Ajker Patrika

এই দেশে ইয়াহিয়া-এরশাদ পারেননি, আপনারাও পারবেন না: সরকারকে ফখরুল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৮: ৫৯
এই দেশে ইয়াহিয়া-এরশাদ পারেননি, আপনারাও পারবেন না: সরকারকে ফখরুল 

গ্রেপ্তার, মামলা ও সাজা কোনো কিছুই সরকারকে রক্ষা করতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দয়া করে শান্ত হন। এখনো বুঝতে পারছেন না, আপনাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। ইতিহাস ভুলে যাবেন না। এই দেশে ইয়াহিয়া পারেননি, এরশাদ পারেননি। আপনারাও পারবেন না।’

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আজকে তাঁর জীবনের ওপর যদি কোনো হুমকি আসে, এ দেশের মানুষ কখনো এই ঘৃণ্য সরকারকে ক্ষমা করবে না।

ফখরুল বলেন, সরকার আজকে এত ভীত-সন্ত্রস্ত যে খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে যারা নেমেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার, সাজা দিচ্ছে। এরা মনে করেছে এসব সাজা দিয়ে বিএনপিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। প্রতিদিন একেকটা সাজা, গ্রেপ্তার হাজার-হাজার নতুন সৈনিক তৈরি করছে। ভেবেছে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখলে বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার সাজা দিয়ে আমাদের রুখে দেওয়া যাবে না। বিএনপি এখন জেগে উঠেছে এবং সরকারের পতনের জন্য মরণপণ আন্দোলন করছে। সরকারকে পরাজিত না করা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার সৈনিকেরা ক্ষান্ত হবেন না।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকার মানবিক নয়। তারা খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে, এটা আশা করা যায় না। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তিলে তিলে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে সরাতে হবে। খালেদা জিয়াকে রক্ষা করতে হবে।’

চলমান আন্দোলনকে জোরাল করার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আব্বাস বলেন, ‘আমাদের অনেক ভাই আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। আমাদের অনেক ভাই জেলে গেছেন, আরও অনেকে জেলে যাবেন। জেলে যাওয়া ও গুলি খাওয়ার মানসিকতা নিয়ে আজকে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা একটা অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাচ্ছি। আমাদের কান্না, মানুষের চিৎকার কোনো কিছুই কাজে আসবে না। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা সর্বোপরি দেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করার বিকল্প কোনো পথ নেই। শেখ হাসিনাকে সরাতে হলে ডু অর ডাই নীতিতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

আবদুল মঈন খান বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই সরকার সহ্য করতে পারে না। যে কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। সরকারকে বলে দিতে চাই, খালেদা জিয়াকে এই সরকার আটকে রাখতে পারবে না। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাঁকে মুক্ত করে আনব, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের বুকে আগুন জ্বলছে। খালেদা জিয়ার কিছু হলে আগুন দাউ দাউ করে হাসিনার সরকারকে তছনছ করে দেবে।’ শক্তিশালী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের বক্তব্যে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে না। আন্দোলন করে তাঁর মুক্তি ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। 

সমাবেশে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে সারা বাংলাদেশ অচল করে দেওয়ার আহ্বান জানান সেলিমা রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আইএমএফের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন অ্যাডভাইজার টু দ্য বাংলাদেশ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিউ।

অন্যদিকে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানান, বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে আর্থিক খাত, কর ব্যবস্থা এবং সামাজিক খাতের সংস্কার জরুরি।

তাঁরা আরও বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে যে, একটি জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ আর্থিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়।

শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির প্রস্তাবিত নীতি-অগ্রাধিকার এবং সংস্কারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-১০ আসনে ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ, প্রার্থী হওয়া নিয়ে গুঞ্জন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪০
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদীয় আসন সমঝোতা নিয়ে চলমান রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যেই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হতে যাচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক আজ রোববার বিকেলে ধানমন্ডি থানার নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে ভোটার হওয়ার আনুষ্ঠানিক আবেদন করবেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ধানমন্ডি থানা নির্বাচন কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে তাঁর ভোটার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।

আসিফ মাহমুদের এই পদক্ষেপ ঢাকা-১০ নির্বাচনী আসন ঘিরে নির্বাচনকালীন জল্পনাকে আরও জোরালো করেছে। এ আসনটি ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান এবং হাজারীবাগ থানা নিয়ে গঠিত।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর উপজেলা) আসনের ভোটার। সেখান থেকে তিনি নির্বাচন করতে পারেন বলে আলোচনা শোনা যাচ্ছিল। তবে গুঞ্জন রয়েছে, যদি বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়, তবে তিনি সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। বিএনপি এই আসনে এখনো কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করায় গুঞ্জন আরও প্রবল হয়েছে।

অন্যদিকে এই আসনে জামায়াতে ইসলামী ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জসীম উদ্দিন সরকারকে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন। অভ্যুত্থানের সময় তাঁর ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা এবং ৬ আগস্টের পরিবর্তে ৫ আগস্টে আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি ব্যাপকভাবে আলোচিত হন।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তিনি স্থান পান। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

কুমিল্লার ছেলে আসিফ মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ)। ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই ছাত্র অধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২৩ সালে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হিসেবেও নেতৃত্ব দেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সামনের সারির অধিকাংশ নেতা এই ছাত্রশক্তির অংশ ছিলেন। সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার আসনে এনসিপির মনোনয়ন ফরম নিলেন জোবায়ের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফেনী–১ আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন এহসানুল মাহবুব জোবায়ের। ছবি: সংগৃহীত
ফেনী–১ আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন এহসানুল মাহবুব জোবায়ের। ছবি: সংগৃহীত

খালেদা জিয়ার আসনে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এ ঘোষণার পরও আজ রোববার খালেদা জিয়ার ফেনী-০১ (পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া) আসনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং প্রচার ও প্রকাশনা সেলের সদস্য এহসানুল মাহবুব জোবায়েরকে মনোনয়নপত্র দিয়েছে দলটি। আজ রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এহসানুল মাহবুব জোবায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বগুড়ার আসনটি এনসিপির পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়ার প্রাথমিক কথা হয়েছে। আশা করি, ফেনী-১ আসন থেকে দল আমাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে।

এহসানুল মাহবুব জোবায়ের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি ফেনীর আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা থেকে ২০১৪ সালে মাধ্যমিক ও ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য।

এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাকের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অর্থ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লিও ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ফেনী জেলা রেড ক্রিসেন্টের আজীবন সদস্যসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠনে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি ফেনী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন।

পর্যটন খাতে উন্নয়নের জন্য ২০২৩-২৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের পর্যটন কর্পোরেশনের আওতায় ফেলোশিপ লাভ করেন। বর্তমানে তিনি বায়িং হাউজ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

তাঁর বাবা আমিনুল ইসলাম এবং মা রাশেদা আকতার দুজনেই শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত।

প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে এনসিপি। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম চলবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হোক: গোলাম পরওয়ার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৭
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহারের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তিন দফা যৌক্তিক দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানান তিনি।

আজ রোববার জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।

বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তিন দফা দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে যৌক্তিকভাবে মেনে নিয়ে চলমান আন্দোলনের অবসান ঘটানো সরকারের দায়িত্ব। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহারের ঘটনায় শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অত্যন্ত বেদনাদায়ক। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক সমাজের প্রতি আরও সহনশীল আচরণ কাম্য।’

গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘শিক্ষকগণ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন, যা শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গোটা জাতিকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। অচিরেই বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে; এই সময় শিক্ষাব্যবস্থা অচল হয়ে পড়লে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষার ক্ষতি যেকোনো জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এ বিষয়টিও সম্মানিত শিক্ষক সমাজকে বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন।’

দ্রুত শিক্ষকদের আন্দোলনের অবসান ঘটিয়ে তাঁদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত