Ajker Patrika

সমাবেশে আসতে বাধা সৃষ্টি করা সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান: পুলিশের উদ্দেশে ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১৫: ৩৩
সমাবেশে আসতে বাধা সৃষ্টি করা সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান: পুলিশের উদ্দেশে ফখরুল

পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘২৮ তারিখের সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। সারা দেশ থেকে শান্তিপ্রিয় মানুষ আসবেন। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসনকে। সমাবেশে আসতে বাধা সৃষ্টি করা সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান।’ 

আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করতে যৌথ সভার আয়োজন করে বিএনপি। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল। 

ফখরুল বলেন, ‘২৮ তারিখের (২৮ অক্টোবর) সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। সারা দেশ থেকে শান্তিপ্রিয় মানুষ আসবেন। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসনকে। আপনারা কোথাও অহেতুক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করবেন না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমরা যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, এতে বাধা সৃষ্টি করবেন না। এটা সম্পূর্ণভাবে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হবে। সেটা মনে রেখে অবশ্যই সহযোগিতা করবেন বলে বিশ্বাস করি।’ 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকির অভিযোগ এনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখনই তাদের (আওয়ামী লীগ) বিরুদ্ধে মামলা হওয়া দরকার।’ 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারি দলের বিরুদ্ধে এখনই মামলা হতে হবে। গতকালও (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী হুমকি দিয়েছেন, তার আগে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হাত ও দাঁত ভেঙে দেওয়া হবে। কিন্তু এসব বিষয়ে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো বিরোধী দলকে নির্মূল করার জন্য সরকারের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করছে।’ 

এ সময় প্রশাসনের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হলো, সরকারি কর্মকর্তা যাঁরা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা হুমকি দিচ্ছেন। ধমক দিচ্ছেন, হুংকার দিচ্ছেন।’

গত ১৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৪৭টি মামলা দিয়েছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৩০ জনকে। এ ছাড়া ৪৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কল্পনা করেন, আমরা কোন রাজ্যে, কোন সমাজে বাস করছি। এখন আবার গায়েবি মামলা দেওয়া শুরু করেছে, ৪৭টি একেবারে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ১৮ অক্টোবর থেকে কোথাও কিছু হয়নি, কিন্তু মামলা হচ্ছে।’ 

পুলিশের আইজিপির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের সাক্ষাতের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘তাদের বলা হয়ছিল, এসব (গায়েবি ও মিথ্যা মামলা) বন্ধ করুন। কিন্তু তারা সেটা বন্ধ করা তো দূরে থাক, আরও নতুন গায়েবি মামলা দেওয়া শুরু করেছে।’ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘একজন প্রধানমন্ত্রী, নির্বাহী প্রধান অথবা প্রশাসনের প্রধান তিনি কোনো মামলা মোকদ্দমার ব্যাপারে, আদালতের ব্যাপারে, বিচারাধীন মামলার ব্যাপারে এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না। সরাসরি তিনি (প্রধানমন্ত্রী) হস্তক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন যে, সব মামলা করতে হবে, সাক্ষী আনতে হবে, সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এটা পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে তারা সরাসরি ফরমায়েশ করে, আদেশ দিয়ে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করছে এবং ফরমায়েশি রায় দিচ্ছে।’ 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের পায়তারা করছে। সরকার চায় না যে বিরোধী দল নির্বাচনে আসুক। তারা চায় না এ দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। 
দেশের মানুষ মনে করেছিল, সরকার জনগণের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু তা না করে উল্টো বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে জনগণের দাবিকে স্তব্ধ করতে চরম নির্যাতনমূলক ও নিপীড়নমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপি আলোচনায় বসতে রাজি নয়, জানালেন জামায়াত নেতা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ২১
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। ছবি: সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। ছবি: সংগৃহীত

গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে নাকি নির্বাচনের দিন অনুষ্ঠিত হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা কী হবে—এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ মতামত জানাতে বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এই ইস্যুতে বিএনপি আলোচনায় বসতে রাজি নয় বলে জানিয়েছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ‘নির্বাচনী ইশতেহারে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। তাঁরা বলেছেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না। আমরা যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে রাজি আছি। প্রয়োজনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসতে উদ্বুদ্ধ করব।’

হামিদুর রহমান আযাদ আরও বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, এটি স্বাক্ষরিত হয়নি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যখন সরকারের কাছে সুপারিশ করল, তখন বিরোধ তৈরি হলো।’

জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘ডেমোক্রেসিতে (গণতন্ত্র) আলোচনা এবং রাজপথে ভয়েস রেইজ করা (আওয়াজ তোলা)—এই দুটোই চলে। আমরা তো ভায়োলেন্স (সহিংসতা) করছি না।’

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে মানুষের ফোকাস থাকে দল, প্রার্থীকেন্দ্রিক। আমাদের দেশে ভোটকেন্দ্র দখল হয়। দুটো ভোট দিতে গেলে টাইম ম্যানেজমেন্ট হবে না, ভোট কাস্টিং কম হবে। পরে আবার বলবে, জনগণ জুলাই চার্টারের পক্ষে রায় দেয় নাই।’

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আমলের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এখনো আছে। এখন জনগণের আস্থা নেই। আগে গণভোট হলে জাতীয় নির্বাচনে জনগণের আস্থা তৈরি হবে। এতে নির্বাচনটা ভালো হবে।’

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সৌদি আরব থেকে মিসরের পথে সারজিস আলম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: ফেসবুক
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: ফেসবুক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মিসরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। আজ শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

পোস্টে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণে এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমি গতকাল (৬ নভেম্বর) মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।’

সারজিস আরও জানান, সফরের অংশ হিসেবে প্রথম তিন দিন তিনি সৌদি আরবে এবং পরবর্তী তিন দিন মিসরে অবস্থান করবেন। এ সময় দুই দেশের প্রবাসী বাংলাদেশি, অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি। এ ছাড়া মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

সফরের অংশ হিসেবে সারজিস মিসরের রাফা সীমান্তে শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমেও অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন।

দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘এই সফর যেন সফল হয় এবং মানবতার কল্যাণে কিছু করতে পারি—দু’আ চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জোট নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: ভিত শক্ত করতে চায় এনসিপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৯
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

চলমান নির্বাচনী আমেজকে কাজে লাগিয়ে সারা দেশে সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে চাইছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল/আঞ্চলিক পর্যায়ে যত দুর্বলতা আছে ভোটের বাদ্য বেজে ওঠার সুযোগে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে মনোযোগ দিচ্ছে দলটি। এ জন্যই জেলা-উপজেলাগুলোতে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় পর্যায়ে অবস্থান শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি বাদে অন্য সব দলের নেতা-কর্মীদের জন্যই দরজা খোলা রাখছে এনসিপি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের একজন নেতা বলেন, ‘এই নির্বাচনে আমরা সর্বশক্তি দিয়েই লড়ব। কিন্তু আমরা পাখির চোখ করেছি মূলত এর পরের নির্বাচনকে। এবারের নির্বাচনে আমরা সাংগঠনিক দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে চাই। শহরাঞ্চলগুলোতে এনসিপিকে সবাই চেনে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে আমরা দেখেছি দুর্বলতা আছে। এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য নির্বাচনী আবহটাই উপযুক্ত সময়।’

এনসিপির নেতারা বলছেন, বড় দলগুলোতে মনোনয়নবঞ্চিত অনেক নেতা রয়েছেন। এই নেতাদের অনুগত কর্মীর সংখ্যাও কম নয়। অন্য দলের বঞ্চিত এই নেতা-কর্মীরা চাইলে এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। দলটির প্রত্যাশা, এটি হলে আঞ্চলিক পর্যায়ে এনসিপির পালে হাওয়া লাগবে।

নির্বাচনের জন্য গত বৃহস্পতিবার মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে এনসিপি। আওয়ামী লীগ ও তাদের একসময়ের মিত্র জাতীয় পার্টি বাদে যেকোনো দলের ‘সৎ ও যোগ্য নেতারা’ এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, বিএনপি ও জামায়াতে অনেকে আছেন; যারা পার্টি অফিসে ‘ঠিক জায়গায় নক করতে না পারায়’ মনোনয়ন পাননি। তাঁরা সৎ ও যোগ্য হলে এনসিপি তাঁদের স্বাগত জানাবে।

এনসিপি জোটবদ্ধ হয়ে নাকি এককভাবে নির্বাচন করবে তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব। তিনি বলেন, ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। প্রার্থিতা নিয়েও এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।’

১৩-১৪ নভেম্বর এনসিপির নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনী জোট ও প্রার্থী তালিকা নিয়ে সেখানে সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, এখনো এনসিপি সব পথই খোলা রেখেছে। জামায়াত ও বিএনপি উভয় দলই এনসিপিকে জোটসঙ্গী করতে চায়। তবে দলের নির্বাহী কাউন্সিলের অনেক নেতাই এককভাবে নির্বাচন করার পক্ষে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামো উৎখাত না করায় অভ্যুত্থান বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি: আরিফ সোহেল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ শুক্রবার রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মুক্তিফোরাম আয়োজিত ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার ভ্রান্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মুক্তিফোরাম আয়োজিত ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার ভ্রান্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঔপনিবেশিক শাসনকাঠামো উৎখাত না করায় অভ্যুত্থান বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মুক্তিফোরাম আয়োজিত ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার ভ্রান্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরিফ সোহেল বলেন, ‘১৮৫৭ থেকে ৭১, ৭৫ এমনকি ২৪-এও আমরা সিপাহি-জনতার একটি বিপ্লবী ঐক্য দেখতে পাই; কিন্তু বিদ্যমান কলোনিয়াল শাসন ও শোষণকাঠামোকে পুরোপুরি উৎখাত না করায় এই ঐক্য অভ্যুত্থান থেকে বিপ্লবে রূপ নিতে পারেনি। ৭ নভেম্বরে হাজির হওয়া সিপাহি-জনতার লড়াইকে সত্যিকার বিপ্লবে রূপ দিতে হলে রাজনৈতিক সচেতনতা নির্মাণ জরুরি।’

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কবি, চিন্তক ও অ্যাকটিভিস্ট সাঈদ উজ্জ্বল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতাকে রাষ্ট্রীয় স্থিতির প্রতীক হিসেবে দেখানো হলেও বাস্তবে এটি জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করেছে। প্রতিটি গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে এই ধারাবাহিকতার নামে শাসকগোষ্ঠী পুরোনো রাষ্ট্রকাঠামোই টিকিয়ে রেখেছে। ফলে রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক পরিবর্তন না হয়ে কেবল মুখোশ পাল্টেছে, গণসার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পথ আটকে গেছে।

সভায় জুলাই যোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত