Ajker Patrika

কমিশনে বিএনপির মত: নতুন সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তন ক্যু বলে গণ্য হবে

তানিম আহমেদ, ঢাকা 
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮: ২৬
কমিশনে বিএনপির মত: নতুন সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তন ক্যু বলে গণ্য হবে

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানের অধীনে গঠিত হয়েছে। সংবিধানের অধীনে গঠিত কোনো সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে বিদ্যমান সংবিধানের স্থলে নতুন সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করলে সেটি বিপ্লব নয়; বরং ‘ক্যু’ হিসেবে গণ্য হবে বলে জানিয়ে দিল বিএনপি। দলটি বলেছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো দল বা গোষ্ঠী এরূপ অসম্মানজনক পথে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করলে, সেটি হবে জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে পাঠানো তিন পৃষ্ঠার মতামতে এসব কথা বলেছে বিএনপি। এতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের তিনটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশও করেছে দলটি।

বিএনপি তাদের মতামতে বলেছে, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন করার বিপজ্জনক চেষ্টা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাস্তবসম্মত নয়। দলটি সংবিধান সংস্কারবিষয়ক সুপারিশ নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন চায় বলেও জানিয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতির বিষয়ে সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০টি দল ও জোটের কাছে মতামত চাওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপিসহ ২৭টি দল তাদের মতামত দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী আগামীকাল শনিবার বাস্তবায়ন পদ্ধতির বিষয়ে মতামত জমা দেবে। অন্যদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে এনসিপি। সেগুলো নিয়ে গতকাল রাতে দলীয় ফোরামে আলোচনার ভিত্তিতে সুপারিশ তৈরি করে কমিশনে মতামত জমা দেবে তারা।

বিএনপির তিন পাতার মতামতের প্রথম দুটিতে জুলাই সনদের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের একাধিক উদ্ধৃতি দিয়ে তার স্বপক্ষে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে। পাশাপাশি বলা হয়, কয়েকটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে সনদের স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুচিন্তিত ধারণার বাইরে গিয়ে নানাবিধ নিত্যনতুন ধারণা-পন্থার কথা ব্যক্ত করছে। সেগুলো সুচিন্তিত ও বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করে বিএনপি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে গঠিত হয়েছে—বিষয়টি উল্লেখ করে বিএনপি বলছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হয়নি। কিন্তু জুলাই সনদের খসড়ায় আট দফার অঙ্গীকারনামায় জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে স্থান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা আইনি ও সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে অসম্ভব, অসংগত ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে বিএনপি।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থান অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত। তারা প্রধান উপদেষ্টার বাস্তবায়ন কৌশলকে সমর্থন করে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। বিএনপির মতে, প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্যে জুলাই সনদ তিন ধাপে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদের ‘আশু করণীয় সংস্কার কাজগুলো’ বাস্তবায়ন করবে; জুলাই সনদের বাকি অংশের বেশ কিছু কাজের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করবে এবং নির্বাচিত সরকার জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, সংবিধান সংস্কারবিষয়ক সুপারিশ ছাড়া অন্য আশু করণীয় সুপারিশগুলো কোনো ধরনের কালক্ষেপণ না করেই অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে। এজন্য প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশ জারি, বিধি প্রণয়ন, প্রশাসনিক আদেশ জারি, প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ বা অন্য কোনো বৈধপন্থা বা কৌশলের আশ্রয় নিতে পারে সরকার। এ ছাড়া আশু করণীয় নয়, এমন সুপারিশগুলো যথাসম্ভব বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সরকার শুরু করবে। পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছরের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে বা নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে জাতির কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।

এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচিত জাতীয় সংসদ গঠিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে সংবিধান সংশোধনীসম্পর্কিত সুপারিশ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বাস্তবায়িত না হওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করবে। জুলাই সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে দলগুলো জাতির কাছে এ বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে বলে মনে করে দলটি।

আগামী সপ্তাহে দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে চূড়ান্ত জুলাই সনদ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত পর্যালোচনা করতে আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপর চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও বাস্তবায়নের উপায়সম্পর্কিত সুপারিশ একসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠাবে। গতকাল জাতীয় সংসদের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ-সংক্রান্ত একটি তথ্য জুলাই সনদের সঙ্গে দলগুলোর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কমিশন নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ ও বাস্তবায়নের সুপারিশ দলগুলোর কাছে একসঙ্গে পাঠাতে চাই আমরা। যদি তা না হয় তবে ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে। তখন মনে হবে আমরা বাস্তবায়ন নিয়ে ভাবছি না। আমরা বাস্তবায়নের পথ সম্পর্কে সুপারিশ করতে চাই। সেটার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই বৈঠক করব।’

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ, অধ্যাদেশসহ একাধিক সুপারিশ কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে করা হবে বলে জানা গেছে। আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা সরকারকে এমন একটি পথ দেখাতে চাই, যাতে বর্তমান সরকারের মেয়াদকালেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথ সুনিশ্চিত করা যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টাকে রেফারির ভূমিকায় চায় জামায়াত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। ফাইল ছবি
সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। ফাইল ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে মতপার্থক্য কাটাতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ চেয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক আটটি রাজনৈতিক দল। এ সংলাপে রেফারির ভূমিকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে চেয়েছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।

যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অফিসে সমমনা আট দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন তাহের। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হলে সেখানে রেফারির অভাব হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে, বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা এখানে একটা রেফারির ভূমিকা পালন করবেন আগের মতো, এটা আমরা আশা করি।’

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ দেখা দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত না দিতে পারলে সরকার নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তাহের বলেন, ‘আমরা যে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলাম, তাতে হঠাৎ করে একটি দল বিরোধিতা করছে। আমরা আশা করি, তারা তাদের দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে গণভোট আগে আর পরে করে লাভ নেই; বরং গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ নির্বাচনের দিন হ্যাঁ বা না ভোটে কারও মনোযোগ থাকবে না।’

তাহের আরও বলেন, ‘আমি গতকালকে দলগুলোর মধ্যে একটি আলোচনার আহ্বান করেছিলাম। আজকে উপদেষ্টা পরিষদও সে রকম একটি আহ্বান দলগুলোর কাছে জানিয়েছে। আমরাও দেখতে চাই, প্রধান দলগুলো এই আহ্বানে যেন সাড়া দেয়। তারাও যদি আমাদের মোত একইভাবে সাড়া দেয়, তাহলে একটা রাস্তা বেরিয়ে আসবে।’

প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে ৮ দল

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দফা দাবিতে পঞ্চম পর্বের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের শরিক সমমনা আটটি রাজনৈতিক দল। আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় গণমিছিল করে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবে তারা।

রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘আমাদের আটটি দলের পাঁচ দফা দাবিতে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছি। অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগেই পৃথকভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট করতে হবে। আরপিও সংশোধন করা হলে আমরা সেটা মানব না। অর্থাৎ আরপিও আগের মতোই রাখতে হবে। এগুলোই এখন আমাদের মূল দাবি।’

এসব দাবিতে ৬ নভেম্বর বেলা ১১টায় গণমিছিল করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, দাবি আদায় না হলে ১১ নভেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ করবেন তাঁরা।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণার আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও ডেভেলপমেন্ট পার্টির শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সরকার সাপলুডু খেলছে: আখতার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আখতার হোসেন। ফাইল ছবি
আখতার হোসেন। ফাইল ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার সাপলুডু খেলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আখতার বলেন, ‘অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে লক্ষ করছি, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে সনদ দিয়ে। সরকার নিজেরা উদ্যোগ (সনদ বাস্তবায়নে) না নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ঠেলে দিয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সরকার সাপলুডু খেলছে।’

সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারি করতে হবে বলে দাবি করে আখতার বলেন, ‘সংস্কার ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে। অতি দ্রুত সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির দাবি জানাই।’

এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি সংস্কার বাস্তবায়নের পথে বাধা হচ্ছে। সংস্কারকে ধারণ করে না বিএনপি। সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে চাচ্ছে। কিন্তু জনগণ এটা হতে দেবে না। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারি করতে হবে।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, দলীয় মতামত গণভোটে যাওয়া উচিত না। কোন দিন আদেশ জারি করবেন, সেটা সরকারকে জানাতে হবে। প্রধান উপদেষ্টাকে এই আদেশ জারি করতে হবে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে আদেশ জারি করা হলে ছাত্র-জনতা আবার মাঠে নামবে।

আসনের লোভ দেখিয়ে গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র নষ্টের জন্য একটি দল উঠেপড়ে লেগেছে। গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা জনগণ রুখে দেবে।

বিএনপির আসন ঘোষণা প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া তিন আসনে প্রার্থী হওয়ায় শুভেচ্ছা। তাঁর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও সুসংহত হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে যেহেতু তিনি নির্বাচন করতে পারছেন, সেহেতু সংস্কার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসুন।’

নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে আমরা স্বাগত জানাই। আসেন, আমরা সবাই মিলে গণতন্ত্র চর্চা করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৫৭
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শিগগির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। ৭- ৮ নভেম্বরের দিকে এই তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যার পর বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে এনসিপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণাসংক্রান্ত সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কোনো প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করিনি। তবে ৭-৮ নভেম্বরের দিকে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারি। এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, প্রাথমিকভাবে ৭০-১০০ জনের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। কিছু আলাপ চলছে। তবে সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
তাজনুভা জাবীন। ছবি: সংগৃহীত
তাজনুভা জাবীন। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২৩৭ আসনের বিপরীতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর কিছু সময় পরই দেশের কিছু বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণার খবর প্রচার করা হয়। এ নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীন।

এক ফেসবুক পোস্টে জাবীন বলেছেন, ‘যাদের প্রার্থী তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলো, তাদেরটা ব্রেকিং নিউজে জায়গা পেল না, কিন্তু ঠিক একই দিন একই সময় যারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে ব্রেকিং নিউজ যাচ্ছে।’

জাবীন আরও লেখেন, ‘ব্রেকিং নিউজের পেছনের রাজনীতি কী? কী বয়ান মানুষের কাছে দেওয়ার জন্য কারা এত ব‍্যাকুল?’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত