নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বহিষ্কারের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আমরা কি দলের পক্ষ থেকে বলেছি যে যাঁরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন, তাঁদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে? এই সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগে এখনো হয়নি।’
আজ রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘বিএনপির অনেকেই নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চান। তার প্রমাণ, তাঁদের দলের অনেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, শুধু শমশের মুবিন, তৈমুর আলম খন্দকার নন, জেনারেল ইবরাহিম বীর প্রতীক সাহেবের মতো অনেকেই আসবেন ধারণা ছিলেন। আজকে অনেকেরই শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। অনেকে বিএনপির এই নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে নিজেদের রাজনৈতিক জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত ককরতে চান না। সুস্থ ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসতে তাঁরা শুরু করেছেন। যাঁরা এসেছেন, তাঁদের মধ্যে অনেক বড় বড় নেতাও আছেন। শুধু শাহজাহান ওমর নন, অনেকে এসেছেন। তাঁরা বিএনপির রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। আজকে বিএনপি রাজনীতিকে তাঁরা প্রত্যাখ্যান করে রাজনীতির সূত্র দ্বারা ফিরে আসতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, সামনে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী এই অসুস্থ রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। শৃঙ্খলাজনিত কোনো ব্যবস্থা, বা অন্য কোনো ব্যবস্থা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি—এগুলো আওয়ামী লীগ করছে না, প্রধানমন্ত্রী করছে না, সবই নির্বাচন কমিশন করছে। ইউএনও ট্রান্সফার, ওসিদের ট্রান্সফার, ডিসিদের ট্রান্সফার, এই কাজগুলো আজ সরকারের কাজ নয়। নির্বাচন কমিশন এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সর্বমোট ২৯টি নিবন্ধিত দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি একটা দল, এখন ৩২ দফা, ৫৪ দল, সেই সব দলও তাদের সঙ্গে নেই। অনেকে তাদের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বিএনপি না হলে নির্বাচন অশুদ্ধ হয়ে যাবে, একতরফা হয়ে যাবে কেন? বিএনপির যে ভুয়া আন্দোলন, এই আন্দোলনের কারণে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছে। আজকে তাদের জটিকা মিছিল করতে হয় অন্ধকারে। কুয়াশার মধ্যে হঠাৎ করে গুহা থেকে বেরিয়ে, শুরু করে দেয় মিছিল, কিছুক্ষণ পর আর নাই। পুলিশ দেখলে আবার চলে যায়। এদের বুকে সাহস নেই।’
তারেক জিয়াকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, ‘আমি তারেক রহমানকে বলব, সাহস থাকলে, রাজনীতি করতে চাইলে, সৎ সাহস থাকলে আসুন মাঠে। আমরা একটা রাজনৈতিক দল, আপনারা আমাদের প্রতিপক্ষ, কিন্তু আপনাদের আমরা শত্রু কখনো ভাবিনি। ষড়যন্ত্র করিনি। খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে যাইনি, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে যাইনি, আমরা হত্যার রাজনীতি করি না। ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে আমরা বিশ্বাস করি না। সৎ সাহস থাকলে কেন আসেন না? লন্ডনে বসে বাংলাদেশে আন্দোলন করবেন, এই ভুলের রাজনীতির কারণে আপনারা কিছুদিন পর দলের নেতা-কর্মীদের হারাবেন।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বিএনপির এক নেতা, অন্যদের তো খবর নেই, প্রকাশ্যে আসে না। বিএনপির একজন লোক, পেছনে দশ-বারো জন লোক নিয়ে ঝটিকা মিছিল করে। এটা কি আন্দোলন? এতে কি জনগণের সমর্থন আছে?’
জাতীয় পার্টির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিট ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের কাছে জাতীয় পার্টি কোনো তালিকা পাঠায়নি। সত্যিকারের বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির নিজেদের প্রমাণ করার মোক্ষম সময়।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘কোনো প্রার্থীকে হুমকি দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।
দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বহিষ্কারের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আমরা কি দলের পক্ষ থেকে বলেছি যে যাঁরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন, তাঁদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে? এই সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগে এখনো হয়নি।’
আজ রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘বিএনপির অনেকেই নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চান। তার প্রমাণ, তাঁদের দলের অনেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, শুধু শমশের মুবিন, তৈমুর আলম খন্দকার নন, জেনারেল ইবরাহিম বীর প্রতীক সাহেবের মতো অনেকেই আসবেন ধারণা ছিলেন। আজকে অনেকেরই শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। অনেকে বিএনপির এই নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে নিজেদের রাজনৈতিক জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত ককরতে চান না। সুস্থ ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসতে তাঁরা শুরু করেছেন। যাঁরা এসেছেন, তাঁদের মধ্যে অনেক বড় বড় নেতাও আছেন। শুধু শাহজাহান ওমর নন, অনেকে এসেছেন। তাঁরা বিএনপির রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। আজকে বিএনপি রাজনীতিকে তাঁরা প্রত্যাখ্যান করে রাজনীতির সূত্র দ্বারা ফিরে আসতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, সামনে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী এই অসুস্থ রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। শৃঙ্খলাজনিত কোনো ব্যবস্থা, বা অন্য কোনো ব্যবস্থা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি—এগুলো আওয়ামী লীগ করছে না, প্রধানমন্ত্রী করছে না, সবই নির্বাচন কমিশন করছে। ইউএনও ট্রান্সফার, ওসিদের ট্রান্সফার, ডিসিদের ট্রান্সফার, এই কাজগুলো আজ সরকারের কাজ নয়। নির্বাচন কমিশন এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সর্বমোট ২৯টি নিবন্ধিত দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি একটা দল, এখন ৩২ দফা, ৫৪ দল, সেই সব দলও তাদের সঙ্গে নেই। অনেকে তাদের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বিএনপি না হলে নির্বাচন অশুদ্ধ হয়ে যাবে, একতরফা হয়ে যাবে কেন? বিএনপির যে ভুয়া আন্দোলন, এই আন্দোলনের কারণে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছে। আজকে তাদের জটিকা মিছিল করতে হয় অন্ধকারে। কুয়াশার মধ্যে হঠাৎ করে গুহা থেকে বেরিয়ে, শুরু করে দেয় মিছিল, কিছুক্ষণ পর আর নাই। পুলিশ দেখলে আবার চলে যায়। এদের বুকে সাহস নেই।’
তারেক জিয়াকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, ‘আমি তারেক রহমানকে বলব, সাহস থাকলে, রাজনীতি করতে চাইলে, সৎ সাহস থাকলে আসুন মাঠে। আমরা একটা রাজনৈতিক দল, আপনারা আমাদের প্রতিপক্ষ, কিন্তু আপনাদের আমরা শত্রু কখনো ভাবিনি। ষড়যন্ত্র করিনি। খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে যাইনি, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে যাইনি, আমরা হত্যার রাজনীতি করি না। ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে আমরা বিশ্বাস করি না। সৎ সাহস থাকলে কেন আসেন না? লন্ডনে বসে বাংলাদেশে আন্দোলন করবেন, এই ভুলের রাজনীতির কারণে আপনারা কিছুদিন পর দলের নেতা-কর্মীদের হারাবেন।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বিএনপির এক নেতা, অন্যদের তো খবর নেই, প্রকাশ্যে আসে না। বিএনপির একজন লোক, পেছনে দশ-বারো জন লোক নিয়ে ঝটিকা মিছিল করে। এটা কি আন্দোলন? এতে কি জনগণের সমর্থন আছে?’
জাতীয় পার্টির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিট ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের কাছে জাতীয় পার্টি কোনো তালিকা পাঠায়নি। সত্যিকারের বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির নিজেদের প্রমাণ করার মোক্ষম সময়।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘কোনো প্রার্থীকে হুমকি দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন। স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর ভূমিকা ও ত্যাগ আমরা স্বীকার করি। তবে তাঁর শাসনামলে ঘটে যাওয়া জাতীয় ট্র্যাজেডির কথাও আমরা স্মরণ করি। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের একটি শাখা রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালের জনবিরোধী সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেহারুনুর রশীদ বলেন, ‘আজকে দেশে বিনিয়োগ নাই। কর্মসংস্থান নাই। জনপ্রতিনিধি নাই। স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ নানা সংকটে আছে। যে শক্তিগুলো বিভিন্ন রকমের অছিলা করে নির্বাচনকে বানচাল ও শর্ত দিয়ে বিলম্ব করতে চায়, আমি মনে করি তারা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আমরা লড়াই করেছি।
১৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘এখনো গণতন্ত্র নাগালের বাইরে। আমরা চাই বিশ্বাস করতে যে নির্বাচন হবে, তবে ভোট গণনার আগে পর্যন্ত তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়।’
২০ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী বিলকিস আখতার হোসেন ও ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন।
২১ ঘণ্টা আগে