নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জঙ্গিরা ছদ্মবেশে কোটা আন্দোলনে ঢুকে গুলি করেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা মনে করি, আন্দোলনকারীদের মিছিলে জঙ্গি গোষ্ঠী অনুপ্রবেশ করে খুব কাছ থেকে অনেককে গুলি করে। সেখানে হতাহতের ব্যাপারটা আমাদের ভাবতে হবে। জঙ্গিরা ছদ্মবেশে আন্দোলনে ঢুকে পড়ে কাছে থেকে গুলি করেছে। এমন ঘটনাও ঘটেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশের বিষয়ে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কোনো আন্দোলনকারীর ওপর গুলি চালানোর নির্দেশনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কখনো দেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনী নিয়োগ, কারফিউ জারি। এরপর তাঁরা কোথাও একটা গুলি ছুড়েছে, সে ধরনের খবর আমাদের জানা নেই। তারপরও আমরা বলব, তদন্ত হচ্ছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য বেরিয়ে আসবে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তদন্ত হবে, চিহ্নিত করা হবে হত্যাকারীদের।’
নির্দেশনার পরেও নেতা-কর্মীদের মাঠে না থাকা সাংগঠনিক ব্যর্থতা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেক কিছু আছে, সেখানে মূল্যায়ন হতে পারে, আত্মসমালোচনা হতে পারে, আত্মশুদ্ধির ব্যাপার থাকতে পারে। সমালোচনা করে আত্মশুদ্ধি, সেটা আমাদের দলে আছে।’
সহিংস কর্মকাণ্ড চলেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখানে তার শেষ, এ মুহূর্তে বলা যায় না। আমাদের প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন হবে। সেটার মাধ্যমে সমন্বয় বাড়ানোর চেষ্টা করব।’
জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে চলমান সহিংসতা দৃশ্যত স্বাভাবিক মনে হলেও এই জঙ্গি গোষ্ঠীর যে নীরবতা এখন, এ নীরবতা তাঁদের পুনঃআক্রমণের পূর্ব সংকেতও হতে পারে। কাজেই এ মুহূর্তে আমরা দুর্বলতাগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা সম্ভব হচ্ছে না। সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশীদারত্ব চুক্তি আলোচনা স্থগিতের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘আমার জানামতে এগুলো অনেক গুজব-গুঞ্জনও আছে। এটা বাস্তবে সত্য কিনা, বাস্তবেই দেখতে হবে।’
ড. ইউনূসের বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাওয়া বাংলাদেশের সংবিধান, আইনানুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মামলা থেকে বাঁচার জন্য তিনি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলেও দাবি করেন তিনি। কাদের বলেন, ‘তার এ সকল বেআইনি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা করছি এবং প্রচলিত আইনে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।’
গণভবন রক্ষায় কারফিউ দিয়েছে সরকার এমন বক্তব্য দেননি দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমি বলেছি, আমি বললাম যে, যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, জঙ্গি গোষ্ঠীর আরেকটা লক্ষ্যস্থল ছিল গণভবন। আমি এটা বলিনি কখনো শুধু গণভবন রক্ষার জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ ধরনের হেডিং আপনারা কেউ দিয়ে থাকলে, সেটা আমার প্রতি একটা অন্যায় বলে মনে করি। এটায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এটা প্রশ্ন করেছে। জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য, জননিরাপত্তার জন্য সেনা মোতায়েন, কারফিউ। গণভবন রক্ষার জন্য কারফিউ জারি করা হয়নি। এমন কথা আমি কখনো বলিনি। ১৪ দলের বৈঠকেও এ নিয়ে কথা হয়েছে। নেতারা সেটা পরিষ্কার করেছেন। আমি কারও নাম ধরে কিছু বলতে চাই না। আপনাদের বিবেকের ওপর ছেড়ে দিলাম।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে কাদের বলেছিলেন, ‘আপনাদের (বিএনপি) নৃশংসতা হানাদার বাহিনীকে হার মানিয়েছে। ক্ষমতার জন্য লন্ডনে পলাতক (তারেক রহমান), গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়ে শ্রীলঙ্কা স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দখল করার টার্গেটও ওই রাতে ছিল; যদি কারফিউ জারি না হতো। এই প্ল্যান তাদের ছিল। শ্রীলঙ্কা স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি আক্রমণ করা, অভ্যুত্থানের ওপর রাইড করে হাওয়া ভবনের যুবরাজ ক্ষমতা দখল করত। এটাই তো তাদের পরিকল্পনা।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বিজ্ঞান সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সম্পাদক তারানা হালিম প্রমুখ।
জঙ্গিরা ছদ্মবেশে কোটা আন্দোলনে ঢুকে গুলি করেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা মনে করি, আন্দোলনকারীদের মিছিলে জঙ্গি গোষ্ঠী অনুপ্রবেশ করে খুব কাছ থেকে অনেককে গুলি করে। সেখানে হতাহতের ব্যাপারটা আমাদের ভাবতে হবে। জঙ্গিরা ছদ্মবেশে আন্দোলনে ঢুকে পড়ে কাছে থেকে গুলি করেছে। এমন ঘটনাও ঘটেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশের বিষয়ে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কোনো আন্দোলনকারীর ওপর গুলি চালানোর নির্দেশনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কখনো দেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনী নিয়োগ, কারফিউ জারি। এরপর তাঁরা কোথাও একটা গুলি ছুড়েছে, সে ধরনের খবর আমাদের জানা নেই। তারপরও আমরা বলব, তদন্ত হচ্ছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য বেরিয়ে আসবে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তদন্ত হবে, চিহ্নিত করা হবে হত্যাকারীদের।’
নির্দেশনার পরেও নেতা-কর্মীদের মাঠে না থাকা সাংগঠনিক ব্যর্থতা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেক কিছু আছে, সেখানে মূল্যায়ন হতে পারে, আত্মসমালোচনা হতে পারে, আত্মশুদ্ধির ব্যাপার থাকতে পারে। সমালোচনা করে আত্মশুদ্ধি, সেটা আমাদের দলে আছে।’
সহিংস কর্মকাণ্ড চলেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখানে তার শেষ, এ মুহূর্তে বলা যায় না। আমাদের প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন হবে। সেটার মাধ্যমে সমন্বয় বাড়ানোর চেষ্টা করব।’
জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে চলমান সহিংসতা দৃশ্যত স্বাভাবিক মনে হলেও এই জঙ্গি গোষ্ঠীর যে নীরবতা এখন, এ নীরবতা তাঁদের পুনঃআক্রমণের পূর্ব সংকেতও হতে পারে। কাজেই এ মুহূর্তে আমরা দুর্বলতাগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা সম্ভব হচ্ছে না। সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশীদারত্ব চুক্তি আলোচনা স্থগিতের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘আমার জানামতে এগুলো অনেক গুজব-গুঞ্জনও আছে। এটা বাস্তবে সত্য কিনা, বাস্তবেই দেখতে হবে।’
ড. ইউনূসের বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাওয়া বাংলাদেশের সংবিধান, আইনানুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মামলা থেকে বাঁচার জন্য তিনি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলেও দাবি করেন তিনি। কাদের বলেন, ‘তার এ সকল বেআইনি, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা করছি এবং প্রচলিত আইনে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।’
গণভবন রক্ষায় কারফিউ দিয়েছে সরকার এমন বক্তব্য দেননি দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমি বলেছি, আমি বললাম যে, যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, জঙ্গি গোষ্ঠীর আরেকটা লক্ষ্যস্থল ছিল গণভবন। আমি এটা বলিনি কখনো শুধু গণভবন রক্ষার জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ ধরনের হেডিং আপনারা কেউ দিয়ে থাকলে, সেটা আমার প্রতি একটা অন্যায় বলে মনে করি। এটায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এটা প্রশ্ন করেছে। জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য, জননিরাপত্তার জন্য সেনা মোতায়েন, কারফিউ। গণভবন রক্ষার জন্য কারফিউ জারি করা হয়নি। এমন কথা আমি কখনো বলিনি। ১৪ দলের বৈঠকেও এ নিয়ে কথা হয়েছে। নেতারা সেটা পরিষ্কার করেছেন। আমি কারও নাম ধরে কিছু বলতে চাই না। আপনাদের বিবেকের ওপর ছেড়ে দিলাম।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে কাদের বলেছিলেন, ‘আপনাদের (বিএনপি) নৃশংসতা হানাদার বাহিনীকে হার মানিয়েছে। ক্ষমতার জন্য লন্ডনে পলাতক (তারেক রহমান), গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়ে শ্রীলঙ্কা স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দখল করার টার্গেটও ওই রাতে ছিল; যদি কারফিউ জারি না হতো। এই প্ল্যান তাদের ছিল। শ্রীলঙ্কা স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি আক্রমণ করা, অভ্যুত্থানের ওপর রাইড করে হাওয়া ভবনের যুবরাজ ক্ষমতা দখল করত। এটাই তো তাদের পরিকল্পনা।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বিজ্ঞান সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সম্পাদক তারানা হালিম প্রমুখ।
মিডিয়াকে ব্যবহার করে এনসিপির নেতা-কর্মীদের গ্রহণযোগ্যতা ‘নষ্ট’ করার জন্য অনেক ‘অপশক্তি’ কাজ করছে অভিযোগ করে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তরিকুল।
১৬ ঘণ্টা আগেসংসদে উচ্চকক্ষের মতো নিম্নকক্ষেও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাস্তবায়নের দাবিতে জামায়াত ইসলামী আন্দোলন করবে বলে জানিয়েছেন দলটি নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আজ রোববার (১০ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ
১৬ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, চাঁদাবাজি এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহসভাপতি এস এম আসলাম এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক টিএইচ তোফাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রাথমিক সদস্যস
১৬ ঘণ্টা আগেবিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কার প্রয়োজন, মানসিক সংস্কার প্রয়োজন। এটাই আমাদের সামাজিক আন্দোলন হওয়া উচিত। সমাজ, রাষ্ট্র—এমনকি দলকেও প্রতিদিনই সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা একটি জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠন করতে পারব।’
১৭ ঘণ্টা আগে