নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও এই নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়ে শুরু থেকেই আন্দোলনের মাঠে সক্রিয় ছিল গণতন্ত্র মঞ্চ। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেলেও লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলে ঐক্যবদ্ধ হোন এবং তামাশার নির্বাচন, জনগণের প্রত্যাখ্যান ও চলমান আন্দোলন’ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা তো আন্দোলনেই আছি। ২৮ অক্টোবরের পর থেকেই আমরা সব আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছি। আমরা লাগাতারভাবে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আমরা এখনো পর্যন্ত যুগপৎ আন্দোলনে আছি। আমরা যুগপৎ আন্দোলন কনটিনিউ করতে চাই। বাংলাদেশে যে তথাকথিত নির্বাচন হয়েছে সেটির ব্যাপারে আমেরিকাসহ বেশির ভাগ দেশই বলেছে ৭ তারিখের এটা কোনো নির্বাচন হয়নি। এটা একটা জাল নির্বাচন হয়েছে, ভুয়া নির্বাচন হয়েছে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের এখানকার বিচিত্র রাজনীতির কারণে, বিচিত্র রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে এ রকম হয়েছে যে—আমরা একটা পয়েন্টে কমন আছি কিন্তু তারপরও আমরা একসঙ্গে একটা মঞ্চে আসতে পারছি না। কারণ এটাতে আবার অন্য বিষয়গুলো যুক্ত করে জটিলতা তৈরি করতে পারে। এ জন্য আমরা যুগপতের কথা বলেছি এবং এটি পরীক্ষিত একটা বিষয়, যেটাতে সবাইকে নামানো গেছে।’
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা ও লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
বিরোধী দল নির্বাচনের ট্রেন মিস করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে সাকি বলেন, ‘এই ট্রেন বাংলাদেশ ধ্বংসের ট্রেন। এই ট্রেন মিস করে বাংলাদেশের মানুষ গৌরববোধ করছেন। মানুষ মনে করে এই ট্রেনকে মিস করে মানুষ দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। ৭ তারিখে যে নির্বাচন হয়েছে সেটি কোনো নির্বাচন নয়। এটা নির্বাচনের নামে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার আরেকটি তৎপরতা। একটা ভয়ংকর প্রহসন এবং তামাশা মানুষের সঙ্গে করা হয়েছে।’
বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনকে ধিক্কার জানান জোনায়েদ সাকি। তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজ দলের গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে যেভাবে প্রার্থী দিয়েছে, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগকে কোনো প্রশ্ন পর্যন্ত করেনি। এ জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে ধিক্কার জানাই।’
এবারের নির্বাচনে ৬ থেকে ৭ ভাগের বেশি ভোট পড়েনি। সেটাকে ৪০ ভাগ ভোট দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন সত্য আড়াল করেছে—লিখিত বক্তব্যে এমনটা উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, সারা দিন ভোটের হার বিবেচনায় এক ঘণ্টায় ১৩-১৪% ভোট বেড়ে যাওয়া রীতিমতো ম্যাজিক। মজার ব্যাপার এই ৪০ পারসেন্ট ভোট ঘোষণার পরেও নির্বাচন কমিশনের ভোট মনিটর আরও অন্তত চার সাড়ে চার ঘণ্টায় ২৮ ভাগ ভোট দেখিয়ে গেছে। অর্থাৎ তারা এমনকি সিল মেরে সেই সংখ্যা দেখানোর প্রয়োজন বোধ করেনি। একটা মনগড়া সংখ্যা বলে দিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা চূড়ান্ত করেছে। আসলে এই ২৮ ভাগ ৪০ ভাগ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করার মাধ্যমে তারা জনগণের দৃষ্টিতে যে ৫-৭ ভাগের বেশি ভোটার চোখে পড়েনি সেই সত্যকে আড়াল করছে।’
এমতাবস্থায় এ দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, জনগণের ভোটে নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে দাবি তোলা হয়েছিল, জনগণ সেটার পক্ষে তাঁদের রায় জানিয়ে দিয়েছেন। এমনটা উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে, এই ডামি নির্বাচন ও তার ফলাফলকে বাতিল করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য আমরা আহ্বান জানাই। আমরা আহ্বান জানাই দেশকে একটি দীর্ঘস্থায়ী সংকটের দিকে ঠেলে না দিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। জনগণের গণরায় মেনে নিন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক ফরিদুল হকসহ অনেকে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও এই নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়ে শুরু থেকেই আন্দোলনের মাঠে সক্রিয় ছিল গণতন্ত্র মঞ্চ। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেলেও লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলে ঐক্যবদ্ধ হোন এবং তামাশার নির্বাচন, জনগণের প্রত্যাখ্যান ও চলমান আন্দোলন’ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা তো আন্দোলনেই আছি। ২৮ অক্টোবরের পর থেকেই আমরা সব আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছি। আমরা লাগাতারভাবে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আমরা এখনো পর্যন্ত যুগপৎ আন্দোলনে আছি। আমরা যুগপৎ আন্দোলন কনটিনিউ করতে চাই। বাংলাদেশে যে তথাকথিত নির্বাচন হয়েছে সেটির ব্যাপারে আমেরিকাসহ বেশির ভাগ দেশই বলেছে ৭ তারিখের এটা কোনো নির্বাচন হয়নি। এটা একটা জাল নির্বাচন হয়েছে, ভুয়া নির্বাচন হয়েছে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের এখানকার বিচিত্র রাজনীতির কারণে, বিচিত্র রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে এ রকম হয়েছে যে—আমরা একটা পয়েন্টে কমন আছি কিন্তু তারপরও আমরা একসঙ্গে একটা মঞ্চে আসতে পারছি না। কারণ এটাতে আবার অন্য বিষয়গুলো যুক্ত করে জটিলতা তৈরি করতে পারে। এ জন্য আমরা যুগপতের কথা বলেছি এবং এটি পরীক্ষিত একটা বিষয়, যেটাতে সবাইকে নামানো গেছে।’
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা ও লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
বিরোধী দল নির্বাচনের ট্রেন মিস করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে সাকি বলেন, ‘এই ট্রেন বাংলাদেশ ধ্বংসের ট্রেন। এই ট্রেন মিস করে বাংলাদেশের মানুষ গৌরববোধ করছেন। মানুষ মনে করে এই ট্রেনকে মিস করে মানুষ দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। ৭ তারিখে যে নির্বাচন হয়েছে সেটি কোনো নির্বাচন নয়। এটা নির্বাচনের নামে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার আরেকটি তৎপরতা। একটা ভয়ংকর প্রহসন এবং তামাশা মানুষের সঙ্গে করা হয়েছে।’
বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনকে ধিক্কার জানান জোনায়েদ সাকি। তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজ দলের গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে যেভাবে প্রার্থী দিয়েছে, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগকে কোনো প্রশ্ন পর্যন্ত করেনি। এ জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে ধিক্কার জানাই।’
এবারের নির্বাচনে ৬ থেকে ৭ ভাগের বেশি ভোট পড়েনি। সেটাকে ৪০ ভাগ ভোট দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন সত্য আড়াল করেছে—লিখিত বক্তব্যে এমনটা উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, সারা দিন ভোটের হার বিবেচনায় এক ঘণ্টায় ১৩-১৪% ভোট বেড়ে যাওয়া রীতিমতো ম্যাজিক। মজার ব্যাপার এই ৪০ পারসেন্ট ভোট ঘোষণার পরেও নির্বাচন কমিশনের ভোট মনিটর আরও অন্তত চার সাড়ে চার ঘণ্টায় ২৮ ভাগ ভোট দেখিয়ে গেছে। অর্থাৎ তারা এমনকি সিল মেরে সেই সংখ্যা দেখানোর প্রয়োজন বোধ করেনি। একটা মনগড়া সংখ্যা বলে দিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা চূড়ান্ত করেছে। আসলে এই ২৮ ভাগ ৪০ ভাগ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করার মাধ্যমে তারা জনগণের দৃষ্টিতে যে ৫-৭ ভাগের বেশি ভোটার চোখে পড়েনি সেই সত্যকে আড়াল করছে।’
এমতাবস্থায় এ দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, জনগণের ভোটে নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে দাবি তোলা হয়েছিল, জনগণ সেটার পক্ষে তাঁদের রায় জানিয়ে দিয়েছেন। এমনটা উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে, এই ডামি নির্বাচন ও তার ফলাফলকে বাতিল করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য আমরা আহ্বান জানাই। আমরা আহ্বান জানাই দেশকে একটি দীর্ঘস্থায়ী সংকটের দিকে ঠেলে না দিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। জনগণের গণরায় মেনে নিন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক ফরিদুল হকসহ অনেকে।
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১ ঘণ্টা আগেভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
৩ ঘণ্টা আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
৫ ঘণ্টা আগে