Ajker Patrika

কিশোরগঞ্জের মানুষ নাও বাইয়া দে বলে নৌকায় ভোট দেয়: শেখ হাসিনা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০: ০৯
কিশোরগঞ্জের মানুষ নাও বাইয়া দে বলে নৌকায় ভোট দেয়: শেখ হাসিনা

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত প্রথম অস্থায়ী সরকারের উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমানসহ সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সবাই কিশোরগঞ্জের মানুষ উল্লেখ করে এই জেলাকে গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেছেন, ‘কিশোরগঞ্জ কিশোর হলেও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদগুলো সব সময় কিশোরগঞ্জই পায়—এটা হলো বাস্তবতা। আজকে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি আমাদের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেব। সেই সাথে সকলের জন্য ভোট চাওয়ার জন্য। কারণ, কিশোরগঞ্জ সব সময় আওয়ামী লীগ, নৌকা মার্কা, নৌকা (নাও) বাইয়া দে বলে নৌকায় ভোট দেয়।’ 

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি নির্বাচনী প্রচারণা সভায় যুক্ত হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার মানুষের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি। 

শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ কিশোরই থেকে গেল। তবে কিশোরগঞ্জ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন হয়, সেখানে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি করা হয়। তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যেহেতু সে সময় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। নজরুল ইসলাম সাহেবই কিন্তু অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং দেশের বিজয় এনে দেন।’

ভার্চুয়ালি প্রচার সভায় কিশোরগঞ্জ প্রান্ত থেকে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ আফজাল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জের পাঁচটি আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটি সংসদীয় আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে নৌকা পেয়েছেন জাকিয়া নূর লিপি। সে সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে। সে বিদেশে ছিল। আওয়ামী লীগের ডাকে সে চলে আসে। রেহানার ডাকে সে চলে আসে। সে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের এমপি ছিল।’ আবারও তাঁকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আশা ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে আব্দুল কাহার আকন্দ। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেলহত্যা মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা-মামলা, বিডিআর বিদ্রোহ মামলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত তাঁর হাত দিয়েই করা হয়েছে। খুনিদের ইনডেমনিটি অরডিন্যান্স জারি করে জিয়াউর রহমান যে তাদের বিচারের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছিল, সে আইন পার্লামেন্টে বাতিল করা হয়। যে খুনিদের বিচার করা সম্ভব হয়েছিল সেখানে আব্দুল কাহার আকন্দের বিরাট অবদান আছে। যার জন্য আব্দুল কাহার আকন্দকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে নৌকার কোনো প্রার্থী নেই। সেখানে জাতীয় পার্টিকে দিয়ে দিতে হয়েছে। বারবার দিতে হচ্ছে। নৌকা যারা রয়েছে, তাদের জন্য এটা খুব দুঃখের। তবে এবারই শেষ! ভবিষ্যতে কাউকে দেওয়া হবে না।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। এখান থেকে হামিদ সাহেব বারবার জয় লাভ করেছেন। কখনো নৌকার বাইরে যায়নি। এই জায়গাটার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ভবিষ্যতেও এই ঐতিহ্য থাকবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে আফজাল হোসেন বাজিতপুরে আমাদের পার্টির প্রেসিডেন্ট।’ তাঁকেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে নাজমুল হাসান পাপন সে মনে হয় ক্রিকেট খেলা নিয়ে ব্যস্ত। খেলাও চলছে, তা ছাড়া এলাকাতেও আছে।’ কিশোরগঞ্জবাসী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও দেশের সেবা করার সুযোগ দেবেন এই বার্তা এলাকায় এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে এনসিপির যুবশক্তির ৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জনের পদত্যাগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪৯
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নোয়াখালী জেলা শাখার নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দফায় দফায় পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকালে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটি ঘোষণার পর প্রথম পদত্যাগ করা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ৪১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন প্রকাশ করা হয়। কিন্তু প্রকাশের পরপরই ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে একে একে ২৩ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

সূত্র জানায়, কমিটি ঘোষণার পর প্রথমেই পদত্যাগ করেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত। তার পরপরই যুগ্ম সদস্যসচিব-১ ব্যতীত অন্য সব যুগ্ম সদস্যসচিব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিবসহ একাধিক পদধারী নেতা-কর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন। এতে সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।

পদত্যাগকারীদের অভিযোগ, তৃণমূলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের লবিংয়ের ভিত্তিতে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকৃত ত্যাগী ও মাঠের নেতারা উপেক্ষিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে একাধিক পদত্যাগকারী জানান, তাঁরা সংগঠনের প্রতি অনুগত থাকলেও ন্যায়বিচারহীন এই কমিটিতে থেকে তাঁদের রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে আপস করা সম্ভব নয়। পদত্যাগকারীদের মধ্যে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত জুলাই যোদ্ধারাও রয়েছেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে জেলা কমিটির ভেতরে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে, যা আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পদত্যাগ করা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছিলাম। আজ আমরাই বৈষম্যের শিকার হলাম। কেন্দ্রীয় নেতারা পছন্দের মানুষ দিয়ে কমিটি করেছে। তাই পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। সব মিলিয়ে এই কমিটি আর চলার মতো অবস্থায় নেই।’

ইয়াছিন আরাফাত আরও বলেন, ‘৪১ সদস্যের কমিটি থেকে ২৩ জন পদত্যাগ করেছে। এর মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, শহীদ পরিবারের সদস্য, জুলাই আহত যোদ্ধা থেকে শুরু করে অনেকে রয়েছে। আমরা সংবাদ সম্মেলন করে এই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব। এটা আমাদের প্রতিবাদ। আমরা কথা ও প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।’

কেন্দ্রীয় যুবশক্তির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কমিটি দেওয়ার জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে অনুযায়ী কমিটি হয়নি। তৃণমূলের ক্ষোভের বিষয়ে তাঁরা অবগত। বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যালোচনা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দাবি না মানলে যমুনার সামনে অনির্দিষ্টকাল অবস্থানের হুঁশিয়ারি জামায়াতসহ ৮ দলের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৫
আল ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আল ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামীসহ ৮ দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবি না মেনে নেওয়া হলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনার সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আট দল।

আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আট দলের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণায় মুজিবুর রহমান বলেন, ‘১৬ নভেম্বর রোববার বেলা ১১টায় আন্দোলনরত আট দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে আল ফালাহ মিলনায়তনে দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে জনগণের পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়া না হলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনার সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে ইনশা আল্লাহ।’

মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ফ্যাসিবাদী শক্তির নাশকতা ও অপতৎপরতা প্রতিরোধে আট দলের নেতারা সর্বস্তরের জনশক্তিসহ দেশব্যাপী রাজপথে অবস্থান করবেন। ১৪ নভেম্বর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন ও জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধানসহ আট দলের শীর্ষ নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডামি ও দোসররা যেন প্রার্থী হতে না পারে সে ব্যবস্থা চায় গণঅধিকার পরিষদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ, এম, এম, নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ, এম, এম, নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। ছবি: আজকের পত্রিকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী, সহযোগী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছে। তারা যেন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ না পায় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকা ১৪ দলকে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে না ডাকার দাবি জানিয়েছে দলটি।

আজ বুধবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন জানায়।

সাক্ষাতের পর গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিবন্ধনের দোহাই দিয়ে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে ডাকা উচিত হবে না।’

বিএনপি বা জামায়াত চাইলে তাদের সঙ্গে জোট করতে চায় জাতীয় পার্টি— এমন কথা বলেছেন দলটির একাংশের চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাশেদ খান বলেন, ‘জাতীয় পার্টি মরা দল। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আলোচনায় থাকতে এসব কথা বলছে।’ গণমাধ্যমকে জাতীয় পার্টির সংবাদ প্রচার না করার অনুরোধ জানান তিনি।

ইসিতে জমা দেওয়া লিখিত আবেদনে গণ অধিকার পরিষদ বলেছে, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরও ফ্যাসিবাদের আস্ফালন বন্ধ হয়নি। গত এক মাস ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সারা দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, বাসে আগুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, ককটেল বিস্ফোরণ ইত্যাদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। গুপ্তহত্যা, প্রার্থীদের গণসংযোগে বোমা বিস্ফোরণসহ নানা অঘটন ঘটানোরও পাঁয়তারা করছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শক্তি ও তার দোসররা।’

লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত তত বাড়বে। এরই অংশ হিসেবে আধিপত্যবাদী শক্তি ও শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২০২৪ সালের ডামি-স্বতন্ত্র এমপি কিংবা আওয়ামী লীগের পদপদবিতে থাকা নেতা, দোসর, অর্থ জোগানদাতা এবং ২০২৪-এর ডামি নির্বাচনে সরাসরি সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন করা নয়, বরং নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন অরাজকতা সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের মাধ্যমে আরেকটি ১/১১ সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনা।

আবেদনে আরও বলা হয়, যেহেতু আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, নির্বাচন উপলক্ষে গণসংযোগ করা ইত্যাদিও সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ। সুতরাং গণহত্যার বিচার শেষ হওয়ার আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও কোনো ধরনের নির্বাচনী কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই। বরং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার সুযোগ পেলে নির্বাচন কমিশনের হাত ধরেই আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত ও পালিয়ে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্বাচনী প্রচারণার নামে রাজপথে সক্রিয় হয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করার সুযোগ পাবে। এ ক্ষেত্রে জনরোষে থাকা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতারা জনগণের প্রতিরোধের মুখে পড়লে নির্বাচনের পরিবেশও অশান্ত হয়ে উঠবে। যার দায় নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তাবে।

বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের নেতারা লুটপাট করে অর্থ উপার্জন করেছে, তাদের অবৈধ টাকার কোনো অভাব নাই উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়, পদপদবিতে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্রভাবেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেলে অর্থের ছড়াছড়ি ও পেশিশক্তির মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী যাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ জানানো হয় আবেদনে।

সবশেষে আবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টি, ১৪ দলসহ যারা ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বৈধতা দিয়ে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে, তাদের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক কোনো সংলাপে না ডাকার অনুরোধ করছি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে দলগুলোকে নিয়ে আলোচনা করেছে, শুধু সেই দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনেরও সংলাপ করার আহ্বান করছি। অন্যথায় ফ্যাসিবাদের দোসররা নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপ করার সুযোগ পেলে, সেটি হবে ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে প্রতারণা। এমনকি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করতে পারে। সেটি নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করবে। উপরিউক্ত বিষয় দু’টিতে কঠোর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি। গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গঠিত বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চাই যে, কমিশন জাতিকে ফ্যাসিবাদমুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়ে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ও মাইকেল মিলার। ছবি: বিএনপি মিডিয়া সেল
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ও মাইকেল মিলার। ছবি: বিএনপি মিডিয়া সেল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

দলীয় সূত্র জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় নির্বাচন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় হয়।

সাক্ষাৎকালে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে আরও ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

বিএনপি, রাজনীতি, গুলশান, মির্জা ফখরুল, বৈঠক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত