নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইসরায়েলকে সহায়তা তহবিল দেওয়ার মাধ্যমে গাজায় চলমান যুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েল যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে অবস্থান পরিষ্কার করতে বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকারে কোনো উন্নতি হয়নি’ মর্মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েল যা করছে, সেটা মানবাধিকারের কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে?’ তিনি আরও বলেন, ‘১৪ হাজার শিশু, ৩৫ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং প্রতিদিনই হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র (ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী) নেতানিয়াহুকে সিজ ফায়ারের কথা বলেও শোনাতে পারেনি। তারা (ইসরায়েল) কারও কথা শোনে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা দেখছি, কংগ্রেস থেকে যে ফান্ড, সেখান থেকে ইসরায়েলের অংশটা ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছে। তার মানে, যুদ্ধের উসকানিতে (যুক্তরাষ্ট্র) সাহায্য করছে। এই গণহত্যার ব্যাপারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে নিকৃষ্টতম নমুনা, এ ব্যাপারে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের অবস্থান পরিষ্কার করুক।’
মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশনা থাকলেও সেই নির্দেশনা তেমন কেউই মানেনি। তাহলে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রত্যাহারের এখনো সময় আছে। যে কোনো সময় প্রত্যাহার করতে পারে। শেষটা দেখেন। দলের নির্দেশ অমান্য হলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন কথা কিন্তু আমি বলেছি।’
দল হিসেবে কাউকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগ বাধ্য করতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোনটা করলে প্রশংসা করবেন? আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন, সব সময় একটা উলটা প্রশ্ন করতে অভ্যস্ত। আমাদের কৌশল নিয়ে আপনার কথা বলার দরকার নেই।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু নির্বাচনে তো অন্য কোনো বিরোধী দল অংশ নেয়নি, শুধু আওয়ামী লীগই আছে। তার পরও সংঘাতের শঙ্কা প্রকাশকে কীভাবে দেখেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংঘাতের আশঙ্কা হয়তো করতে পারেন। সংঘাত যেন না হয়, সে বিষয়ে আমাদের দায়িত্ব আছে। আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’
বিএনপি থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে ৬৭ জন অংশ নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন—এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এখানে সমর্থনও করছি না, বিরোধিতাও করছি না। বিএনপির ব্যাপার বিএনপি দেখবে।’
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক নেত্রীর বহিষ্কার প্রত্যাহারে সেই নেত্রীর কাছ থেকে দলের দপ্তর সম্পাদক ১০ লাখ টাকা চেয়েছেন। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটার সত্যতা কী?’ তখন ফোন রেকর্ড আছে—এমন জবাব দিলে তিনি বলেন, ‘তাহলে দিন, আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে নেমে আসা—এটা কি আন্দোলন উত্তাল হওয়ার লক্ষণ? না, আন্দোলন ধীরে ধীরে ফিউজ আউট, হচ্ছে এমন লক্ষণ?’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
ইসরায়েলকে সহায়তা তহবিল দেওয়ার মাধ্যমে গাজায় চলমান যুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েল যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে অবস্থান পরিষ্কার করতে বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকারে কোনো উন্নতি হয়নি’ মর্মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েল যা করছে, সেটা মানবাধিকারের কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে?’ তিনি আরও বলেন, ‘১৪ হাজার শিশু, ৩৫ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং প্রতিদিনই হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র (ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী) নেতানিয়াহুকে সিজ ফায়ারের কথা বলেও শোনাতে পারেনি। তারা (ইসরায়েল) কারও কথা শোনে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা দেখছি, কংগ্রেস থেকে যে ফান্ড, সেখান থেকে ইসরায়েলের অংশটা ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছে। তার মানে, যুদ্ধের উসকানিতে (যুক্তরাষ্ট্র) সাহায্য করছে। এই গণহত্যার ব্যাপারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে নিকৃষ্টতম নমুনা, এ ব্যাপারে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের অবস্থান পরিষ্কার করুক।’
মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশনা থাকলেও সেই নির্দেশনা তেমন কেউই মানেনি। তাহলে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রত্যাহারের এখনো সময় আছে। যে কোনো সময় প্রত্যাহার করতে পারে। শেষটা দেখেন। দলের নির্দেশ অমান্য হলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন কথা কিন্তু আমি বলেছি।’
দল হিসেবে কাউকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগ বাধ্য করতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোনটা করলে প্রশংসা করবেন? আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন, সব সময় একটা উলটা প্রশ্ন করতে অভ্যস্ত। আমাদের কৌশল নিয়ে আপনার কথা বলার দরকার নেই।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু নির্বাচনে তো অন্য কোনো বিরোধী দল অংশ নেয়নি, শুধু আওয়ামী লীগই আছে। তার পরও সংঘাতের শঙ্কা প্রকাশকে কীভাবে দেখেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংঘাতের আশঙ্কা হয়তো করতে পারেন। সংঘাত যেন না হয়, সে বিষয়ে আমাদের দায়িত্ব আছে। আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’
বিএনপি থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে ৬৭ জন অংশ নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন—এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এখানে সমর্থনও করছি না, বিরোধিতাও করছি না। বিএনপির ব্যাপার বিএনপি দেখবে।’
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক নেত্রীর বহিষ্কার প্রত্যাহারে সেই নেত্রীর কাছ থেকে দলের দপ্তর সম্পাদক ১০ লাখ টাকা চেয়েছেন। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেবেন জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটার সত্যতা কী?’ তখন ফোন রেকর্ড আছে—এমন জবাব দিলে তিনি বলেন, ‘তাহলে দিন, আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে নেমে আসা—এটা কি আন্দোলন উত্তাল হওয়ার লক্ষণ? না, আন্দোলন ধীরে ধীরে ফিউজ আউট, হচ্ছে এমন লক্ষণ?’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
৫ ঘণ্টা আগেভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
৭ ঘণ্টা আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
৯ ঘণ্টা আগে