নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পরাজিত পলাতক শক্তি সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ অবস্থায় ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে অপরাজনীতির চর্চা পরিহার করে সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচনের পথে হাঁটার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এ কথাগুলো বলেন। দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে বিএনপি।
তারেক রহমান বলেন, ‘এক বছর আগে বলেছিলাম, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। সাম্প্রতিক সেই অশুভ শক্তির অপতৎপরতা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।’
‘নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না’—এই ধরনের বক্তব্য ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির ঐক্যকে দুর্বল করবে নাকি পলাতক ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থানের প্রাসঙ্গিকতা তৈরি করবে—এ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে, আমাদের সতর্ক হওয়া দরকার। পরাজিত পলাতক শক্তি কিন্তু সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে রয়েছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরের ওপর হামলাসহ সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে দেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে অথবা জটিল করে তোলা হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের অভিপ্রায়ের সরকার। এই সরকারের কাছে রাজনৈতিকভাবে দক্ষ এবং জবাবদিহিমূলক সরকারের মতো ভূমিকা আশা করার কোনো যৌক্তিক কারণ আছে বলে মনে করি না।
‘সংগত কারণেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত দিন ক্ষমতায় থাকবে, তাদের দুর্বলতাও তত দৃশ্যমান হতে থাকবে। বিভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতা যত বেশি প্রতীয়মান হবে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে তত বেশি বিভ্রান্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে এখন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সময় এবং সুযোগ এসেছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উপায় জাতীয় নির্বাচন। যতক্ষণ পর্যন্ত একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরাসরি ভোটে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়।’
বিএনপির এই নেতা মনে করেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শর্ত শিথিল করে নির্বাচনের পথে হাঁটাই এখন সময়ের দাবি।
নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে হাঁটছে, তখন কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাধ্যমে অধিকার প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে তাদের দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নানা শর্ত আরোপ করছে।
‘এই শর্ত আরোপ করে নির্বাচনের পথে তারা বাধা সৃষ্টি করছে বলে বহু মানুষ ভাবতে শুরু করেছে।’
নির্বাচন বাধাদানকারীদের উদ্দেশে এ সময় তারেক রহমান বলেন, ‘সংস্কারের প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। তবে জনগণের অধিকার চর্চার পথে বাধা সৃষ্টি করে কোনো সংস্কারকেই টেকসই করা যাবে না। পলাতক স্বৈরাচারের মতন বিএনপির বিজয় ঠেকানোর অপরাজনীতির পরিবর্তে আসুন, আগে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের দায়বদ্ধ সরকার গঠন করি সকলে মিলে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পরাজিত পলাতক শক্তি সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ অবস্থায় ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে অপরাজনীতির চর্চা পরিহার করে সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচনের পথে হাঁটার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এ কথাগুলো বলেন। দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে বিএনপি।
তারেক রহমান বলেন, ‘এক বছর আগে বলেছিলাম, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। সাম্প্রতিক সেই অশুভ শক্তির অপতৎপরতা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।’
‘নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না’—এই ধরনের বক্তব্য ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির ঐক্যকে দুর্বল করবে নাকি পলাতক ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থানের প্রাসঙ্গিকতা তৈরি করবে—এ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে, আমাদের সতর্ক হওয়া দরকার। পরাজিত পলাতক শক্তি কিন্তু সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে রয়েছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরের ওপর হামলাসহ সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে দেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে অথবা জটিল করে তোলা হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের অভিপ্রায়ের সরকার। এই সরকারের কাছে রাজনৈতিকভাবে দক্ষ এবং জবাবদিহিমূলক সরকারের মতো ভূমিকা আশা করার কোনো যৌক্তিক কারণ আছে বলে মনে করি না।
‘সংগত কারণেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত দিন ক্ষমতায় থাকবে, তাদের দুর্বলতাও তত দৃশ্যমান হতে থাকবে। বিভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতা যত বেশি প্রতীয়মান হবে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে তত বেশি বিভ্রান্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে এখন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সময় এবং সুযোগ এসেছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উপায় জাতীয় নির্বাচন। যতক্ষণ পর্যন্ত একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরাসরি ভোটে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়।’
বিএনপির এই নেতা মনে করেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শর্ত শিথিল করে নির্বাচনের পথে হাঁটাই এখন সময়ের দাবি।
নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে হাঁটছে, তখন কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাধ্যমে অধিকার প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে তাদের দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নানা শর্ত আরোপ করছে।
‘এই শর্ত আরোপ করে নির্বাচনের পথে তারা বাধা সৃষ্টি করছে বলে বহু মানুষ ভাবতে শুরু করেছে।’
নির্বাচন বাধাদানকারীদের উদ্দেশে এ সময় তারেক রহমান বলেন, ‘সংস্কারের প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। তবে জনগণের অধিকার চর্চার পথে বাধা সৃষ্টি করে কোনো সংস্কারকেই টেকসই করা যাবে না। পলাতক স্বৈরাচারের মতন বিএনপির বিজয় ঠেকানোর অপরাজনীতির পরিবর্তে আসুন, আগে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের দায়বদ্ধ সরকার গঠন করি সকলে মিলে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘যাঁরা বলেন ‘‘পিআর খায় না মাথায় দেয়’’, তাঁরা পুরোনো বন্দোবস্তকে জারি রাখতে চান। যাঁরা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারির রাজনীতি করতে চান, তাঁরাই পিআরের বিরোধিতা করেন। কিন্তু দেশের মানুষ পুরোনো ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়...
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ বাস্তবায়নের ইস্যু নিয়ে বিএনপি আলোচনার টেবিলে সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, বিষয়টি সমাধানে আলোচনা চলছে, সেই আলোচনার টেবিলেই এটি সমাধান হলে অসাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বন্ধ করা যাবে।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ সংবিধান আদেশে কার্যকর ও জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে জনগণের বৈধতা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নিয়োজিত আইন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেই ফেব্রুয়ারিতে সুন্দর নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিক
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ কার্যকরের জন্য সংবিধান আদেশ জারি এবং এর বৈধতার জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে আইন বিশেষজ্ঞরা যে মতামত তা উপযুক্ততা নিয়ে সন্দিহান জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গণপরিষদের প্রস্তাবেই এখনো অনড় রয়েছে দলটি।
৪ ঘণ্টা আগে