Ajker Patrika

চলতি মাসেই জবি ছাত্রদলের কমিটি

জবি প্রতিনিধি
চলতি মাসেই জবি ছাত্রদলের কমিটি

চলতি মাসেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নতুন কমিটির ঘোষণা আসছে। এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ডেকেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। 

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহদপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় সংসদের অধীন আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ও পাঁচটি কলেজ ইউনিটের কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। 

আজ সোমবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ডিসেম্বরে কমিটি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীদের আলোচনার জন্য ডেকেছি। তাঁদের সঙ্গে কমিটির বিষয়েও আলোচনা হবে। কারা কেন্দ্রে, কারা ইউনিভার্সিটিতে থাকবে সেটা নিয়েও সেখানে কথা হবে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠন করতে পারবো। 

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ জবি শাখা ছাত্রদলের কমিটি হয় ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। এতে রফিকুল ইসলাম রফিককে সভাপতি ও আসিফ রহমান বিপ্লবকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত রফিক-বিপ্লবের কমিটি বহাল ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-১০ আসনে ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ, প্রার্থী হওয়া নিয়ে গুঞ্জন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদীয় আসন সমঝোতা নিয়ে চলমান রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যেই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ঢাকা-১০ আসনের ভোটার হতে যাচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক আজ রোববার বিকেলে ধানমন্ডি থানার নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে ভোটার হওয়ার আনুষ্ঠানিক আবেদন করবেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ধানমন্ডি থানা নির্বাচন কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে তাঁর ভোটার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।

আসিফ মাহমুদের এই পদক্ষেপ ঢাকা-১০ নির্বাচনী আসন ঘিরে নির্বাচনকালীন জল্পনাকে আরও জোরালো করেছে। এই আসনটি ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান এবং হাজারীবাগ থানা নিয়ে গঠিত।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর উপজেলা) আসনের ভোটার। সেখান থেকে তিনি নির্বাচন করতে পারেন বলে আলোচনা শোনা যাচ্ছিল। তবে গুঞ্জন রয়েছে, যদি বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়, তবে তিনি সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। বিএনপি এই আসনে এখনো কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করায় গুঞ্জন আরও প্রবল হয়েছে।

অন্যদিকে, এই আসনে জামায়াতে ইসলামী ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জসীম উদ্দিন সরকারকে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন। অভ্যুত্থানের সময় তাঁর ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা এবং ৬ আগস্টের পরিবর্তে ৫ আগস্টে আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি ব্যাপকভাবে আলোচিত হন।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তিনি স্থান পান। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

কুমিল্লার ছেলে আসিফ মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ)। ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই ছাত্র অধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২৩ সালে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হিসেবেও নেতৃত্ব দেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সামনের সারির অধিকাংশ নেতা এই ছাত্রশক্তির অংশ ছিলেন। সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার আসনে এনসিপির মনোনয়ন ফরম নিলেন জোবায়ের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফেনী–১ আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন এহসানুল মাহবুব জোবায়ের। ছবি: সংগৃহীত
ফেনী–১ আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন এহসানুল মাহবুব জোবায়ের। ছবি: সংগৃহীত

খালেদা জিয়ার আসনে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এ ঘোষণার পরও আজ রোববার খালেদা জিয়ার ফেনী-০১ (পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া) আসনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং প্রচার ও প্রকাশনা সেলের সদস্য এহসানুল মাহবুব জোবায়েরকে মনোনয়নপত্র দিয়েছে দলটি। আজ রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এহসানুল মাহবুব জোবায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বগুড়ার আসনটি এনসিপির পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়ার প্রাথমিক কথা হয়েছে। আশা করি, ফেনী-১ আসন থেকে দল আমাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে।

এহসানুল মাহবুব জোবায়ের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি ফেনীর আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা থেকে ২০১৪ সালে মাধ্যমিক ও ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য।

এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাকের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অর্থ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লিও ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ফেনী জেলা রেড ক্রিসেন্টের আজীবন সদস্যসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠনে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি ফেনী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন।

পর্যটন খাতে উন্নয়নের জন্য ২০২৩-২৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের পর্যটন কর্পোরেশনের আওতায় ফেলোশিপ লাভ করেন। বর্তমানে তিনি বায়িং হাউজ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

তাঁর বাবা আমিনুল ইসলাম এবং মা রাশেদা আকতার দুজনেই শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত।

প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে এনসিপি। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম চলবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হোক: গোলাম পরওয়ার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৭
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ফাইল ছবি

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহারের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তিন দফা যৌক্তিক দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানান তিনি।

আজ রোববার জামায়াতের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।

বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তিন দফা দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে যৌক্তিকভাবে মেনে নিয়ে চলমান আন্দোলনের অবসান ঘটানো সরকারের দায়িত্ব। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলা, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহারের ঘটনায় শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অত্যন্ত বেদনাদায়ক। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক সমাজের প্রতি আরও সহনশীল আচরণ কাম্য।’

গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘শিক্ষকগণ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন, যা শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গোটা জাতিকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। অচিরেই বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে; এই সময় শিক্ষাব্যবস্থা অচল হয়ে পড়লে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষার ক্ষতি যেকোনো জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এ বিষয়টিও সম্মানিত শিক্ষক সমাজকে বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন।’

দ্রুত শিক্ষকদের আন্দোলনের অবসান ঘটিয়ে তাঁদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপির ভোটের সিদ্ধান্ত সরকারের পদক্ষেপ দেখে

অর্চি হক, ঢাকা 
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭: ২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না, তা পর্যালোচনা করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ জন্য দলটি জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে। সরকারের পদক্ষেপ দেখেই নির্বাচনে যাবে কি যাবে না সে সিদ্ধান্ত নেবে দলটি।

এনসিপির সাধারণ সভায় গত শুক্রবার রাতে দলের কেন্দ্রীয় সদস্যদের সামনে এসব বিষয়ে পর্যালোচনা তুলে ধরেন নেতারা। এই সভায় এনিসিপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে নাকি এককভাবে নির্বাচনে যাবে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়। তবে কোনো বিষয় নিয়েই এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসেনি দলটি। পরবর্তী সভায় এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন একাধিক নেতা।

সভায় অংশ নেওয়া একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সভায় মূলত দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া এনসিপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনে গেলে জোটবদ্ধ হয়ে যাবে, নাকি এককভাবে যাবে। নেতারা এই দুটো বিষয়ের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছেন।’

সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় দেড় শ সদস্য উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা ঢাকার বাইরে থাকায় অংশ নিতে পারেননি। তাই সভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী সভায় সব নেতার উপস্থিতিতে নির্বাচন বিষয়ক সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম দেশের বাইরে আছেন। আর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লায় রয়েছেন। এ ছাড়া অসুস্থতা, পারিবারিক সমস্যাসহ নানা কারণে নির্বাহী সদস্যদের বেশ কয়েকজন শুক্রবারের সভায় অংশ নিতে পারেননি। তাই এই সভায় বড় কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সভায় অংশ নেওয়া সদস্যদের একটি বড় অংশ জুলাই সনদের বাস্তবায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া এবং একক নির্বাচনের পক্ষে মত জানিয়েছেন। দলের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও মিডিয়া সেলের সদস্য খান মুহাম্মদ মুরসালীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সভায় বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। সবাই সবার মতামত তুলে ধরেছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পথ ধরে দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ হতে যাচ্ছে। আমরা জানিয়েছি, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া এই গণতান্ত্রিক উত্তরণ পূর্ণতা পাবে না। তাই আমরা সবকিছুর ঊর্ধ্বে এই সনদকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছি।’

এনসিপির দাবি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ নিয়ে যে সুপারিশ দিয়েছে, তা কোনোরূপ পরিবর্তন না করে সরকার বাস্তবায়নের আদেশ জারি করুক। সরকার এই আদেশ জারি না করলে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে না বলে মনে করে দলটির নেতারা। জুলাই সনদ আদেশ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচন করা হলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে বলেও তাঁদের আশঙ্কা।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা মনে করি, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ ছাড়া নির্বাচন করতে গেলে একধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। সেটা কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। তাই জুলাই সনদ নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ দেখে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত