সাখাওয়াত ফাহাদ ও সিদ্দিক ফারুক, ঢাকা

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন বিষয়টি দৃশ্যত নেতিবাচকভাবে দেখছে। তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে অগ্রাধিকার পাওয়া ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্র রাজনীতির প্রশ্নে ছাত্রসংগঠনগুলো কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বাধীন অংশ জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের ‘লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। ‘অঙ্গ’, ‘সহযোগী’, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রত্যয়ে চিহ্নিত হলেও দেশের মূলধারার সব ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবী সংগঠনই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। রাজনৈতিক দলগুলোর মূল রাজনৈতিক আদর্শ, কর্মসূচি ও কার্যকলাপ বিনা প্রশ্নে অনুসরণের কারণে ছাত্রসংগঠনগুলোর এ রাজনীতি বেশ কিছুদিন ধরেই ‘লেজুড়বৃত্তি’ হিসেবে সমালোচিত হয়ে আসছে। তবে ছাত্রসংগঠনগুলো এই বিশেষ রাজনৈতিক আবহে কথিত ‘লেজুড়বৃত্তি’ কার্যকলাপ বন্ধের সাম্প্রতিক প্রচারণাকে পছন্দ করছে না। কারণ তারা একে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ মনে করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সংগঠনগুলোর মতে, এ প্রক্রিয়া ছাত্ররাজনীতিসহ দেশের সামগ্রিক রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর।
গত মাসের শেষে সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে সাড়া দেয়নি ছাত্রদলসহ উল্লেখযোগ্য ছাত্রসংগঠনগুলো। তাদের নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার কথা থাকলেও শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরই এতে নেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিদের সভায়ও ডাক পাননি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ও সংশ্লিষ্টরা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে, তা সব ছাত্রসংগঠনের সিদ্ধান্ত বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনার নামে কেবল কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা এখন একটি পক্ষের সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব সংগঠনকে বাদ দিয়ে অগণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য নষ্ট হচ্ছে।
ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি) সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, সব ক্ষেত্রে নিজেদের গোষ্ঠীগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যান্য ছাত্রসংগঠনকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধীদের বাদ দিয়েই পাল্টা ঐক্য গড়তে আলোচনা চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলকেন্দ্রিক ছাত্রসংগঠনগুলো। গত বুধবার অনলাইনে এবং বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাঁটাবনের একটি রেস্তোরাঁয় বৈঠক করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ ২৮টি ছাত্রসংগঠন। এ বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বাদ দিয়ে অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর ঐক্য সৃষ্টি চেষ্টা চলছে। আগামীতে বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে ‘যুগপৎ’ অথবা ‘ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের’ মাধ্যমে এ সংগঠনগুলো কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারে। চলতি সপ্তাহেই ছাত্রসংগঠনগুলোর আবারও বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এদিকে এমন প্রেক্ষাপটে আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই শিক্ষায়তনগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার কিছু সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর এ দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি জানান, মতবিনিময়ে উপস্থিত ছাত্রসংগঠনগুলো চায় আগামী জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হোক।
মূলধারার ছাত্রসংগঠনগুলো বলছে, বুধবারের ওই মতবিনিময়ে তাদের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। উপস্থিত কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রশিবির ছাড়া আর কোনো মূলধারার ছাত্রসংগঠন সেখানে ছিল না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ সভায় ৩০টি সংগঠনের উপস্থিত থাকার কথা বলেছেন। তবে অন্যদের দাবি, মতবিনিময়ে এতগুলো সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন না। যেসব সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন, সেগুলোর অধিকাংশই অভ্যুত্থানের পর গঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাত আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ছাত্র সংসদকেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতি চাই। আমরা “মাদার পার্টির” (মূল রাজনৈতিক দল) কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চাই না। কারণ তা হলে ক্ষমতা কাঠামোকে প্রশ্ন করা যায় না। ছাত্ররাজনীতি এমন হতে হবে, যেটা ক্ষমতা কাঠামোকে প্রশ্ন করতে পারে। মাদার পার্টির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের রাজনীতি হলে গেস্টরুম-গণরুমভিত্তিক রাজনীতি চালু হবে।’
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ছিবগাতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী দিনে ছাত্ররাজনীতি দলীয় অ্যাজেন্ডার ভিত্তিতে নয়; বরং ছাত্রদের অধিকারের ভিত্তিতে পরিচালিত হতে হবে। ছাত্ররাজনীতি হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে। তাঁদের একাডেমিক বিষয়ের যেন ক্ষতি না হয়, সে রকম কাজই হবে ছাত্ররাজনীতি।’
ছাত্রনেতাদের মধ্যে এ বিভক্তি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা ঐক্যের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এড়িয়ে ভারত, আওয়ামী লীগ, সংস্কারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ছাত্রসংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনীতি বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রদের মধ্যে ঐক্য বজায় না থাকলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। নানা পক্ষ সুযোগ নেবে। নানা বিষয়ে মতপার্থক্য থাকবে, তবে তা বড় করে না দেখে এখন প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ থাকা।’

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন বিষয়টি দৃশ্যত নেতিবাচকভাবে দেখছে। তাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে অগ্রাধিকার পাওয়া ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্র রাজনীতির প্রশ্নে ছাত্রসংগঠনগুলো কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বাধীন অংশ জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলের ‘লেজুড়বৃত্তিক’ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। ‘অঙ্গ’, ‘সহযোগী’, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রত্যয়ে চিহ্নিত হলেও দেশের মূলধারার সব ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবী সংগঠনই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। রাজনৈতিক দলগুলোর মূল রাজনৈতিক আদর্শ, কর্মসূচি ও কার্যকলাপ বিনা প্রশ্নে অনুসরণের কারণে ছাত্রসংগঠনগুলোর এ রাজনীতি বেশ কিছুদিন ধরেই ‘লেজুড়বৃত্তি’ হিসেবে সমালোচিত হয়ে আসছে। তবে ছাত্রসংগঠনগুলো এই বিশেষ রাজনৈতিক আবহে কথিত ‘লেজুড়বৃত্তি’ কার্যকলাপ বন্ধের সাম্প্রতিক প্রচারণাকে পছন্দ করছে না। কারণ তারা একে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ মনে করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সংগঠনগুলোর মতে, এ প্রক্রিয়া ছাত্ররাজনীতিসহ দেশের সামগ্রিক রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর।
গত মাসের শেষে সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে সাড়া দেয়নি ছাত্রদলসহ উল্লেখযোগ্য ছাত্রসংগঠনগুলো। তাদের নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার কথা থাকলেও শুধু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তাঁদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরই এতে নেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিদের সভায়ও ডাক পাননি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ও সংশ্লিষ্টরা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে, তা সব ছাত্রসংগঠনের সিদ্ধান্ত বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনার নামে কেবল কয়েকজন সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এতে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যে অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা এখন একটি পক্ষের সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব সংগঠনকে বাদ দিয়ে অগণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য নষ্ট হচ্ছে।
ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি) সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, সব ক্ষেত্রে নিজেদের গোষ্ঠীগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্যান্য ছাত্রসংগঠনকে দূরে ঠেলে দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধীদের বাদ দিয়েই পাল্টা ঐক্য গড়তে আলোচনা চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলকেন্দ্রিক ছাত্রসংগঠনগুলো। গত বুধবার অনলাইনে এবং বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাঁটাবনের একটি রেস্তোরাঁয় বৈঠক করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ ২৮টি ছাত্রসংগঠন। এ বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বাদ দিয়ে অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর ঐক্য সৃষ্টি চেষ্টা চলছে। আগামীতে বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে ‘যুগপৎ’ অথবা ‘ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের’ মাধ্যমে এ সংগঠনগুলো কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারে। চলতি সপ্তাহেই ছাত্রসংগঠনগুলোর আবারও বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এদিকে এমন প্রেক্ষাপটে আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই শিক্ষায়তনগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার কিছু সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর এ দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি জানান, মতবিনিময়ে উপস্থিত ছাত্রসংগঠনগুলো চায় আগামী জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হোক।
মূলধারার ছাত্রসংগঠনগুলো বলছে, বুধবারের ওই মতবিনিময়ে তাদের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। উপস্থিত কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রশিবির ছাড়া আর কোনো মূলধারার ছাত্রসংগঠন সেখানে ছিল না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ সভায় ৩০টি সংগঠনের উপস্থিত থাকার কথা বলেছেন। তবে অন্যদের দাবি, মতবিনিময়ে এতগুলো সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন না। যেসব সংগঠনের প্রতিনিধি ছিলেন, সেগুলোর অধিকাংশই অভ্যুত্থানের পর গঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাত আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ছাত্র সংসদকেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতি চাই। আমরা “মাদার পার্টির” (মূল রাজনৈতিক দল) কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চাই না। কারণ তা হলে ক্ষমতা কাঠামোকে প্রশ্ন করা যায় না। ছাত্ররাজনীতি এমন হতে হবে, যেটা ক্ষমতা কাঠামোকে প্রশ্ন করতে পারে। মাদার পার্টির অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের রাজনীতি হলে গেস্টরুম-গণরুমভিত্তিক রাজনীতি চালু হবে।’
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ছিবগাতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী দিনে ছাত্ররাজনীতি দলীয় অ্যাজেন্ডার ভিত্তিতে নয়; বরং ছাত্রদের অধিকারের ভিত্তিতে পরিচালিত হতে হবে। ছাত্ররাজনীতি হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে। তাঁদের একাডেমিক বিষয়ের যেন ক্ষতি না হয়, সে রকম কাজই হবে ছাত্ররাজনীতি।’
ছাত্রনেতাদের মধ্যে এ বিভক্তি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা ঐক্যের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এড়িয়ে ভারত, আওয়ামী লীগ, সংস্কারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ছাত্রসংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনীতি বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রদের মধ্যে ঐক্য বজায় না থাকলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। নানা পক্ষ সুযোগ নেবে। নানা বিষয়ে মতপার্থক্য থাকবে, তবে তা বড় করে না দেখে এখন প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ থাকা।’

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৩৩ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র...
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র...
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৩৩ মিনিট আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যে শক্তি ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। দেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা লড়াই করে, যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন ভূখণ্ড এনেছি। এই ভূখণ্ড আজ স্বাধীনতার দিকে থাকবে, নাকি যারা স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল, তাদের দিকে যাবে—আজকে এই প্রশ্নগুলো আসছে। এই জন্য যে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এই শক্তি আজকে আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সেই ধর্মের নামে। ১৯৭১ সালেও কিন্তু সে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে আমার স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৪৭ সালে এই শক্তি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। এই শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। আজকে সেই শক্তি ভোল পাল্টে, চেহারা পাল্টে তারা এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। আমরা কেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের হত্যা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল—বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের জন্য মেধাশূন্য করে দেওয়া। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। দুদিন পরই পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো সফলতা আসে না। সফলতা আসে সত্যের পথে থেকে, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।
দেশ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত না করে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, উদার বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে। যে শক্তি দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, তাকে প্রতিহত করতে হবে। জোর করে কোনো আদর্শ চাপিয়ে দেওয়া এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পরাজিত শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের ঐক্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
আলোচনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যে শক্তি ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। দেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা লড়াই করে, যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন ভূখণ্ড এনেছি। এই ভূখণ্ড আজ স্বাধীনতার দিকে থাকবে, নাকি যারা স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল, তাদের দিকে যাবে—আজকে এই প্রশ্নগুলো আসছে। এই জন্য যে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এই শক্তি আজকে আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সেই ধর্মের নামে। ১৯৭১ সালেও কিন্তু সে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে আমার স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৪৭ সালে এই শক্তি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। এই শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। আজকে সেই শক্তি ভোল পাল্টে, চেহারা পাল্টে তারা এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। আমরা কেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের হত্যা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল—বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের জন্য মেধাশূন্য করে দেওয়া। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। দুদিন পরই পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো সফলতা আসে না। সফলতা আসে সত্যের পথে থেকে, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।
দেশ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত না করে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, উদার বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে। যে শক্তি দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, তাকে প্রতিহত করতে হবে। জোর করে কোনো আদর্শ চাপিয়ে দেওয়া এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পরাজিত শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের ঐক্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
আলোচনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র...
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৩৩ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন। সরকারের ভেতরের-বাইরের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি চলছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে কাদা-ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে; না হলে গণহত্যাকারীরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে।’
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় সংবাদমাধ্যম আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। এখনো তারা একই ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, জনগণের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী বুদ্ধিজীবীরা অতীতেও ছিলেন, এখনো আছেন। তাঁরা অবশ্যই কথা বলবেন। কারণ, সাংস্কৃতিক ও চিন্তার স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
স্মৃতিসৌধে নাহিদের সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন। সরকারের ভেতরের-বাইরের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি চলছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে কাদা-ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে; না হলে গণহত্যাকারীরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে।’
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় সংবাদমাধ্যম আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। এখনো তারা একই ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, জনগণের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী বুদ্ধিজীবীরা অতীতেও ছিলেন, এখনো আছেন। তাঁরা অবশ্যই কথা বলবেন। কারণ, সাংস্কৃতিক ও চিন্তার স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
স্মৃতিসৌধে নাহিদের সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ।

আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তাঁর আমলে গড়ে ওঠা ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার’ বিলোপ প্রশ্নে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৪ মাসের মাথায় তাদের মধ্যে বাজছে অনৈক্যের সুর। জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র...
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৩৩ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩ ঘণ্টা আগে