নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংবিধানের চেয়েও জুলাই সনদকে প্রাধান্য দেওয়া এবং আদালতে সনদ নিয়ে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে একমত দলটি। সে সঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে জামায়াত।
জামায়াতে ইসলামী গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদ নিয়ে তাদের মতামত জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, দলটি ছাড়াও খেলাফত মজলিস, এলডিপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এবং বাসদ-মার্কসবাদী জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছে। এর আগে গত বুধবার বিএনপি, এবি পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, এনডিএম, জাতীয় গণফ্রন্ট ও আমজনতার দল মতামত জমা দেয়।
জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় সনদের পটভূমি, দুই ধাপের সংলাপের মধ্য দিয়ে ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি প্রস্তাব এবং আটটি অঙ্গীকারনামা রয়েছে। এসবের ওপর এখন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত দেওয়ার পর্ব চলছে।
জুলাই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে একমত জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সে ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশকে প্রাধান্যের বিষয়ে একমত দলটি। সনদের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকার পাশাপাশি আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়েও জামায়াতের সমর্থন রয়েছে।
সনদের ৮ নম্বর অঙ্গীকারনামায় দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত সব সুপারিশ কালক্ষেপণ না করে নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়েছে। তবে, সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়নি খসড়ায়। জামায়াতের পক্ষ থেকে সেগুলো সুনির্দিষ্ট করতে মতামত দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেও বলেছে দলটি।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ জানান, খসড়ায় একাধিক ‘বিরোধপূর্ণ বিষয়’ ও ‘অসামঞ্জস্য’ চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘আমরা অঙ্গীকার অংশের সঙ্গে একমত। তবে আমরা সুপারিশ করেছি, কমিশন যেন তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার বিষয়গুলো চিহ্নিত করে এবং অঙ্গীকারনামায় একটি সময়সীমা উল্লেখ করে।’
এদিকে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের জানান, তাঁরা জাতীয় সনদের সব ধারার বাস্তবায়ন আইনি ভিত্তিতে করার জোর সুপারিশ করেছে। সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সংবিধান সংস্কারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছি।’ তাদের দল গণভোটের বিরোধী, কারণ এ পদ্ধতি ‘সময়সাপেক্ষ’ বলে মন্তব্য করেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব।
জেএসডির পক্ষ থেকে জুলাই সনদকে সংবিধানে একটি পৃথক অধ্যায় হিসেবে যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া দলটি খসড়া অঙ্গীকারের ধারা ৪ (যেখানে বলা হয়েছে যে ঘোষণাপত্র কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না) বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এলডিপি তাদের মতামতে খসড়ার অঙ্গীকারনামার অংশের ধারা ৪-এর বিরোধিতা করেছে, যেখানে সংবিধানের ৭ (ক), ধারা ৩ এবং অঙ্গীকার অংশের ধারা ৪ বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমরা সুপারিশ করেছি যে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণা ৭(ক) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকতে হবে। অঙ্গীকার অংশে জুলাই সনদের ব্যাখ্যাদাতা হিসেবে শুধু আপিল বিভাগের উল্লেখ নিয়ে তাদের দল উদ্বেগ জানিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার একটি সংজ্ঞায়িত আইনিপ্রক্রিয়া আছে, যা অঙ্গীকার অংশে অনুপস্থিত। এ ছাড়া আমরা জোরালোভাবে অঙ্গীকার অংশের ধারা ৪-এর বিরোধিতা করেছি, যেখানে বলা হয়েছে জুলাই সনদকে কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।’ রেদোয়ান বলেন, তাঁদের দল প্রস্তাব করেছে পরবর্তী সংসদ গঠনের পর দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের।
অঙ্গীকারনামার বিষয়ে বাসদ মার্কসবাদীর পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো প্রস্তাব বা সুপারিশের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা না গেলে সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে ব্যাখ্যা দেবে? বিষয়টি সম্পর্কে কমিশনের ব্যাখ্যার দাবি করে দলটি। দলটি মনে করে, এই সনদ কার্যকর করার পথ নিয়ে আলোচনা হতে পারে; কিন্তু একে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল হিসেবে ঘোষণা করাটা ভালো উদাহরণ হয় না।

জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংবিধানের চেয়েও জুলাই সনদকে প্রাধান্য দেওয়া এবং আদালতে সনদ নিয়ে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে একমত দলটি। সে সঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে জামায়াত।
জামায়াতে ইসলামী গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদ নিয়ে তাদের মতামত জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, দলটি ছাড়াও খেলাফত মজলিস, এলডিপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এবং বাসদ-মার্কসবাদী জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছে। এর আগে গত বুধবার বিএনপি, এবি পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, এনডিএম, জাতীয় গণফ্রন্ট ও আমজনতার দল মতামত জমা দেয়।
জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় সনদের পটভূমি, দুই ধাপের সংলাপের মধ্য দিয়ে ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি প্রস্তাব এবং আটটি অঙ্গীকারনামা রয়েছে। এসবের ওপর এখন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত দেওয়ার পর্ব চলছে।
জুলাই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে একমত জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সে ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশকে প্রাধান্যের বিষয়ে একমত দলটি। সনদের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকার পাশাপাশি আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়েও জামায়াতের সমর্থন রয়েছে।
সনদের ৮ নম্বর অঙ্গীকারনামায় দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত সব সুপারিশ কালক্ষেপণ না করে নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়েছে। তবে, সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়নি খসড়ায়। জামায়াতের পক্ষ থেকে সেগুলো সুনির্দিষ্ট করতে মতামত দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেও বলেছে দলটি।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ জানান, খসড়ায় একাধিক ‘বিরোধপূর্ণ বিষয়’ ও ‘অসামঞ্জস্য’ চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘আমরা অঙ্গীকার অংশের সঙ্গে একমত। তবে আমরা সুপারিশ করেছি, কমিশন যেন তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার বিষয়গুলো চিহ্নিত করে এবং অঙ্গীকারনামায় একটি সময়সীমা উল্লেখ করে।’
এদিকে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের জানান, তাঁরা জাতীয় সনদের সব ধারার বাস্তবায়ন আইনি ভিত্তিতে করার জোর সুপারিশ করেছে। সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সংবিধান সংস্কারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছি।’ তাদের দল গণভোটের বিরোধী, কারণ এ পদ্ধতি ‘সময়সাপেক্ষ’ বলে মন্তব্য করেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব।
জেএসডির পক্ষ থেকে জুলাই সনদকে সংবিধানে একটি পৃথক অধ্যায় হিসেবে যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া দলটি খসড়া অঙ্গীকারের ধারা ৪ (যেখানে বলা হয়েছে যে ঘোষণাপত্র কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না) বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এলডিপি তাদের মতামতে খসড়ার অঙ্গীকারনামার অংশের ধারা ৪-এর বিরোধিতা করেছে, যেখানে সংবিধানের ৭ (ক), ধারা ৩ এবং অঙ্গীকার অংশের ধারা ৪ বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমরা সুপারিশ করেছি যে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণা ৭(ক) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকতে হবে। অঙ্গীকার অংশে জুলাই সনদের ব্যাখ্যাদাতা হিসেবে শুধু আপিল বিভাগের উল্লেখ নিয়ে তাদের দল উদ্বেগ জানিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার একটি সংজ্ঞায়িত আইনিপ্রক্রিয়া আছে, যা অঙ্গীকার অংশে অনুপস্থিত। এ ছাড়া আমরা জোরালোভাবে অঙ্গীকার অংশের ধারা ৪-এর বিরোধিতা করেছি, যেখানে বলা হয়েছে জুলাই সনদকে কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।’ রেদোয়ান বলেন, তাঁদের দল প্রস্তাব করেছে পরবর্তী সংসদ গঠনের পর দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের।
অঙ্গীকারনামার বিষয়ে বাসদ মার্কসবাদীর পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো প্রস্তাব বা সুপারিশের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা না গেলে সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে ব্যাখ্যা দেবে? বিষয়টি সম্পর্কে কমিশনের ব্যাখ্যার দাবি করে দলটি। দলটি মনে করে, এই সনদ কার্যকর করার পথ নিয়ে আলোচনা হতে পারে; কিন্তু একে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল হিসেবে ঘোষণা করাটা ভালো উদাহরণ হয় না।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংবিধানের চেয়েও জুলাই সনদকে প্রাধান্য দেওয়া এবং আদালতে সনদ নিয়ে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে একমত দলটি। সে সঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে জামায়াত।
জামায়াতে ইসলামী গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদ নিয়ে তাদের মতামত জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, দলটি ছাড়াও খেলাফত মজলিস, এলডিপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এবং বাসদ-মার্কসবাদী জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছে। এর আগে গত বুধবার বিএনপি, এবি পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, এনডিএম, জাতীয় গণফ্রন্ট ও আমজনতার দল মতামত জমা দেয়।
জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় সনদের পটভূমি, দুই ধাপের সংলাপের মধ্য দিয়ে ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি প্রস্তাব এবং আটটি অঙ্গীকারনামা রয়েছে। এসবের ওপর এখন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত দেওয়ার পর্ব চলছে।
জুলাই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে একমত জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সে ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশকে প্রাধান্যের বিষয়ে একমত দলটি। সনদের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকার পাশাপাশি আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়েও জামায়াতের সমর্থন রয়েছে।
সনদের ৮ নম্বর অঙ্গীকারনামায় দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত সব সুপারিশ কালক্ষেপণ না করে নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়েছে। তবে, সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়নি খসড়ায়। জামায়াতের পক্ষ থেকে সেগুলো সুনির্দিষ্ট করতে মতামত দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেও বলেছে দলটি।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ জানান, খসড়ায় একাধিক ‘বিরোধপূর্ণ বিষয়’ ও ‘অসামঞ্জস্য’ চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘আমরা অঙ্গীকার অংশের সঙ্গে একমত। তবে আমরা সুপারিশ করেছি, কমিশন যেন তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার বিষয়গুলো চিহ্নিত করে এবং অঙ্গীকারনামায় একটি সময়সীমা উল্লেখ করে।’
এদিকে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের জানান, তাঁরা জাতীয় সনদের সব ধারার বাস্তবায়ন আইনি ভিত্তিতে করার জোর সুপারিশ করেছে। সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সংবিধান সংস্কারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছি।’ তাদের দল গণভোটের বিরোধী, কারণ এ পদ্ধতি ‘সময়সাপেক্ষ’ বলে মন্তব্য করেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব।
জেএসডির পক্ষ থেকে জুলাই সনদকে সংবিধানে একটি পৃথক অধ্যায় হিসেবে যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া দলটি খসড়া অঙ্গীকারের ধারা ৪ (যেখানে বলা হয়েছে যে ঘোষণাপত্র কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না) বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এলডিপি তাদের মতামতে খসড়ার অঙ্গীকারনামার অংশের ধারা ৪-এর বিরোধিতা করেছে, যেখানে সংবিধানের ৭ (ক), ধারা ৩ এবং অঙ্গীকার অংশের ধারা ৪ বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমরা সুপারিশ করেছি যে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণা ৭(ক) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকতে হবে। অঙ্গীকার অংশে জুলাই সনদের ব্যাখ্যাদাতা হিসেবে শুধু আপিল বিভাগের উল্লেখ নিয়ে তাদের দল উদ্বেগ জানিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার একটি সংজ্ঞায়িত আইনিপ্রক্রিয়া আছে, যা অঙ্গীকার অংশে অনুপস্থিত। এ ছাড়া আমরা জোরালোভাবে অঙ্গীকার অংশের ধারা ৪-এর বিরোধিতা করেছি, যেখানে বলা হয়েছে জুলাই সনদকে কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।’ রেদোয়ান বলেন, তাঁদের দল প্রস্তাব করেছে পরবর্তী সংসদ গঠনের পর দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের।
অঙ্গীকারনামার বিষয়ে বাসদ মার্কসবাদীর পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো প্রস্তাব বা সুপারিশের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা না গেলে সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে ব্যাখ্যা দেবে? বিষয়টি সম্পর্কে কমিশনের ব্যাখ্যার দাবি করে দলটি। দলটি মনে করে, এই সনদ কার্যকর করার পথ নিয়ে আলোচনা হতে পারে; কিন্তু একে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল হিসেবে ঘোষণা করাটা ভালো উদাহরণ হয় না।

জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংবিধানের চেয়েও জুলাই সনদকে প্রাধান্য দেওয়া এবং আদালতে সনদ নিয়ে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে একমত দলটি। সে সঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে জামায়াত।
জামায়াতে ইসলামী গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদ নিয়ে তাদের মতামত জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, দলটি ছাড়াও খেলাফত মজলিস, এলডিপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এবং বাসদ-মার্কসবাদী জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছে। এর আগে গত বুধবার বিএনপি, এবি পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, এনডিএম, জাতীয় গণফ্রন্ট ও আমজনতার দল মতামত জমা দেয়।
জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় সনদের পটভূমি, দুই ধাপের সংলাপের মধ্য দিয়ে ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি প্রস্তাব এবং আটটি অঙ্গীকারনামা রয়েছে। এসবের ওপর এখন রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত দেওয়ার পর্ব চলছে।
জুলাই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে একমত জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সে ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশকে প্রাধান্যের বিষয়ে একমত দলটি। সনদের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকার পাশাপাশি আদালতে প্রশ্ন না তোলার বিষয়েও জামায়াতের সমর্থন রয়েছে।
সনদের ৮ নম্বর অঙ্গীকারনামায় দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত সব সুপারিশ কালক্ষেপণ না করে নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়েছে। তবে, সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়নি খসড়ায়। জামায়াতের পক্ষ থেকে সেগুলো সুনির্দিষ্ট করতে মতামত দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেও বলেছে দলটি।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ জানান, খসড়ায় একাধিক ‘বিরোধপূর্ণ বিষয়’ ও ‘অসামঞ্জস্য’ চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘আমরা অঙ্গীকার অংশের সঙ্গে একমত। তবে আমরা সুপারিশ করেছি, কমিশন যেন তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার বিষয়গুলো চিহ্নিত করে এবং অঙ্গীকারনামায় একটি সময়সীমা উল্লেখ করে।’
এদিকে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের জানান, তাঁরা জাতীয় সনদের সব ধারার বাস্তবায়ন আইনি ভিত্তিতে করার জোর সুপারিশ করেছে। সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সংবিধান সংস্কারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছি।’ তাদের দল গণভোটের বিরোধী, কারণ এ পদ্ধতি ‘সময়সাপেক্ষ’ বলে মন্তব্য করেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব।
জেএসডির পক্ষ থেকে জুলাই সনদকে সংবিধানে একটি পৃথক অধ্যায় হিসেবে যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া দলটি খসড়া অঙ্গীকারের ধারা ৪ (যেখানে বলা হয়েছে যে ঘোষণাপত্র কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না) বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এলডিপি তাদের মতামতে খসড়ার অঙ্গীকারনামার অংশের ধারা ৪-এর বিরোধিতা করেছে, যেখানে সংবিধানের ৭ (ক), ধারা ৩ এবং অঙ্গীকার অংশের ধারা ৪ বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমরা সুপারিশ করেছি যে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার ঘোষণা ৭(ক) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকতে হবে। অঙ্গীকার অংশে জুলাই সনদের ব্যাখ্যাদাতা হিসেবে শুধু আপিল বিভাগের উল্লেখ নিয়ে তাদের দল উদ্বেগ জানিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার একটি সংজ্ঞায়িত আইনিপ্রক্রিয়া আছে, যা অঙ্গীকার অংশে অনুপস্থিত। এ ছাড়া আমরা জোরালোভাবে অঙ্গীকার অংশের ধারা ৪-এর বিরোধিতা করেছি, যেখানে বলা হয়েছে জুলাই সনদকে কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।’ রেদোয়ান বলেন, তাঁদের দল প্রস্তাব করেছে পরবর্তী সংসদ গঠনের পর দুই বছরের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নের।
অঙ্গীকারনামার বিষয়ে বাসদ মার্কসবাদীর পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো প্রস্তাব বা সুপারিশের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা না গেলে সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে ব্যাখ্যা দেবে? বিষয়টি সম্পর্কে কমিশনের ব্যাখ্যার দাবি করে দলটি। দলটি মনে করে, এই সনদ কার্যকর করার পথ নিয়ে আলোচনা হতে পারে; কিন্তু একে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল হিসেবে ঘোষণা করাটা ভালো উদাহরণ হয় না।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের জন্য এনসিপি মনোনীত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন নাহিদ।
নাহিদ বলেন, ‘যাঁরা নতুন করে রাজনীতি করতে চান, বাংলাদেশটাকে নতুন করে গড়তে চান—আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা সব জেলায়, সব আসনে সৎ, যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব দেখতে চাই।’
ভিডিও বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সারা দেশে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরি করেছি, বিচারের জন্য কথা বলে যাচ্ছি। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শাপলা কলি মার্কায় ইনশা আল্লাহ আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিব। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আপনার-আমার সবার দল।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের জন্য এনসিপি মনোনীত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন নাহিদ।
নাহিদ বলেন, ‘যাঁরা নতুন করে রাজনীতি করতে চান, বাংলাদেশটাকে নতুন করে গড়তে চান—আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা সব জেলায়, সব আসনে সৎ, যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব দেখতে চাই।’
ভিডিও বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সারা দেশে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরি করেছি, বিচারের জন্য কথা বলে যাচ্ছি। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শাপলা কলি মার্কায় ইনশা আল্লাহ আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিব। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আপনার-আমার সবার দল।’

জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংবিধানের চেয়েও জুলাই সনদকে প্রাধান্য দেওয়া এবং আদালতে সনদ নিয়ে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে একমত দলটি। সে সঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে জামায়াত।
২১ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার অনিবার্য পরিণতি: নভেম্বর, ১৯৭৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি চাঁদাবাজি, মাস্তানি এত বেশি করেছে, এগুলো ক্ষমার অযোগ্য। এগুলোর জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আর ২০০১ থেকে ২০০৬-এ তারা যে দুর্নীতি করেছিল, শেখ হাসিনা এত আকাম করেছে যে, বিএনপির দুর্নীতি ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। বিএনপির মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। লন্ডনের চুক্তি অনুযায়ী দলটি ক্ষমতায় এলে এনসিপির মাধ্যমে তাদের পতন নিশ্চিত হবে।’
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি শুধু দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খালেদা জিয়ার পাশে দুর্নীতিবাজরা ছিল। এবারের প্রার্থী তালিকায় যারা জুলাই সনদ প্রয়োজন নেই বলছে, তাদের অবস্থানে আমরা হতাশ।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘যদি বিএনপি সংস্কার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে, তবে এনসিপি কিছু সুযোগ দিতে রাজি রয়েছে।’
জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন লাকি ম্যান ছিলেন, ক্ষমতা না চাইতে হলেও পেয়ে গেছেন। উনার কিছু ক্যারিশমেটিক জায়গা ছিল, সে জায়গা থেকে উনি অর্থনৈতিক কিছু উন্নয়নের জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পলিটিক্যাল জায়গায় জিয়াউর রহমান ব্যর্থ ছিলেন। ওই সময় একটি সুযোগ ছিল বাংলাদেশটাকে নতুন করে পুনর্গঠন করার। উনি রাজনীতিকে যতটুকু পুনর্গঠন করবেন, তা করেননি। অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করেছেন। অর্থনৈতিক উনার অনেক সফলতা রয়েছে। রাজনৈতিক পুনর্গঠনের কিছু চেষ্টা চালিয়েছেন; কিন্তু উনি সফল হন নাই।’
আলোচনা সভায় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা পঁচাত্তরের যে ঘটনাপ্রবাহ দেখি, মুক্তিযুদ্ধের পর একটি ঘটনাপ্রবাহ দেখি, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার যেমন আওয়ামী লীগের এবং বর্তমান বাংলাদেশের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভারও বিএনপির ওপর বর্তায়।’
এনসিপির নিবন্ধনের খবরে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘এনসিপি নিবন্ধন পাবে কি না; জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে কি নাই, সে বিষয় নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কটাক্ষ করেছে। কিন্তু আমরা দিন শেষে দেখিয়ে দিয়েছি যে, বাংলাদেশের জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে এবং জনগণ এনসিপিকে সামনের নির্বাচনে সে সমর্থন ব্যক্ত করবে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার পেছনে শেখ মুজিবের বিভক্তির রাজনীতি অন্যতম কারণ। আওয়ামী লীগের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস নয়, নিজেদের দলের ইতিহাসও সঠিকভাবে লেখানো সম্ভব নয়।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার অনিবার্য পরিণতি: নভেম্বর, ১৯৭৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি চাঁদাবাজি, মাস্তানি এত বেশি করেছে, এগুলো ক্ষমার অযোগ্য। এগুলোর জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আর ২০০১ থেকে ২০০৬-এ তারা যে দুর্নীতি করেছিল, শেখ হাসিনা এত আকাম করেছে যে, বিএনপির দুর্নীতি ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। বিএনপির মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। লন্ডনের চুক্তি অনুযায়ী দলটি ক্ষমতায় এলে এনসিপির মাধ্যমে তাদের পতন নিশ্চিত হবে।’
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি শুধু দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খালেদা জিয়ার পাশে দুর্নীতিবাজরা ছিল। এবারের প্রার্থী তালিকায় যারা জুলাই সনদ প্রয়োজন নেই বলছে, তাদের অবস্থানে আমরা হতাশ।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘যদি বিএনপি সংস্কার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে, তবে এনসিপি কিছু সুযোগ দিতে রাজি রয়েছে।’
জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন লাকি ম্যান ছিলেন, ক্ষমতা না চাইতে হলেও পেয়ে গেছেন। উনার কিছু ক্যারিশমেটিক জায়গা ছিল, সে জায়গা থেকে উনি অর্থনৈতিক কিছু উন্নয়নের জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পলিটিক্যাল জায়গায় জিয়াউর রহমান ব্যর্থ ছিলেন। ওই সময় একটি সুযোগ ছিল বাংলাদেশটাকে নতুন করে পুনর্গঠন করার। উনি রাজনীতিকে যতটুকু পুনর্গঠন করবেন, তা করেননি। অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করেছেন। অর্থনৈতিক উনার অনেক সফলতা রয়েছে। রাজনৈতিক পুনর্গঠনের কিছু চেষ্টা চালিয়েছেন; কিন্তু উনি সফল হন নাই।’
আলোচনা সভায় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা পঁচাত্তরের যে ঘটনাপ্রবাহ দেখি, মুক্তিযুদ্ধের পর একটি ঘটনাপ্রবাহ দেখি, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার যেমন আওয়ামী লীগের এবং বর্তমান বাংলাদেশের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভারও বিএনপির ওপর বর্তায়।’
এনসিপির নিবন্ধনের খবরে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘এনসিপি নিবন্ধন পাবে কি না; জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে কি নাই, সে বিষয় নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কটাক্ষ করেছে। কিন্তু আমরা দিন শেষে দেখিয়ে দিয়েছি যে, বাংলাদেশের জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে এবং জনগণ এনসিপিকে সামনের নির্বাচনে সে সমর্থন ব্যক্ত করবে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার পেছনে শেখ মুজিবের বিভক্তির রাজনীতি অন্যতম কারণ। আওয়ামী লীগের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস নয়, নিজেদের দলের ইতিহাসও সঠিকভাবে লেখানো সম্ভব নয়।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।

জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংবিধানের চেয়েও জুলাই সনদকে প্রাধান্য দেওয়া এবং আদালতে সনদ নিয়ে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে একমত দলটি। সে সঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে জামায়াত।
২১ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এ ছাড়া প্রকাশিত ছবিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির আরও কয়েকজন নেতাকে দেখা গেছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এ ছাড়া প্রকাশিত ছবিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির আরও কয়েকজন নেতাকে দেখা গেছে।

জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংবিধানের চেয়েও জুলাই সনদকে প্রাধান্য দেওয়া এবং আদালতে সনদ নিয়ে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে একমত দলটি। সে সঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে জামায়াত।
২১ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
৪ ঘণ্টা আগে
কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও
৫ ঘণ্টা আগেশিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও কিছু নেতা-কর্মী বিভিন্ন স্থানে মানুষকে মিষ্টিমুখ করান। আজ মঙ্গলবার বিএনপি তাঁর মনোনয়ন স্থগিত করেছে।
গতকাল বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনেও মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।
এরপর সন্ধ্যায় মনোনয়নবঞ্চিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থিত লোকজন প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে রাখেন। এ সময় তাঁরা গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল সে সময়।
এ ঘটনার পর আজ সন্ধ্যায় মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত করল বিএনপি। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণবশত, ঘোষিত মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো।’
কামাল জামান মোল্লা ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সাল থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার বিষয়টি আমরা জেনেছি। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। এ বিষয়ে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে কামাল জামান বলেন, ‘আমাদের আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের উল্লাস করা যাবে না। সরাসরি ভোটারদের দ্বারে যেতে হবে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে আমরা আনন্দ মিছিল করব। এর আগে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শিবচরে সকল মানুষকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও কিছু নেতা-কর্মী বিভিন্ন স্থানে মানুষকে মিষ্টিমুখ করান। আজ মঙ্গলবার বিএনপি তাঁর মনোনয়ন স্থগিত করেছে।
গতকাল বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনেও মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।
এরপর সন্ধ্যায় মনোনয়নবঞ্চিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থিত লোকজন প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে রাখেন। এ সময় তাঁরা গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল সে সময়।
এ ঘটনার পর আজ সন্ধ্যায় মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত করল বিএনপি। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণবশত, ঘোষিত মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো।’
কামাল জামান মোল্লা ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সাল থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার বিষয়টি আমরা জেনেছি। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। এ বিষয়ে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে কামাল জামান বলেন, ‘আমাদের আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের উল্লাস করা যাবে না। সরাসরি ভোটারদের দ্বারে যেতে হবে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে আমরা আনন্দ মিছিল করব। এর আগে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শিবচরে সকল মানুষকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংবিধানের চেয়েও জুলাই সনদকে প্রাধান্য দেওয়া এবং আদালতে সনদ নিয়ে প্রশ্ন না তোলার বিষয়ে একমত দলটি। সে সঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সুনির্দিষ্ট করতে কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে জামায়াত।
২১ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে