নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মব সৃষ্টিকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তাঁর বাসার সামনে ‘মব’ সৃষ্টির ঘটনার পর আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি শঙ্কার কথা জানান।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমাকে মব সৃষ্টিকারীরা হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমার সেগুনবাগিচার ভাড়া বাসার সামনে ওরা অবস্থান নিয়েছে। আজ আপনাদের মাধ্যমে আমি সারা জাতিকে জানাতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ আপনারা জেনে রাখুন, আমার জীবন বড় শঙ্কায় আছে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমানের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল রোববার রাত থেকে তাঁর বাসার সামনে অবস্থান নেন একদল লোক। আগের তাঁর নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জেও কিছু মানুষ বিক্ষোভ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নতুন সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতা-কর্মীরা তাঁর কুশপুত্তলিকায় আগুন দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার যে এলাকা—ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামের মানুষের কাল থেকে বোধ হয় নাওয়া-খাওয়া বন্ধ, যেটা আমার নির্বাচনী এলাকা (কিশোরগঞ্জ-৪), সেখানের মানুষ নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। আমি দেশের একজন মানুষ; সংবিধানের মৌলিক অধিকার অনুযায়ী, এ দেশে আমার বেঁচে থাকার অধিকার আছে।’
মব সৃষ্টিকারীদের পরিচয় জানতে চাইলে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি ওদেরকে চিনি না—শিশু, বাচ্চা তো। ওরা সকাল ৭টা থেকে সেখানে আছে। শুনেছি, তারা একটি ছাত্রসংগঠনের। তবে এটা আমাদের দলের ছাত্রসংগঠন নয়। আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন—এরা কারা। মব সৃষ্টিকারীর সংখ্যা সাত থেকে নয়জন। ওরা বলছে, ফজলু পাগলাকে গ্রেপ্তার করো, ফজলু পাগলাকে বাঁচতে দেব না, ফজলু পাগলাকে হত্যা করো—এ রকম আরকি।’
সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, ‘আমি নাকি ফজলু পাগলা। এই ফজলু পাগলা নামটি প্রথমে আমাকে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াতে ইসলামী। প্রথমে এই কথাটা বলেছেন মুফতি আমির হামজা নামে একজন লোক।’
দলের কাছ থেকে সহযোগিতার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দল তো সাপোর্ট করবেই; করবে না কেন? আমি ও আমার পরিবার যে হত্যার হুমকির মধ্যে পড়েছি, সেটা অবশ্যই আমি আমার দলকে জানাব। জানাব না কেন? আজ সারা জাতিকেও এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানালাম।’
মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, দেশ-বিদেশ থেকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যারা ইউটিউবার ও যারা তাদের (স্বাধীনতাবিরোধীর) পক্ষে সাংবাদিকতা করে, তারাই এসব করছে। বেশ কিছুদিন ধরে তারা বলছে, মব জাস্টিস করো, ফজলুর রহমানের ওপর মব প্রযোজ্য। আর ফ্রান্স থেকে দুজন ইউটিউবার বলেছে—তাঁকে (ফজলুর রহমান) হত্যা করো। পরশু রাতে দেখলাম যে, জামায়াতের একজন ইউটিউবার বলছে—ফজলু পাগলাকে জবাই করে হত্যা করতে হবে।’
ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে বলেছি, বলে যাব। আমি যে কথা বলেছি, এতে যদি কারও প্রতি অসম্মান করে থাকি, আঘাত করে থাকি, তাহলে রাজনৈতিকভাবে তারা এটার জবাব দেবে। আমি জবাব দেব। এটা পরস্পরকে হত্যা করার কোনো ব্যাপার না। আমার বাসার সামনে মব করার কোনো ব্যাপার না।’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের সঙ্গে জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে তাঁদের ‘কালো শক্তি’ আখ্যা দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ‘অভ্যুত্থানের নেতা নয়, ৫ আগস্টের অভিনেতা।’
তাঁর বক্তব্য ঘিরে সমালোচনার পর ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক ঘটনা। রাজনৈতিক দল যদি মনে করে, কর্মীর বোধ হয় কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি আছে, তাহলে শোকজ করতেই পারে।
৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকে তিনি ‘মেনে নিতে পারছেন না’ বলে সাংবাদিকের মন্তব্য শুনে ফজলুর রহমান বলেন, ‘তারা বলুক, তারা বললে যদি আমার অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক, আমার বিরুদ্ধে মিছিল করুক, জুতা মারুক। কিন্তু আমার বাসার সামনে গিয়ে মব সৃষ্টি করে আমাকে হত্যা করার স্লোগান দেবে, এটা হবে কেন?’
মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন কি না—জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মৃত্যুকে আমি কোনো দিন ভয় করি না। কিন্তু অপমৃত্যু আমার কাছে সবচেয়ে বেশি লজ্জাজনক। তবে আমি কোনো মামলা করব না; জিডি-টিডি কিছুই করব না।’
সেগুনবাগিচায় বাসার সামনে নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমার স্ত্রী যোগাযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসেছে, তারা দায়িত্ব পালন করেছে। আমি শুনেছি, আর্মিও এসেছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনে ল রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমানের স্ত্রী উম্মে কুলসুম রেখা ও আইনজীবী অভিক রহমান উপস্থিত ছিলেন।

মব সৃষ্টিকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তাঁর বাসার সামনে ‘মব’ সৃষ্টির ঘটনার পর আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি শঙ্কার কথা জানান।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমাকে মব সৃষ্টিকারীরা হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমার সেগুনবাগিচার ভাড়া বাসার সামনে ওরা অবস্থান নিয়েছে। আজ আপনাদের মাধ্যমে আমি সারা জাতিকে জানাতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ আপনারা জেনে রাখুন, আমার জীবন বড় শঙ্কায় আছে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমানের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল রোববার রাত থেকে তাঁর বাসার সামনে অবস্থান নেন একদল লোক। আগের তাঁর নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জেও কিছু মানুষ বিক্ষোভ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নতুন সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতা-কর্মীরা তাঁর কুশপুত্তলিকায় আগুন দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার যে এলাকা—ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামের মানুষের কাল থেকে বোধ হয় নাওয়া-খাওয়া বন্ধ, যেটা আমার নির্বাচনী এলাকা (কিশোরগঞ্জ-৪), সেখানের মানুষ নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। আমি দেশের একজন মানুষ; সংবিধানের মৌলিক অধিকার অনুযায়ী, এ দেশে আমার বেঁচে থাকার অধিকার আছে।’
মব সৃষ্টিকারীদের পরিচয় জানতে চাইলে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি ওদেরকে চিনি না—শিশু, বাচ্চা তো। ওরা সকাল ৭টা থেকে সেখানে আছে। শুনেছি, তারা একটি ছাত্রসংগঠনের। তবে এটা আমাদের দলের ছাত্রসংগঠন নয়। আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন—এরা কারা। মব সৃষ্টিকারীর সংখ্যা সাত থেকে নয়জন। ওরা বলছে, ফজলু পাগলাকে গ্রেপ্তার করো, ফজলু পাগলাকে বাঁচতে দেব না, ফজলু পাগলাকে হত্যা করো—এ রকম আরকি।’
সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, ‘আমি নাকি ফজলু পাগলা। এই ফজলু পাগলা নামটি প্রথমে আমাকে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াতে ইসলামী। প্রথমে এই কথাটা বলেছেন মুফতি আমির হামজা নামে একজন লোক।’
দলের কাছ থেকে সহযোগিতার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দল তো সাপোর্ট করবেই; করবে না কেন? আমি ও আমার পরিবার যে হত্যার হুমকির মধ্যে পড়েছি, সেটা অবশ্যই আমি আমার দলকে জানাব। জানাব না কেন? আজ সারা জাতিকেও এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানালাম।’
মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, দেশ-বিদেশ থেকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যারা ইউটিউবার ও যারা তাদের (স্বাধীনতাবিরোধীর) পক্ষে সাংবাদিকতা করে, তারাই এসব করছে। বেশ কিছুদিন ধরে তারা বলছে, মব জাস্টিস করো, ফজলুর রহমানের ওপর মব প্রযোজ্য। আর ফ্রান্স থেকে দুজন ইউটিউবার বলেছে—তাঁকে (ফজলুর রহমান) হত্যা করো। পরশু রাতে দেখলাম যে, জামায়াতের একজন ইউটিউবার বলছে—ফজলু পাগলাকে জবাই করে হত্যা করতে হবে।’
ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে বলেছি, বলে যাব। আমি যে কথা বলেছি, এতে যদি কারও প্রতি অসম্মান করে থাকি, আঘাত করে থাকি, তাহলে রাজনৈতিকভাবে তারা এটার জবাব দেবে। আমি জবাব দেব। এটা পরস্পরকে হত্যা করার কোনো ব্যাপার না। আমার বাসার সামনে মব করার কোনো ব্যাপার না।’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের সঙ্গে জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে তাঁদের ‘কালো শক্তি’ আখ্যা দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ‘অভ্যুত্থানের নেতা নয়, ৫ আগস্টের অভিনেতা।’
তাঁর বক্তব্য ঘিরে সমালোচনার পর ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক ঘটনা। রাজনৈতিক দল যদি মনে করে, কর্মীর বোধ হয় কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি আছে, তাহলে শোকজ করতেই পারে।
৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকে তিনি ‘মেনে নিতে পারছেন না’ বলে সাংবাদিকের মন্তব্য শুনে ফজলুর রহমান বলেন, ‘তারা বলুক, তারা বললে যদি আমার অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক, আমার বিরুদ্ধে মিছিল করুক, জুতা মারুক। কিন্তু আমার বাসার সামনে গিয়ে মব সৃষ্টি করে আমাকে হত্যা করার স্লোগান দেবে, এটা হবে কেন?’
মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন কি না—জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মৃত্যুকে আমি কোনো দিন ভয় করি না। কিন্তু অপমৃত্যু আমার কাছে সবচেয়ে বেশি লজ্জাজনক। তবে আমি কোনো মামলা করব না; জিডি-টিডি কিছুই করব না।’
সেগুনবাগিচায় বাসার সামনে নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমার স্ত্রী যোগাযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসেছে, তারা দায়িত্ব পালন করেছে। আমি শুনেছি, আর্মিও এসেছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনে ল রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমানের স্ত্রী উম্মে কুলসুম রেখা ও আইনজীবী অভিক রহমান উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মব সৃষ্টিকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তাঁর বাসার সামনে ‘মব’ সৃষ্টির ঘটনার পর আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি শঙ্কার কথা জানান।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমাকে মব সৃষ্টিকারীরা হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমার সেগুনবাগিচার ভাড়া বাসার সামনে ওরা অবস্থান নিয়েছে। আজ আপনাদের মাধ্যমে আমি সারা জাতিকে জানাতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ আপনারা জেনে রাখুন, আমার জীবন বড় শঙ্কায় আছে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমানের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল রোববার রাত থেকে তাঁর বাসার সামনে অবস্থান নেন একদল লোক। আগের তাঁর নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জেও কিছু মানুষ বিক্ষোভ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নতুন সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতা-কর্মীরা তাঁর কুশপুত্তলিকায় আগুন দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার যে এলাকা—ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামের মানুষের কাল থেকে বোধ হয় নাওয়া-খাওয়া বন্ধ, যেটা আমার নির্বাচনী এলাকা (কিশোরগঞ্জ-৪), সেখানের মানুষ নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। আমি দেশের একজন মানুষ; সংবিধানের মৌলিক অধিকার অনুযায়ী, এ দেশে আমার বেঁচে থাকার অধিকার আছে।’
মব সৃষ্টিকারীদের পরিচয় জানতে চাইলে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি ওদেরকে চিনি না—শিশু, বাচ্চা তো। ওরা সকাল ৭টা থেকে সেখানে আছে। শুনেছি, তারা একটি ছাত্রসংগঠনের। তবে এটা আমাদের দলের ছাত্রসংগঠন নয়। আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন—এরা কারা। মব সৃষ্টিকারীর সংখ্যা সাত থেকে নয়জন। ওরা বলছে, ফজলু পাগলাকে গ্রেপ্তার করো, ফজলু পাগলাকে বাঁচতে দেব না, ফজলু পাগলাকে হত্যা করো—এ রকম আরকি।’
সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, ‘আমি নাকি ফজলু পাগলা। এই ফজলু পাগলা নামটি প্রথমে আমাকে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াতে ইসলামী। প্রথমে এই কথাটা বলেছেন মুফতি আমির হামজা নামে একজন লোক।’
দলের কাছ থেকে সহযোগিতার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দল তো সাপোর্ট করবেই; করবে না কেন? আমি ও আমার পরিবার যে হত্যার হুমকির মধ্যে পড়েছি, সেটা অবশ্যই আমি আমার দলকে জানাব। জানাব না কেন? আজ সারা জাতিকেও এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানালাম।’
মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, দেশ-বিদেশ থেকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যারা ইউটিউবার ও যারা তাদের (স্বাধীনতাবিরোধীর) পক্ষে সাংবাদিকতা করে, তারাই এসব করছে। বেশ কিছুদিন ধরে তারা বলছে, মব জাস্টিস করো, ফজলুর রহমানের ওপর মব প্রযোজ্য। আর ফ্রান্স থেকে দুজন ইউটিউবার বলেছে—তাঁকে (ফজলুর রহমান) হত্যা করো। পরশু রাতে দেখলাম যে, জামায়াতের একজন ইউটিউবার বলছে—ফজলু পাগলাকে জবাই করে হত্যা করতে হবে।’
ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে বলেছি, বলে যাব। আমি যে কথা বলেছি, এতে যদি কারও প্রতি অসম্মান করে থাকি, আঘাত করে থাকি, তাহলে রাজনৈতিকভাবে তারা এটার জবাব দেবে। আমি জবাব দেব। এটা পরস্পরকে হত্যা করার কোনো ব্যাপার না। আমার বাসার সামনে মব করার কোনো ব্যাপার না।’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের সঙ্গে জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে তাঁদের ‘কালো শক্তি’ আখ্যা দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ‘অভ্যুত্থানের নেতা নয়, ৫ আগস্টের অভিনেতা।’
তাঁর বক্তব্য ঘিরে সমালোচনার পর ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক ঘটনা। রাজনৈতিক দল যদি মনে করে, কর্মীর বোধ হয় কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি আছে, তাহলে শোকজ করতেই পারে।
৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকে তিনি ‘মেনে নিতে পারছেন না’ বলে সাংবাদিকের মন্তব্য শুনে ফজলুর রহমান বলেন, ‘তারা বলুক, তারা বললে যদি আমার অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক, আমার বিরুদ্ধে মিছিল করুক, জুতা মারুক। কিন্তু আমার বাসার সামনে গিয়ে মব সৃষ্টি করে আমাকে হত্যা করার স্লোগান দেবে, এটা হবে কেন?’
মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন কি না—জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মৃত্যুকে আমি কোনো দিন ভয় করি না। কিন্তু অপমৃত্যু আমার কাছে সবচেয়ে বেশি লজ্জাজনক। তবে আমি কোনো মামলা করব না; জিডি-টিডি কিছুই করব না।’
সেগুনবাগিচায় বাসার সামনে নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমার স্ত্রী যোগাযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসেছে, তারা দায়িত্ব পালন করেছে। আমি শুনেছি, আর্মিও এসেছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনে ল রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমানের স্ত্রী উম্মে কুলসুম রেখা ও আইনজীবী অভিক রহমান উপস্থিত ছিলেন।

মব সৃষ্টিকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তাঁর বাসার সামনে ‘মব’ সৃষ্টির ঘটনার পর আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি শঙ্কার কথা জানান।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমাকে মব সৃষ্টিকারীরা হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমার সেগুনবাগিচার ভাড়া বাসার সামনে ওরা অবস্থান নিয়েছে। আজ আপনাদের মাধ্যমে আমি সারা জাতিকে জানাতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ আপনারা জেনে রাখুন, আমার জীবন বড় শঙ্কায় আছে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমানের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল রোববার রাত থেকে তাঁর বাসার সামনে অবস্থান নেন একদল লোক। আগের তাঁর নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জেও কিছু মানুষ বিক্ষোভ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নতুন সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) নেতা-কর্মীরা তাঁর কুশপুত্তলিকায় আগুন দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার যে এলাকা—ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামের মানুষের কাল থেকে বোধ হয় নাওয়া-খাওয়া বন্ধ, যেটা আমার নির্বাচনী এলাকা (কিশোরগঞ্জ-৪), সেখানের মানুষ নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। আমি দেশের একজন মানুষ; সংবিধানের মৌলিক অধিকার অনুযায়ী, এ দেশে আমার বেঁচে থাকার অধিকার আছে।’
মব সৃষ্টিকারীদের পরিচয় জানতে চাইলে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি ওদেরকে চিনি না—শিশু, বাচ্চা তো। ওরা সকাল ৭টা থেকে সেখানে আছে। শুনেছি, তারা একটি ছাত্রসংগঠনের। তবে এটা আমাদের দলের ছাত্রসংগঠন নয়। আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন—এরা কারা। মব সৃষ্টিকারীর সংখ্যা সাত থেকে নয়জন। ওরা বলছে, ফজলু পাগলাকে গ্রেপ্তার করো, ফজলু পাগলাকে বাঁচতে দেব না, ফজলু পাগলাকে হত্যা করো—এ রকম আরকি।’
সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, ‘আমি নাকি ফজলু পাগলা। এই ফজলু পাগলা নামটি প্রথমে আমাকে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াতে ইসলামী। প্রথমে এই কথাটা বলেছেন মুফতি আমির হামজা নামে একজন লোক।’
দলের কাছ থেকে সহযোগিতার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দল তো সাপোর্ট করবেই; করবে না কেন? আমি ও আমার পরিবার যে হত্যার হুমকির মধ্যে পড়েছি, সেটা অবশ্যই আমি আমার দলকে জানাব। জানাব না কেন? আজ সারা জাতিকেও এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানালাম।’
মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, দেশ-বিদেশ থেকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যারা ইউটিউবার ও যারা তাদের (স্বাধীনতাবিরোধীর) পক্ষে সাংবাদিকতা করে, তারাই এসব করছে। বেশ কিছুদিন ধরে তারা বলছে, মব জাস্টিস করো, ফজলুর রহমানের ওপর মব প্রযোজ্য। আর ফ্রান্স থেকে দুজন ইউটিউবার বলেছে—তাঁকে (ফজলুর রহমান) হত্যা করো। পরশু রাতে দেখলাম যে, জামায়াতের একজন ইউটিউবার বলছে—ফজলু পাগলাকে জবাই করে হত্যা করতে হবে।’
ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে বলেছি, বলে যাব। আমি যে কথা বলেছি, এতে যদি কারও প্রতি অসম্মান করে থাকি, আঘাত করে থাকি, তাহলে রাজনৈতিকভাবে তারা এটার জবাব দেবে। আমি জবাব দেব। এটা পরস্পরকে হত্যা করার কোনো ব্যাপার না। আমার বাসার সামনে মব করার কোনো ব্যাপার না।’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের সঙ্গে জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে তাঁদের ‘কালো শক্তি’ আখ্যা দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ‘অভ্যুত্থানের নেতা নয়, ৫ আগস্টের অভিনেতা।’
তাঁর বক্তব্য ঘিরে সমালোচনার পর ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক ঘটনা। রাজনৈতিক দল যদি মনে করে, কর্মীর বোধ হয় কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি আছে, তাহলে শোকজ করতেই পারে।
৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকে তিনি ‘মেনে নিতে পারছেন না’ বলে সাংবাদিকের মন্তব্য শুনে ফজলুর রহমান বলেন, ‘তারা বলুক, তারা বললে যদি আমার অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক, আমার বিরুদ্ধে মিছিল করুক, জুতা মারুক। কিন্তু আমার বাসার সামনে গিয়ে মব সৃষ্টি করে আমাকে হত্যা করার স্লোগান দেবে, এটা হবে কেন?’
মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন কি না—জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মৃত্যুকে আমি কোনো দিন ভয় করি না। কিন্তু অপমৃত্যু আমার কাছে সবচেয়ে বেশি লজ্জাজনক। তবে আমি কোনো মামলা করব না; জিডি-টিডি কিছুই করব না।’
সেগুনবাগিচায় বাসার সামনে নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমার স্ত্রী যোগাযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসেছে, তারা দায়িত্ব পালন করেছে। আমি শুনেছি, আর্মিও এসেছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনে ল রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমানের স্ত্রী উম্মে কুলসুম রেখা ও আইনজীবী অভিক রহমান উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন ছেলে তারেক রহমান। স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা মায়ের পাশে অবস্থান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে এই প্রথম জিয়া পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে হলেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক রহমান। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
গতকাল বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এসব তথ্য জানান। একই সঙ্গে তারেক রহমানের আগামী শনিবারের (২৭ ডিসেম্বর) কর্মসূচিও জানান তিনি।
শনিবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান। এরপর ভোটার হতে যাবেন। পরে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখতে যাবেন পঙ্গু হাসপাতালে।
নির্বাচন কমিশনে নাকি থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে তারেক রহমান ভোটার হবেন, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারেক রহমান কখন, কোথায় ভোটার হবেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো তথ্য নেই।’
আততায়ীর গুলিতে নিহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের অনেকে এখনো পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ হাসপাতালে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের খোঁজ নেবেন তারেক রহমান।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক রহমান। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
গতকাল বুধবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এসব তথ্য জানান। একই সঙ্গে তারেক রহমানের আগামী শনিবারের (২৭ ডিসেম্বর) কর্মসূচিও জানান তিনি।
শনিবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান। এরপর ভোটার হতে যাবেন। পরে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখতে যাবেন পঙ্গু হাসপাতালে।
নির্বাচন কমিশনে নাকি থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে তারেক রহমান ভোটার হবেন, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারেক রহমান কখন, কোথায় ভোটার হবেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো তথ্য নেই।’
আততায়ীর গুলিতে নিহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের অনেকে এখনো পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ হাসপাতালে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের খোঁজ নেবেন তারেক রহমান।

মব সৃষ্টিকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তাঁর বাসার সামনে ‘মব’ সৃষ্টির ঘটনার পর আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে...
২৫ আগস্ট ২০২৫
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন ছেলে তারেক রহমান। স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা মায়ের পাশে অবস্থান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে এই প্রথম জিয়া পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে হলেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এবং গণভোটে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরির লক্ষ্যে আগামী ৯ জানুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার পুরানা পল্টন কার্যালয়ে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের (চরমোনাই পীর) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফের পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরির দাবিতে এবং গণভোটে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরির লক্ষ্যে মহাসমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
বৈঠকে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এবং গণভোটে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরির লক্ষ্যে আগামী ৯ জানুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার পুরানা পল্টন কার্যালয়ে দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের (চরমোনাই পীর) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফের পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরির দাবিতে এবং গণভোটে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরির লক্ষ্যে মহাসমাবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
বৈঠকে দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মব সৃষ্টিকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তাঁর বাসার সামনে ‘মব’ সৃষ্টির ঘটনার পর আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে...
২৫ আগস্ট ২০২৫
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন ছেলে তারেক রহমান। স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা মায়ের পাশে অবস্থান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে এই প্রথম জিয়া পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে হলেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত লিখেছেন, ‘প্রায় দেড় যুগের নির্বাসন ভেঙে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ব্যক্তিগত কিংবা সাংগঠনিক অর্জনে সীমাবদ্ধ করতে নয়, বরং বাংলাদেশের ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবেই মূল্যায়ন করতে চাই। জনাব তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রমাণ করে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকারকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মাধ্যমেও ঠেকিয়ে রাখা যায় না। স্বৈরাচার যত শক্তিশালীই হোক জনগণের রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিকে চিরতরে দমিয়ে রাখতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আরও লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে জনাব তারেক রহমান ও তাঁর পরিবার যেভাবে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, দীর্ঘ নির্বাসনে বাধ্য হয়েছেন, তা গত দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের এক উন্মুক্ত দলিল। তবে মনে রাখা জরুরি এই প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে হাজারো শহীদের রক্ত, অসংখ্য আহতের ত্যাগ এবং গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে। এই বাস্তবতা ক্ষমতার নয়, বরং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত লড়াইয়ে প্রাপ্ত বাস্তবতা।’
অভ্যুত্থান-পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে হাসনাত লিখেছেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে ভিন্নমত কোনো অপরাধ নয় বরং অধিকার, যেখানে রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে কাউকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হতে হবে না, বরং রাষ্ট্রই তার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র শুধু নির্বাচনের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকবে না, বরং গণতন্ত্র হয়ে উঠবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠিত হওয়ার অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ন্যায্য পরিবেশ নিশ্চিত করার সংজ্ঞা।
বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিসর ভেঙে আজ আমরা যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি, সেখানে আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লড়াই। এই লড়াই যেন কোনো ব্যক্তি বা দলের মাঝে সীমাবদ্ধ না থাকে এবং জনগণের সার্বভৌমত্ব যেন পুনঃপ্রতিষ্ঠা পায়; সেটা নিশ্চিত করাও প্রত্যেকটি রাজনীতিবিদের দায়িত্ব।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লিখেছেন, ‘জনাব তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। তবে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লিখেছেন, ‘স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকারী জনাব তারেক রহমানকে স্বাগত জানাই। বেগম জিয়া যেনো দ্রুতই সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অসম্পূর্ণ লড়াই পূর্ণ করার দিকনির্দেশনা দিতে পারেন সেই দোয়া করি। একইসাথে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামে তারেক রহমানের এই অংশগ্রহণ জনগণের প্রত্যাশা ও ইতিহাসের দায় পূরণে ভূমিকা রাখবেন এই কামনা করি। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত লিখেছেন, ‘প্রায় দেড় যুগের নির্বাসন ভেঙে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ব্যক্তিগত কিংবা সাংগঠনিক অর্জনে সীমাবদ্ধ করতে নয়, বরং বাংলাদেশের ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবেই মূল্যায়ন করতে চাই। জনাব তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রমাণ করে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকারকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মাধ্যমেও ঠেকিয়ে রাখা যায় না। স্বৈরাচার যত শক্তিশালীই হোক জনগণের রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিকে চিরতরে দমিয়ে রাখতে পারে না।’
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আরও লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে জনাব তারেক রহমান ও তাঁর পরিবার যেভাবে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, দীর্ঘ নির্বাসনে বাধ্য হয়েছেন, তা গত দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের এক উন্মুক্ত দলিল। তবে মনে রাখা জরুরি এই প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে হাজারো শহীদের রক্ত, অসংখ্য আহতের ত্যাগ এবং গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে। এই বাস্তবতা ক্ষমতার নয়, বরং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত লড়াইয়ে প্রাপ্ত বাস্তবতা।’
অভ্যুত্থান-পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে হাসনাত লিখেছেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে ভিন্নমত কোনো অপরাধ নয় বরং অধিকার, যেখানে রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে কাউকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হতে হবে না, বরং রাষ্ট্রই তার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র শুধু নির্বাচনের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকবে না, বরং গণতন্ত্র হয়ে উঠবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠিত হওয়ার অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ন্যায্য পরিবেশ নিশ্চিত করার সংজ্ঞা।
বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিসর ভেঙে আজ আমরা যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি, সেখানে আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লড়াই। এই লড়াই যেন কোনো ব্যক্তি বা দলের মাঝে সীমাবদ্ধ না থাকে এবং জনগণের সার্বভৌমত্ব যেন পুনঃপ্রতিষ্ঠা পায়; সেটা নিশ্চিত করাও প্রত্যেকটি রাজনীতিবিদের দায়িত্ব।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লিখেছেন, ‘জনাব তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। তবে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লিখেছেন, ‘স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকারী জনাব তারেক রহমানকে স্বাগত জানাই। বেগম জিয়া যেনো দ্রুতই সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অসম্পূর্ণ লড়াই পূর্ণ করার দিকনির্দেশনা দিতে পারেন সেই দোয়া করি। একইসাথে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামে তারেক রহমানের এই অংশগ্রহণ জনগণের প্রত্যাশা ও ইতিহাসের দায় পূরণে ভূমিকা রাখবেন এই কামনা করি। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

মব সৃষ্টিকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তাঁর বাসার সামনে ‘মব’ সৃষ্টির ঘটনার পর আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে...
২৫ আগস্ট ২০২৫
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন ছেলে তারেক রহমান। স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা মায়ের পাশে অবস্থান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে এই প্রথম জিয়া পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে হলেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন ছেলে তারেক রহমান। স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা মায়ের পাশে অবস্থান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে এই প্রথম জিয়া পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে হলেন।
তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার দলীয় পক্ষ থেকেও কোনো চিকিৎসক আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেননি।
তবে গণমাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা যায়, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন তারেক রহমান। গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগতে থাকা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে।
দীর্ঘ দেড় যুগের নির্বাসিত জীবন শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারেক রহমান। সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনা গ্রহণের পর তিনি ঢাকার ৩০০ ফুট সড়কে আয়োজিত সংবর্ধনা সমাবেশে যোগ দেন। প্রায় সোয়া তিন ঘণ্টা পর সেখানে পৌঁছে তিনি ১৫ মিনিটের মতো বক্তব্য দেন।
সংবর্ধনা শেষে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় জনসমাগমের কারণে বাসে উঠতে তাঁকে বেশ বেগ পেতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দীর্ঘ সময় ধরে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর তিনি বাসে ওঠেন।
বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে লাল-সবুজ রঙের বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের গেটে পৌঁছায় এবং বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে তারেক রহমান হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ঢাকায় পৌঁছানোর পর গুলশানের বাসায় প্রায় দুই ঘণ্টা বিশ্রাম শেষে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল ৫টার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। পরে সেখানে তারেক রহমান তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।
হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাসপাতালের বাইরে জড়ো হওয়া বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে তারেক রহমান হাসপাতাল ত্যাগ করেন। একই বাসে তাঁর স্ত্রী, কন্যা, ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা ওঠেন। পরে তাঁরা গুলশানের ২ নম্বর এলাকার ১৯৬ নম্বর বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন।
পথে রাস্তার দুই পাশে সাধারণ মানুষ ও নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। কেউ কেউ বাসের দিকে ফুল ছুড়ে দেন, আর তারেক রহমান হাত নেড়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁরা গুলশানের বাসভবনে পৌঁছান। সেখানেই আপাতত পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করবেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন ছেলে তারেক রহমান। স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে তিনি প্রায় দেড় ঘণ্টা মায়ের পাশে অবস্থান করেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে এই প্রথম জিয়া পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে হলেন।
তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার দলীয় পক্ষ থেকেও কোনো চিকিৎসক আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেননি।
তবে গণমাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা যায়, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন তারেক রহমান। গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগতে থাকা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে।
দীর্ঘ দেড় যুগের নির্বাসিত জীবন শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারেক রহমান। সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনা গ্রহণের পর তিনি ঢাকার ৩০০ ফুট সড়কে আয়োজিত সংবর্ধনা সমাবেশে যোগ দেন। প্রায় সোয়া তিন ঘণ্টা পর সেখানে পৌঁছে তিনি ১৫ মিনিটের মতো বক্তব্য দেন।
সংবর্ধনা শেষে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় জনসমাগমের কারণে বাসে উঠতে তাঁকে বেশ বেগ পেতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দীর্ঘ সময় ধরে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর তিনি বাসে ওঠেন।
বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে লাল-সবুজ রঙের বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের গেটে পৌঁছায় এবং বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে তারেক রহমান হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ঢাকায় পৌঁছানোর পর গুলশানের বাসায় প্রায় দুই ঘণ্টা বিশ্রাম শেষে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল ৫টার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। পরে সেখানে তারেক রহমান তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।
হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাসপাতালের বাইরে জড়ো হওয়া বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে তারেক রহমান হাসপাতাল ত্যাগ করেন। একই বাসে তাঁর স্ত্রী, কন্যা, ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা ওঠেন। পরে তাঁরা গুলশানের ২ নম্বর এলাকার ১৯৬ নম্বর বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন।
পথে রাস্তার দুই পাশে সাধারণ মানুষ ও নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। কেউ কেউ বাসের দিকে ফুল ছুড়ে দেন, আর তারেক রহমান হাত নেড়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁরা গুলশানের বাসভবনে পৌঁছান। সেখানেই আপাতত পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করবেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

মব সৃষ্টিকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তাঁর বাসার সামনে ‘মব’ সৃষ্টির ঘটনার পর আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে...
২৫ আগস্ট ২০২৫
দীর্ঘ ১৭ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন ছেলে তারেক। এরপর তিনি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
১ ঘণ্টা আগে
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের এখনো আইনের আওতায় আনতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে