বিরোধ লেগে গেছে অথবা দেশ একেবারে অস্থির হয়ে গেছে, আমরা এইটা চিন্তা করতে রাজি নই।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলা বসে যদি একটা কনসেনসাসে (ঐকমত্যে) পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো এবং আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ এবং জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
জামায়াত আমিরকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম প্রমুখ।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করাই জাতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সে অনুযায়ী কমিশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের অর্জন রয়েছে, ব্যর্থতাও রয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারল
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
২ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে