আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের একটি অংশ এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে দলের শীর্ষ ও মধ্যম সারির অনেক নেতা এই দেশে অবস্থান করছেন। কলকাতার এক উপশহরের বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে একটি নতুন অস্থায়ী দফতর খুলে সেখান থেকেই চলছে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম।
কলকাতা লাগোয়া একটি ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত এই অস্থায়ী কার্যালয়। একটি বাণিজ্যিক ভবনের অষ্টম তলায় একটি বাণিজ্যিক অফিসের আদলে এই কক্ষটি সাজানো হয়েছে। কক্ষের ভেতরে বা বাইরে কোথাও আওয়ামী লীগ বা এর শীর্ষ নেতাদের কোনো ছবি বা সাইনবোর্ড নেই। এমনকি নিয়মিত ফাইলপত্রও সেখানে রাখা হয় না, যেন এর রাজনৈতিক পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন থাকে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, এটি একটি নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ এবং বৈঠকের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রায় ৩০-৩৫ জন নেতা এই কক্ষে একসঙ্গে বসতে পারেন। ছোট বৈঠকগুলো নেতাদের বাসাবাড়িতে হলেও, বড় বৈঠক বা সমাবেশগুলো হয় রেস্তোরাঁ বা ব্যাঙ্কোয়েট হল ভাড়া করে।
গত বছর আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলির অনেক শীর্ষ নেতা, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পেশাজীবী, সরকারি কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা কলকাতা বা এর আশেপাশে অবস্থান করছেন। বর্তমানে দ্বাদশ সংসদের প্রায় ৮০ জন সংসদ সদস্য এবং ১০-১২ জন সাবেক সংসদ সদস্য এখানে আছেন। তাঁদের কেউ সপরিবারে, আবার কেউ কয়েকজন মিলে একসঙ্গে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এই নেতাদের অনেকেই জানান, তাঁদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। ঢাকায় যারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন, এখন তাঁদের গণপরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে। সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘আমরা এখানে মানবেতর জীবন যাপন করছি না, তবে আমাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আমি একটি ফ্ল্যাটে আরও তিনজনের সঙ্গে থাকি এবং গণপরিবহনে যাতায়াত করি।’
ভারতের এই অস্থায়ী কার্যালয় থেকে দলের রাজনৈতিক দিক-নির্দেশনা দেওয়া হলেও, মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ মূলত ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হয়। বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রাম গ্রুপ খোলা হয়েছে। নিয়মিত অনলাইন লাইভ অনুষ্ঠানে দলের নেত্রী শেখ হাসিনাও মাঝে মাঝে যোগ দেন। সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের ব্যর্থতার কারণে মানুষ এখন শেখ হাসিনার আমলের কথা ভাবছে।’
ভারতে অবস্থানরত নেতাদের জীবনযাত্রা এবং দলের কার্যক্রমের আর্থিক সংস্থান কীভাবে হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে একাধিক নেতা জানান, দেশে ও বিদেশে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষীরাই তাঁদের অর্থ সাহায্য করছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাংগঠনিক ভাবে যে বিপর্যয় এসেছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন কাজ। যেসব নেতা-কর্মী দেশে বা বিদেশে আছেন, তাঁরাই এই দুঃসময়ে এগিয়ে আসছেন, অর্থ সাহায্য করছেন।’
নেতারা জানান, তাঁদের এই সংগ্রাম কতদিন চলবে, তা বলা কঠিন। তবে তাঁরা বিশ্বাস করেন, দেশের বাইরে থেকে দলকে সংগঠিত করে আবার স্বদেশে ফিরে যাওয়া সম্ভব। সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রবাসী সরকারের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘দেশে থাকলে হয় জেলে থাকতে হতো, মেরেও ফেলতে পারত। কিন্তু তাহলে আমরা কি রাজনৈতিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারতাম?’ তিনি আরও বলেন, ‘এই রাজনৈতিক লড়াই কোনো দিনক্ষণ ঠিক করে হয় না, আবার লড়াই ছাড়া উপায়ও নেই।’

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের একটি অংশ এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে দলের শীর্ষ ও মধ্যম সারির অনেক নেতা এই দেশে অবস্থান করছেন। কলকাতার এক উপশহরের বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে একটি নতুন অস্থায়ী দফতর খুলে সেখান থেকেই চলছে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম।
কলকাতা লাগোয়া একটি ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত এই অস্থায়ী কার্যালয়। একটি বাণিজ্যিক ভবনের অষ্টম তলায় একটি বাণিজ্যিক অফিসের আদলে এই কক্ষটি সাজানো হয়েছে। কক্ষের ভেতরে বা বাইরে কোথাও আওয়ামী লীগ বা এর শীর্ষ নেতাদের কোনো ছবি বা সাইনবোর্ড নেই। এমনকি নিয়মিত ফাইলপত্রও সেখানে রাখা হয় না, যেন এর রাজনৈতিক পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন থাকে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, এটি একটি নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ এবং বৈঠকের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রায় ৩০-৩৫ জন নেতা এই কক্ষে একসঙ্গে বসতে পারেন। ছোট বৈঠকগুলো নেতাদের বাসাবাড়িতে হলেও, বড় বৈঠক বা সমাবেশগুলো হয় রেস্তোরাঁ বা ব্যাঙ্কোয়েট হল ভাড়া করে।
গত বছর আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলির অনেক শীর্ষ নেতা, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পেশাজীবী, সরকারি কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা কলকাতা বা এর আশেপাশে অবস্থান করছেন। বর্তমানে দ্বাদশ সংসদের প্রায় ৮০ জন সংসদ সদস্য এবং ১০-১২ জন সাবেক সংসদ সদস্য এখানে আছেন। তাঁদের কেউ সপরিবারে, আবার কেউ কয়েকজন মিলে একসঙ্গে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এই নেতাদের অনেকেই জানান, তাঁদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। ঢাকায় যারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন, এখন তাঁদের গণপরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে। সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘আমরা এখানে মানবেতর জীবন যাপন করছি না, তবে আমাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আমি একটি ফ্ল্যাটে আরও তিনজনের সঙ্গে থাকি এবং গণপরিবহনে যাতায়াত করি।’
ভারতের এই অস্থায়ী কার্যালয় থেকে দলের রাজনৈতিক দিক-নির্দেশনা দেওয়া হলেও, মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ মূলত ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হয়। বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রাম গ্রুপ খোলা হয়েছে। নিয়মিত অনলাইন লাইভ অনুষ্ঠানে দলের নেত্রী শেখ হাসিনাও মাঝে মাঝে যোগ দেন। সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের ব্যর্থতার কারণে মানুষ এখন শেখ হাসিনার আমলের কথা ভাবছে।’
ভারতে অবস্থানরত নেতাদের জীবনযাত্রা এবং দলের কার্যক্রমের আর্থিক সংস্থান কীভাবে হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে একাধিক নেতা জানান, দেশে ও বিদেশে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষীরাই তাঁদের অর্থ সাহায্য করছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাংগঠনিক ভাবে যে বিপর্যয় এসেছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন কাজ। যেসব নেতা-কর্মী দেশে বা বিদেশে আছেন, তাঁরাই এই দুঃসময়ে এগিয়ে আসছেন, অর্থ সাহায্য করছেন।’
নেতারা জানান, তাঁদের এই সংগ্রাম কতদিন চলবে, তা বলা কঠিন। তবে তাঁরা বিশ্বাস করেন, দেশের বাইরে থেকে দলকে সংগঠিত করে আবার স্বদেশে ফিরে যাওয়া সম্ভব। সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রবাসী সরকারের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘দেশে থাকলে হয় জেলে থাকতে হতো, মেরেও ফেলতে পারত। কিন্তু তাহলে আমরা কি রাজনৈতিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারতাম?’ তিনি আরও বলেন, ‘এই রাজনৈতিক লড়াই কোনো দিনক্ষণ ঠিক করে হয় না, আবার লড়াই ছাড়া উপায়ও নেই।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের একটি অংশ এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে দলের শীর্ষ ও মধ্যম সারির অনেক নেতা এই দেশে অবস্থান করছেন। কলকাতার এক উপশহরের বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে একটি নতুন অস্থায়ী দফতর খুলে সেখান থেকেই চলছে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম।
কলকাতা লাগোয়া একটি ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত এই অস্থায়ী কার্যালয়। একটি বাণিজ্যিক ভবনের অষ্টম তলায় একটি বাণিজ্যিক অফিসের আদলে এই কক্ষটি সাজানো হয়েছে। কক্ষের ভেতরে বা বাইরে কোথাও আওয়ামী লীগ বা এর শীর্ষ নেতাদের কোনো ছবি বা সাইনবোর্ড নেই। এমনকি নিয়মিত ফাইলপত্রও সেখানে রাখা হয় না, যেন এর রাজনৈতিক পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন থাকে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, এটি একটি নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ এবং বৈঠকের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রায় ৩০-৩৫ জন নেতা এই কক্ষে একসঙ্গে বসতে পারেন। ছোট বৈঠকগুলো নেতাদের বাসাবাড়িতে হলেও, বড় বৈঠক বা সমাবেশগুলো হয় রেস্তোরাঁ বা ব্যাঙ্কোয়েট হল ভাড়া করে।
গত বছর আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলির অনেক শীর্ষ নেতা, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পেশাজীবী, সরকারি কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা কলকাতা বা এর আশেপাশে অবস্থান করছেন। বর্তমানে দ্বাদশ সংসদের প্রায় ৮০ জন সংসদ সদস্য এবং ১০-১২ জন সাবেক সংসদ সদস্য এখানে আছেন। তাঁদের কেউ সপরিবারে, আবার কেউ কয়েকজন মিলে একসঙ্গে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এই নেতাদের অনেকেই জানান, তাঁদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। ঢাকায় যারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন, এখন তাঁদের গণপরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে। সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘আমরা এখানে মানবেতর জীবন যাপন করছি না, তবে আমাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আমি একটি ফ্ল্যাটে আরও তিনজনের সঙ্গে থাকি এবং গণপরিবহনে যাতায়াত করি।’
ভারতের এই অস্থায়ী কার্যালয় থেকে দলের রাজনৈতিক দিক-নির্দেশনা দেওয়া হলেও, মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ মূলত ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হয়। বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রাম গ্রুপ খোলা হয়েছে। নিয়মিত অনলাইন লাইভ অনুষ্ঠানে দলের নেত্রী শেখ হাসিনাও মাঝে মাঝে যোগ দেন। সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের ব্যর্থতার কারণে মানুষ এখন শেখ হাসিনার আমলের কথা ভাবছে।’
ভারতে অবস্থানরত নেতাদের জীবনযাত্রা এবং দলের কার্যক্রমের আর্থিক সংস্থান কীভাবে হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে একাধিক নেতা জানান, দেশে ও বিদেশে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষীরাই তাঁদের অর্থ সাহায্য করছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাংগঠনিক ভাবে যে বিপর্যয় এসেছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন কাজ। যেসব নেতা-কর্মী দেশে বা বিদেশে আছেন, তাঁরাই এই দুঃসময়ে এগিয়ে আসছেন, অর্থ সাহায্য করছেন।’
নেতারা জানান, তাঁদের এই সংগ্রাম কতদিন চলবে, তা বলা কঠিন। তবে তাঁরা বিশ্বাস করেন, দেশের বাইরে থেকে দলকে সংগঠিত করে আবার স্বদেশে ফিরে যাওয়া সম্ভব। সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রবাসী সরকারের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘দেশে থাকলে হয় জেলে থাকতে হতো, মেরেও ফেলতে পারত। কিন্তু তাহলে আমরা কি রাজনৈতিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারতাম?’ তিনি আরও বলেন, ‘এই রাজনৈতিক লড়াই কোনো দিনক্ষণ ঠিক করে হয় না, আবার লড়াই ছাড়া উপায়ও নেই।’

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের একটি অংশ এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে দলের শীর্ষ ও মধ্যম সারির অনেক নেতা এই দেশে অবস্থান করছেন। কলকাতার এক উপশহরের বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে একটি নতুন অস্থায়ী দফতর খুলে সেখান থেকেই চলছে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম।
কলকাতা লাগোয়া একটি ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত এই অস্থায়ী কার্যালয়। একটি বাণিজ্যিক ভবনের অষ্টম তলায় একটি বাণিজ্যিক অফিসের আদলে এই কক্ষটি সাজানো হয়েছে। কক্ষের ভেতরে বা বাইরে কোথাও আওয়ামী লীগ বা এর শীর্ষ নেতাদের কোনো ছবি বা সাইনবোর্ড নেই। এমনকি নিয়মিত ফাইলপত্রও সেখানে রাখা হয় না, যেন এর রাজনৈতিক পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন থাকে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, এটি একটি নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ এবং বৈঠকের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রায় ৩০-৩৫ জন নেতা এই কক্ষে একসঙ্গে বসতে পারেন। ছোট বৈঠকগুলো নেতাদের বাসাবাড়িতে হলেও, বড় বৈঠক বা সমাবেশগুলো হয় রেস্তোরাঁ বা ব্যাঙ্কোয়েট হল ভাড়া করে।
গত বছর আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলির অনেক শীর্ষ নেতা, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পেশাজীবী, সরকারি কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা কলকাতা বা এর আশেপাশে অবস্থান করছেন। বর্তমানে দ্বাদশ সংসদের প্রায় ৮০ জন সংসদ সদস্য এবং ১০-১২ জন সাবেক সংসদ সদস্য এখানে আছেন। তাঁদের কেউ সপরিবারে, আবার কেউ কয়েকজন মিলে একসঙ্গে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এই নেতাদের অনেকেই জানান, তাঁদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। ঢাকায় যারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন, এখন তাঁদের গণপরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে। সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘আমরা এখানে মানবেতর জীবন যাপন করছি না, তবে আমাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আমি একটি ফ্ল্যাটে আরও তিনজনের সঙ্গে থাকি এবং গণপরিবহনে যাতায়াত করি।’
ভারতের এই অস্থায়ী কার্যালয় থেকে দলের রাজনৈতিক দিক-নির্দেশনা দেওয়া হলেও, মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ মূলত ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হয়। বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রাম গ্রুপ খোলা হয়েছে। নিয়মিত অনলাইন লাইভ অনুষ্ঠানে দলের নেত্রী শেখ হাসিনাও মাঝে মাঝে যোগ দেন। সেখানে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের ব্যর্থতার কারণে মানুষ এখন শেখ হাসিনার আমলের কথা ভাবছে।’
ভারতে অবস্থানরত নেতাদের জীবনযাত্রা এবং দলের কার্যক্রমের আর্থিক সংস্থান কীভাবে হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে একাধিক নেতা জানান, দেশে ও বিদেশে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষীরাই তাঁদের অর্থ সাহায্য করছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাংগঠনিক ভাবে যে বিপর্যয় এসেছে, তা থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন কাজ। যেসব নেতা-কর্মী দেশে বা বিদেশে আছেন, তাঁরাই এই দুঃসময়ে এগিয়ে আসছেন, অর্থ সাহায্য করছেন।’
নেতারা জানান, তাঁদের এই সংগ্রাম কতদিন চলবে, তা বলা কঠিন। তবে তাঁরা বিশ্বাস করেন, দেশের বাইরে থেকে দলকে সংগঠিত করে আবার স্বদেশে ফিরে যাওয়া সম্ভব। সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রবাসী সরকারের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘দেশে থাকলে হয় জেলে থাকতে হতো, মেরেও ফেলতে পারত। কিন্তু তাহলে আমরা কি রাজনৈতিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারতাম?’ তিনি আরও বলেন, ‘এই রাজনৈতিক লড়াই কোনো দিনক্ষণ ঠিক করে হয় না, আবার লড়াই ছাড়া উপায়ও নেই।’

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সোজা আঙুলে যদি ঘি না উঠে, আঙুল বাঁকা করব; ঘি আমাদের লাগবেই। সুতরাং যা বোঝাতে চাই বুঝে নিন। নো হাংকি পাংকি। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই।
১ ঘণ্টা আগে
যুগপৎ আন্দোলনের শরিক এই দলগুলোর পক্ষে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগামী ১১ তারিখ ঢাকায় আমরা মহাসমাবেশ করব। ১১ তারিখ ঢাকায় লক্ষ লক্ষ জনতার উপস্থিতির আগে আমাদের পাঁচ দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
২ ঘণ্টা আগে
গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিএনপি সংস্কারকে বারংবার বাধাগ্রস্ত করেছে। তারা রাষ্ট্র সংস্কার চায় না, সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চায় না। তাদের সিনিয়র নেতাদের কথাবার্তায় এটা বারংবার স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পরে দেশকে আর কোনো অবস্থায় আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে দেওয়া যাবে না। তাই সংস্কার করতেই হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা করে গণভোটের আয়োজন করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সোজা আঙুলে যদি ঘি না উঠে, আঙুল বাঁকা করব; ঘি আমাদের লাগবেই। সুতরাং যা বোঝাতে চাই বুঝে নিন। নো হাংকি পাংকি। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও গণভোট করতে আইনি কোনো বাধা নেই।’
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঁচ দফা দাবিতে আট দলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার আগে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকার চালাকি শুরু করেছে মন্তব্য করে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আপনাদের চালাকি আমরা বুঝি। আপনাদের চালাকি করলেও আমরাও প্রতিবাদে দাবি আদায়ের পন্থা আবিষ্কার করব। আমরা এখনো নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে আছি। দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে।’
আরও বলেন, ‘গণভোট দিতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পরেও গণভোটের সময় থাকবে। একদিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয় তা দিয়ে প্রতিদিন একটা গণভোট দেওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাজপথে এসেছি। প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেব। জুলাইয়ের অর্জন সনদকে ব্যর্থ হতে দেব না।’
সময়ক্ষেপণ সরকারকে বিপদে ফেলবে বলে মন্তব্য করেন নায়েবে আমির।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে তার ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার জন্য বললেই হবে না। বড় দলকে বলব, আপনারা আলোচনার জন্য কমিটি গঠন করুন। দ্রুত বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য আসুন।’
নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দফা দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করেন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের নেতা-কর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পল্টন থেকে মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত আসেন ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। পরে সেখান থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে।
জামায়াত ছাড়া যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
তাদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে— জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর চলতি মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সোজা আঙুলে যদি ঘি না উঠে, আঙুল বাঁকা করব; ঘি আমাদের লাগবেই। সুতরাং যা বোঝাতে চাই বুঝে নিন। নো হাংকি পাংকি। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও গণভোট করতে আইনি কোনো বাধা নেই।’
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঁচ দফা দাবিতে আট দলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার আগে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকার চালাকি শুরু করেছে মন্তব্য করে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আপনাদের চালাকি আমরা বুঝি। আপনাদের চালাকি করলেও আমরাও প্রতিবাদে দাবি আদায়ের পন্থা আবিষ্কার করব। আমরা এখনো নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে আছি। দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে।’
আরও বলেন, ‘গণভোট দিতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পরেও গণভোটের সময় থাকবে। একদিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয় তা দিয়ে প্রতিদিন একটা গণভোট দেওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাজপথে এসেছি। প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেব। জুলাইয়ের অর্জন সনদকে ব্যর্থ হতে দেব না।’
সময়ক্ষেপণ সরকারকে বিপদে ফেলবে বলে মন্তব্য করেন নায়েবে আমির।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে তার ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার জন্য বললেই হবে না। বড় দলকে বলব, আপনারা আলোচনার জন্য কমিটি গঠন করুন। দ্রুত বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য আসুন।’
নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দফা দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করেন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের নেতা-কর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পল্টন থেকে মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত আসেন ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। পরে সেখান থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে।
জামায়াত ছাড়া যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
তাদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে— জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর চলতি মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের একটি অংশ এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে দলের শীর্ষ ও মধ্যম সারির অনেক নেতা এই দেশে অবস্থান করছেন।
০৮ আগস্ট ২০২৫
যুগপৎ আন্দোলনের শরিক এই দলগুলোর পক্ষে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগামী ১১ তারিখ ঢাকায় আমরা মহাসমাবেশ করব। ১১ তারিখ ঢাকায় লক্ষ লক্ষ জনতার উপস্থিতির আগে আমাদের পাঁচ দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
২ ঘণ্টা আগে
গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিএনপি সংস্কারকে বারংবার বাধাগ্রস্ত করেছে। তারা রাষ্ট্র সংস্কার চায় না, সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চায় না। তাদের সিনিয়র নেতাদের কথাবার্তায় এটা বারংবার স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পরে দেশকে আর কোনো অবস্থায় আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে দেওয়া যাবে না। তাই সংস্কার করতেই হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা করে গণভোটের আয়োজন করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনের আগে গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত আটটি দল।
যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর পক্ষে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগামী ১১ তারিখ ঢাকায় আমরা মহাসমাবেশ করব। ১১ তারিখ ঢাকায় লক্ষ লক্ষ জনতার উপস্থিতির আগে আমাদের পাঁচ দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন। অন্যথায় সেদিন ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান শেষে রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দফা দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করেন জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের নেতা-কর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পল্টন থেকে মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত আসেন তাঁরা। পরে সেখান থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে।
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার বিষয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক স্মারকলিপি গ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল, মহাপরিচালককে স্মারকলিপি দেব না। আমাদের দাবি ছিল, প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেব। পরে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে আমাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা আট দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আদিলুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। স্মারকলিপি পড়ে শুনিয়েছি। শিল্প উপদেষ্টা আমাদের দাবির সঙ্গে দ্বিমত করেননি। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের পাঁচ দাবি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।’
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘শিল্প উপদেষ্টা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক আলোচনার কথা।’
এ সময় জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিসসহ আট দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ের পর আজকের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন গোলাম পরওয়ার।
জামায়াত ছাড়া যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
তাদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর চলতি মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

নির্বাচনের আগে গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত আটটি দল।
যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর পক্ষে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগামী ১১ তারিখ ঢাকায় আমরা মহাসমাবেশ করব। ১১ তারিখ ঢাকায় লক্ষ লক্ষ জনতার উপস্থিতির আগে আমাদের পাঁচ দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন। অন্যথায় সেদিন ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান শেষে রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দফা দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করেন জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের নেতা-কর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পল্টন থেকে মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত আসেন তাঁরা। পরে সেখান থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে।
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার বিষয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক স্মারকলিপি গ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল, মহাপরিচালককে স্মারকলিপি দেব না। আমাদের দাবি ছিল, প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেব। পরে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে আমাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা আট দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আদিলুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। স্মারকলিপি পড়ে শুনিয়েছি। শিল্প উপদেষ্টা আমাদের দাবির সঙ্গে দ্বিমত করেননি। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের পাঁচ দাবি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।’
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘শিল্প উপদেষ্টা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক আলোচনার কথা।’
এ সময় জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিসসহ আট দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ের পর আজকের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন গোলাম পরওয়ার।
জামায়াত ছাড়া যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
তাদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর চলতি মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের একটি অংশ এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে দলের শীর্ষ ও মধ্যম সারির অনেক নেতা এই দেশে অবস্থান করছেন।
০৮ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সোজা আঙুলে যদি ঘি না উঠে, আঙুল বাঁকা করব; ঘি আমাদের লাগবেই। সুতরাং যা বোঝাতে চাই বুঝে নিন। নো হাংকি পাংকি। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই।
১ ঘণ্টা আগে
গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিএনপি সংস্কারকে বারংবার বাধাগ্রস্ত করেছে। তারা রাষ্ট্র সংস্কার চায় না, সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চায় না। তাদের সিনিয়র নেতাদের কথাবার্তায় এটা বারংবার স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পরে দেশকে আর কোনো অবস্থায় আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে দেওয়া যাবে না। তাই সংস্কার করতেই হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা করে গণভোটের আয়োজন করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিগগিরই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘দ্রুতই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট এক সঙ্গে হবে না। দুইটার তফসিলও এক সঙ্গে হবে না। আমরা নভেম্বরে গণভোটের বিষয় বারংবার বলেছি। যদি নভেম্বর গণভোট করতে না পারেন তাহলে যেদিনই দেন গণভোট আগে হতে হবে। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না, দুই মাস পরে করেন। কিন্তু গণভোট ছাড়া কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না। রাষ্ট্র সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে পাঁচ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদানের আগে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘বিএনপি সংস্কারকে বারংবার বাধাগ্রস্ত করেছে। তারা রাষ্ট্র সংস্কার চায় না, সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চায় না। তাদের সিনিয়র নেতাদের কথাবার্তায় এটা বারংবার স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পরে দেশকে আর কোনো অবস্থায় আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে দেওয়া যাবে না। তাই সংস্কার করতেই হবে। সে জন্য অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ দিতে হবে এবং জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নিশ্চিত করতে তফসিলের আগেই গণভোট দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদের রাজপথে নামতে হবে, দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে হবে তা আমরা ভাবি নাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের বাধ্য করেছে। তাদের তিনটা অঙ্গীকার ছিল। আমরা বলব, সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করুন। সংস্কারের জন্য কমিশন হয়েছে, ঐকমত্য কমিশন হয়েছে, জুলাই সনদ হয়েছে, সনদে সাক্ষর হয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছে, সংস্কার বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়েও সকলে একমত হয়েছে; এখন গড়িমসি কীসের? আগামী ১০ তারিখের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি না হলে আমরা ঢাকায় লোকে লোকারণ্য করে সমাবেশ করব ইনশা আল্লাহ।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা আরও বলেন, ‘যারা বলে সংস্কার চায় না, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন? যারা দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, যারা পুরোনো বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখতে চায়, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন? এটা তামাশা।’

শিগগিরই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘দ্রুতই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট এক সঙ্গে হবে না। দুইটার তফসিলও এক সঙ্গে হবে না। আমরা নভেম্বরে গণভোটের বিষয় বারংবার বলেছি। যদি নভেম্বর গণভোট করতে না পারেন তাহলে যেদিনই দেন গণভোট আগে হতে হবে। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না, দুই মাস পরে করেন। কিন্তু গণভোট ছাড়া কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না। রাষ্ট্র সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে পাঁচ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদানের আগে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘বিএনপি সংস্কারকে বারংবার বাধাগ্রস্ত করেছে। তারা রাষ্ট্র সংস্কার চায় না, সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চায় না। তাদের সিনিয়র নেতাদের কথাবার্তায় এটা বারংবার স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পরে দেশকে আর কোনো অবস্থায় আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে দেওয়া যাবে না। তাই সংস্কার করতেই হবে। সে জন্য অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ দিতে হবে এবং জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নিশ্চিত করতে তফসিলের আগেই গণভোট দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদের রাজপথে নামতে হবে, দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে হবে তা আমরা ভাবি নাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের বাধ্য করেছে। তাদের তিনটা অঙ্গীকার ছিল। আমরা বলব, সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করুন। সংস্কারের জন্য কমিশন হয়েছে, ঐকমত্য কমিশন হয়েছে, জুলাই সনদ হয়েছে, সনদে সাক্ষর হয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছে, সংস্কার বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়েও সকলে একমত হয়েছে; এখন গড়িমসি কীসের? আগামী ১০ তারিখের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি না হলে আমরা ঢাকায় লোকে লোকারণ্য করে সমাবেশ করব ইনশা আল্লাহ।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা আরও বলেন, ‘যারা বলে সংস্কার চায় না, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন? যারা দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, যারা পুরোনো বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখতে চায়, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন? এটা তামাশা।’

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের একটি অংশ এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে দলের শীর্ষ ও মধ্যম সারির অনেক নেতা এই দেশে অবস্থান করছেন।
০৮ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সোজা আঙুলে যদি ঘি না উঠে, আঙুল বাঁকা করব; ঘি আমাদের লাগবেই। সুতরাং যা বোঝাতে চাই বুঝে নিন। নো হাংকি পাংকি। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই।
১ ঘণ্টা আগে
যুগপৎ আন্দোলনের শরিক এই দলগুলোর পক্ষে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগামী ১১ তারিখ ঢাকায় আমরা মহাসমাবেশ করব। ১১ তারিখ ঢাকায় লক্ষ লক্ষ জনতার উপস্থিতির আগে আমাদের পাঁচ দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
২ ঘণ্টা আগে
দেশে এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা করে গণভোটের আয়োজন করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা করে গণভোটের আয়োজন করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঁচ দফা দাবিতে আট দলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার আগে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আরও বলেন, ‘গণভোট দিতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও গণভোটের সময় থাকবে। এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা গণভোট দেওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাজপথে এসেছি। প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেব। জুলাইয়ের অর্জন সনদকে ব্যর্থ হতে দেব না।’
সরকার চালাকি শুরু করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা চালাকি করলেও আমরা আমাদের দাবি আদায় করব, দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে।’
সময়ক্ষেপণ সরকারকে বিপদে ফেলবে বলে মন্তব্য করেন নায়েবে আমির।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে তার ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার জন্য বললেই হবে না। বড় দলকে বলব, আপনারা আলোচনার জন্য কমিটি গঠন করুন। দ্রুত বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য আসুন।’
আরও খবর পড়ুন:

দেশে এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা করে গণভোটের আয়োজন করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঁচ দফা দাবিতে আট দলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার আগে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আরও বলেন, ‘গণভোট দিতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও গণভোটের সময় থাকবে। এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা গণভোট দেওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাজপথে এসেছি। প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেব। জুলাইয়ের অর্জন সনদকে ব্যর্থ হতে দেব না।’
সরকার চালাকি শুরু করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা চালাকি করলেও আমরা আমাদের দাবি আদায় করব, দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে।’
সময়ক্ষেপণ সরকারকে বিপদে ফেলবে বলে মন্তব্য করেন নায়েবে আমির।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে তার ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার জন্য বললেই হবে না। বড় দলকে বলব, আপনারা আলোচনার জন্য কমিটি গঠন করুন। দ্রুত বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য আসুন।’
আরও খবর পড়ুন:

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের একটি অংশ এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে দলের শীর্ষ ও মধ্যম সারির অনেক নেতা এই দেশে অবস্থান করছেন।
০৮ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সোজা আঙুলে যদি ঘি না উঠে, আঙুল বাঁকা করব; ঘি আমাদের লাগবেই। সুতরাং যা বোঝাতে চাই বুঝে নিন। নো হাংকি পাংকি। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই।
১ ঘণ্টা আগে
যুগপৎ আন্দোলনের শরিক এই দলগুলোর পক্ষে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগামী ১১ তারিখ ঢাকায় আমরা মহাসমাবেশ করব। ১১ তারিখ ঢাকায় লক্ষ লক্ষ জনতার উপস্থিতির আগে আমাদের পাঁচ দাবির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
২ ঘণ্টা আগে
গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিএনপি সংস্কারকে বারংবার বাধাগ্রস্ত করেছে। তারা রাষ্ট্র সংস্কার চায় না, সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চায় না। তাদের সিনিয়র নেতাদের কথাবার্তায় এটা বারংবার স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পরে দেশকে আর কোনো অবস্থায় আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে দেওয়া যাবে না। তাই সংস্কার করতেই হবে।
৩ ঘণ্টা আগে