নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনারা ভাবছেন, বিএনপি যদি না থাকে, আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে! আরে ভাই, বিএনপির একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকতে আপনাদের এই খায়েশ কখনো পূরণ হবে না।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে মৌন মিছিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন। আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মৌন মিছিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। পরে এটি কাকরাইল, মৌচাক হয়ে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল হক মজনু, সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন। কেন্দ্রীয় নেতা মীর শরাফত আলী সপু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, আরিফা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির নেতা–কর্মীরা গত ১৭ বছর রাজপথে আন্দোলন করেছে—এই দেশের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য। আজকে সেই সুযোগ নিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছেন আপনারা। বিএনপির নেতা–কর্মীরা রাস্তায় আন্দোলনের, জেলখানায় জীবনের প্র্যাকটিস করেছে। আমরা নিজেরা জেলে থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। জীবন ও যৌবনের অর্ধেক সময় রাজপথ ও জেলখানায় কাটিয়েছি আমরা। আমাদের ভয় দেখিয়ে কিছু হবে না। বিএনপির একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকলেও আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ পূরণ হবে না।’
এ সময় জুলাই শহীদদের নিয়ে একটি মহল ব্যবসা শুরু করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়েরা যাঁরা শাহাদাতবরণ করেছেন, তাঁরা যদি আজ বেঁচে থাকতেন, কিংবা বুঝতে পারতেন—তাঁদের লাশ আর স্বজনদের নিয়ে যেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে—তাহলে তাঁরা কোনো অবস্থাতেই মার্জনা করতেন না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কিছু হলেই তাঁরা বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহীদ! আরে ভাই, শহীদদের প্রতি সম্মান দেখান। তাঁরা কোনো একক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেননি। তাঁরা সারা দেশের মানুষের মুক্তির জন্য জীবন দিয়েছেন।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘আমরা ৭০ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি, যুদ্ধ করেছি, জেলে গিয়েছি। কিন্তু তাতে কোনো প্রতিদান চাইনি। আজকে কিছু দল আছে, যারা শহীদদের বিক্রি করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তথাকথিত একজন পীর সাহেব বলেছিলেন, ‘‘জামায়াতের ছোঁয়া যেখানে লাগবে, সেই জায়গা পচে যাবে।’’ আর আজ তিনি জামায়াতের কোলে বসেছেন।’
তিনি বলেনে, ‘একসময় জামায়াতের নেতারা বিএনপির কাঁধে, আবার কখনো আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর দিয়ে মন্ত্রী হয়েছেন। এখন তাঁরাই আমাদের শাহাদাতবরণকারী ভাইদের ব্যবহার করে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছেন।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘জুলাই শহীদদের আত্মদানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। তাঁরা লজ্জা পাচ্ছেন—কী কারণে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন, কী কারণে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন! আজ তা ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিছু দল তাদের নিয়ে রাজনীতি করছে, ব্যবসা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার শাহাদাতবরণকারী ভাইয়েরা সব সময় একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চেয়েছেন। আমরাও চাই। এই ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের মাধ্যমে বিদেশি প্রভুত্ববাদ দূর করা যাবে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যাবে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন করা যাবে। কিন্তু আমাদের কিছু ভাই ভিন্ন পথে হাঁটছেন।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপিকে অনেকে আওয়ামী লীগের কাতারে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। একদিন দেখলাম, এক তরুণ বলছে, গিনেস বুকে লেখা থাকবে—একটি দল কীভাবে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়! আমি বলব, ভাই, দয়া করে জিবে লাগাম দিন। এমন কিছু বলবেন না, যাতে মানুষের রক্তে আগুন ধরে যায়।’
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনারা পায়ে পা দিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। বিএনপি ঝগড়ার দল নয়। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে।’
এ সময় এনসিপির নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের নেতারা বিভিন্ন সময় নানা কথা বলছেন। আগে তো বলতেন না! ৫ আগস্টের পর থেকে হঠাৎ করে এত সাহস কোথা থেকে পেলেন? শক্তি পেলেন? সাহসী হোন, শক্তিশালী হোন—দোয়া করি। কিন্তু বিএনপির মতো একটি দেশপ্রেমিক দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাবেন না।’
পুরান ঢাকায় বিএনপির এক কর্মী লাল চাঁনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন বিএনপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, অথচ উল্টো বলা হচ্ছে, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। অনেকে বলছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। আমি বলব, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়নি।’
সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আজকে সরকারকে বলছি—দয়া করে পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ করুন। এতে দেশের ক্ষতি হচ্ছে। একটি দলকে কোলে, অন্য দলকে কাঁখে তুলে রেখেছেন। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রোগ্রাম করবেন না। এই চিন্তা ভুলেও করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন, তাহলে দেশের অশান্ত পরিস্থিতি শান্ত হবে। আর না দিলে আমরা ধরে নেব—দেশের অশান্তি দীর্ঘায়িত করে আপনারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান।’
এ সময় তিনি জুলাই আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ জন শহীদসহ জুলাই আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শহীদদের যে স্বপ্ন, তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান করেন তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনারা ভাবছেন, বিএনপি যদি না থাকে, আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে! আরে ভাই, বিএনপির একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকতে আপনাদের এই খায়েশ কখনো পূরণ হবে না।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে মৌন মিছিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন। আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মৌন মিছিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। পরে এটি কাকরাইল, মৌচাক হয়ে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল হক মজনু, সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন। কেন্দ্রীয় নেতা মীর শরাফত আলী সপু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, আরিফা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির নেতা–কর্মীরা গত ১৭ বছর রাজপথে আন্দোলন করেছে—এই দেশের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য। আজকে সেই সুযোগ নিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছেন আপনারা। বিএনপির নেতা–কর্মীরা রাস্তায় আন্দোলনের, জেলখানায় জীবনের প্র্যাকটিস করেছে। আমরা নিজেরা জেলে থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। জীবন ও যৌবনের অর্ধেক সময় রাজপথ ও জেলখানায় কাটিয়েছি আমরা। আমাদের ভয় দেখিয়ে কিছু হবে না। বিএনপির একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকলেও আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ পূরণ হবে না।’
এ সময় জুলাই শহীদদের নিয়ে একটি মহল ব্যবসা শুরু করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়েরা যাঁরা শাহাদাতবরণ করেছেন, তাঁরা যদি আজ বেঁচে থাকতেন, কিংবা বুঝতে পারতেন—তাঁদের লাশ আর স্বজনদের নিয়ে যেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে—তাহলে তাঁরা কোনো অবস্থাতেই মার্জনা করতেন না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কিছু হলেই তাঁরা বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহীদ! আরে ভাই, শহীদদের প্রতি সম্মান দেখান। তাঁরা কোনো একক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেননি। তাঁরা সারা দেশের মানুষের মুক্তির জন্য জীবন দিয়েছেন।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘আমরা ৭০ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি, যুদ্ধ করেছি, জেলে গিয়েছি। কিন্তু তাতে কোনো প্রতিদান চাইনি। আজকে কিছু দল আছে, যারা শহীদদের বিক্রি করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তথাকথিত একজন পীর সাহেব বলেছিলেন, ‘‘জামায়াতের ছোঁয়া যেখানে লাগবে, সেই জায়গা পচে যাবে।’’ আর আজ তিনি জামায়াতের কোলে বসেছেন।’
তিনি বলেনে, ‘একসময় জামায়াতের নেতারা বিএনপির কাঁধে, আবার কখনো আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর দিয়ে মন্ত্রী হয়েছেন। এখন তাঁরাই আমাদের শাহাদাতবরণকারী ভাইদের ব্যবহার করে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছেন।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘জুলাই শহীদদের আত্মদানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। তাঁরা লজ্জা পাচ্ছেন—কী কারণে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন, কী কারণে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন! আজ তা ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিছু দল তাদের নিয়ে রাজনীতি করছে, ব্যবসা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার শাহাদাতবরণকারী ভাইয়েরা সব সময় একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চেয়েছেন। আমরাও চাই। এই ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের মাধ্যমে বিদেশি প্রভুত্ববাদ দূর করা যাবে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যাবে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন করা যাবে। কিন্তু আমাদের কিছু ভাই ভিন্ন পথে হাঁটছেন।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপিকে অনেকে আওয়ামী লীগের কাতারে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। একদিন দেখলাম, এক তরুণ বলছে, গিনেস বুকে লেখা থাকবে—একটি দল কীভাবে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়! আমি বলব, ভাই, দয়া করে জিবে লাগাম দিন। এমন কিছু বলবেন না, যাতে মানুষের রক্তে আগুন ধরে যায়।’
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনারা পায়ে পা দিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। বিএনপি ঝগড়ার দল নয়। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে।’
এ সময় এনসিপির নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের নেতারা বিভিন্ন সময় নানা কথা বলছেন। আগে তো বলতেন না! ৫ আগস্টের পর থেকে হঠাৎ করে এত সাহস কোথা থেকে পেলেন? শক্তি পেলেন? সাহসী হোন, শক্তিশালী হোন—দোয়া করি। কিন্তু বিএনপির মতো একটি দেশপ্রেমিক দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাবেন না।’
পুরান ঢাকায় বিএনপির এক কর্মী লাল চাঁনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন বিএনপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, অথচ উল্টো বলা হচ্ছে, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। অনেকে বলছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। আমি বলব, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়নি।’
সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আজকে সরকারকে বলছি—দয়া করে পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ করুন। এতে দেশের ক্ষতি হচ্ছে। একটি দলকে কোলে, অন্য দলকে কাঁখে তুলে রেখেছেন। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রোগ্রাম করবেন না। এই চিন্তা ভুলেও করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন, তাহলে দেশের অশান্ত পরিস্থিতি শান্ত হবে। আর না দিলে আমরা ধরে নেব—দেশের অশান্তি দীর্ঘায়িত করে আপনারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান।’
এ সময় তিনি জুলাই আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ জন শহীদসহ জুলাই আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শহীদদের যে স্বপ্ন, তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান করেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনারা ভাবছেন, বিএনপি যদি না থাকে, আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে! আরে ভাই, বিএনপির একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকতে আপনাদের এই খায়েশ কখনো পূরণ হবে না।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে মৌন মিছিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন। আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মৌন মিছিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। পরে এটি কাকরাইল, মৌচাক হয়ে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল হক মজনু, সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন। কেন্দ্রীয় নেতা মীর শরাফত আলী সপু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, আরিফা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির নেতা–কর্মীরা গত ১৭ বছর রাজপথে আন্দোলন করেছে—এই দেশের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য। আজকে সেই সুযোগ নিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছেন আপনারা। বিএনপির নেতা–কর্মীরা রাস্তায় আন্দোলনের, জেলখানায় জীবনের প্র্যাকটিস করেছে। আমরা নিজেরা জেলে থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। জীবন ও যৌবনের অর্ধেক সময় রাজপথ ও জেলখানায় কাটিয়েছি আমরা। আমাদের ভয় দেখিয়ে কিছু হবে না। বিএনপির একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকলেও আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ পূরণ হবে না।’
এ সময় জুলাই শহীদদের নিয়ে একটি মহল ব্যবসা শুরু করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়েরা যাঁরা শাহাদাতবরণ করেছেন, তাঁরা যদি আজ বেঁচে থাকতেন, কিংবা বুঝতে পারতেন—তাঁদের লাশ আর স্বজনদের নিয়ে যেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে—তাহলে তাঁরা কোনো অবস্থাতেই মার্জনা করতেন না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কিছু হলেই তাঁরা বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহীদ! আরে ভাই, শহীদদের প্রতি সম্মান দেখান। তাঁরা কোনো একক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেননি। তাঁরা সারা দেশের মানুষের মুক্তির জন্য জীবন দিয়েছেন।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘আমরা ৭০ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি, যুদ্ধ করেছি, জেলে গিয়েছি। কিন্তু তাতে কোনো প্রতিদান চাইনি। আজকে কিছু দল আছে, যারা শহীদদের বিক্রি করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তথাকথিত একজন পীর সাহেব বলেছিলেন, ‘‘জামায়াতের ছোঁয়া যেখানে লাগবে, সেই জায়গা পচে যাবে।’’ আর আজ তিনি জামায়াতের কোলে বসেছেন।’
তিনি বলেনে, ‘একসময় জামায়াতের নেতারা বিএনপির কাঁধে, আবার কখনো আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর দিয়ে মন্ত্রী হয়েছেন। এখন তাঁরাই আমাদের শাহাদাতবরণকারী ভাইদের ব্যবহার করে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছেন।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘জুলাই শহীদদের আত্মদানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। তাঁরা লজ্জা পাচ্ছেন—কী কারণে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন, কী কারণে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন! আজ তা ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিছু দল তাদের নিয়ে রাজনীতি করছে, ব্যবসা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার শাহাদাতবরণকারী ভাইয়েরা সব সময় একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চেয়েছেন। আমরাও চাই। এই ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের মাধ্যমে বিদেশি প্রভুত্ববাদ দূর করা যাবে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যাবে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন করা যাবে। কিন্তু আমাদের কিছু ভাই ভিন্ন পথে হাঁটছেন।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপিকে অনেকে আওয়ামী লীগের কাতারে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। একদিন দেখলাম, এক তরুণ বলছে, গিনেস বুকে লেখা থাকবে—একটি দল কীভাবে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়! আমি বলব, ভাই, দয়া করে জিবে লাগাম দিন। এমন কিছু বলবেন না, যাতে মানুষের রক্তে আগুন ধরে যায়।’
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনারা পায়ে পা দিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। বিএনপি ঝগড়ার দল নয়। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে।’
এ সময় এনসিপির নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের নেতারা বিভিন্ন সময় নানা কথা বলছেন। আগে তো বলতেন না! ৫ আগস্টের পর থেকে হঠাৎ করে এত সাহস কোথা থেকে পেলেন? শক্তি পেলেন? সাহসী হোন, শক্তিশালী হোন—দোয়া করি। কিন্তু বিএনপির মতো একটি দেশপ্রেমিক দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাবেন না।’
পুরান ঢাকায় বিএনপির এক কর্মী লাল চাঁনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন বিএনপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, অথচ উল্টো বলা হচ্ছে, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। অনেকে বলছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। আমি বলব, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়নি।’
সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আজকে সরকারকে বলছি—দয়া করে পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ করুন। এতে দেশের ক্ষতি হচ্ছে। একটি দলকে কোলে, অন্য দলকে কাঁখে তুলে রেখেছেন। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রোগ্রাম করবেন না। এই চিন্তা ভুলেও করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন, তাহলে দেশের অশান্ত পরিস্থিতি শান্ত হবে। আর না দিলে আমরা ধরে নেব—দেশের অশান্তি দীর্ঘায়িত করে আপনারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান।’
এ সময় তিনি জুলাই আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ জন শহীদসহ জুলাই আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শহীদদের যে স্বপ্ন, তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান করেন তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনারা ভাবছেন, বিএনপি যদি না থাকে, আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে! আরে ভাই, বিএনপির একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকতে আপনাদের এই খায়েশ কখনো পূরণ হবে না।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে মৌন মিছিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন। আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মৌন মিছিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। পরে এটি কাকরাইল, মৌচাক হয়ে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল হক মজনু, সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন। কেন্দ্রীয় নেতা মীর শরাফত আলী সপু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, আরিফা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির নেতা–কর্মীরা গত ১৭ বছর রাজপথে আন্দোলন করেছে—এই দেশের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য। আজকে সেই সুযোগ নিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছেন আপনারা। বিএনপির নেতা–কর্মীরা রাস্তায় আন্দোলনের, জেলখানায় জীবনের প্র্যাকটিস করেছে। আমরা নিজেরা জেলে থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। জীবন ও যৌবনের অর্ধেক সময় রাজপথ ও জেলখানায় কাটিয়েছি আমরা। আমাদের ভয় দেখিয়ে কিছু হবে না। বিএনপির একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকলেও আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ পূরণ হবে না।’
এ সময় জুলাই শহীদদের নিয়ে একটি মহল ব্যবসা শুরু করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়েরা যাঁরা শাহাদাতবরণ করেছেন, তাঁরা যদি আজ বেঁচে থাকতেন, কিংবা বুঝতে পারতেন—তাঁদের লাশ আর স্বজনদের নিয়ে যেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে—তাহলে তাঁরা কোনো অবস্থাতেই মার্জনা করতেন না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কিছু হলেই তাঁরা বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহীদ! আরে ভাই, শহীদদের প্রতি সম্মান দেখান। তাঁরা কোনো একক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করেননি। তাঁরা সারা দেশের মানুষের মুক্তির জন্য জীবন দিয়েছেন।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘আমরা ৭০ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি, যুদ্ধ করেছি, জেলে গিয়েছি। কিন্তু তাতে কোনো প্রতিদান চাইনি। আজকে কিছু দল আছে, যারা শহীদদের বিক্রি করে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তথাকথিত একজন পীর সাহেব বলেছিলেন, ‘‘জামায়াতের ছোঁয়া যেখানে লাগবে, সেই জায়গা পচে যাবে।’’ আর আজ তিনি জামায়াতের কোলে বসেছেন।’
তিনি বলেনে, ‘একসময় জামায়াতের নেতারা বিএনপির কাঁধে, আবার কখনো আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর দিয়ে মন্ত্রী হয়েছেন। এখন তাঁরাই আমাদের শাহাদাতবরণকারী ভাইদের ব্যবহার করে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছেন।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘জুলাই শহীদদের আত্মদানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। তাঁরা লজ্জা পাচ্ছেন—কী কারণে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন, কী কারণে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন! আজ তা ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিছু দল তাদের নিয়ে রাজনীতি করছে, ব্যবসা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার শাহাদাতবরণকারী ভাইয়েরা সব সময় একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চেয়েছেন। আমরাও চাই। এই ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের মাধ্যমে বিদেশি প্রভুত্ববাদ দূর করা যাবে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যাবে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন করা যাবে। কিন্তু আমাদের কিছু ভাই ভিন্ন পথে হাঁটছেন।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপিকে অনেকে আওয়ামী লীগের কাতারে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। একদিন দেখলাম, এক তরুণ বলছে, গিনেস বুকে লেখা থাকবে—একটি দল কীভাবে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়! আমি বলব, ভাই, দয়া করে জিবে লাগাম দিন। এমন কিছু বলবেন না, যাতে মানুষের রক্তে আগুন ধরে যায়।’
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনারা পায়ে পা দিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঝগড়া করবেন না। বিএনপি ঝগড়ার দল নয়। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে।’
এ সময় এনসিপির নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের নেতারা বিভিন্ন সময় নানা কথা বলছেন। আগে তো বলতেন না! ৫ আগস্টের পর থেকে হঠাৎ করে এত সাহস কোথা থেকে পেলেন? শক্তি পেলেন? সাহসী হোন, শক্তিশালী হোন—দোয়া করি। কিন্তু বিএনপির মতো একটি দেশপ্রেমিক দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাবেন না।’
পুরান ঢাকায় বিএনপির এক কর্মী লাল চাঁনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন বিএনপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, অথচ উল্টো বলা হচ্ছে, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। অনেকে বলছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। আমি বলব, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়নি।’
সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আজকে সরকারকে বলছি—দয়া করে পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ করুন। এতে দেশের ক্ষতি হচ্ছে। একটি দলকে কোলে, অন্য দলকে কাঁখে তুলে রেখেছেন। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রোগ্রাম করবেন না। এই চিন্তা ভুলেও করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন, তাহলে দেশের অশান্ত পরিস্থিতি শান্ত হবে। আর না দিলে আমরা ধরে নেব—দেশের অশান্তি দীর্ঘায়িত করে আপনারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান।’
এ সময় তিনি জুলাই আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ জন শহীদসহ জুলাই আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শহীদদের যে স্বপ্ন, তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান করেন তিনি।

গত সোমবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন স্থানে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের সমর্থকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। গতকাল বুধবারও তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত ছিল। এদিন নাম ঘোষণার পর মনোনয়ন স্থগিত রাখা মাদারীপুর-১ আসনের কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা...
২১ মিনিট আগে
জনসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
আমজনতা দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত সোমবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন স্থানে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের সমর্থকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। গতকাল বুধবারও তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত ছিল। এদিন নাম ঘোষণার পর মনোনয়ন স্থগিত রাখা মাদারীপুর-১ আসনের কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করেন।
রেললাইনে আগুন
রেললাইনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন কুমিল্লা-১০ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার নেতা-কর্মীরা। গতকাল নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন এলাকায় এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা বিক্ষোভে পার্শ্ববর্তী লাকসাম রেলস্টেশনে সাগরিকা এক্সপ্রেস ও হাসানপুর স্টেশনে মহানগর গোধূলি আটকা পড়ে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া। আন্দোলনকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন নাঙ্গলকোট ও লালমাই অঞ্চলে বিএনপির জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করা মোবাশ্বের আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। তাঁরা মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।
এ ছাড়া কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের নারী সমর্থকদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। গতকাল বিকেলে নগরীর ধর্মসাগরপাড়ে অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়। নগরীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূবালী চত্বরে মিছিল শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি করা হয়। এ সময় তাঁরা সাবেক সংসদ সদস্য ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইয়াছিনকে দলীয় প্রার্থী করার দাবি তোলেন।
প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ
ময়মনসিংহ-৩ আসনের ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের প্রার্থিতা বদলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন মনোনয়নবঞ্চিত আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরনের সমর্থকেরা। গতকাল বিকেলে গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সহস্রাধিক কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ করেন। এ সময় পৌর শহরে সড়কে যানজট তৈরি হয়।
এদিকে মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে ঘোষিত দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা। গতকাল দুপুরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়ী এলাকায় এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মমিন আলীর শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।
চাঁদপুর-৪ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা এম এ হান্নানের অনুসারীরা টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ববিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদকে প্রার্থী করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নানের কর্মী-সমর্থকেরা এর বিরোধিতা করছেন।
অবরোধ চলাকালে হান্নানের সমর্থকেরা ফরিদগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এতে সড়কে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। এ সময় নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটা দেখা যায়।
জামান মোল্লার সমর্থকদের বিক্ষোভ
মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার ঘটনায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবিতে গতকাল থেকে শিবচর পৌর এলাকার ৭১ সড়কে অবস্থান নেন কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা।
জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে প্রার্থী ঘোষণার সময় মাদারীপুর-১ আসনে জামানের নাম বলা হয়। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়ক অবরোধ করেন মনোনয়ন না পাওয়া সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলুর সমর্থকেরা। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলীয় দপ্তর থেকে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে এ আসনের মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শহিদুল আলমকে মনোনয়ন না দেওয়ায় বিক্ষোভ-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর সমর্থকেরা। গতকাল বিকেলে শহিদুলকে ধানের শীষের প্রার্থী করার দাবিতে কালীঞ্জ ব্রিজ থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মানববন্ধন করেন কর্মী-সমর্থকেরা।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকায় আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা]

গত সোমবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন স্থানে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের সমর্থকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। গতকাল বুধবারও তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত ছিল। এদিন নাম ঘোষণার পর মনোনয়ন স্থগিত রাখা মাদারীপুর-১ আসনের কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করেন।
রেললাইনে আগুন
রেললাইনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন কুমিল্লা-১০ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার নেতা-কর্মীরা। গতকাল নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন এলাকায় এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা বিক্ষোভে পার্শ্ববর্তী লাকসাম রেলস্টেশনে সাগরিকা এক্সপ্রেস ও হাসানপুর স্টেশনে মহানগর গোধূলি আটকা পড়ে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া। আন্দোলনকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন নাঙ্গলকোট ও লালমাই অঞ্চলে বিএনপির জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করা মোবাশ্বের আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। তাঁরা মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।
এ ছাড়া কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের নারী সমর্থকদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। গতকাল বিকেলে নগরীর ধর্মসাগরপাড়ে অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়। নগরীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূবালী চত্বরে মিছিল শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি করা হয়। এ সময় তাঁরা সাবেক সংসদ সদস্য ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইয়াছিনকে দলীয় প্রার্থী করার দাবি তোলেন।
প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ
ময়মনসিংহ-৩ আসনের ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের প্রার্থিতা বদলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন মনোনয়নবঞ্চিত আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরনের সমর্থকেরা। গতকাল বিকেলে গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সহস্রাধিক কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ করেন। এ সময় পৌর শহরে সড়কে যানজট তৈরি হয়।
এদিকে মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে ঘোষিত দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা। গতকাল দুপুরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়ী এলাকায় এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মমিন আলীর শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।
চাঁদপুর-৪ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা এম এ হান্নানের অনুসারীরা টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ববিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদকে প্রার্থী করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নানের কর্মী-সমর্থকেরা এর বিরোধিতা করছেন।
অবরোধ চলাকালে হান্নানের সমর্থকেরা ফরিদগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এতে সড়কে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। এ সময় নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটা দেখা যায়।
জামান মোল্লার সমর্থকদের বিক্ষোভ
মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার ঘটনায় তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। মনোনয়ন পুনর্বহালের দাবিতে গতকাল থেকে শিবচর পৌর এলাকার ৭১ সড়কে অবস্থান নেন কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা।
জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে প্রার্থী ঘোষণার সময় মাদারীপুর-১ আসনে জামানের নাম বলা হয়। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়ক অবরোধ করেন মনোনয়ন না পাওয়া সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলুর সমর্থকেরা। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলীয় দপ্তর থেকে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে এ আসনের মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শহিদুল আলমকে মনোনয়ন না দেওয়ায় বিক্ষোভ-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর সমর্থকেরা। গতকাল বিকেলে শহিদুলকে ধানের শীষের প্রার্থী করার দাবিতে কালীঞ্জ ব্রিজ থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মানববন্ধন করেন কর্মী-সমর্থকেরা।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকায় আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা]

মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনারা ভাবছেন, বিএনপি যদি না থাকে, আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে! আরে ভাই, বিএনপির একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকতে আপনাদের এই খায়েশ কখনো পূরণ হবে না।
১৮ জুলাই ২০২৫
জনসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
আমজনতা দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জনসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের নির্মম হামলায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহসহ আরও একাধিক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধের ঘটনা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাই এসব দুষ্কৃতকারীকে কঠোর হস্তে দমনের বিকল্প নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দলমত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নইলে ওত পেতে থাকা দুষ্কৃতকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে।
বিএনপির মহাসচিব বিবৃতিতে এরশাদ উল্লাহসহ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান এবং গুলিতে আহত ব্যক্তিদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহ জনসংযোগকালে বুধবার বিকেলে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তথ্যমতে, এ সময় আরও একাধিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

জনসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের নির্মম হামলায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহসহ আরও একাধিক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধের ঘটনা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাই এসব দুষ্কৃতকারীকে কঠোর হস্তে দমনের বিকল্প নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দলমত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নইলে ওত পেতে থাকা দুষ্কৃতকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে।
বিএনপির মহাসচিব বিবৃতিতে এরশাদ উল্লাহসহ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান এবং গুলিতে আহত ব্যক্তিদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহ জনসংযোগকালে বুধবার বিকেলে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তথ্যমতে, এ সময় আরও একাধিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনারা ভাবছেন, বিএনপি যদি না থাকে, আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে! আরে ভাই, বিএনপির একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকতে আপনাদের এই খায়েশ কখনো পূরণ হবে না।
১৮ জুলাই ২০২৫
গত সোমবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন স্থানে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের সমর্থকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। গতকাল বুধবারও তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত ছিল। এদিন নাম ঘোষণার পর মনোনয়ন স্থগিত রাখা মাদারীপুর-১ আসনের কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা...
২১ মিনিট আগে
আমজনতা দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আমজনতার দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
ইসির সামনে সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আগারগাঁওয়ে ইসির প্রধান ফটকের সামনে বসে আমরণ অনশনের ডাক দেন তিনি।

আমজনতার দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
ইসির সামনে সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আগারগাঁওয়ে ইসির প্রধান ফটকের সামনে বসে আমরণ অনশনের ডাক দেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনারা ভাবছেন, বিএনপি যদি না থাকে, আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে! আরে ভাই, বিএনপির একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকতে আপনাদের এই খায়েশ কখনো পূরণ হবে না।
১৮ জুলাই ২০২৫
গত সোমবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন স্থানে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের সমর্থকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। গতকাল বুধবারও তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত ছিল। এদিন নাম ঘোষণার পর মনোনয়ন স্থগিত রাখা মাদারীপুর-১ আসনের কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা...
২১ মিনিট আগে
জনসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১২ অক্টোবর এনসিপি/কেন্দ্র/শোকজ/২০২৫-২০২৬/১৪ স্মারকে আপনাকে (মুনতাসির মাহমুদ) সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয় এবং আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়।
ওই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ১৪ অক্টোবর মুনতাসির মাহমুদ লিখিত জবাব প্রদান করেন। ওই জবাব পর্যালোচনা করে তাঁর প্রদত্ত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং পূর্বোক্ত ঘটনায় শৃঙ্খলা কমিটির কার্যক্রম চলমান অবস্থায় তাঁকে সতর্ক করা সত্ত্বেও বারবার সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে তাঁকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
উল্লেখ্য, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে একদল লোক নিয়ে সম্প্রতি মগবাজারে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করেন মুনতাসির মাহমুদ। তিনি সংস্থাটিতে উপপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। সেদিনই মুনতাসিরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। একইদিন রেড ক্রিসেন্টের চাকরিও হারান তিনি।

সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১২ অক্টোবর এনসিপি/কেন্দ্র/শোকজ/২০২৫-২০২৬/১৪ স্মারকে আপনাকে (মুনতাসির মাহমুদ) সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয় এবং আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়।
ওই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ১৪ অক্টোবর মুনতাসির মাহমুদ লিখিত জবাব প্রদান করেন। ওই জবাব পর্যালোচনা করে তাঁর প্রদত্ত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং পূর্বোক্ত ঘটনায় শৃঙ্খলা কমিটির কার্যক্রম চলমান অবস্থায় তাঁকে সতর্ক করা সত্ত্বেও বারবার সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে তাঁকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
উল্লেখ্য, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে একদল লোক নিয়ে সম্প্রতি মগবাজারে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করেন মুনতাসির মাহমুদ। তিনি সংস্থাটিতে উপপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। সেদিনই মুনতাসিরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। একইদিন রেড ক্রিসেন্টের চাকরিও হারান তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনারা ভাবছেন, বিএনপি যদি না থাকে, আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে! আরে ভাই, বিএনপির একজন নেতা-কর্মী বেঁচে থাকতে আপনাদের এই খায়েশ কখনো পূরণ হবে না।
১৮ জুলাই ২০২৫
গত সোমবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন স্থানে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের সমর্থকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। গতকাল বুধবারও তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত ছিল। এদিন নাম ঘোষণার পর মনোনয়ন স্থগিত রাখা মাদারীপুর-১ আসনের কামাল জামান মোল্লার সমর্থকেরা...
২১ মিনিট আগে
জনসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
আমজনতা দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে