নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো পরিবর্তনই ‘টেকসই’ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না, যদি জনগণের ম্যান্ডেট না থাকে। ১০ জন লোক ঢাকায় বসে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এই সভার আয়োজন করে।
অভ্যুত্থান-পরবর্তী দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘যেসব দেশে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে... যারা যত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে গেছে, সেই দেশগুলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পেরেছে। আর যেসব দেশ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব করে নির্বাচন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে যত বেশি পিছিয়েছে, সেই সব দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে নাই। এটা মাথায় রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বন্দ্বের মাধ্যমে পরিবর্তন সম্ভব নয়। এ জন্য যে জায়গাগুলোতে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছব, তার বাইরে এটাকে নিয়ে যদি আমরা সময় নষ্ট করি, তাহলে কিন্তু ওই সব দেশের পরিণতি আমাদের ভোগ করতে হবে।’
রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগ প্রসঙ্গে খসরু বলেন, ‘আমার কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা অন্য দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না-ও হতে পারে। আপনি ১০ বছর যদি ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা চালান, তাহলে হবে না তো।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ওদের (আওয়ামী লীগ) রাজনীতি হচ্ছে পেশিশক্তি দেখানো, সরাসরি পেশিশক্তির রাজনীতি। তার মাধ্যমে তারা মনে করে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ নেই। এটা আওয়ামী লীগের ডিএনএর মধ্যে আছে।
গোপালগঞ্জে যেটা দেখেছি, সবাই বলেছেন, এত কিছুর পরও, একটা পলাতক শক্তির রাজনীতি জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তাদের মধ্যে পরিবর্তন আসে নাই।’
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গোপালগঞ্জে যেটা হলো, আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? নাকি ওরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চারটা মরুক, তারপরে আমরা কিছু করব। পরে বিরাট একটা বিবৃতি দিয়েছেন। চারজন মানুষ তো মারা গেছে। গোপালগঞ্জের মানুষ কোন দল করে, কোনো পত্রিকায় লেখে নাই। তাঁরা যে দলেরই হোক, কারও মৃত্যু তো আমি কামনা করি না।’
জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী জনশক্তি পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, গণফোরামের মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক নঈম জাহাঙ্গীর, জেএসডির সিরাজ মিয়া, রাজনৈতিক বিশ্লেষক হেলালুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কোনো পরিবর্তনই ‘টেকসই’ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো পরিবর্তন টেকসই হবে না, যদি জনগণের ম্যান্ডেট না থাকে। ১০ জন লোক ঢাকায় বসে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এই সভার আয়োজন করে।
অভ্যুত্থান-পরবর্তী দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘যেসব দেশে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে... যারা যত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে গেছে, সেই দেশগুলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পেরেছে। আর যেসব দেশ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব করে নির্বাচন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে যত বেশি পিছিয়েছে, সেই সব দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে নাই। এটা মাথায় রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বন্দ্বের মাধ্যমে পরিবর্তন সম্ভব নয়। এ জন্য যে জায়গাগুলোতে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছব, তার বাইরে এটাকে নিয়ে যদি আমরা সময় নষ্ট করি, তাহলে কিন্তু ওই সব দেশের পরিণতি আমাদের ভোগ করতে হবে।’
রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগ প্রসঙ্গে খসরু বলেন, ‘আমার কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা অন্য দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না-ও হতে পারে। আপনি ১০ বছর যদি ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা চালান, তাহলে হবে না তো।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ওদের (আওয়ামী লীগ) রাজনীতি হচ্ছে পেশিশক্তি দেখানো, সরাসরি পেশিশক্তির রাজনীতি। তার মাধ্যমে তারা মনে করে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ নেই। এটা আওয়ামী লীগের ডিএনএর মধ্যে আছে।
গোপালগঞ্জে যেটা দেখেছি, সবাই বলেছেন, এত কিছুর পরও, একটা পলাতক শক্তির রাজনীতি জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তাদের মধ্যে পরিবর্তন আসে নাই।’
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গোপালগঞ্জে যেটা হলো, আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? নাকি ওরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চারটা মরুক, তারপরে আমরা কিছু করব। পরে বিরাট একটা বিবৃতি দিয়েছেন। চারজন মানুষ তো মারা গেছে। গোপালগঞ্জের মানুষ কোন দল করে, কোনো পত্রিকায় লেখে নাই। তাঁরা যে দলেরই হোক, কারও মৃত্যু তো আমি কামনা করি না।’
জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী জনশক্তি পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, গণফোরামের মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক নঈম জাহাঙ্গীর, জেএসডির সিরাজ মিয়া, রাজনৈতিক বিশ্লেষক হেলালুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, একটি দল বর্তমানে এ দেশকে দখলবাজি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে তুলেছে। ওই দল দাবি করছে, নির্বাচন হলে তারা ৯৫ শতাংশ ভোট পাবে। তাহলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে আসতে তাদের এত ভয় কেন?
৩ ঘণ্টা আগে‘জরিপে ৭০ ভাগ (শতাংশ) জনগণ বলেছেন, তাঁরা পিআরের পক্ষে। আমরা চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি যে গণভোট দিন। জনগণ যদি পিআর মানে, আপনাদেরও মানতে হবে। না মানলে জনগণ যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমরা তা মেনে নেব।’
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লোর সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দলের আনুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির দাবি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা পিআরের পক্ষে নই। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে পিআরের কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই।’
৫ ঘণ্টা আগে