Ajker Patrika

‘তখতে তাউস’ রক্ষা করতে মামলাবাজি আর আটক-বাণিজ্য চলছে: রিজভী 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ মে ২০২৩, ১৮: ৩৫
‘তখতে তাউস’ রক্ষা করতে মামলাবাজি আর আটক-বাণিজ্য চলছে: রিজভী 

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার আবারও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা, হামলা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তারে নেমেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই একই প্রক্রিয়ায় ভোট ডাকাতির আয়োজন শুরু করেছে তারা। সরকার তখতে তাউস (গদি) রক্ষা করতেই সারা দেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে ‘গায়েবি’ মামলা ও তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। 

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের লোকেরা নিজেরাই বোমা রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ নিজেরাই যে বোমা নিয়ে ঢুকেছে, সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের আসামি করার খেলা চলছে। ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ কেউ শোনেনি, দেখেওনি কিন্তু আসামি করা হয় মৃত ব্যক্তি ও কারাবন্দী বিএনপি নেতাদের। সারা দেশে ইতিহাসের জঘন্যতম ভয়াবহ মামলাবাজি আর আটক-বাণিজ্য চলছে।’ 

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রণপ্রস্তুতি শুরু করেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার নিজেদের “তখতে তাউস” রক্ষা করতে সারা দেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিতে শুরু করেছে। মিথ্যা মামলা ও গায়েবি মামলায় সারা দেশে প্রায় ৪০ লাখের অধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’ বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতেই এসব মামলা ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পুলিশ বাহিনীর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘২০২১ সালের ২৪ জুন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ গায়েবি মামলা করে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি থেকে রক্ষায় পাঁচ দফা নির্দেশনা দিলেও তা পরোয়া করছে না পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশ বাহিনী সরকারি দলীয় সংস্থায় পরিণত হয়েছে এমন আলোচনা এখন সর্বত্র। নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ-প্রশাসনের দলবাজ হোমরাচোমরা ও প্রশাসনের অফিসাররা আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বিয়াম ভবনসহ এখানে-সেখানে ভোট ডাকাতির কলাকৌশল ও মাঠ সাজানো নিয়ে গুপ্ত বৈঠক শুরু করেছেন।’ 

সম্প্রতি নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশের ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকার বাজেট আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার ‘প্যাকেজ খরচ’ জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘এর মধ্যে নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমনে ১৫৮ কোটি টাকায় অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনাকাটায় ব্যয় হবে। সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ঠেকাতে ৫৪০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি ক্রয়ের প্রস্তাব রয়েছে তাদের বাজেটে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সরঞ্জামাদি ও কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার কিনতে মোট ব্যয় হবে ২০ কোটি টাকা।’ নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় পরিচয় দেখে পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

মামদানি শতভাগ কমিউনিস্ট উন্মাদ, দেখতেও খারাপ: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত