
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পার হলেও জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস কাটেনি। তাঁর ভাষায়, ‘মানুষ এখনো সরকারকে শত্রু মনে করে।’
গত ১২ জুন ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের প্রথম শর্ত দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। সরকারের প্রতিটি স্তরে এবং প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত দুর্নীতির শিকড় ছড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট বানাতে, ব্যবসার লাইসেন্স নিতে— সব জায়গায় ঘুষ দিতে হয়। প্রতিটি স্তরে লুটপাট চলে। সরকারকে মানুষ শত্রু ভাবে, যাকে প্রতিনিয়ত প্রতিহত করে টিকে থাকতে হয়।’
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র ও সাধারণ জনতার যৌথ আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ বহুদিন ধরে বিশ্বাস করে আসছে, সরকার তাদের কিছুই দেয় না। আমি এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই, যেটা তাদের কিছু ফিরিয়ে দেবে।’
ড. ইউনূস মনে করেন, শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হলেও বিদ্রোহের পেছনে জ্বালানি হিসেবে কাজ করেছে জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, কর্মসংস্থানের অভাব ও একনায়কতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। শেখ হাসিনার শাসনামলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অবনতি হয়েছিল, বিরোধীদের দমন করা হচ্ছিল এবং ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির কারণে ব্যাংকিং খাত তলানিতে পৌঁছেছিল।
তিনি বলেন, ‘বিপর্যস্ত অর্থনীতি ও ভেঙে পড়া প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়েছি আমরা। সরকার নিজের ব্যয় মেটাতে পারবে কি না তখনও আমরা নিশ্চিত ছিলাম না। ব্যাংকগুলো যে ঋণ দিয়েছে, সেটি আসলে ঋণ নয়, উপহার; কারণ তা আর কোনোদিন ফেরত আসবে না।’
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনগুলো নির্বাচনী ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন এবং জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে সংস্কারের সুপারিশ দেয়। ড. ইউনূস জানান, তিনি আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলকে একত্র করে ‘জুলাই সনদ’ নামে ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করতে চান, যাতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম হয়।
‘এই চুক্তি হবে এমন, যা বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি,’ বলেন ইউনূস। ‘কমিশনের সুপারিশগুলো শুধু কসমেটিক পরিবর্তন নয়। এটি প্রশাসন ও রাজনীতিকে মৌলিকভাবে বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টা।’
সব দলের সব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সহজ হবে না স্বীকার করে তিনি বলেন, বিএনপি এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল এবং তারা দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। তবে তারা একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য দুই মেয়াদের সীমাবদ্ধতা প্রত্যাখ্যান করছে। একে নিয়েও মতপার্থক্য রয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘তবুও এখন আলোচনার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেটা বাংলাদেশে আগে দেখা যায়নি। আমরা এমন একটা রাষ্ট্র চাচ্ছি, যেটা সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য কাজ করবে।’
সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘সামাজিক ব্যবসা’ নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথাও বলেন। স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য খাতে সামাজিক উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে চান তিনি। ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রেও আনুষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যাংকিং কাঠামো গড়ে উঠুক তা তিনি চান ।
ইউনূস বলেন, ক্ষুদ্রঋণকে নিয়ে ভুল ধারণা ছড়ানো হয়েছে। কিছু ঋণদাতা অতিরিক্ত সুদ আরোপ করায় মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ‘মাইক্রোক্রেডিট’ এমন নয়। এই মডেল পৃথিবীর অনেক দেশে কার্যকরভাবে চলছে। এটা ঠিক করার কিছু নেই, ‘মাইক্রোক্রেডিটে’ কোনো ভুল নেই।
ড. ইউনূসের মতে, প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দরিদ্রদের প্রবেশাধিকার নেই। অথচ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ধনিক শ্রেণি ঋণ নিয়ে তা ফেরত দেয় না। ফলে ব্যাংকিং খাত ভেঙে পড়ে এবং সাধারণ মানুষ নিজের সঞ্চিত অর্থ তুলতেও পারে না।
শেখ হাসিনা একসময় তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতেন। অথচ সেই সরকার পতনের পর তিনিই হন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ইউনূস বলেন, ‘আমি জানি, এই দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবেই। আগে আমাকে আক্রমণ করত আওয়ামী লীগ, এখন করে সবাই। এটা স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাজ হলো এই অন্তর্বর্তী সময়ের ভারসাম্য রক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করা। আমরা এমন একটি ভিত্তি গড়ে দিতে চাই, যেখান থেকে সত্যিকার অর্থে একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা হতে পারে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পার হলেও জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস কাটেনি। তাঁর ভাষায়, ‘মানুষ এখনো সরকারকে শত্রু মনে করে।’
গত ১২ জুন ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের প্রথম শর্ত দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। সরকারের প্রতিটি স্তরে এবং প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত দুর্নীতির শিকড় ছড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট বানাতে, ব্যবসার লাইসেন্স নিতে— সব জায়গায় ঘুষ দিতে হয়। প্রতিটি স্তরে লুটপাট চলে। সরকারকে মানুষ শত্রু ভাবে, যাকে প্রতিনিয়ত প্রতিহত করে টিকে থাকতে হয়।’
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র ও সাধারণ জনতার যৌথ আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ বহুদিন ধরে বিশ্বাস করে আসছে, সরকার তাদের কিছুই দেয় না। আমি এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই, যেটা তাদের কিছু ফিরিয়ে দেবে।’
ড. ইউনূস মনে করেন, শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হলেও বিদ্রোহের পেছনে জ্বালানি হিসেবে কাজ করেছে জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, কর্মসংস্থানের অভাব ও একনায়কতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। শেখ হাসিনার শাসনামলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অবনতি হয়েছিল, বিরোধীদের দমন করা হচ্ছিল এবং ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির কারণে ব্যাংকিং খাত তলানিতে পৌঁছেছিল।
তিনি বলেন, ‘বিপর্যস্ত অর্থনীতি ও ভেঙে পড়া প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়েছি আমরা। সরকার নিজের ব্যয় মেটাতে পারবে কি না তখনও আমরা নিশ্চিত ছিলাম না। ব্যাংকগুলো যে ঋণ দিয়েছে, সেটি আসলে ঋণ নয়, উপহার; কারণ তা আর কোনোদিন ফেরত আসবে না।’
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনগুলো নির্বাচনী ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন এবং জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে সংস্কারের সুপারিশ দেয়। ড. ইউনূস জানান, তিনি আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলকে একত্র করে ‘জুলাই সনদ’ নামে ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করতে চান, যাতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম হয়।
‘এই চুক্তি হবে এমন, যা বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি,’ বলেন ইউনূস। ‘কমিশনের সুপারিশগুলো শুধু কসমেটিক পরিবর্তন নয়। এটি প্রশাসন ও রাজনীতিকে মৌলিকভাবে বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টা।’
সব দলের সব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সহজ হবে না স্বীকার করে তিনি বলেন, বিএনপি এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল এবং তারা দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। তবে তারা একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য দুই মেয়াদের সীমাবদ্ধতা প্রত্যাখ্যান করছে। একে নিয়েও মতপার্থক্য রয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘তবুও এখন আলোচনার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেটা বাংলাদেশে আগে দেখা যায়নি। আমরা এমন একটা রাষ্ট্র চাচ্ছি, যেটা সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য কাজ করবে।’
সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘সামাজিক ব্যবসা’ নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথাও বলেন। স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য খাতে সামাজিক উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে চান তিনি। ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রেও আনুষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যাংকিং কাঠামো গড়ে উঠুক তা তিনি চান ।
ইউনূস বলেন, ক্ষুদ্রঋণকে নিয়ে ভুল ধারণা ছড়ানো হয়েছে। কিছু ঋণদাতা অতিরিক্ত সুদ আরোপ করায় মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ‘মাইক্রোক্রেডিট’ এমন নয়। এই মডেল পৃথিবীর অনেক দেশে কার্যকরভাবে চলছে। এটা ঠিক করার কিছু নেই, ‘মাইক্রোক্রেডিটে’ কোনো ভুল নেই।
ড. ইউনূসের মতে, প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দরিদ্রদের প্রবেশাধিকার নেই। অথচ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ধনিক শ্রেণি ঋণ নিয়ে তা ফেরত দেয় না। ফলে ব্যাংকিং খাত ভেঙে পড়ে এবং সাধারণ মানুষ নিজের সঞ্চিত অর্থ তুলতেও পারে না।
শেখ হাসিনা একসময় তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতেন। অথচ সেই সরকার পতনের পর তিনিই হন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ইউনূস বলেন, ‘আমি জানি, এই দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবেই। আগে আমাকে আক্রমণ করত আওয়ামী লীগ, এখন করে সবাই। এটা স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাজ হলো এই অন্তর্বর্তী সময়ের ভারসাম্য রক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করা। আমরা এমন একটি ভিত্তি গড়ে দিতে চাই, যেখান থেকে সত্যিকার অর্থে একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা হতে পারে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পার হলেও জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস কাটেনি। তাঁর ভাষায়, ‘মানুষ এখনো সরকারকে শত্রু মনে করে।’
গত ১২ জুন ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের প্রথম শর্ত দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। সরকারের প্রতিটি স্তরে এবং প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত দুর্নীতির শিকড় ছড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট বানাতে, ব্যবসার লাইসেন্স নিতে— সব জায়গায় ঘুষ দিতে হয়। প্রতিটি স্তরে লুটপাট চলে। সরকারকে মানুষ শত্রু ভাবে, যাকে প্রতিনিয়ত প্রতিহত করে টিকে থাকতে হয়।’
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র ও সাধারণ জনতার যৌথ আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ বহুদিন ধরে বিশ্বাস করে আসছে, সরকার তাদের কিছুই দেয় না। আমি এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই, যেটা তাদের কিছু ফিরিয়ে দেবে।’
ড. ইউনূস মনে করেন, শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হলেও বিদ্রোহের পেছনে জ্বালানি হিসেবে কাজ করেছে জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, কর্মসংস্থানের অভাব ও একনায়কতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। শেখ হাসিনার শাসনামলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অবনতি হয়েছিল, বিরোধীদের দমন করা হচ্ছিল এবং ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির কারণে ব্যাংকিং খাত তলানিতে পৌঁছেছিল।
তিনি বলেন, ‘বিপর্যস্ত অর্থনীতি ও ভেঙে পড়া প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়েছি আমরা। সরকার নিজের ব্যয় মেটাতে পারবে কি না তখনও আমরা নিশ্চিত ছিলাম না। ব্যাংকগুলো যে ঋণ দিয়েছে, সেটি আসলে ঋণ নয়, উপহার; কারণ তা আর কোনোদিন ফেরত আসবে না।’
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনগুলো নির্বাচনী ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন এবং জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে সংস্কারের সুপারিশ দেয়। ড. ইউনূস জানান, তিনি আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলকে একত্র করে ‘জুলাই সনদ’ নামে ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করতে চান, যাতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম হয়।
‘এই চুক্তি হবে এমন, যা বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি,’ বলেন ইউনূস। ‘কমিশনের সুপারিশগুলো শুধু কসমেটিক পরিবর্তন নয়। এটি প্রশাসন ও রাজনীতিকে মৌলিকভাবে বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টা।’
সব দলের সব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সহজ হবে না স্বীকার করে তিনি বলেন, বিএনপি এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল এবং তারা দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। তবে তারা একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য দুই মেয়াদের সীমাবদ্ধতা প্রত্যাখ্যান করছে। একে নিয়েও মতপার্থক্য রয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘তবুও এখন আলোচনার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেটা বাংলাদেশে আগে দেখা যায়নি। আমরা এমন একটা রাষ্ট্র চাচ্ছি, যেটা সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য কাজ করবে।’
সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘সামাজিক ব্যবসা’ নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথাও বলেন। স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য খাতে সামাজিক উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে চান তিনি। ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রেও আনুষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যাংকিং কাঠামো গড়ে উঠুক তা তিনি চান ।
ইউনূস বলেন, ক্ষুদ্রঋণকে নিয়ে ভুল ধারণা ছড়ানো হয়েছে। কিছু ঋণদাতা অতিরিক্ত সুদ আরোপ করায় মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ‘মাইক্রোক্রেডিট’ এমন নয়। এই মডেল পৃথিবীর অনেক দেশে কার্যকরভাবে চলছে। এটা ঠিক করার কিছু নেই, ‘মাইক্রোক্রেডিটে’ কোনো ভুল নেই।
ড. ইউনূসের মতে, প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দরিদ্রদের প্রবেশাধিকার নেই। অথচ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ধনিক শ্রেণি ঋণ নিয়ে তা ফেরত দেয় না। ফলে ব্যাংকিং খাত ভেঙে পড়ে এবং সাধারণ মানুষ নিজের সঞ্চিত অর্থ তুলতেও পারে না।
শেখ হাসিনা একসময় তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতেন। অথচ সেই সরকার পতনের পর তিনিই হন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ইউনূস বলেন, ‘আমি জানি, এই দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবেই। আগে আমাকে আক্রমণ করত আওয়ামী লীগ, এখন করে সবাই। এটা স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাজ হলো এই অন্তর্বর্তী সময়ের ভারসাম্য রক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করা। আমরা এমন একটি ভিত্তি গড়ে দিতে চাই, যেখান থেকে সত্যিকার অর্থে একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা হতে পারে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পার হলেও জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস কাটেনি। তাঁর ভাষায়, ‘মানুষ এখনো সরকারকে শত্রু মনে করে।’
গত ১২ জুন ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের প্রথম শর্ত দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। সরকারের প্রতিটি স্তরে এবং প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত দুর্নীতির শিকড় ছড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট বানাতে, ব্যবসার লাইসেন্স নিতে— সব জায়গায় ঘুষ দিতে হয়। প্রতিটি স্তরে লুটপাট চলে। সরকারকে মানুষ শত্রু ভাবে, যাকে প্রতিনিয়ত প্রতিহত করে টিকে থাকতে হয়।’
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র ও সাধারণ জনতার যৌথ আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ বহুদিন ধরে বিশ্বাস করে আসছে, সরকার তাদের কিছুই দেয় না। আমি এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই, যেটা তাদের কিছু ফিরিয়ে দেবে।’
ড. ইউনূস মনে করেন, শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হলেও বিদ্রোহের পেছনে জ্বালানি হিসেবে কাজ করেছে জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, কর্মসংস্থানের অভাব ও একনায়কতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। শেখ হাসিনার শাসনামলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অবনতি হয়েছিল, বিরোধীদের দমন করা হচ্ছিল এবং ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির কারণে ব্যাংকিং খাত তলানিতে পৌঁছেছিল।
তিনি বলেন, ‘বিপর্যস্ত অর্থনীতি ও ভেঙে পড়া প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়েছি আমরা। সরকার নিজের ব্যয় মেটাতে পারবে কি না তখনও আমরা নিশ্চিত ছিলাম না। ব্যাংকগুলো যে ঋণ দিয়েছে, সেটি আসলে ঋণ নয়, উপহার; কারণ তা আর কোনোদিন ফেরত আসবে না।’
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনগুলো নির্বাচনী ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন এবং জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে সংস্কারের সুপারিশ দেয়। ড. ইউনূস জানান, তিনি আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলকে একত্র করে ‘জুলাই সনদ’ নামে ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করতে চান, যাতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম হয়।
‘এই চুক্তি হবে এমন, যা বাংলাদেশে আগে কখনো হয়নি,’ বলেন ইউনূস। ‘কমিশনের সুপারিশগুলো শুধু কসমেটিক পরিবর্তন নয়। এটি প্রশাসন ও রাজনীতিকে মৌলিকভাবে বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টা।’
সব দলের সব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সহজ হবে না স্বীকার করে তিনি বলেন, বিএনপি এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল এবং তারা দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। তবে তারা একই ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য দুই মেয়াদের সীমাবদ্ধতা প্রত্যাখ্যান করছে। একে নিয়েও মতপার্থক্য রয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘তবুও এখন আলোচনার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেটা বাংলাদেশে আগে দেখা যায়নি। আমরা এমন একটা রাষ্ট্র চাচ্ছি, যেটা সত্যিকার অর্থে জনগণের জন্য কাজ করবে।’
সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘সামাজিক ব্যবসা’ নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথাও বলেন। স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য খাতে সামাজিক উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে চান তিনি। ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রেও আনুষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যাংকিং কাঠামো গড়ে উঠুক তা তিনি চান ।
ইউনূস বলেন, ক্ষুদ্রঋণকে নিয়ে ভুল ধারণা ছড়ানো হয়েছে। কিছু ঋণদাতা অতিরিক্ত সুদ আরোপ করায় মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ‘মাইক্রোক্রেডিট’ এমন নয়। এই মডেল পৃথিবীর অনেক দেশে কার্যকরভাবে চলছে। এটা ঠিক করার কিছু নেই, ‘মাইক্রোক্রেডিটে’ কোনো ভুল নেই।
ড. ইউনূসের মতে, প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দরিদ্রদের প্রবেশাধিকার নেই। অথচ রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ধনিক শ্রেণি ঋণ নিয়ে তা ফেরত দেয় না। ফলে ব্যাংকিং খাত ভেঙে পড়ে এবং সাধারণ মানুষ নিজের সঞ্চিত অর্থ তুলতেও পারে না।
শেখ হাসিনা একসময় তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতেন। অথচ সেই সরকার পতনের পর তিনিই হন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। ইউনূস বলেন, ‘আমি জানি, এই দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবেই। আগে আমাকে আক্রমণ করত আওয়ামী লীগ, এখন করে সবাই। এটা স্বাভাবিক।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাজ হলো এই অন্তর্বর্তী সময়ের ভারসাম্য রক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করা। আমরা এমন একটি ভিত্তি গড়ে দিতে চাই, যেখান থেকে সত্যিকার অর্থে একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা হতে পারে।’

জনসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
আমজনতা দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান দেশের জন্য ‘যুগান্তকারী উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন’-এ মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। শুধু ঢাকায় নয়; সারা দেশে সবাইকে সংগঠিতভাবে কাজ করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জনসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের নির্মম হামলায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহসহ আরও একাধিক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধের ঘটনা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাই এসব দুষ্কৃতকারীকে কঠোর হস্তে দমনের বিকল্প নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দলমত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নইলে ওত পেতে থাকা দুষ্কৃতকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে।
বিএনপির মহাসচিব বিবৃতিতে এরশাদ উল্লাহসহ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান এবং গুলিতে আহত ব্যক্তিদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহ জনসংযোগকালে বুধবার বিকেলে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তথ্যমতে, এ সময় আরও একাধিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

জনসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের নির্মম হামলায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহসহ আরও একাধিক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধের ঘটনা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাই এসব দুষ্কৃতকারীকে কঠোর হস্তে দমনের বিকল্প নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দলমত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নইলে ওত পেতে থাকা দুষ্কৃতকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে।
বিএনপির মহাসচিব বিবৃতিতে এরশাদ উল্লাহসহ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান এবং গুলিতে আহত ব্যক্তিদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহ জনসংযোগকালে বুধবার বিকেলে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তথ্যমতে, এ সময় আরও একাধিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পার হলেও জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস কাটেনি। তাঁর ভাষায়, মানুষ এখনো সরকারকে শত্রু মনে করে। তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের প্রথম শর্ত দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন।
১৮ জুন ২০২৫
আমজনতা দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান দেশের জন্য ‘যুগান্তকারী উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন’-এ মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। শুধু ঢাকায় নয়; সারা দেশে সবাইকে সংগঠিতভাবে কাজ করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আমজনতার দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
ইসির সামনে সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আগারগাঁওয়ে ইসির প্রধান ফটকের সামনে বসে আমরণ অনশনের ডাক দেন তিনি।

আমজনতার দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
ইসির সামনে সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আগারগাঁওয়ে ইসির প্রধান ফটকের সামনে বসে আমরণ অনশনের ডাক দেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পার হলেও জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস কাটেনি। তাঁর ভাষায়, মানুষ এখনো সরকারকে শত্রু মনে করে। তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের প্রথম শর্ত দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন।
১৮ জুন ২০২৫
জনসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান দেশের জন্য ‘যুগান্তকারী উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন’-এ মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। শুধু ঢাকায় নয়; সারা দেশে সবাইকে সংগঠিতভাবে কাজ করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১২ অক্টোবর এনসিপি/কেন্দ্র/শোকজ/২০২৫-২০২৬/১৪ স্মারকে আপনাকে (মুনতাসির মাহমুদ) সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয় এবং আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়।
ওই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ১৪ অক্টোবর মুনতাসির মাহমুদ লিখিত জবাব প্রদান করেন। ওই জবাব পর্যালোচনা করে তাঁর প্রদত্ত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং পূর্বোক্ত ঘটনায় শৃঙ্খলা কমিটির কার্যক্রম চলমান অবস্থায় তাঁকে সতর্ক করা সত্ত্বেও বারবার সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে তাঁকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
উল্লেখ্য, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে একদল লোক নিয়ে সম্প্রতি মগবাজারে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করেন মুনতাসির মাহমুদ। তিনি সংস্থাটিতে উপপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। সেদিনই মুনতাসিরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। একইদিন রেড ক্রিসেন্টের চাকরিও হারান তিনি।

সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১২ অক্টোবর এনসিপি/কেন্দ্র/শোকজ/২০২৫-২০২৬/১৪ স্মারকে আপনাকে (মুনতাসির মাহমুদ) সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয় এবং আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়।
ওই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ১৪ অক্টোবর মুনতাসির মাহমুদ লিখিত জবাব প্রদান করেন। ওই জবাব পর্যালোচনা করে তাঁর প্রদত্ত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং পূর্বোক্ত ঘটনায় শৃঙ্খলা কমিটির কার্যক্রম চলমান অবস্থায় তাঁকে সতর্ক করা সত্ত্বেও বারবার সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে তাঁকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
উল্লেখ্য, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে একদল লোক নিয়ে সম্প্রতি মগবাজারে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করেন মুনতাসির মাহমুদ। তিনি সংস্থাটিতে উপপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। সেদিনই মুনতাসিরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। একইদিন রেড ক্রিসেন্টের চাকরিও হারান তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পার হলেও জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস কাটেনি। তাঁর ভাষায়, মানুষ এখনো সরকারকে শত্রু মনে করে। তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের প্রথম শর্ত দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন।
১৮ জুন ২০২৫
জনসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
আমজনতা দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান দেশের জন্য ‘যুগান্তকারী উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন’-এ মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। শুধু ঢাকায় নয়; সারা দেশে সবাইকে সংগঠিতভাবে কাজ করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আজ বুধবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়া: শ্রমিক জাগরণ, উৎপাদন ও উন্নয়ন শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে যাঁদের মনোনীত করা হবে, তাঁদের বিজয়ী করার জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। ৩১ দফা যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বলা আছে। শ্রমিকদের কথা বিশেষ করে বলা আছে। আমরা যদি এই পরিবর্তন আমাদের পক্ষে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে আমাদের আকাঙ্ক্ষার অনেক কিছুই পূরণ হবে।’
রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান দেশের জন্য ‘যুগান্তকারী উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন’-এ মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। শুধু ঢাকায় নয়; সারা দেশে সবাইকে সংগঠিতভাবে কাজ করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, শিশুদের উন্নয়ন, কৃষি, শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সর্বস্তরের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন সবার জন্য উন্নয়ন—কিছু মানুষের জন্য নয়। কিন্তু আজ দেশে অসম উন্নয়ন চলছে। কেউ কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন, আবার কেউ দিন দিন দরিদ্র হচ্ছেন—এটা শহীদ জিয়ার চাওয়া বাংলাদেশ নয়।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আজ বুধবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়া: শ্রমিক জাগরণ, উৎপাদন ও উন্নয়ন শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে যাঁদের মনোনীত করা হবে, তাঁদের বিজয়ী করার জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। ৩১ দফা যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বলা আছে। শ্রমিকদের কথা বিশেষ করে বলা আছে। আমরা যদি এই পরিবর্তন আমাদের পক্ষে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে আমাদের আকাঙ্ক্ষার অনেক কিছুই পূরণ হবে।’
রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান দেশের জন্য ‘যুগান্তকারী উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন’-এ মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। শুধু ঢাকায় নয়; সারা দেশে সবাইকে সংগঠিতভাবে কাজ করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, শিশুদের উন্নয়ন, কৃষি, শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সর্বস্তরের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন সবার জন্য উন্নয়ন—কিছু মানুষের জন্য নয়। কিন্তু আজ দেশে অসম উন্নয়ন চলছে। কেউ কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন, আবার কেউ দিন দিন দরিদ্র হচ্ছেন—এটা শহীদ জিয়ার চাওয়া বাংলাদেশ নয়।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পার হলেও জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস কাটেনি। তাঁর ভাষায়, মানুষ এখনো সরকারকে শত্রু মনে করে। তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের প্রথম শর্ত দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন।
১৮ জুন ২০২৫
জনসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
আমজনতা দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
৩ ঘণ্টা আগে