নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই সনদ সংবিধান আদেশে কার্যকর ও জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে জনগণের বৈধতা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নিয়োজিত আইন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেই ফেব্রুয়ারিতে সুন্দর নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আজকে ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাবটা দিয়েছে, সেই জায়গায় যদি আমরা একমত হয়ে যাই, তাহলে দেশ ভবিষ্যতে সুন্দর একটি নির্বাচন পাবে, ফেব্রুয়ারিতে যথাসময়ে নির্বাচন হবে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা নতুন বাংলাদেশ, নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে দেশটাকে এগিয়ে নিতে পারব, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি মন্তব্য করে রফিকুল ইসলাম খান দলীয় কর্মসূচির বিষয়ে বলেন, ‘অনেকেই রাস্তায় মিছিলের উদাহরণ দিচ্ছেন; সবার জানা আছে, রাস্তার মিছিলের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিদায় হয়েছে। সুতরাং জুলাই সনদের যদি বাস্তবায়ন করতে সরকার দেরি করে অথবা অন্য কিছু হয়, তাহলে আবার জনগণ রাস্তায় নামবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। এ ব্যাপারে এর বাইরে যাওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই।’
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, যেকোনো দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যই হলো আন্দোলন-সংগ্রাম-লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই এগুলো বাস্তবায়িত হয়। এ সময় তিনি উদাহরণ হিসেবে কেয়ারটেকার সরকারের প্রথম দিকের কথা তুলে ধরে বলেন, সে সময় অনেকে বলছেন, কেয়ারটেকার ফর্মুলা পার্লামেন্টে কি বলে সংবিধানে সংযোজন হবে?
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদের ভিত্তিতেই নির্বাচনটা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সাংবিধানিক বিষয়গুলো এখানে স্থান পাবে। যাঁরা বলছেন, সাংবিধানিক বিষয়গুলো এখানে স্থান পাবে না। শুধু অমৌলিক বা যেগুলো জেনারেল আছে, কম গুরুত্বপূর্ণ আছে, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে হচ্ছে, হবে। মৌলিকগুলো পার্লামেন্টে যাবে। আমরা সেখানে বলেছি যে পার্লামেন্টের কোনো এখতিয়ার নেই; কনস্টিটিউশনাল বেসিক স্ট্রাকচার অ্যামেন্ডমেন্ট করে চেঞ্জ করতে পারে না পার্লামেন্ট। এটার জবাব কিন্তু উনারা (বিএনপি) দিতে পারেন নাই।’
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘বিএনপি কেয়ারটেকার সরকারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে, বক্তৃতা দিয়েছে। বলেছে, আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখেই শেখ হাসিনা কেয়ারটেকার বাতিল করেছেন, তা আপনার আগের বক্তব্য তো আজকের অভিমতের সাথে স্ববিরোধী। ঐকমত্য কমিশনের ভেতরে কিন্তু বহুবার আলোচনা হয়েছে, আদালতকে আমরা বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে চাই।’
জামায়াত নেতা আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদকে ডিক্লাইন করার কোনো সুযোগ এখানে আছে বলে আমি মনে করি না। যাঁরা এই পথে হাঁটবেন, আমার মনে হয় জনগণ তাঁদের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। জুলাই সনদের স্পিরিট যারা ধারণ করে না, ইতিমধ্যেই কিন্তু ছাত্রসংগঠন নির্বাচনের ফলাফলে এটা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা জনমতকে ও জন-অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দিয়ে এগোতে চাই।’
উল্লেখ্য, জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সংবিধান আদেশের মাধ্যমে কার্যকর করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে জনগণের বৈধতা নেওয়ার বিষয়ে সর্বসম্মত চূড়ান্ত অভিমত দিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নিয়োজিত আইন বিশেষজ্ঞরা।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ও উপায় নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপের সংলাপের তৃতীয় দিন আজ বুধবার এটি উত্থাপন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক হয়।
জুলাই সনদ সংবিধান আদেশে কার্যকর ও জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে জনগণের বৈধতা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নিয়োজিত আইন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেই ফেব্রুয়ারিতে সুন্দর নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আজকে ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাবটা দিয়েছে, সেই জায়গায় যদি আমরা একমত হয়ে যাই, তাহলে দেশ ভবিষ্যতে সুন্দর একটি নির্বাচন পাবে, ফেব্রুয়ারিতে যথাসময়ে নির্বাচন হবে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা নতুন বাংলাদেশ, নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে দেশটাকে এগিয়ে নিতে পারব, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি মন্তব্য করে রফিকুল ইসলাম খান দলীয় কর্মসূচির বিষয়ে বলেন, ‘অনেকেই রাস্তায় মিছিলের উদাহরণ দিচ্ছেন; সবার জানা আছে, রাস্তার মিছিলের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিদায় হয়েছে। সুতরাং জুলাই সনদের যদি বাস্তবায়ন করতে সরকার দেরি করে অথবা অন্য কিছু হয়, তাহলে আবার জনগণ রাস্তায় নামবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। এ ব্যাপারে এর বাইরে যাওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই।’
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, যেকোনো দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যই হলো আন্দোলন-সংগ্রাম-লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই এগুলো বাস্তবায়িত হয়। এ সময় তিনি উদাহরণ হিসেবে কেয়ারটেকার সরকারের প্রথম দিকের কথা তুলে ধরে বলেন, সে সময় অনেকে বলছেন, কেয়ারটেকার ফর্মুলা পার্লামেন্টে কি বলে সংবিধানে সংযোজন হবে?
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদের ভিত্তিতেই নির্বাচনটা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সাংবিধানিক বিষয়গুলো এখানে স্থান পাবে। যাঁরা বলছেন, সাংবিধানিক বিষয়গুলো এখানে স্থান পাবে না। শুধু অমৌলিক বা যেগুলো জেনারেল আছে, কম গুরুত্বপূর্ণ আছে, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে হচ্ছে, হবে। মৌলিকগুলো পার্লামেন্টে যাবে। আমরা সেখানে বলেছি যে পার্লামেন্টের কোনো এখতিয়ার নেই; কনস্টিটিউশনাল বেসিক স্ট্রাকচার অ্যামেন্ডমেন্ট করে চেঞ্জ করতে পারে না পার্লামেন্ট। এটার জবাব কিন্তু উনারা (বিএনপি) দিতে পারেন নাই।’
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘বিএনপি কেয়ারটেকার সরকারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে, বক্তৃতা দিয়েছে। বলেছে, আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখেই শেখ হাসিনা কেয়ারটেকার বাতিল করেছেন, তা আপনার আগের বক্তব্য তো আজকের অভিমতের সাথে স্ববিরোধী। ঐকমত্য কমিশনের ভেতরে কিন্তু বহুবার আলোচনা হয়েছে, আদালতকে আমরা বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে চাই।’
জামায়াত নেতা আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদকে ডিক্লাইন করার কোনো সুযোগ এখানে আছে বলে আমি মনে করি না। যাঁরা এই পথে হাঁটবেন, আমার মনে হয় জনগণ তাঁদের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। জুলাই সনদের স্পিরিট যারা ধারণ করে না, ইতিমধ্যেই কিন্তু ছাত্রসংগঠন নির্বাচনের ফলাফলে এটা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা জনমতকে ও জন-অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দিয়ে এগোতে চাই।’
উল্লেখ্য, জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সংবিধান আদেশের মাধ্যমে কার্যকর করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে জনগণের বৈধতা নেওয়ার বিষয়ে সর্বসম্মত চূড়ান্ত অভিমত দিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নিয়োজিত আইন বিশেষজ্ঞরা।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ও উপায় নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপের সংলাপের তৃতীয় দিন আজ বুধবার এটি উত্থাপন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘যাঁরা বলেন ‘‘পিআর খায় না মাথায় দেয়’’, তাঁরা পুরোনো বন্দোবস্তকে জারি রাখতে চান। যাঁরা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারির রাজনীতি করতে চান, তাঁরাই পিআরের বিরোধিতা করেন। কিন্তু দেশের মানুষ পুরোনো ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়...
২ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ বাস্তবায়নের ইস্যু নিয়ে বিএনপি আলোচনার টেবিলে সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, বিষয়টি সমাধানে আলোচনা চলছে, সেই আলোচনার টেবিলেই এটি সমাধান হলে অসাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বন্ধ করা যাবে।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ কার্যকরের জন্য সংবিধান আদেশ জারি এবং এর বৈধতার জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে আইন বিশেষজ্ঞরা যে মতামত তা উপযুক্ততা নিয়ে সন্দিহান জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গণপরিষদের প্রস্তাবেই এখনো অনড় রয়েছে দলটি।
৩ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘আপনারা রামপুরা-বাড্ডার ঘটনায় দেখেছেন, বিজিবির একজন আর্মি অফিসার, তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ফলে ট্রাইব্যুনালের কাছে, সরকারের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে, যে অপরাধী, তাকে যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। সে কোন বাহিনীর, সেটা যাতে দেখা না হয়।’
৪ ঘণ্টা আগে