নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আরও একটি নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে ১৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে নতুন এই জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’।
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন এই জোটের আত্মপ্রকাশ হয়। জোটের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি ও ৫ দফা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী তিন মাসে রাজপথনির্ভর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এম এ আউয়াল ২০১৪ সালে তরিকত ফেডারেশন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। পরে অবশ্য ২০১৮ সালে তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে তিনি ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি গঠন করেন।
স্বাগত বক্তব্যে এম এ আউয়াল বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি দিনে দিনে উদ্বেগজনক জায়গায় যাচ্ছে। নিত্যপণ্যের অবারিত মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস জনগণের জীবন। হাসপাতালে হাসপাতালে মৃত্যুর রোনাজারি। প্রশাসনে নানারকম অনিয়ম, দুর্নীতি। স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের। একইভাবে সংবিধানসম্মত উপায়ে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমরা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের সব প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের একটি জরুরি মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হিসেবে প্রগতিশীল, ইসলামী ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো সম্মিলিতভাবে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত রুখে দিতে প্রস্তুত। বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে আমরা অন্তত ২০টি দলের সঙ্গে আলোচনা, বৈঠক করে অবশেষে ১৫টি দলকে চূড়ান্ত করে একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
লিখিত বক্তব্যে জোটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতসহ কোনো কোনো দল এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশের জনগণ সেই ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। বিশ্বে নির্বাচন বর্জন যেখানে বিরল, সেখানে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিকতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়ে নির্বাচন বর্জনের বক্তব্য গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করারই নামান্তর।’
জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের মানুষ স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করছে, একটি গণবিরোধী শক্তি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বমুখী পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতার ফায়দা লুটতে চায়। ইতিমধ্যে নানা বিদেশি রাষ্ট্র, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেছে, যার মধ্য দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নকে নতুন করে আমাদের সামনে হাজির করেছে।’
জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো হচ্ছে—ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বিএনজেপি), ইসলামী লিবারেল পার্টি, জনতার কথা বলে, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি, সাধারণ ঐক্য আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ ও বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আরও একটি নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে ১৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে নতুন এই জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’।
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন এই জোটের আত্মপ্রকাশ হয়। জোটের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি ও ৫ দফা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী তিন মাসে রাজপথনির্ভর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এম এ আউয়াল ২০১৪ সালে তরিকত ফেডারেশন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। পরে অবশ্য ২০১৮ সালে তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে তিনি ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি গঠন করেন।
স্বাগত বক্তব্যে এম এ আউয়াল বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি দিনে দিনে উদ্বেগজনক জায়গায় যাচ্ছে। নিত্যপণ্যের অবারিত মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস জনগণের জীবন। হাসপাতালে হাসপাতালে মৃত্যুর রোনাজারি। প্রশাসনে নানারকম অনিয়ম, দুর্নীতি। স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের। একইভাবে সংবিধানসম্মত উপায়ে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমরা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের সব প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের একটি জরুরি মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হিসেবে প্রগতিশীল, ইসলামী ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো সম্মিলিতভাবে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত রুখে দিতে প্রস্তুত। বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে আমরা অন্তত ২০টি দলের সঙ্গে আলোচনা, বৈঠক করে অবশেষে ১৫টি দলকে চূড়ান্ত করে একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
লিখিত বক্তব্যে জোটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতসহ কোনো কোনো দল এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশের জনগণ সেই ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। বিশ্বে নির্বাচন বর্জন যেখানে বিরল, সেখানে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিকতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়ে নির্বাচন বর্জনের বক্তব্য গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করারই নামান্তর।’
জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের মানুষ স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করছে, একটি গণবিরোধী শক্তি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বমুখী পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতার ফায়দা লুটতে চায়। ইতিমধ্যে নানা বিদেশি রাষ্ট্র, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেছে, যার মধ্য দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নকে নতুন করে আমাদের সামনে হাজির করেছে।’
জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো হচ্ছে—ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বিএনজেপি), ইসলামী লিবারেল পার্টি, জনতার কথা বলে, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি, সাধারণ ঐক্য আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ ও বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থবোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টায় তাঁকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
৩ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতির ঘোষণার (প্রেসিডেন্সিয়াল প্রক্লেমেশন) মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে। বিকল্প হিসেবে গণভোটের মাধ্যমেও সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া যেতে পারে, এমনটা মনে করে দলটি। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয়...
১৩ ঘণ্টা আগেবর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপি এরই মধ্যে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
১৬ ঘণ্টা আগেসংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত নয়। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে নয় বিএনপি।’
১৯ ঘণ্টা আগে