অনলাইন ডেস্ক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’
আজ বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবসে ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাষ্ট্র গঠনে চিকিৎসক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যতই বড় বড় কথা বলি, যতই লম্বা লম্বা বক্তৃতা করি, বিশ্বকে এক করার চেষ্টা করি। আমার নিজের ঘরেই যদি সেই বিভাজন থেকে যায়, বিভেদ থেকে যায়—এটা কখনোই ঠিক করতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘আমি ভয়াবহভাবে উদ্বিগ্ন। ধর্মকে কেন্দ্র করে কী উন্মাদনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে! মুক্ত স্বাধীন মিডিয়ার জন্য, প্রেসের জন্য, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আমরা এত দিন লড়াই করলাম, তার অফিস পুড়িয়ে দিচ্ছে। এই বাংলাদেশ তো আমরা দেখতে চাই না। আমি তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ অন্যান্য সমস্ত পত্রিকাগুলোয় যে আক্রমণ শুরু হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই।’
দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিভাজনের সংস্কৃতি পরিহার করে জাতির স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির পোস্টের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কী উন্মাদনা! যখন দেখি জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। চিন্তা করতে পারেন, কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে! আমরা কি বুঝি, আমাদের ভয়টা কোথায়? আমরা কি বুঝি, আমাদের আতঙ্কটা কোথায়? আমরা কি বুঝি, আততায়ী কোথায় ছুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে? বুঝি না। বুঝলে আজকের এই সমস্ত দায়িত্বহীন কথাবার্তা আমাদের মুখ দিয়ে বের হতো না। দুর্ভাগ্য আমাদের! কিছুসংখ্যক মানুষ তাঁরা নিজেদের অত্যন্ত জনপ্রিয় মনে করেন, সবচেয়ে দেশপ্রেমিক মনে করেন। আর গোটা জাতিকে আজকে তাঁরা বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়ে, উসকে নিয়ে একটা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘আমি কারও নাম বলব না, বলতে চাই না। তবে আপনারা সমাজের শিক্ষিত মানুষ। গভীরভাবে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন। যারা আজকে বিভাজনের দিকে ঠেলছে, অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলছে, তারা আমাদের আসল শত্রু না মিত্র। এই জিনিসগুলো বুঝতে হবে।’
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি আপনারা দেশকে রক্ষা করতে চান, আপনারা স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে চান, আপনাদের অধিকারকে রক্ষা করতে চান, তাহলে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। বিভাজনের কাছে আপনারা কখনো মাথা নোয়াবেন না, অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়াবেন না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকার কিন্তু কারও দয়ার দান নয়। দয়া করে করেনি এটাকে। এ দেশের ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে এই সরকার তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং, এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, এ দেশের জনগণের যে মূল লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যে যাওয়াটাই তাদের জন্য সর্বোত্তম বলে আমরা মনে করি। আরেকটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা এমন কোনো কথা বলবেন না দয়া করে—যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।’
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ড্যাবের মহাসচিব আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখনো তিন মাসও হয়নি। এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এই চেহারা নিয়ে কোনো দিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না।’
আজ বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ডা. মিলন দিবসে ‘স্বৈরাচারের পতন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাষ্ট্র গঠনে চিকিৎসক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যতই বড় বড় কথা বলি, যতই লম্বা লম্বা বক্তৃতা করি, বিশ্বকে এক করার চেষ্টা করি। আমার নিজের ঘরেই যদি সেই বিভাজন থেকে যায়, বিভেদ থেকে যায়—এটা কখনোই ঠিক করতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘আমি ভয়াবহভাবে উদ্বিগ্ন। ধর্মকে কেন্দ্র করে কী উন্মাদনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে! মুক্ত স্বাধীন মিডিয়ার জন্য, প্রেসের জন্য, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আমরা এত দিন লড়াই করলাম, তার অফিস পুড়িয়ে দিচ্ছে। এই বাংলাদেশ তো আমরা দেখতে চাই না। আমি তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ অন্যান্য সমস্ত পত্রিকাগুলোয় যে আক্রমণ শুরু হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই।’
দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিভাজনের সংস্কৃতি পরিহার করে জাতির স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির পোস্টের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কী উন্মাদনা! যখন দেখি জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। চিন্তা করতে পারেন, কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে! আমরা কি বুঝি, আমাদের ভয়টা কোথায়? আমরা কি বুঝি, আমাদের আতঙ্কটা কোথায়? আমরা কি বুঝি, আততায়ী কোথায় ছুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে? বুঝি না। বুঝলে আজকের এই সমস্ত দায়িত্বহীন কথাবার্তা আমাদের মুখ দিয়ে বের হতো না। দুর্ভাগ্য আমাদের! কিছুসংখ্যক মানুষ তাঁরা নিজেদের অত্যন্ত জনপ্রিয় মনে করেন, সবচেয়ে দেশপ্রেমিক মনে করেন। আর গোটা জাতিকে আজকে তাঁরা বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়ে, উসকে নিয়ে একটা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘আমি কারও নাম বলব না, বলতে চাই না। তবে আপনারা সমাজের শিক্ষিত মানুষ। গভীরভাবে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন। যারা আজকে বিভাজনের দিকে ঠেলছে, অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলছে, তারা আমাদের আসল শত্রু না মিত্র। এই জিনিসগুলো বুঝতে হবে।’
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি আপনারা দেশকে রক্ষা করতে চান, আপনারা স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে চান, আপনাদের অধিকারকে রক্ষা করতে চান, তাহলে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। বিভাজনের কাছে আপনারা কখনো মাথা নোয়াবেন না, অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়াবেন না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকার কিন্তু কারও দয়ার দান নয়। দয়া করে করেনি এটাকে। এ দেশের ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে এই সরকার তৈরি করা হয়েছে। সুতরাং, এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, এ দেশের জনগণের যে মূল লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যে যাওয়াটাই তাদের জন্য সর্বোত্তম বলে আমরা মনে করি। আরেকটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা এমন কোনো কথা বলবেন না দয়া করে—যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।’
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ড্যাবের মহাসচিব আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, আমি তার প্রতিবাদ করেছি। একইভাবে এখন বলছি, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
৪ ঘণ্টা আগেস্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না, তা অবশ্য টক শোতে স্পষ্ট করেননি গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। একই সঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের নিয়
৫ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দেওয়া ছাড়া বিদেশিদের দ্বারা কোনো পাতানো নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অংশ নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর সড়কে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তেব্য তিনি এ কথা বলেন।
৬ ঘণ্টা আগেকমরেড হারুন চৌধুরী নিজেকে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সভাপতি দাবি করে বলেছেন, ‘দিলীপ বড়ুয়া দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন, সেই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি দলের সভাপতি।’
৬ ঘণ্টা আগে