নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন বিলম্বিত করাই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির আন্দোলনের লক্ষ্য—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি নিয়ে কথা বলছে এবং যেটার জন্য তারা আন্দোলন করছে। এর লক্ষ্য একটাই। সেই লক্ষ্য হচ্ছে, নির্বাচনকে বিলম্বিত করা, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা।’
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এই সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি এই দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তো আমরা স্পষ্ট করে বলেছি—জনগণই এই পদ্ধতি গ্রহণ করবে না। চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছু এ দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘একটা কথা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই—আমরা খুব দ্রুত অর্থাৎ যে প্রতিশ্রুতি আছে এই সরকারের যে, ছাব্বিশ সালের (২০২৬) ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নির্বাচন হবে। আমরা সেটাই দেখতে চাই। জনগণ নির্বাচন দেখতে চায়। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চায় এবং গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণ করতে চায়।’
নির্বাচন নিয়ে আশাবাদের কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা জানি যে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে যেকোনো দল জয়ী হতে পারে জনগণের ইচ্ছার ওপর দিয়ে। কিন্তু সেই দলকেই জনগণ বেছে নেবে, যে দল পরীক্ষিত, অতীতে যারা পরীক্ষা দিয়েছে অর্থাৎ সরকারে ছিল কাজ করেছে। যেই দল মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছে, যেই দল অন্ধকার থেকে আলোতে টেনে নিয়ে এসেছে।’
‘অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আছে’— এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমস্ত ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকে পরাজিত করবার শক্তি বাংলাদেশের মানুষের আছে।’
তিনি বলেন, ‘সামনের যে পরীক্ষা, সেই পরীক্ষা কঠিন পরীক্ষা। প্রতিদিন ইউটিউব, টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া—এগুলোতে বিভিন্ন রকম সত্য-মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমার বিশ্বাস যে, এখান থেকে সঠিক তথ্যটি বেছে নিতে সক্ষম, আমার বিশ্বাস এই দেশের মানুষ কখনো ভুল করে না। অনুরোধ করব—যে সুযোগ আমরা পেয়েছি বাংলাদেশকে নতুন করে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবার সেই সুযোগ যেন আমরা না হারাই।’
একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে—অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছু সংখ্যক মানুষ চেষ্টা করে আমাদের ১৯৭১ সালের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিতে। এটাও সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে, একাত্তরে যুদ্ধ হয়েছিল বলেই আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম, স্বাধীন হয়েছিলাম বলেই আজকে আমরা নতুন রাষ্ট্রের নতুন চিন্তা করতে পারছি, স্বাধীন হয়েছিলাম বলেই কিন্তু আমরা আজকে এই বাংলাদেশকে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করবার যে সংগ্রাম সেই সংগ্রামে অংশ নিতে পারছি। সেই কথাটি মাথায় রেখে আমরা যেন সামনের দিকে এগিয়ে যাই।’
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, গণ দলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদিকী বক্তব্য রাখেন।
নির্বাচন বিলম্বিত করাই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির আন্দোলনের লক্ষ্য—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতি নিয়ে কথা বলছে এবং যেটার জন্য তারা আন্দোলন করছে। এর লক্ষ্য একটাই। সেই লক্ষ্য হচ্ছে, নির্বাচনকে বিলম্বিত করা, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা।’
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এই সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি এই দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তো আমরা স্পষ্ট করে বলেছি—জনগণই এই পদ্ধতি গ্রহণ করবে না। চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছু এ দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘একটা কথা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই—আমরা খুব দ্রুত অর্থাৎ যে প্রতিশ্রুতি আছে এই সরকারের যে, ছাব্বিশ সালের (২০২৬) ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নির্বাচন হবে। আমরা সেটাই দেখতে চাই। জনগণ নির্বাচন দেখতে চায়। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চায় এবং গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণ করতে চায়।’
নির্বাচন নিয়ে আশাবাদের কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা জানি যে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে যেকোনো দল জয়ী হতে পারে জনগণের ইচ্ছার ওপর দিয়ে। কিন্তু সেই দলকেই জনগণ বেছে নেবে, যে দল পরীক্ষিত, অতীতে যারা পরীক্ষা দিয়েছে অর্থাৎ সরকারে ছিল কাজ করেছে। যেই দল মানুষকে আশার আলো দেখিয়েছে, যেই দল অন্ধকার থেকে আলোতে টেনে নিয়ে এসেছে।’
‘অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আছে’— এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমস্ত ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকে পরাজিত করবার শক্তি বাংলাদেশের মানুষের আছে।’
তিনি বলেন, ‘সামনের যে পরীক্ষা, সেই পরীক্ষা কঠিন পরীক্ষা। প্রতিদিন ইউটিউব, টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া—এগুলোতে বিভিন্ন রকম সত্য-মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমার বিশ্বাস যে, এখান থেকে সঠিক তথ্যটি বেছে নিতে সক্ষম, আমার বিশ্বাস এই দেশের মানুষ কখনো ভুল করে না। অনুরোধ করব—যে সুযোগ আমরা পেয়েছি বাংলাদেশকে নতুন করে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবার সেই সুযোগ যেন আমরা না হারাই।’
একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে—অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছু সংখ্যক মানুষ চেষ্টা করে আমাদের ১৯৭১ সালের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিতে। এটাও সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে, একাত্তরে যুদ্ধ হয়েছিল বলেই আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম, স্বাধীন হয়েছিলাম বলেই আজকে আমরা নতুন রাষ্ট্রের নতুন চিন্তা করতে পারছি, স্বাধীন হয়েছিলাম বলেই কিন্তু আমরা আজকে এই বাংলাদেশকে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করবার যে সংগ্রাম সেই সংগ্রামে অংশ নিতে পারছি। সেই কথাটি মাথায় রেখে আমরা যেন সামনের দিকে এগিয়ে যাই।’
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, গণ দলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদিকী বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যদি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন পিআর পদ্ধতি ছাড়া আগের নিয়মে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হন, আমরা বুঝব এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের মতামতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আপনারা একটি দলের আনুগত্য করছেন। এ দেশের মানুষ এটি হতে দেবে না।
৪ ঘণ্টা আগেবক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেগুম এবং খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বাহিনীর হেফাজতে নেওয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, একটি স্বচ্ছ বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট অপরাধীরা যথায
৭ ঘণ্টা আগেবিএনপি মনে করে, সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্য এই দেশের, এই মাটির গর্বিত সন্তান। তাই অধিকাংশ সেনাসদস্য নিশ্চিতভাবেই মন থেকে চান, সীমা লঙ্ঘনকারীরা বিচারের মুখোমুখি হোক, যাতে কোনো সরকার আর কখনো সেনাবাহিনীকে গুম-খুনের মতো অন্যায় নির্দেশ দিতে না পারে।
৯ ঘণ্টা আগে