Ajker Patrika

এমপি হই আর না হই, তোমার বাসা উঠিয়ে দেব: স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হুমকি

মেহেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২: ৩৭
এমপি হই আর না হই, তোমার বাসা উঠিয়ে দেব: স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হুমকি

মেহেরপুর-১ (মুজিবনগর, সদর উপজেলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক দুবারের এমপি প্রফেসর আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাসকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

ফোন কলে ডা. অলোক কুমার দাসকে আব্দুল মান্নান এই হুমকি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এক মিনিট দুই সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছেন সাধারণ মানুষ। 

অডিও ক্লিপে প্রফেসর আব্দুল মান্নান ডা. অলোক কুমার দাসকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমি প্রফেসর মান্নান বলছি। তুমি তো ডা. অলোক কুমার দাস। বাইরে থেকে মেহেরপুরে এসে ভালোই আছ। খুব আরাম-আয়েশে জীবন যাপন করছ। বাড়িঘর সবই তৈরি করেছ। টাকাপয়সা অনেক কামাই করেছ। আমি কিন্তু যেমন ভালো লোক তেমন খারাপও। তোমাকে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রমোশন দেয়নি। সরকার তোমার প্রমোশন দিয়েছে। 

‘মন্ত্রীকে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে আর একটা কথা শুনি, আমি এমপি হই আর না হই, তোমার মেহেরপুরের বাসা আমি উঠিয়ে দেব। আর তুমি যদি সাবধান হয়ে যাও, তাহলে আমার স্নেহদৃষ্টি তোমার ওপর থাকবে। এটুকু আমি তোমাকে বললাম, তুমি পারলে তোমার মন্ত্রীকে বলো। আমি শেখ হাসিনার প্রার্থী, আমি ভারতের প্রার্থী, এটি তোমাকে মনে রাখতে হবে। আমি এখানে হারার জন্য আসেনি। সাবধান হয়ে যাও তুমি। আমি তোমার কোনো কথা শুনব না। আমি যে রিপোর্ট পেয়েছি, আমি খুব অসন্তুষ্ট তোমার প্রতি, তুমি সাবধান হয়ে যাও।’ 

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অলোক কুমার দাশ বলেন, ‘গেল ১৭ ডিসেম্বর প্রফেসর আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে আমার ফোনে একটি ফোন আসে। সে ফোনে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। তবে এটি সাধারণ বিষয় বলে আমি মনে করি। বিষয়টি আমার ফোনে অটো কল রেকর্ড হয়ে যায়। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ, শান্তিতে থাকতে চাই। এখন এটি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। এসব নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হাসান অডিওটি মেহেরপুরের দায়রা জজ আদালতের যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির এই শাখার সভাপতি মো. কবির হোসেনকে দিয়েছেন।’

হুমকির বিষয়ে প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কেউ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না। অথচ ডা. অলোক কুমার দাস সব সময় প্রতিমন্ত্রীর বাসায় থাকছেন। এ কারণে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি মুঠোফোনে। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য কেউ এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে।’

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘প্রফেসর আব্দুল মান্নান যেটি করেছেন তা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন। উনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হয়ে এটি বলতে পারেন না। আর উনি যে প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রার্থী হিসেবে দাবি করেছেন, তা মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। আমি বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেব।’ 

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, ‘বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর আমরা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিকে জানিয়েছি। পরবর্তীকালে তাঁরা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত