Ajker Patrika

বিএনপির বিজয় শোভাযাত্রা থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির বিজয় শোভাযাত্রা থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আহ্বান

মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীতে ‘বিজয় শোভাযাত্রা’ করেছে বিএনপি। আজ রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রা কাকরাইল মোড় হয়ে শান্তিনগর মোড় ঘুরে এসে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আহ্বান জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

শোভাযাত্রায় বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন। দেড় ঘণ্টার এই শোভাযাত্রার কারণে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের সড়কে দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল। দুপুর ২টা থেকে শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সেই সময়ের আধ ঘণ্টা পর আনুষ্ঠানিকভাবে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শোভাযাত্রা শেষে দলীয় নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বৃহত্তর আন্দোলনের আহ্বান জানান তিনি। 

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ লাখো মানুষের এই মিছিল প্রমাণ করেছে, এই দেশের মানুষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত দেখতে চায়। তাঁকে অবিলম্বে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চায়। এটাই এই দেশের মানুষের দাবি। দেশের মানুষ আজ প্রমাণ করেছে, তারা গণতন্ত্র চায়। স্বৈরতন্ত্র চায় না। এই দেশের মানুষ কথা বলতে চায়।’ 

 বিএনপির বিজয় দিবসের শোভাযাত্রায় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টিই প্রাধান্য পেয়েছে‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য আমরা আমাদের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই করব’—এমন অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বৃহত্তর গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আজ বিজয় মিছিলের মধ্য দিয়ে আমাদের বিজয়ের যাত্রা শুরু হলো। এই যাত্রার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সরকার ও গণতন্ত্রকে আমরা পুনরুদ্ধার করব। এই আমাদের শপথ।’ 

এর আগে শোভাযাত্রার উদ্বোধনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই র‍্যালি বাংলাদেশের জনগণের নতুন করে জেগে উঠবার র‍্যালি। এই র‍্যালি দেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার র‍্যালি। আজকের এই র‍্যালির মধ্য দিয়ে আমরা সেই শুভ সূচনা করছি, যে সূচনার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব, তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারব। সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’ 

শোভাযাত্রায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঢল
পূর্বঘোষিত বিজয় শোভাযাত্রায় অংশ নিতে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির সব স্তরের নেতা-কর্মীরা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুর ১টা না বাজতেই নয়াপল্টন ছাড়িয়ে নেতা-কর্মীদের ভিড় বিস্তৃত হয় আশপাশের এলাকায়। কাকরাইল মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত জনারণ্যে পরিণত হয়। ছোট-বড় বর্ণিল সব ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে ছেয়ে যায় সমগ্র এলাকা। এসব ব্যানার-ফেস্টুনে শোভা পায় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি। নেতা-কর্মীদের বিশাল ভিড় থেকে ভেসে আসে নানা স্লোগান। স্লোগানে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সর্বাধিক উচ্চারিত হয়। 

র‍্যালিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থ অবস্থার প্রতীকী উপস্থাপন সবার নজর কাড়েঢোলের বাদ্য ও গানের সুরের পাশাপাশি নানা স্লোগানে র‍্যালি শুরু হয়। নেতা-কর্মীদের মাথায় ছিল লাল-সবুজ ক্যাপ, হাতে ছিল জাতীয় পতাকা এবং বিএনপির দলীয় পতাকা। অনেকের পরনে ছিল কালো কাপড় এবং গলায় ছিল প্রতীকী শিকল। শুরুতে খালেদা জিয়া, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বড়-বড় ছবি প্রদর্শন করা হয়। পিকআপভ্যানে শাহনাজ রহমত উল্লাহর গাওয়া বিএনপির দলীয় সংগীত ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার/শেষ বাংলাদেশ’ গানটি বাজানো হয়। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ সব পর্যায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা র‍্যালিতে অংশ নেন। দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু হওয়া র‍্যালি শেষ হয় ৪টার একটু আগে। 

দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পায়ে হেঁটে র‍্যালিতে অংশ নেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, আমান উল্লাহ আমান, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ। 

র‍্যালির কারণে সড়কের দুপাশ বন্ধ থাকায় পুরো এলাকায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। যানবাহন না পেয়ে অনেক মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। তবে মিছিলের মধ্য দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। বিএনপির এ শোভাযাত্রা ঘিরে আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পল্টনে মঙ্গলবার লাখো মানুষের জমায়েত হবে: হামিদুর রহমান আযাদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে বৈঠক করেন আট দলের নেতারা। এ সময় বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে বৈঠক করেন আট দলের নেতারা। এ সময় বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে গণসমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আট দল। এ কর্মসূচিতে হাজার হাজার নয়, বরং লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

আজ সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে বৈঠক করেন আট দলের নেতারা। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেন জামায়াতের এই নেতা।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আগামীকাল হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। লোকে লোকারণ্য হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। রাজধানী এবং আশপাশের মানুষই এতে যুক্ত হবে।’

আযাদ যোগ করেন, ‘আমরা দেশব্যাপী সমাবেশের ডাক দিতে পারতাম। তবে আগামীকাল শুধু রাজধানী ও আশপাশের জনবল নিয়েই সমাবেশ হবে। এতে যদি সরকার বুঝতে পারে, তাহলে আশা করি এ সমাবেশেই একটা বড় ধরনের মতামত উঠে আসবে।’

আযাদ আরও বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের চতুর্থ পর্ব শেষ হয়ে পঞ্চম পর্ব চলমান। ৬ নভেম্বর আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। একই সঙ্গে ১১ নভেম্বর আমরা গণসমাবেশ ঘোষণা করেছিলাম। আমরা জনগণের কিছু মৌলিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। এটা কোনো জোট নয়, এটা আন্দোলনের একটা প্ল্যাটফর্ম।’

বিএনপির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘তাঁরা বলেছেন, তাঁরা জামায়াতের ডাকে সাড়া দেবেন না। উনারা এটা প্রকাশ্যে বলে দিয়েছেন। আমরাও প্রকাশ্যে বলে দিলাম, উনারা আমাদের ডাকুক, আমরা অবশ্যই সাড়া দেব। আমরা আলোচনা এবং আন্দোলন, উভয় চেষ্টা অব্যাহত রাখব।’

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা জনদুর্ভোগ সব সময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছি। এটা আন্দোলনের একটা চলমান কর্মসূচি। দুর্ভোগের কথা আমরা বিবেচনা করেছি। আমাদের কর্মসূচির সময় বেলা ২ থেকে বিকেল ৪টা।’

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা বিফলে গেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আযাদ বলেন, আলোচনা ভেস্তে যায়নি। আলোচনার মাধ্যে একটি চার্টার তৈরি হয়েছে এবং স্বাক্ষরিত হয়েছে। মূলত সনদ নিয়ে নয়, সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

হামিদুর রহমান আযাদ আরও বলেন, গণভোট সংবিধানে ছিল, ফ্যাসিস্টরা বাদ দিয়েছে। যাঁরা সংবিধানে গণভোট নেই বলছেন, তাঁরা ফ্যাসিস্টের কাজকে সমর্থন করছেন। সংবিধানে ৫ বছর পর নির্বাচনের কথা আছে। তাহলে কি সংবিধান অনুযায়ী ’২৬ সালে নির্বাচন হওয়ার কথা? বর্তমান সরকারও তো সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা পায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক, থাকবেন তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক, থাকবেন তারেক রহমান

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রাত ৮টার দিকে বৈঠকটি গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

শায়রুল কবির খান জানান, এটা জরুরি কোনো বৈঠক নয়, নিয়মিত বৈঠক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজনৈতিক শিষ্টাচার চর্চার আহ্বান জানালেন জাপার রুহুল আমির হাওলাদার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। ফাইল ছবি
এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। ফাইল ছবি

অতীতের রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণেই আজ সব ক্ষেত্রে চরম অনৈক্য সৃষ্টির হয়েছে। এতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।

আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না, আগামী ফেব্রুয়ারিতে আদৌ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা। সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে এই সংশয় ও অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। কোনো কারণে যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হয়, তাহলে নির্বাচনের পর দেশ আরও গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে।’

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, অতীতের রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে আজ সর্বক্ষেত্রে অনৈক্য বিরাজমান। আমাদের ওই ধরনের আচরণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। না হলে বিশ্ব দরবারে জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না।

এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে মতের পার্থক্য থাকতে পারে, অবস্থানগত দূরত্ব থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিহিংসা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় পার্টি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা বিশ্বাস করি গণতান্ত্রিক চর্চায় ও নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায়।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন খোকা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক ফখরুল আহসান শাহজাদা, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হাওলাদার, নাসির উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল আরেফিন মাসুম, আব্দুস সাত্তার, আলমগীর হোসেন, জিয়াউর রহমান বিপুল, আল মামুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই আন্দোলনে দূর থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান: মঈন খান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাসাসের আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাসাসের আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুলাই আন্দোলনের অগ্রভাগে ছাত্ররা থাকলেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দূর থেকে এর নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) এক প্রকাশনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনকে যাঁরা শুধু ছাত্রদের হাতে কেন্দ্রীভূত করতে চান, তাঁরা নিজস্ব ইচ্ছায় করতে পারেন, তবে সেটা সঠিক বিশ্লেষণ না। ৩৬ জুলাইয়ে জনতার পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ছাত্ররা জুলাই আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন। কিন্তু তারেক রহমান ১০ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট একদিনে হয়নি, বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দলের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এ আন্দোলনের সফলতা এসেছে।  

নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, একটি অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করাই এখন চ্যালেঞ্জ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত