জাবি প্রতিনিধি
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁরা প্রকৃতপক্ষে ভারতের জনগণের প্রতিনিধি ছিলেন না মন্তব্য করেছেন ইতিহাসবিদ ও বাম রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর। আজ রোববার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে ‘পার্টিশনের ৭৫ বছর: বহুস্বরের সন্ধান’ শর্ষীক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘যেকোনো আন্দোলন, সংগ্রাম ও যুদ্ধে সঠিকভাবে শত্রু নির্ণয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্রিটিশদের যথার্থ শত্রু বিবেচনা না করে আপসের চিন্তা মাথায় রেখে স্বাধীনতা আন্দোলন করার ফলে আমরা শত্রু চিনতে ব্যর্থ হয়েছি। এ জন্য ভারতে স্বাধীন রাজনীতি বিকশিত হয়নি। যার ফলে ৪০ এর দশকে হিন্দু মুসলিম পরস্পরের শত্রু হল। কংগ্রেস, মুসলিম লীগ পরস্পরের শত্রু হলো।’
বর্ষিয়ান এ রাজনীতিবিদ আরও বলেন, ‘গান্ধী, নেহেরু, প্যাটেলের ওপর জমিদার, ভূ-মালিক, পুঁজিপতি শ্রেণির মাত্রাতিরিক্ত প্রভাব কোনো গোপনীয় বিষয় ছিল না। তাঁদের স্বার্থের চাহিদা মেটাতেই বাংলা ভাগ করেছিল। ফলে গান্ধীসহ অন্য নেতারা স্বাধীনতার জন্য কংগ্রেস-লীগের বলয়ের বাইরে থেকে নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে লড়াই করল না। তারা হয়ে উঠেছিল ব্রিটিশদের মধ্যস্ততাকারী। বিট্রিশ সৃষ্ট ভূমি ব্যবস্থা ও তাদের অধীনে চাকরির ভিত্তিতেই এই নেতারা তৈরি হয়েছিল। যার ফলে বিট্রিশরা সরাসরি আন্দোলনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলো না। ফলে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঐক্যের সৃষ্টি না হয়ে বিভেদের বীজ অঙ্কুরিত হলো।’
আলোচনায় অন্যতম আলোচক ছিলেন ইতিহাস বিভাগের প্রধান অনিন্দিতা ঘোষাল। তিনি তাঁর গবেষণায় তুলে ধরেন কীভাবে ভারত ভাগের ফলে ১ কোটির বেশি মানুষ গৃহহীন হয় ও দেশত্যাগে বাধ্য হয়।
বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘পাহাড় কীভাবে ভাগ হবে, নদী কীভাবে ভাগ হবে, নাকি হবে না— সব আলোচনা হলো। কিন্তু সব থেকে কম আলোচনা হলো মানুষের ব্যাপারে। র্যাডক্লিফ লাইনের রিপোর্ট পড়লে মনে হবে এখানে কোনো মানুষ নেই।’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাস বুঝতে সাতচল্লিশের দেশভাগ বোঝার বিকল্প নেই। কেন বাংলাদেশে দুই দিন পর পর পূজার সময়, নির্বাচনের আগে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তা বুঝতে হলে সাতচল্লিশে ফিরে যেতে হবে। শিক্ষিত মহলে সেক্যুলার বনাম ইসলামপন্থী যে তর্ক সবকিছুর সঙ্গে সাতচল্লিশের সম্পর্ক রয়েছে।’
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁরা প্রকৃতপক্ষে ভারতের জনগণের প্রতিনিধি ছিলেন না মন্তব্য করেছেন ইতিহাসবিদ ও বাম রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর। আজ রোববার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে ‘পার্টিশনের ৭৫ বছর: বহুস্বরের সন্ধান’ শর্ষীক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘যেকোনো আন্দোলন, সংগ্রাম ও যুদ্ধে সঠিকভাবে শত্রু নির্ণয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্রিটিশদের যথার্থ শত্রু বিবেচনা না করে আপসের চিন্তা মাথায় রেখে স্বাধীনতা আন্দোলন করার ফলে আমরা শত্রু চিনতে ব্যর্থ হয়েছি। এ জন্য ভারতে স্বাধীন রাজনীতি বিকশিত হয়নি। যার ফলে ৪০ এর দশকে হিন্দু মুসলিম পরস্পরের শত্রু হল। কংগ্রেস, মুসলিম লীগ পরস্পরের শত্রু হলো।’
বর্ষিয়ান এ রাজনীতিবিদ আরও বলেন, ‘গান্ধী, নেহেরু, প্যাটেলের ওপর জমিদার, ভূ-মালিক, পুঁজিপতি শ্রেণির মাত্রাতিরিক্ত প্রভাব কোনো গোপনীয় বিষয় ছিল না। তাঁদের স্বার্থের চাহিদা মেটাতেই বাংলা ভাগ করেছিল। ফলে গান্ধীসহ অন্য নেতারা স্বাধীনতার জন্য কংগ্রেস-লীগের বলয়ের বাইরে থেকে নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে লড়াই করল না। তারা হয়ে উঠেছিল ব্রিটিশদের মধ্যস্ততাকারী। বিট্রিশ সৃষ্ট ভূমি ব্যবস্থা ও তাদের অধীনে চাকরির ভিত্তিতেই এই নেতারা তৈরি হয়েছিল। যার ফলে বিট্রিশরা সরাসরি আন্দোলনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলো না। ফলে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঐক্যের সৃষ্টি না হয়ে বিভেদের বীজ অঙ্কুরিত হলো।’
আলোচনায় অন্যতম আলোচক ছিলেন ইতিহাস বিভাগের প্রধান অনিন্দিতা ঘোষাল। তিনি তাঁর গবেষণায় তুলে ধরেন কীভাবে ভারত ভাগের ফলে ১ কোটির বেশি মানুষ গৃহহীন হয় ও দেশত্যাগে বাধ্য হয়।
বদরুদ্দীন উমর বলেন, ‘পাহাড় কীভাবে ভাগ হবে, নদী কীভাবে ভাগ হবে, নাকি হবে না— সব আলোচনা হলো। কিন্তু সব থেকে কম আলোচনা হলো মানুষের ব্যাপারে। র্যাডক্লিফ লাইনের রিপোর্ট পড়লে মনে হবে এখানে কোনো মানুষ নেই।’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাস বুঝতে সাতচল্লিশের দেশভাগ বোঝার বিকল্প নেই। কেন বাংলাদেশে দুই দিন পর পর পূজার সময়, নির্বাচনের আগে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তা বুঝতে হলে সাতচল্লিশে ফিরে যেতে হবে। শিক্ষিত মহলে সেক্যুলার বনাম ইসলামপন্থী যে তর্ক সবকিছুর সঙ্গে সাতচল্লিশের সম্পর্ক রয়েছে।’
চীন সফরের তৃতীয় দিনে বুধবার ব্যস্ত সময় পার করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি এদিন চায়না কমিউনিস্ট পার্টির সানঝি প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ঝাও ইয়েডির সঙ্গে বৈঠক করে। এতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, উচ্চশিক্ষা, প্রযুক্তিসহ নানা বিষয়ে কথা হয় দুই পক্ষে
১২ ঘণ্টা আগেদাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার প্রজ্ঞাপন জারির পরদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন দাবি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই সঙ্গে সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি, প্রবাসীদের ভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের
১২ ঘণ্টা আগেজাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) মতো সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে কোনো ব্যবস্থা বাদ না দিলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এক ব্যক্তির সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদ মানবে না বিএনপি। আজ বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দলের এই অবস্থান তুলে ধরেন।
১৩ ঘণ্টা আগেলন্ডনের বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, লন্ডনের বৈঠক নিয়ে যে দু-একজন নেতা-কর্মী প্রশ্ন তুলেছেন, তা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয়। তাঁর মতে, ‘বিদেশে কেন তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হলো’—এই প্রশ্ন তোলার কোনো যৌক্তিকতা
১৪ ঘণ্টা আগে